Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

বেলুড়মঠে দুর্গোৎসবের ইতি-কথা

অভীক চট্টোপাধ্যায়

অক্টোবর ২৮, ২০২০

Belur Moth
ছবি সৌজন্য - uttarbangasambad.com
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী বিবেকানন্দের ইতিহাসপ্রসিদ্ধ শিকাগো-ভাষণ, তৎকালীন বাংলা তথা ভারতের ধর্মচর্চার এক নতুন পরিচ্ছেদ রচনা করেছিল। একই সঙ্গে পরাধীন দেশের জাতীয়তাবাদী চেতনাকেও দিশা দেখাল। স্বামীজিই বোধহয় একমাত্র যোগী সন্ন্যাসী, যাঁর পরিচয়ে ‘বীর সন্ন্যাসী’-র মতো দু’টি শব্দ প্রয়োগ করা যায়। এবং তা করা হয়ও। তিনি ছিলেন ‘অদ্বৈতবাদী’। সে যুগে বসে স্বামী বিবেকানন্দ যে দর্শনজাত ভাবধারার মাধ্যমে তাঁর মহাকর্ম সম্পন্ন করেছিলেন, তা ছিল সময় অনুযায়ী ধর্ম ও সমাজচেতনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত শিক্ষা। স্বামীজির সেই কর্মের ও চেতনাগঠনের শিক্ষা ভিত্তি কিন্তু ছিল শাশ্বত ভারতীয় অধ্যাত্মিক দর্শন ও জাতিবৈশিষ্ট্যের উপর। তাই বোধহয় তিনি যেমন ধর্মজগতের অধিবাসীদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন, তেমনি তৎকালীন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।

Ramkrishna
বেলুড় মঠের অভ্যন্তরে শ্রীরামকৃষ্ণের বিগ্রহ। ছবি সৌজন্য – wikipedia.com

স্বামীজি তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণের লোকশিক্ষাধর্মী দর্শনতত্ত্বকে আশ্রয় করে বিশ্বযোগী হয়ে অর্জন করলেন সবকিছু এবং তা প্রদান করলেন মানবসমাজে, যার সঙ্গে অবশ্যই মিশে থাকত, তাঁর আলোকসদৃশ চিন্তাচেতনা। ৩৯ বছরের জীবনকালে তার আগুনঝরানো অবস্থান খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায়, এমন কোনও কাজে তিনি হাত দেননি, যা শুধুমাত্র নিছক নিয়মপালন বা প্রথার বিষয়। প্রত্যেক কর্মকাণ্ডের পিছনেই ছিল সময়োপযোগী প্রয়োজনীয়তা, যা মানুষের চেতনাগঠনে সাহায্য করে সমাজকে সুস্থতার দিকে নিয়ে যাবে। স্বামীজির এরকমই একটি কাজ হল, তাঁর প্রতিষ্ঠিত বেলুড় মঠে দুর্গাপূজার সূচনা করা, যা তাঁর প্রয়াণের ঠিক আগের বছরেই (১৯০১) শুরু হয়।

শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবধারাকে বিস্তৃতভাবে উপস্থাপনের অভিপ্রায়ে বিবেকানন্দ ১৮৯৮ সালে প্রথমে রামকৃষ্ণ মিশন এবং পরের বছর বেলুড় গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ, যা ‘বেলুড় মঠ’ নামেই পরিচিত। সন্ন্যাসী হয়ে মঠের জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে মানুষকে শিক্ষা দেওয়া, সেবা করা ইত্যাদি লক্ষ্যেই স্বামীজির এই প্রয়াস। এর ঠিক চার বছর পরে, অর্থাৎ স্বামীজির প্রয়াণের আগের বছর ১৯০১ সালে বাংলার আর এক মহাপুরুষ শিক্ষা ও সংস্কৃতিক্ষেত্রে নবভাবধারা আনার উদ্দেশ্যে বোলপুরে ‘শান্তিনিকেতন’ নামে ব্রহ্মচর্যাশ্রম খুলে অন্য এক অর্থে আশ্রমিক জীবনযাপনের বার্তা ছড়ালেন।

স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর চিন্তাধারায় পুষ্ট সন্ন্যাসীরা যেহেতু ‘অদ্বৈতবাদী’ ছিলেন, গোঁড়া হিন্দুদের ধর্মপালন পদ্ধতির সঙ্গে এঁদের পার্থক্য ছিল বরাবর। বৈদান্তিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন এঁরা। স্বামীজি ইউরোপ আমেরিকায় অজস্র আলোচনা-বক্তৃতা মারফত প্রচার করেছেন বেদান্ত-চিন্তা। সম্ভবত এ কারণেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীদের প্রতি গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীদের ঘোর সন্দেহ ছিল। প্রসঙ্গত, সেই সময়ে ধর্মীয় পরিবেশ ও সমাজ-রাজনীতির আবহের নিরিখে ‘হিন্দু’ পরিচয়ের তাৎপর্য অনেক ব্যপ্ত ছিল। তবে গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীদের মঠের সন্ন্যাসীদের প্রতি এই সন্দেহ পোষণ ছিল একেবারেই মোটা দাগের। ফলে এর উত্তর দেওয়া দরকার হয়ে পড়েছিল।

[the_ad id=”266918″]

এছাড়া তাঁদের পথ যে হিন্দুত্বের পথ ছাড়া অন্যকিছুই নয়, তা বোঝানোরও বোধহয় দরকার ছিল। কারণ, সুদূরপ্রসারী কল্যাণকর্মের পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করা কোনওকিছু, পারিপার্শ্বিকতার বাধায় যদি অসুবিধেয় পড়তে থাকে, তাহলে মূল উদ্দেশ্যে বিঘ্ন ঘটে। তাই এসব নিয়েও ভাবতে হয় এবং এ কারণেই স্বামীজি বেলুড় মঠে শুরু করলেন দুর্গাপূজা। এর ফলে গোঁড়া হিন্দুত্বপন্থীরা একটা বড় ধাক্কা খেল। তবে সময় অনুযায়ী বিচার করলে এই দুর্গাপুজো প্রচলনের অন্য তাৎপর্যও যেন অনুভূত হয়। আসব সে প্রসঙ্গে। তবে মঠে দুর্গাপূজা ও তার আগে কী হল, তা দেখা যাক।

Belur Moth
বেলুড় মঠে দুর্গোৎসব। ছবি সৌজন্য – indiatimes.com

দুর্গাপূজার আগে স্বামীজি বেলুড় মঠে জাতিভেদের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। কারণ , তিনি জাতিভেদ মানতেন না। তাঁর বক্তব্য ছিল — ‘পুরোহিতগণ যতই আবোল-তাবোল বলুন না কেন, জাতিভেদ একটি অচলায়তনে পরিণত সামাজিক বিধান ছাড়া কিছুই নহে। উহা নিজের কার্য শেষ করিয়া এক্ষণে ভারত-গগনকে দুর্গন্ধে আচ্ছন্ন করিয়াছে। ইহা দূর হইতে পারে যদি লোকের হারানো সামাজিক স্বাতন্ত্রবুদ্ধি (lost individuality) ফিরাইয়া আনা যায়।’ তিনি দেখালেন জাতিভেদ হিন্দুধর্মের বিধান নয়, পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা এক সামাজিক প্রথা। ছান্দোগ্য উপনিষদে এক শূদ্রের বেদান্ত আলোচনা করার কথা বলা আছে। শ্রীমদ্ভাগবতগীতায় যাদব সম্প্রদায়ভুক্ত শ্রীকৃষ্ণ জন্মগত জাতিভেদকে সমর্থন না করে বলেছেন— ‘গুণ কর্মবিভাগশঃ’ অর্থাৎ মানুষকে তার গুণ ও কর্মের দিক থেকে বিচার করতে হবে। হিন্দুশাস্ত্রের এমন নানা উদাহরণ তাঁর ভাবনার স্বপক্ষে তুলে ধরলেন স্বামী বিবেকানন্দ।

[the_ad id=”266919″] মঠে দুর্গাপূজা

এবার সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন। স্বামীজি বেলুড় মঠে ৪০ থেকে ৫০ জন অব্রাহ্মণকে উপবীত ও গায়ত্ৰীমন্ত্র দান করে ব্রাহ্মণত্ব দিলেন। এ ব্রাহ্মণত্ব মানে নিছক জাতি বা পদবী নয়। এর প্রকৃত অর্থ শিক্ষা ও চেতনাগত দিক থেকে এক উত্তরণের আদর্শ। সেখানে জন্মগতভাবে যে কোনও ঘরের মানুষ নিজেকে নিয়ে যাবার অধিকারী হবে। স্বভাবতই এইসব দেখে মঠের সন্ন্যাসীদের প্রতি কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বিরোধী মনোভাব আরও তীব্র আকার নিল। স্বামীজি অবশ্য তাঁর লক্ষে অবিচল রইলেন নির্লিপ্ত ভাবে। তাঁর সহযোগী সন্ন্যাসীদেরও বলে দিলেন এ ব্যাপারে মুখ না খুলতে। তিনি বলতেন, ‘দেশে কোনও নূতন ভাব প্রচার হওয়ার কালে তাহার বিরুদ্ধে প্রাচীন পন্থাবলম্বিগণের অভ্যুত্থান প্রকৃতির নিয়ম। জগতের ধর্মসংস্থাপক মাত্রকেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইয়াছে। Persecution (অন্যায়-অত্যাচার) না হইলে জগতের হিতকর ভাবগুলি সমাজের অন্তস্থলে সহজে প্রবেশ করিতে পারে না।’

Belur Moth
বেলুড় মঠে দেবীর আরতি। ছবি সৌজন্য – kulayefera.com

স্বামীজি মনে করতেন মানুষের সেবা করার জন্য় বহিরঙ্গের আচারসর্বস্বতার দরকার লাগে না। তাই নানা হিন্দু আচারের বিপরীতমুখী কার্যকলাপের পাশাপাশি বেলুড় মঠে শুরু করলেন দুর্গাপূজা। ১৯০১ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হল এই পূজা। স্বামীজির ইচ্ছা অনুসারে তাঁর গুরুভাই স্বামী ব্রহ্মানন্দ ও অন্যান্য শিষ্যরা মিলে পূজার তোড়জোড় শুরু করলেন। কিন্তু ‘সঙ্কল্প’ করবেন কে? সন্ন্যাসীদের তো এতে অধিকার নেই। অথচ স্বামীজির তীব্র বাসনা তাঁর নামে সঙ্কল্প করার। তিনি অনুমতি চাইলেন মা সারদার। তিনি অনুমতি দিলেন। এতে কোনও বাধা নেই শুনে আনন্দে ভরে উঠল স্বামীজির মন। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা আনা হল। মা সারদা তাঁর বাগবাজারের বাড়ি থেকে পূজার আগের দিন মঠে চলে এলেন। মহাসপ্তমীর দিনে তাঁর অনুমতি নিয়ে ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল মহারাজ পূজকের আসনে বসলেন। তন্ত্রমন্ত্রকোবিদ্ ঈশ্বরচন্দ্র ভট্টাচার্য মশাইও একইভাবে মায়ের অনুমতি নিয়ে তন্ত্রধারকের আসন গ্রহণ করলেন।

[the_ad id=”270084″]

যথাযথভাবে শাস্ত্রমতে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হল বেলুড়মঠে। তবে, মা সারদার আপত্তিতে পশুবলি হল না। সে জায়গায় চিনি ও মিষ্টান্নের স্তূপীকৃত নৈবেদ্য দেওয়া হল। দুর্গার আরাধনার প্রচলনে বেলুড় মঠের প্রতি  হিন্দুত্ববাদীদের আস্থা ফিরে এল। শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী সংকলিত ‘স্বামী-শিষ্য সংবাদ’-এর এক জায়গায় আছে – ‘গরীব, দুঃখী কাঙ্গালগণকে দেহধারী ঈশ্বর-জ্ঞানে পরিতোষ করিয়া ভোজন করান এই পূজার অঙ্গরূপে পরিগণিত হইয়াছিল। এতদ্ব্যতীত বেলুড়, বালী ও উত্তরপাড়ার পরিচিত-অপরিচিত অনেক ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণকেও নিমন্ত্রণ করা হইয়াছিল এবং তাঁহারাও সকলে আনন্দে যোগদান করিয়াছিলেন। তদবধি মঠের প্রতি তাঁহাদের পূর্ব বিদ্বেষ বিদূরিত হইয়া ধারণা জন্মে যে, মঠের সন্ন্যাসীরা যথার্থ হিন্দু-সন্ন্যাসী।’ এরপর ধীরে ধীরে মঠে লক্ষ্মীপূজা, শ্যামাপূজা সবকিছুই চালু করেন স্বামীজি। তবে, দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে তিনি যেমন ধর্মীয় সন্দেহ দূর করেছিলেন, দিয়েছিলেন মানবসেবার বার্তা; তেমনই আরও কিছুর প্রতীক তিনি হয়তো করতে চেয়েছিলেন এই দুর্গা তথা শক্তি-আরাধনাকে।

Belur Moth
গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীদের বিরোধিতা করেই এই পুজোর সূচনা করেছিলেন স্বামীজি। ছবি সৌজন্য – bengalinformation.com

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন যখন তীব্র আকার নিল, তখন দেখা গেল তাঁদের মধ্যে তিনটি মূল অনুপ্রেরণা কাজ করছে- শ্রীমদ্ভাগবতগীতা, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম’ ও স্বামী বিবেকানন্দের ব্যক্তিত্ব ও রচনাবলি। প্রসঙ্গত, মা সারদা পশুবলি নিষেধ করলেও স্বামীজি কিন্তু তার সপক্ষে সওয়াল করেছিলেন। পুজোর ক’দিন আগে থেকেই তিনি পশুবলির ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাঁর মতো মানুষের দিক থেকে এটা যথেষ্ট আশ্চর্যের, মঠের সন্ন্যাসীদেরও মনে হয়েছিল। তখন স্বামীজি বলেছিলেন যে, ‘চিত্রটাকে নিখুঁত করা প্রয়োজনীয় নয় কি? হলই বা একটু রক্তপাত! ক্ষুধার্তদের মুখ থেকে অন্ন-অপহরণকারীদের প্রতিরোধে এবং মা ভগিনীদের সম্মান রক্ষায় অপারগতার অপেক্ষা ছাগবলি কি হেয়?’ শেষমেশ মা সারদার নির্দেশে বলি না হলেও দুর্গার আরাধনাকে কেন্দ্র করে পশুবলির পক্ষে বলা স্বামীজির কথা থেকে কি পরাধীন ভারতের নিরিখে তাঁর অগ্নিগর্ভ রূপের প্রকাশই ঘটছে না?

দেবী দুর্গা মর্ত্যে তিনটি রূপে একই মূর্তিতে প্রকাশিত হন — আদরের মেয়ে উমা , কল্যাণময়ী জননী ও বীরাঙ্গনা অসুরদলনী (সমাজের আসুরিক প্রকাশকে যিনি বিনাশ করেন)। স্বামীজি প্রবর্তিত দুর্গাপূজায় যথাযথ নিষ্ঠা ও ভক্তিতে পূজিত হয়েছিল মা দুর্গার এই তিনটি রূপই, যাকে সেই সময়ের ধর্ম ও জাতীয় আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এক অর্থবহ প্রতীকী আরাধনায় পরিণত করেছিলেন তিনি। এই কারণে বেলুড় মঠের দুর্গাপূজার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম, তাৎপর্যও অত্যন্ত গভীর ।

গ্রন্থঋণঃ-

১। বিবেকানন্দ চরিত | সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার ( আনন্দ পাবলিশার্স প্রা.লি. , মাঘ ১৩৯৩ ) ।
২। নবুযগের প্রবর্তনায় স্বামী বিবেকানন্দ / শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় ( প্রাইমা পাবলিকেশন্স , বৈশাখ ১৩৯৯ )
৩।‘উদ্বোধন ১০০’ শতাব্দীজয়ন্তী নির্বাচিত সংকলন / সম্পাদক — স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ ( উদ্বোধন কার্যালয় , ১৭ জুন ১৯৯৯ )।
৪। বিবেকানন্দের বিপ্লব চিন্তা / মিত্র কৌটিল্য ( সুজন পাবলিকেশ , জানুয়ারি ২০০১ ) ।
৫। অগ্নিযুগের বাংলায় বিপ্লবীমানস / সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ( প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স , অক্টোবর ২০১১ ) ।
৬। পশ্চিমবঙ্গঃ  স্বামী বিবেকানন্দ বিশেষ সংখ্যা ( তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ , পশ্চিমবঙ্গ সরকার , জানুয়ারি ২০০৪ )

Author Avik Chattopadhyay

জন্ম ১৯৬৫-তে কলকাতায়। বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। স্কুল জীবন সেখানেই। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে স্নাতক। ছোটো থেকেই খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ। গান শেখাও খুব ছোটো থেকেই। তালিম নিয়েছেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। দীর্ঘদিন মার্কেটিং পেশায় যুক্ত থাকার পর, গত বারো বছর ধরে পুরোপুরি লেখালেখি, সম্পাদনার কাজে যুক্ত। পুরনো বাংলা গান, সিনেমা, খেলা ইত্যাদি বিষয়ে অজস্র প্রবন্ধ লিখেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা, এই সময়-সহ বহু পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তমকুমারের "হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর", হেমন্ত মুখোপাধ‍্যায়ের "আনন্দধারা", রবি ঘোষের "আপনমনে", মতি নন্দীর "খেলা সংগ্রহ"। লিখেছেন "সংগীতময় সুভাষচন্দ্র" বইটি। সাত বছর কাজ করেছেন "মাতৃশক্তি" ও "জাগ্রত বিবেক" পত্রিকায়। বর্তমানে নিজস্ব লেখালিখি ও সম্পাদনা নিয়ে ব্যস্ত।

Picture of অভীক চট্টোপাধ্যায়

অভীক চট্টোপাধ্যায়

জন্ম ১৯৬৫-তে কলকাতায়। বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। স্কুল জীবন সেখানেই। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে স্নাতক। ছোটো থেকেই খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ। গান শেখাও খুব ছোটো থেকেই। তালিম নিয়েছেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। দীর্ঘদিন মার্কেটিং পেশায় যুক্ত থাকার পর, গত বারো বছর ধরে পুরোপুরি লেখালেখি, সম্পাদনার কাজে যুক্ত। পুরনো বাংলা গান, সিনেমা, খেলা ইত্যাদি বিষয়ে অজস্র প্রবন্ধ লিখেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা, এই সময়-সহ বহু পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তমকুমারের "হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর", হেমন্ত মুখোপাধ‍্যায়ের "আনন্দধারা", রবি ঘোষের "আপনমনে", মতি নন্দীর "খেলা সংগ্রহ"। লিখেছেন "সংগীতময় সুভাষচন্দ্র" বইটি। সাত বছর কাজ করেছেন "মাতৃশক্তি" ও "জাগ্রত বিবেক" পত্রিকায়। বর্তমানে নিজস্ব লেখালিখি ও সম্পাদনা নিয়ে ব্যস্ত।
Picture of অভীক চট্টোপাধ্যায়

অভীক চট্টোপাধ্যায়

জন্ম ১৯৬৫-তে কলকাতায়। বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। স্কুল জীবন সেখানেই। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে স্নাতক। ছোটো থেকেই খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ। গান শেখাও খুব ছোটো থেকেই। তালিম নিয়েছেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। দীর্ঘদিন মার্কেটিং পেশায় যুক্ত থাকার পর, গত বারো বছর ধরে পুরোপুরি লেখালেখি, সম্পাদনার কাজে যুক্ত। পুরনো বাংলা গান, সিনেমা, খেলা ইত্যাদি বিষয়ে অজস্র প্রবন্ধ লিখেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা, এই সময়-সহ বহু পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তমকুমারের "হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর", হেমন্ত মুখোপাধ‍্যায়ের "আনন্দধারা", রবি ঘোষের "আপনমনে", মতি নন্দীর "খেলা সংগ্রহ"। লিখেছেন "সংগীতময় সুভাষচন্দ্র" বইটি। সাত বছর কাজ করেছেন "মাতৃশক্তি" ও "জাগ্রত বিবেক" পত্রিকায়। বর্তমানে নিজস্ব লেখালিখি ও সম্পাদনা নিয়ে ব্যস্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com