আগের পর্ব [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯]
ক্যান্ডির টুথরেলিক মন্দিরটাকে বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছে রাজপ্রাসাদ। চতুষ্কোণ আকৃতির, সাদা ধবধবে। প্রবেশপথের লম্বা লাইনটা এঁকেবেঁকে যা চেহারা নিয়েছে, একটু পরেই মনে হয় তার লেজটুকু চত্বরের বাইরে বেরিয়ে রাস্তায় পৌঁছে যাবে। সাড়ে নটায় গর্ভগৃহ দর্শনের আশা ত্যাগ করলাম। আধঘণ্টা খোলা থাকবে। দশটার মধ্যে প্রবেশ করা অসম্ভব। পরবর্তী দর্শনের সময় সাড়ে দশটা।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের কারও হাতে ফুলের তোড়া, কেউ আবার থালায় ফুল সাজিয়েছে। মন্দিরের আশেপাশে শ্বেতপদ্ম, লালকমল, নীল শালুক বিক্রি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলি, নীল শাপলা এই দেশের জাতীয় ফুল। এদের দেখাদেখি পদ্মফুল হাতে নিয়ে শ’খানেক মানুষের পিছনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। পুণ্যের ঝুলি পূর্ণ করতে মানুষের প্রাণান্তকর অবস্থা। পায়ের তলা জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। শ্লথ গতিতে এগোতে এগোতে সাড়ে দশটার আগেই ঢুকে পড়লাম মন্দিরের অন্দরে। কাঠের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে আবার এক প্রস্থ লাইন। আরও কিছুক্ষণের অপেক্ষা।
টুথরেলিক মন্দিরের বুদ্ধদেবের দাঁতের সঙ্গে প্রাচীন বাংলার পরোক্ষভাবে একটা যোগাযোগ আছে। ভগবান বুদ্ধের পরিনির্বাণের পরে তাঁর এই দাঁত কলিঙ্গে রক্ষিত ছিল। শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে দাঁতটি রক্ষা করার জন্য কলিঙ্গরাজ গুহশিবের কন্যা হেমমালী সেটি নিজের চুলের মধ্যে লুকিয়ে রেখে তাঁর স্বামী রাজকুমার দন্তের সহযোগিতায় বাংলার তমলুক বন্দর হয়ে পালিয়ে আসেন শ্রীলঙ্কায় এবং অনুরাধাপুরার রাজা শ্রীমেঘবন্নের হাতে অর্পণ করেন। প্রথা অনুযায়ী, প্রথমে দাঁতটি অনুরাধাপুরায় থাকলেও পরে রাজধানী পোলোন্নারুয়ায় স্থানান্তরিত হলে দাঁতটিও নিয়ে আসা হয় পোলোন্নারুয়ায়, এবং শেষ পর্যন্ত পরিবর্তিত রাজধানী ক্যান্ডিতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। তবে পরবর্তীকালে, ব্রিটিশ শাসনকালে কলম্বোতে রাজধানী স্থানান্তরিত হলেও প্রথা মেনে দাঁতটি আর নতুন রাজধানীতে আনা হয়নি।

সাড়ে দশটায় গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হল। কক্ষের মধ্যে একটি সোনার বাক্সে পবিত্র দন্তটি রাখা আছে। যদিও তার দেখা মেলে না। দর্শনার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে এক এক করে ওই সোনার বাক্সটি দর্শন করে ফুল অর্পণ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে সবটাই খুব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। কোনও ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি নেই।
মন্দিরের ওপরতলায় দালাদা মিউজিয়াম। বুদ্ধমূর্তি, দুষ্প্রাপ্য ছবি, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উপহারে সাজানো। ক্যাম্পাসের বাইরে, মন্দিরের পিছনেই ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ওয়ার্ল্ড বুদ্ধিজম্। ইউরোপিয়ান স্থাপত্যশৈলীর আদলে তৈরি এই মিউজিয়ামে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ছবি, ধর্ম বিকাশের ইতিহাস, মডেল ইত্যাদি রয়েছে। এক চক্কর দিয়ে চলে এলাম ন্যাশনাল মিউজিয়ামে, যা একসময়ের রাজবাড়ি। নানান মূর্তি, পোট্রেট, পেন্টিং, মুদ্রা, প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী, ১৭ ও ১৮ শতকের অস্ত্রশস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, মাটির ও ধাতব পাত্র, অলঙ্কার, রত্ন, রাজা-রানির ব্যবহৃত পোশাক, ডোলা-পালকি, রান্নার সরঞ্জাম… এক ছাদের তলায় এসব দেখতে দেখতে যেন ৩০০ বছরের পুরনো সিংহলে পৌঁছে গেলাম।
আবার মন্দির চত্বরে ঢুকলাম। রয়্যাল প্যালেস ও ছোট-বড়-মাঝারি মন্দিরগুলোতে এক ঝলক উঁকি দিয়ে যখন মূল ফটকের কাছে এলাম, দুপুর গড়িয়ে বিকেল। সারাদিন দাঁতে একটা দানাও কাটা হয়নি। আয়েশ করে রেস্তোরাঁয় বসে ভরপেট খাওয়ার সময়ও নেই। ক্যান্ডি লেক ক্লাবে সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হবে ক্যান্ডির সাবেকি নৃত্যানুষ্ঠান। ওয়াই.এম.বি.এ হল এবং ক্যান্ডিয়ান আর্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারেও এই শো হয়। কিন্তু, কেশিনীর গাইডলাইন মেনে আমাদের গন্তব্য ক্যান্ডি লেক ক্লাব। কেক, প্যাটিস কিনে সে পথেই এগোলাম।

চার কিলোমিটার হাল্কা চড়াই পথ ধরে কিছুটা ওপরে উঠে ক্যান্ডি লেক ক্লাব। টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম হলে। এক কোণে ছোট্ট বার, চড়া দামে স্ন্যাক্স আর পানীয়ের ব্যবস্থা। পর্যটকদের ভিড়ে হল প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। ঠিক সাড়ে পাঁচটায় সিংহলা ঐতিহ্য মেনে শাঁখ ও ঢোল বাজিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হল। এরপর শুরু হল মেয়েদের পূজা নাটুমা (নৃত্য)। প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা এই নাচের অঙ্গ। দেভল নাটুমা, ময়ূর নাটুমা, রাক্ষা নাটুমা, রাবণ, গিনি সিসিলা (অগ্নি নৃত্য) প্রভৃতি নৃত্যমালায় সাজানো ঘণ্টাখানেকের এই অনুষ্ঠান খুবই মনোগ্রাহী। শুধুমাত্র কান্দায়ন নাচ নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শাস্ত্রীয় ও লোকনৃত্যের সমাহার। অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধ ও শুভ শক্তির জয়— এটাই নাচগুলোর প্রধান বিষয়বস্তু। মুখোশ নৃত্যে কেউটে আর পাখির দ্বন্দ্বযুদ্ধ চমৎকার উপস্থাপনা। আবার অগ্নিনৃত্যে আগুন খেয়ে ফেলা দেখতে দেখতে মনে হল ভোজবাজির খেলা দেখছি। নৃত্য ও বাদ্য পরিবেশনায় ভরতনাট্যম ও কথাকলির সঙ্গে সাদৃশ্য চোখে পড়ে।
মঞ্চ অনুষ্ঠান শেষ হলে দর্শকদের পাশের লাগোয়া ওপেন এয়ার থিয়েটারে বসতে অনুরোধ করা হল। নাচের শেষ পর্যায়টুকু এখানেই অনুষ্ঠিত হবে। অগ্নিনৃত্যের এই পর্বটা দেখে বিস্মিত হয়ে গেলাম। জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে শিল্পীরা খালিপায়ে নাচতে নাচতে চলে গেলেন। এই নাচের বিষয়বস্তুটি রামায়ণের অংশবিশেষ। সীতা উদ্ধারের পর পবিত্রতার প্রমাণ দিতে সীতা খালি পায়ে আগুনের ওপর দিয়ে হেঁটেছিলেন ও অক্ষত ছিলেন। এই প্রতীকি নাচ দিয়েই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি।
অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ হল। ব্যালে-ট্রুপের শিল্পীদের মধ্যে থেকে একজন বলে উঠলেন, “ভারতীয় দর্শকদের ভালোলাগার আলাদা গুরুত্ব আছে আমাদের কাছে”।

সুন্দর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার রেশ নিয়ে ফিরে এলাম ঘরে। অনেকক্ষণ আগেই কেশিনী ডাইনিং টেবিলে ফ্রাইড রাইস আর শ্রীলঙ্কান চিকেনকারি রেখে গেছে। ক্যান্ডিতে আজই শেষ রাত। আগামী দুদিনের রাত্রিবাস শ্রীলঙ্কার আরেক শৈলশহর নুয়ারা এলিয়ায়। ঘরে ফিরেই অনলাইনে বাসস্থানের বন্দোবস্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। রাত বেড়ে গেছে। সারাদিন ভালোভাবে খাওয়া হয়নি। গ্র্যান্ড ডিনারের পর ক্লান্তির ঘুম।
প্রাতরাশে আজ নতুন চমক, স্ট্রিং হপার্স প্যানকেক। স্ট্রিং হপার্স-এর স্থানীয় নাম ইডিয়াপ্পাম। দেখতে একেবারে নুডলস্-এর মতো। আমাদের দেশে দক্ষিণ ভারতেও এটি খুব জনপ্রিয়। চালের এই নুডলস্ দিয়ে প্যানকেক বানিয়ে তার মধ্যে নারকেলের পুর ভরে চেহারাটা হয়েছে অনেকটা পাটিসাপটার মতো। এছাড়া অন্যান্য খাবার তো আছেই- ব্রেডটোস্ট, অমলেট, আনারসের জুস আর এক ছড়া কাঁঠালি কলা। কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্টে এত খাবার একসঙ্গে খাওয়া আসম্ভব। স্ট্রিং হপার্স প্যানকেক আর কলার ছড়া ছাঁদা বেঁধে নিলাম, পথে সদ্ব্যবহার করা যাবে। কেশিনীর উষ্ণ আতিথেয়তাকে বিদায় জানিয়ে পৌনে নটা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম।
প্রথমেই এলাম ক্যান্ডি লেকের ধারে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই কৃত্রিম লেকের আরেক নাম বোগামবারা লেক। চারপাশ গাছপালায় ঘেরা। ১৮০৭ সালে ক্যান্ডির শেষ রাজা বিক্রমরাজ সিংঘে এই লেকটি খনন করিয়েছিলেন। এই লেককে ঘিরে নানান লোককথা প্রচলিত আছে। যেমন, লেকের কেন্দ্রভাগে একটা ছোটো দ্বীপ আছে। সেটি নাকি গোপন সুরঙ্গের মাধ্যমে রাজার প্রাসাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। রাজার হারেমের স্ত্রীলোকেরা এখানে স্নান করতে আসতেন।
লেকের ধারে স্থানীয় মানুষের একটা জটলা। কাছে গিয়ে দেখি সদ্যবিবাহিত বর-কনে চার্চ থেকে সোজা এখানে চলে এসেছে ফটোশ্যুটের উদ্দেশ্যে। সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকজনেরাও আছে। মহিলারা সবাই ক্যান্ডিয়ান স্টাইলে শাড়ি পরেছেন, কোমড়ের কাছে ফুলের পাপড়ির মতো গোল করে ঘিরে আছে শাড়ির কুঁচি। ক্যান্ডিয়ান এই স্টাইলই এ দেশে শাড়ি পরার প্রচলিত স্টাইল।
টলটলে, পান্না সবুজ জলে বোটিং-এর লোভটা সামলাতে পারলাম না। নৌকাবিহার সেরে আবার চলা শুরু। এক কিলোমিটার চড়াই পথ ধরে পৌঁছে গেলাম ভিউপয়েন্টে। এখান থেকে ক্যান্ডি শহর আর পাহাড় ঘেরা লেকের সামগ্রিক চিত্রটা সুন্দরভাবে ধরা পড়েছে। একদিকে যেমন ‘টুথ রেলিক টেম্পল্’ দৃশ্যমান, অপরদিকে বহিরওয়াকান্দা বিহারের বিশাল সাদা বুদ্ধমূর্তিটি চোখে পড়ে। পথের ধারে মুখোশ, চাবির রিং, পেইন্টিং বিক্রি হচ্ছে। দেখতে অনেকটা নাচের মুখোশগুলোর মতোই। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে একখানা কিনেও ফেললাম।

সরাসরি নুয়ারা এলিয়া গেলে দূরত্ব পড়বে ৭৬ কিলোমিটার। সফর তেমন লম্বা নয়। হাতে সারাটা দিন সময় আছে। তাই যাত্রাপথকে কিছুটা দীর্ঘায়িত করে পথে এটা-সেটা দেখে সন্ধের দিকে নুয়ারা এলিয়া ঢুকে পড়ব, এমনই পরিকল্পনা। প্রথম গন্তব্য পিন্নাওয়ালা। ক্যান্ডি থেকে ঘণ্টাখানেকের পথ। পথের দুধারে সবুজ পাহাড়ের স্নিগ্ধতা। পিলিমাথালাওয়া, ক্যাগাল হয়ে প্রায় এগারোটা নাগাদ পিন্নাওয়ালা পৌঁছলাম।
পর্যটকমহলে পিন্নাওয়ালা গ্রামটির খ্যাতি হাতিদের অনাথ আশ্রম হিসেবে। ১৯৭৫ সালে এই আশ্রমের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। দলছুট, আহত বা অনাথ হস্তীশাবকদের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে এনে এখানে শিশুস্নেহে প্রতিপালন করা হয়। তাদের দেখভাল করার জন্যে বেশ কয়েকজন মাহুত রয়েছেন।
দিনে দুবার দলবেঁধে হাতিরা মা-ওয়েয়া নদীতে স্নান করতে আসে। স্নানপর্ব দেখব বলে টিকিট কেটে নদীর দিকে হাঁটা লাগালাম। লাইন দিয়ে হাতির দল স্নান সেরে ফিরছে। মাহুতরা চিৎকার করছে রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার জন্যে। পথের দুপাশে জমকালো শো-পিসের দোকান, অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁ, মানি-এক্সচেঞ্জ কাউন্টার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বেশ ব্যয়বহুল জায়গা।
পর্যটকমহলে পিন্নাওয়ালা গ্রামটির খ্যাতি হাতিদের অনাথ আশ্রম হিসেবে। ১৯৭৫ সালে এই আশ্রমের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। দলছুট, আহত বা অনাথ হস্তীশাবকদের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে এনে এখানে শিশুস্নেহে প্রতিপালন করা হয়।
মা-ওয়েয়া নদীতে হাঁটু ডোবার মতো জলও নেই। নিবিড় অরণ্যে ঢাকা পাহাড় ঘেরা চমৎকার পরিবেশ। ২২টা হাতি স্নান করছে, শুঁড় দিয়ে একে অপরের গায়ে জল ছিটিয়ে খেলা করছে। এই মজার দৃশ্য দেখতে পর্যটক সমাগম বেশ ভালোই হয়েছে। নদীর ধার ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকা হোটেলগুলোর বারান্দা থেকে ভিড় উপচে পড়ছে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, এয়ারপোর্ট থেকে পিন্নাওয়ালার দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার। তাই অনেক পর্যটক সরাসরি এয়ারপোর্ট থেকে পিন্নাওয়ালা এসে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ শুরু করেন।

অনাথ আশ্রমের চত্বরে হস্তীশাবকদের দুধ খাওয়ানো চলছিল। উৎসাহী পর্যটকরা অর্থের বিনিময়ে বোতলে করে বাচ্চা হাতিদের দুধ খাওয়াচ্ছে। আশ্রম থেকে বেরিয়ে একটা শো-পিসের দোকানে ঢুকলাম। অগ্নিমূল্যের আঁচ পেয়ে ওখানে আর সময় নষ্ট নয়। শ্রীলঙ্কান রুপির স্টক কমে এসেছে। মানি-এক্সচেঞ্জে গিয়ে কিছু ডলার ভাঙিয়ে নিয়ে একটা রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করলাম বটে, কিন্তু মেনুকার্ডের আগুনদামের ছ্যাঁকা খেয়ে তৎক্ষণাৎ প্রস্থান।
*ছবি সৌজন্য: লেখক
দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত। ভ্রমণ, আনন্দবাজার ই-পেপার, ভ্রমী পত্রিকার নিয়মিত লেখক। এছাড়া যারা-যাযাবর, তথ্যকেন্দ্র, লেটস্-গো, আজকাল, প্রতিদিন, গণশক্তি প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় ভ্রমণকাহিনি প্রকাশিত। ট্র্যাভেল রাইটার্স ফোরাম ইন্ডিয়ার সদস্য। প্রধান শখ ও নেশা বেড়ানো আর ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফি।