১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর, ১৩২৮ বঙ্গাব্দের ৮ পৌষ শান্তিনিকেতনে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের পৌরোহিত্যে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বভারতীকে ‘সর্বসাধারণের হাতে সমর্পণ’ করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে ওই দিনটিতে বিশ্বভারতীর সূচনা, আর সেই হিসাবেই ২০২১ তার শতবর্ষ। কিন্তু ইতিহাসেরও ইতিহাস থাকে। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে, তোলপাড় দুনিয়া। ঠিক তখনই, এক মহাদেশ থেকে আর এক মহাদেশে, জাপান থেকে আমেরিকায়, এক শহর থেকে আর এক শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ। বক্তৃতাসভাগুলিতে মানুষের বিপুল আগ্রহ তাঁর মনে নূতন সংকল্পের রূপ নিচ্ছে। জাপান তখন যুদ্ধের সক্রিয় পক্ষ, আর সেই কারণেই সে-দেশের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ তাঁর বক্তৃতায় খুশি নন। রবীন্দ্রনাথ কথা বলছিলেন জঙ্গি জাতীয়তাবাদের বিপদ নিয়ে। আমেরিকাতেও তাঁর দৃষ্টির কেন্দ্রে সেই জাতীয়তাবাদ। সেখানেও সমালোচনা এবং বাধা সত্ত্বেও ‘The Cult of Nationalism’ নামক প্রবন্ধটি চারমাসে অন্ততঃ তিরিশটি বক্তৃতাসভায় তিনি পাঠ করেন। এই প্রবন্ধটিরই সংশোধিত রূপ ‘The Nationalism in the West’ শীর্ষক প্রবন্ধ।
আসলে, তাঁর বিশ্বভারতী-ভাবনা উগ্র জাতীয়তাবাদী ধারণার সঙ্গে বিপরীত সম্পর্কে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। কারণ, তিনি ভাবছিলেন জাতি ধর্ম বর্ণ ভাষা নির্বিশেষে বিশ্বমানবের মিলনের কথা। কারণ, বোয়ার যুদ্ধের অভিঘাতে নতুন শতকের সূচনায় ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্থে বিহ্বল ব্যথিতচিত্ত প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধের মূল কারণ হিসেবে জাতিপ্রেমের নামে স্বার্থ ও লোভের দ্বন্দ্বকে চিহ্নিত করেন তিনি। একই সময়ে তাঁরই সম্পাদনায় ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা’ প্রবন্ধে লেখেন:
“স্বার্থের প্রকৃতিই বিরোধ। য়ুরোপীয় সভ্যতার সীমায় সেই বিরোধ উত্তরোত্তর কন্টকিত হইয়া উঠিতেছে। পৃথিবী লইয়া ঠেলাঠেলি কাড়াকাড়ি পড়িবে, তাহার পূর্বসূচনা দেখা যাইতেছে।”
স্বার্থদীপ্ত পাশ্চাত্যসভ্যতার প্রলয়দীপ্তির বিপরীতে শান্তি ও মানবিক সৌভ্রাতৃত্বের যে নতুন আলো তাঁর চেতনায় প্রথম স্ফূরিত হয়ে উঠছিল, তার সম্ভাব্য উৎসের ঠিকানা হয়ে উঠেছিল আমাদের প্রাচ্যভূমি :
তোমার নিখিলপ্লাবী আনন্দ-আলোক
হয়তো লুকায়ে আছে পূর্ব সিন্ধুতীরে
বহু ধৈর্যে নম্র স্তব্ধ দুঃখের তিমিরে
সর্বরিক্ত অশ্রুসিক্ত দৈন্যের দীক্ষায়
দীর্ঘকাল – ব্রাহ্মমুহূর্তের প্রতীক্ষায়।
(নৈবেদ্য-র ৬৬ সংখ্যক কবিতা)
আরও পড়ুন: পবিত্র সরকারের কলমে: যত্র বিশ্বং ভবত্যেকনীড়ম্
দেড় দশক পর ১১ অক্টোবর ১৯১৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে পুত্র রথীন্দ্রনাথকে এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ পূর্বোল্লিখিত জাপান ও আমেরিকা সফরকে ‘বক্তৃতা-ঝড়’ বলে চিহ্নিত করে লিখছিলেন নতুন এক আরম্ভের কথা:
“শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে ভারতের যোগের সূত্র করে তুলতে হবে– ঐখানে সার্ব্বজাতিক মনুষ্যত্ব চর্চ্চার কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে– স্বাজাতিক সংকীর্ণতার যুগ শেষ হয়ে আসচে– ভবিষ্যতের জন্যে যে বিশ্বজাতিক মহামিলন যজ্ঞের প্রতিষ্ঠা হচ্চে তার প্রথম আয়োজন ঐ বোলপুরের প্রান্তরেই হবে।”
শতাব্দীর সূচনায়, বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক যাত্রার দুই দশক আগে আশ্রম বিদ্যালয়ের জন্মকালেই বিশ্বভারতী-ভাবনার যে ভ্রুণটি তাঁর কল্পলোকে প্রথম ধরা দেয়, ১৯১৬-তে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সেটিই তাঁর চেতনার ভূমিতে সুস্পষ্ট এক প্রত্যয়ের রূপ ধারণ করে এবং শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় থেকে সার্ব্বজাতিক মনুষ্যত্ব চর্চ্চা কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বভারতীর রোডম্যাপ আঁকা হয়ে যায়। ১৯১৮-র ডিসেম্বরে (৮ পৌষ ১৩২৫) ব্রহ্মচর্যাশ্রমের ঊনবিংশতম বার্ষিক সভার পর শিশুবিভাগের ঘরগুলির পিছনের মাঠে বৈদিক আচার অনুষ্ঠান মন্ত্রপাঠ সহযোগে বিশ্বভারতীর ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়। ‘শান্তিনিকেতন’ পত্রিকার বৈশাখ ১৩২৬ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘বিশ্বভারতী’ প্রবন্ধ থেকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে রবীন্দ্রভাবনার পরিচয় মেলে। সেখানে ব্যক্ত মূল কথাগুলি হল:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য কাজ হবে বিদ্যার উৎপাদন, বিদ্যা দান দ্বিতীয় গুরুত্বের কাজ।
২. যে মনীষীরা নিজের শক্তি এবং সাধনার দ্বারা অনুসন্ধান আবিষ্কার ও সৃষ্টির কাজে নিবিষ্ট আছেন তাঁদের সেখানে আহ্বান করা হবে।
৩. বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নকল নয়, উল্লিখিত মনীষীদের জ্ঞানের উৎসধারায় দেশের সত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হবে এবং সূচনা থেকেই দেশজ ব্যবহারিক বিজ্ঞানকে প্রতিষ্ঠানের চারিদিকের পল্লীর মধ্যে প্রয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের জীবনযাত্রার কেন্দ্রস্থিত হয়ে উঠবে।
ভাবনাকোরকটির উপস্থাপনের পর তিনি বলেন– ‘এইরূপ আদর্শ বিদ্যালয়কে আমি ‘বিশ্বভারতী’ নাম দিবার প্রস্তাব করিয়াছি।’ অর্থাৎ, শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশের ধারণাটিকে বিশ্বভারতীতে আধুনিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতীয়তার সংকীর্ণতা অতিক্রম করে বিশ্বজনীন মানবতার মিলনভূমিতে প্রতিস্থাপিত করতে চাইলেন তিনি। জঙ্গি জাতীয়তাবাদের বিপুল দ্বন্দ্ব-বিরোধ নতুন এক ঐতিহাসিক মানবমিলনের পরিপ্রেক্ষিত রচনা করে দিল। সেই পরিপ্রেক্ষিত-চেতনা আবেগতাড়িত কোনও তাৎক্ষণিক বা সাময়িক ভাবনাজাত নয়, বরং দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমশই গভীরতর এক উপলব্ধিতে স্থিত হওয়ার ফল। তাঁর সেই বোধের ব্যাপ্তি, গভীরতা ও সমগ্রতায়, চেতনার শান্ত মহানদীর ধারায় উপনিষদের সত্যপ্রকাশের অভিব্যক্তিতে মিলে গেল আধুনিক সভ্যতাসংকটের থেকে মুক্তির প্রগাঢ় আকুতি। বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ নববর্ষের মন্দিরের ভাষণে তিনি বললেন:
“… নেশনরূপের মধ্যে মানুষ আপন সত্যকে আবৃত করে ফেলেছে; মানুষের আত্মা বলছে, ‘অপাবৃণু’ – আবরণ উদ্ঘাটন করো। … ভারতের এই পূর্বপ্রান্তে এই প্রান্তরশেষে যেন আজ নববর্ষের প্রভাতে ভেদবাধার তিমির-মুক্ত মানুষের রূপ আমাদের এখানে সমাগত অতিথি বন্ধু সকলের মধ্যে উজ্জ্বল করে দেখতে পাই।”
১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ ইউরোপ ও আমেরিকা সফর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিলনবাণী প্রচারের লক্ষ্যে চালিত মনে হলেও অন্তঃসলিলা হয়ে বইছিল আধুনিক নেশনের বলদর্পী রূপ সম্পর্কে ক্ষোভ ও বেদনা। তবু, ইতিবাচক অবস্থান থেকে তিনি রাষ্ট্রের মতো শক্তির প্রাবল্য নয়, গুরুত্ব দিচ্ছিলেন দুই সভ্যতার মিলনের প্রাসঙ্গিকতাকেই। সেই মনোভাব নিয়েই তিনি অক্সফোর্ডের ছাত্রদের কাছে The Message of the Forest এবং আমস্টার্ডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই প্রবন্ধ-সহ The Meeting of the East and West এবং Ideal of Education প্রবন্ধ তিনটি পাঠ করেন।
শতাব্দীর সূচনায়, বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক যাত্রার দুই দশক আগে আশ্রম বিদ্যালয়ের জন্মকালেই বিশ্বভারতী-ভাবনার যে ভ্রুণটি তাঁর কল্পলোকে প্রথম ধরা দেয়, ১৯১৬-তে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সেটিই তাঁর চেতনার ভূমিতে সুস্পষ্ট এক প্রত্যয়ের রূপ ধারণ করে এবং শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় থেকে সার্ব্বজাতিক মনুষ্যত্ব চর্চ্চা কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বভারতীর রোডম্যাপ আঁকা হয়ে যায়। ১৯১৮-র ডিসেম্বরে (৮ পৌষ ১৩২৫) ব্রহ্মচর্যাশ্রমের ঊনবিংশতম বার্ষিক সভার পর শিশুবিভাগের ঘরগুলির পিছনের মাঠে বৈদিক আচার অনুষ্ঠান মন্ত্রপাঠ সহযোগে বিশ্বভারতীর ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়।
সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিধুশেখর শাস্ত্রীকে এক চিঠিতে তিনি লেখেন:
“ … বিশ্বভারতীর উদ্যোগপর্ব সমুদ্রের দুই তীরে চলছে। … এ পর্যন্ত আমাদের কাজ যতদূর অগ্রসর হয়েছে তাতে আমার মন আশায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে। … এই সকল বক্তৃতার ভিতর দিয়ে যে সব পথ কাটা হচ্চে সমস্ত পথই শান্তিনিকেতনের অভিমুখে।”
এরপর আরও একবার আমেরিকা গিয়ে সেখানে ব্রুকলিন ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আরও যে-সব স্থানে তিনি বক্তৃতা করেন, প্রায় সর্বত্রই তার কেন্দ্রে ছিল প্রাচ্য-পাশ্চাত্য মিলনের ভাবনা, আর তার মধ্যে দিয়ে একটু একটু করে সত্য হয়ে উঠছিল বিশ্বভারতী। ঠিক সেই সময়ে অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বদেশে জাতিবিদ্বেষের যে প্রকাশ ঘটে, তার প্রতিক্রিয়ায় শিকাগো থেকে এক পত্রে জগদানন্দ রায়কে লেখেন:
“Nationalism হচ্ছে একটা ভৌগোলিক অপদেবতা, পৃথিবী সেই ভূতের উপদ্রবে কম্পান্বিত – সেই ভূত ছাড়াবার দিন এসেছে। কিছুদিন থেকে আমি তারি আয়োজন কর্চি। দেবতার নাম কর্লে তবেই অপদেবতা ভাগে। … আমাদের বিশ্বভারতীতে সেই দেবতার মন্দির গাঁথ্চি। দেশের নাম করে এখানে যদি আমরা কোনো বাধা দেবার বেড়া তুলি তাহ’লে দেবতার প্রবেশপথে বাধা দেওয়া হবে।”
একই দিনে সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে অপর এক চিঠিতে তিনি মানবমিলন এবং তৎসম্পৃক্ত বিশ্বভারতী ভাবনাকে দ্বিধাহীনভাবে ব্যক্ত করেন লেখেন:
“ … পোলিটিক্যাল রাগারাগির বেড়া, নন্-কোঅপারেশনের বেড়া যেখানে তুলতে হবে সেখানকার মালী সেখানকার নিয়মেই কাজ করুক – কিন্তু বিশ্বনীড়ে আমরা বিশ্বদেবের নামে বিশ্বকে নিমন্ত্রণ করেছি, সেখানে সকল রকম বেড়া ভাঙতে হবে।”
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুলাই রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর কাজের সূচনা করেন এবং ক্ষিতিমোহন সেন, বিধুশেখর শাস্ত্রী, কপিলেশ্বর মিশ্র, সি.এফ.অ্যাণ্ডরুজ, নন্দলাল বসু, সুরেন কর, অসিতকুমার হালদার, ভীমরাও শাস্ত্রী, নকুলেশ্বর গোস্বামী, সঙ্গমেশ্বর শাস্ত্রী, বুদ্ধিমন্ত সিংহ এবং স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ-সহ মোট বাইশজন অধ্যাপকের তত্বাবধানে বাংলা ইংরাজি সংস্কৃত ও হিন্দি সাহিত্য, দর্শন ও ধর্মশাস্ত্র, চিত্রবিদ্যা ও সঙ্গীত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার শিক্ষাদান শুরু হয়। সূচনাপর্বেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে ছাত্ররা আসে সেখানে। শুরু হয় বিপুল কর্মযজ্ঞ। দেশবিদেশের কত গুণী মানুষের আগমনে বিশ্বভারতীর শুভযাত্রা ঘটে।
কিন্তু আদর্শ যখন বাস্তবের রুক্ষ জমিতে এসে পড়ে, তখন সাফল্যের পাশাপাশি প্রতিকূলতাও আসে, সংশয় দ্বিধা চিত্তলঘুতা স্বার্থপরতার মেঘ ঘনায়। বিশ্বভারতীর বিগত একশত বছরের ইতিহাসও তার ব্যতিক্রম নয়। রবীন্দ্রনাথ নিজেও তার ইঙ্গিত পেয়ে উৎকণ্ঠিত হয়েছিলেন। নিরাসক্তভাবে বুঝতে চেয়ে বলেছেন বর্তমান চেষ্টার অন্ত্যেষ্টি সৎকারের কথাও। তারপর সুগভীর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দেহমুক্ত সত্যের নবজন্মের, নবদেহধারণের আহ্বানের। আশ্বাস প্রার্থনা করেছেন প্রাক্তনদের কাছে, আদর্শের প্রবলতা ক্ষীণ হয়ে এলে তাঁরা যেন একে প্রাণধারায় সঞ্জীবিত করেন, নিষ্ঠা দ্বারা শ্রদ্ধা দ্বারা এর কর্মকে সফল করেন।
অত্যন্ত বেদনার, শতবর্ষের এই মহালগ্নে বিশ্বভারতী আজ সংকটগ্রস্ত। সে সংকট কেবল প্রশাসনিক নয়; একই সঙ্গে আদর্শচেতনা এবং দায়বোধেরও। আমাদেরও তাই সংকল্পের সময়, প্রতিষ্ঠাতার সৃষ্টিকে নতুন প্রাণধারায় সঞ্জীবিত করার অঙ্গীকারের সময়। আসুন, জটিল সময়ের পটভূমিতে দাঁড়িয়েও শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আশা নিয়ে প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আজ আমরাও উচ্চারণ করি –
বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তম্
আদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ।
তথ্যসূত্র :
১. রবীন্দ্র রচনাবলী প্রথম ও চতুর্দশ খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৯৯২
২. রবিজীবনী, সপ্তম ও অষ্টম খণ্ড, প্রশান্তকুমার পাল, আনন্দ
কুন্তল রুদ্র পেশায় ছিলেন অধ্যাপক। বোলপুর কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী কুন্তল সাহিত্যচর্চা করছেন বহুদিন যাবৎ। তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। অরুণ মিত্রের কবিতা নিয়ে তাঁর গবেষণাধর্মী গ্রন্থ 'অরুণ মিত্রের কবিতা : পালক পাথর কথামালা' পাঠকমহলে সমাদর পেয়েছে।