নিশ্চয় ভাবছেন, যত সব আজগুবি খবর দিচ্ছি। একেবারেই না। কফির বর্জ্য দিয়ে আসবাব, কাপ, প্রিন্টিংয়ের কালি সবই তৈরি হয় যখন, তখন সানগ্লাস কেন নয়! ঠিক এই প্রশ্নটাই মনে এসেছিল ইউক্রেনের ‘অকিস আইওয়্যার’-এর সিইও মাক্সিম হাভ্রিলেঙ্কোর। আর ব্যস উনি শুরু করে দিলেন নানা ধরনের পরীক্ষা। অবশেষে উনি সফল হয়েছেন। বানিয়ে ফেলেছেন কফি ওয়েস্ট থেকে রকমারি সানগ্লাস।
পরিবেশ বান্ধব অথচ ফ্যাশনেবল,এমন সানগ্লাস বানাবার ইচ্ছে ছিল বহুদিনের। মাক্সিম নানা ধরনের হার্ব, যেমন পুদিনা, পার্সলে, এলাচ দিয়ে সানগ্লাস বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। অবশেষে কফিতে উনি খুঁজে পেয়েছেন সানগ্লাস বানানোর সঠিক উপাদান।
অকিস আইওয়্যার বিশ্বের প্রথম কোম্পানি যাদের সানগ্লাস পরলে টাটকা কফির গন্ধ পাবেন আপনি। “প্রথমত, কফির রং কালচে। সানগ্লাসের ক্ল্যাসিক রং কিন্তু তাই। আর এই রং সবাইকেই মানায়। তা ছাড়া, পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে কফি গ্রাউন্ডস আছে। কফি তৈরি করার পর যে পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ বেঁচে থাকে, তা দিয়ে অনায়াসে সানগ্লাস বানানো যায়”, জানিয়েছেন মাক্সিম।

হাভ্রিলেঙ্কোর পরিবারের প্রায় সকলেই কোনও না কোনওভাবে চশমা বানানো এবং বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। আইওয়্যার ইনডাস্ট্রিতে মাক্সিমের নিজের অভিজ্ঞতাই প্রায় ১৫ বছরের। একদম সঠিক সানগ্লাস বানাতে প্রায় ৩০০ স্যাম্পল বানিয়েছে তাঁর কোম্পানি। পারফেক্ট কফি সানগ্লাসের দাম শুরু ৭৮ ডলার থেকে।
এই সানগ্লাসগুলো কফি গ্রাউন্ডস আর ফ্ল্যাক্স দিয়ে তৈরি এবং আঠার বদলে ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ফেলে দিলেও ১০ বছরে সারে পরিণত হয়। আপাতত প্রডাকশনে মনোনিবেশ করেছেন ম্যাক্সিম। উনি চান সারা বিশ্বেই এই সানগ্লাসকে পৌঁছে দিতে।