“আপলোগকা দাদা কালচার জবরদস্ত হ্যায়।”
এক পাঁচমেশালী সাহিত্য আড্ডায় মন্তব্যটা করেছিলেন এক হিন্দিভাষী বন্ধু।তিনি নিজ ভাষায় টুকটাক সাহিত্যচর্চা করেন। যে সময়ের কথা বলছি, সেসময়ে একজনই বাঙালি দাদা কেরিয়ারের মধ্যগগনে বিরাজ করছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবু একটু কৌতূহলের সুরে জিগ্যেস করেছিলাম, “যেমন?”
“ওই যে আপনাদের সব দাদারা আছেন না, ফেলুদা, টেনিদা, ঘনাদা।”
খুব অবাক হয়ে জিগ্যেস করেছিলাম, “আপনি পড়েছেন?”
“না। তবে অফিসে অনেক বাঙালি আছেন। শুনেছি অনেকবার। সাহিত্যের চরিত্র।”
“জানেন এই চরিত্রগুলো কোন লেখকদের সৃষ্টি?”
“ফেলুদাটা জানি। সত্যজিৎ রে। টিভিতে দেখেছি। শশী কাপুর রোলটা করেছিল। বাকি দুটো … না।”
ঘটনাটা এতদিন পরেও মনে আছে একটাই কারণে, সৃষ্টি স্রষ্টাকে ছাপিয়ে অমর হয়ে যাওয়ার এমন উদাহরণ চোখের সামনে বড় একটা দেখিনি। অধ্যাপক তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম দিবসে কিছু লিখতে বসে এই ঘটনাটা তাই প্রথমেই মনে পড়ল। তবে প্রথমে এটাও স্বীকার করে নিই নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় আমার অন্যতম প্রিয় সাহিত্যিক হলেও তাঁর রচনা পাঠ আমি কিছুটা বিক্ষিপ্তভাবেই করেছি। বিক্ষিপ্তভাবে তাঁর বিভিন্ন ছোটগল্প, উপন্যাস বা প্রবন্ধ পড়ে মুগ্ধ হলেও তাঁর সমগ্র রচনাবলী আমার পড়া হয়নি। একজন সাহিত্যিক সম্পর্কে একজন পাঠকের নির্মোহ সম্যক ধারনা হওয়া সম্ভব নিবিষ্ট চিত্তে তার সমগ্র রচনাবলী পড়ার পরই। তাই নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ আমার পড়া তাঁর বেশ কিছু লেখা এবং বিভিন্ন বিশিষ্টজনের লেখা প্রবন্ধ থেকে লব্ধ সূত্র ধরে। এই বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধগুলি পড়তে পড়তে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার প্রতি আমার মুগ্ধতা আমাকে ক্রমশ আরও বিস্ময়ের জগতে নিয়ে গিয়েছে এবং তাঁর সমগ্র রচনাবলী পড়ার বাসনা তীব্রতর হয়েছে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় জীবিত ছিলেন মাত্র ৫২ বছর। মারা যাওয়ার ৪৮ বছর পরে তাঁর সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে অবশ্যই শুরু করতে হবে, আজ কেমনভাবে তিনি বিরাজ করছেন বাঙালির মননে। কেন আজও টেনিদাকে ঐতিহাসিক চরিত্র মনে না হয়ে সমসাময়িক চরিত্র বলে মনে হয়। অথবা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কে চটজলদি আমরা কি মনে রাখব শুধুই টেনিদার জন্য?
এর উত্তর অবশ্য একটা আছে। আমার মত অসংখ্য বাঙালি পাঠকের মনে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রিয় সাহিত্যিক হওয়ার বীজটি বপন করে দিয়েছেন সেই কোন কিশোর বয়সে টেনিদা চরিত্রটি দিয়ে।
অথচ যিনি এই টেনিদা চরিত্রের অমরস্রষ্টা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের পরিসরকে দেখলে মনে প্রশ্ন জাগবেই, কিভাবে তিনি এই চরিত্র সৃষ্টি করলেন? এককালে স্বদেশী করেছেন। বামপন্থায় আস্থা ছিল। পরবর্তীকালে পেশাগতভাবে ভাবগম্ভীর অধ্যাপক। অধ্যাপক ছিলেন জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ, সিটি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জীবনানন্দ। ছাত্র ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মত কৃতি মানুষেরা। তাঁর তো স্বাভাবিক ঝোঁক থাকা উচিত ছিল গুরুগম্ভীর কাব্য, গদ্য বা প্রবন্ধ চর্চায়। অথচ তিনি হয়ে উঠবেন টেনিদার স্রষ্টা? তাই সেই আলোচনার যাওয়ার আগে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামগ্রিক সাহিত্য সৃষ্টিটা একবার দেখে নেওয়া উচিত।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিভা ছিল বহুমুখী। কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার, প্রাবন্ধিক – সৃজনের সব শাখাতেই তাঁর ছিল অবাধ, স্বছন্দ্য এবং সফল বিচরণ। তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির সময়কালের একদিকে ছিল পরাধীন ভারত, স্বাধীনতা সংগ্রাম, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ধর্ম এবং বর্ণ বিদ্বেষে জর্জরিত সমকালীন সমাজ। আরেকদিকে ছিল স্বাধীন ভারত, রাজনীতি, বেকারত্ব, শ্রেণী বৈষম্য, দাঙ্গা, খাদ্য ও নানান সামাজিক সমস্যা। যেকোনও সাহিত্যিকের রচনায় সমকালীন সমাজ প্রভাব ফেলবেই। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্যেও তার ব্যতিক্রম ছিলনা। ‘সোনালী বাঘ‘ গল্পে তিনি লিখেছেন, ‘চলুক, চলুক, যুদ্ধ চলুক। বোমারই বুম নয়, ব্যবসায় বুম, চায়ের বাজারে বুম। যুদ্ধ দেবতার কুঠার মানুষকে হত্যা করে, কিন্তু তার ফলটা সোনায় তৈরি।‘ আবার ‘হাড়‘ গল্পে তিনি লিখেছেন, ‘চাকরি পাচ্ছ না যুদ্ধের বাজারে? এম.এ. পাশ করে কেরানীগিরির উমেদারি করছ? বী এ ম্যান ইয়াং ফ্রেন্ড, বেরিয়ে পড় অ্যাডভেঞ্চারে।‘
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্যচর্চার শুরু কিন্তু কাব্য দিয়ে। ১৯৪০ সালের ভারতী পত্রিকার কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার একটি উদাহরণের দিকে তাকানো যাক। কবিতাটির নাম দ্বয়ী। দু‘পর্যায়ে বিভক্ত এই কবিতাটির প্রথম পর্যায়ের প্রথম চারটি লাইন হল –
আমার আকাশে সখি, বিচ্ছেদের অন্তিম গোধূলি
মৃত্যুর মলিন-বর্ণে প্রসারিছে প্রাণের প্রান্তরে
প্রত্যাশার রক্তরাগে ক্ষীয়মাণ রবি রশ্মিগুলি
আত্মহত্যা করিয়াছে তিমিরের অতল সাগরে
অথবা ফিরে দেখা যাক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বিচিত্রা‘ পত্রিকায় ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত ‘নীড় ও দিগন্ত’ উপন্যাসের অন্তর্গত একটি কবিতার কয়েকটি লাইন-
আমার বিদায়-ক্ষণে
কানন কুঞ্জে কেঁদে উঠিবে না
মর্মর গুঞ্জনে
এখানে উল্লেখযোগ্য এই লাইনগুলি লেখার সময় কবির বয়সকাল মাত্র ২২-২৩ বছর। অথচ এক তীব্র বৈরাগ্য, এক আধ্যাত্মিক জীবনবোধ তাঁর কবিতার প্রতিটি ছত্রে। মনে হতেই পারে এরপর সমকালীন আগ্রহী পাঠকরা চেয়ে থাকবেন এই ধারার লেখার জন্য। কিন্তু তাঁর সাহিত্য জীবনের পরবর্তী তিরিশ বছরের পথকে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় চেনা রাস্তার বাইরে নিরন্তর খুঁজে বেড়িয়েছেন নিত্যনতুন অজানা রাস্তা। সে নিজের রচনার জন্যই হোক বা অন্যের রচনাকে অবলম্বন করে নিজের ভাবনা চিন্তা প্রসারের জন্যই হোক। এভাবেই নিজের উপন্যাস ‘উপনিবেশ‘ বা ‘পদসঞ্চার‘ অথবা অন্যের লেখা মূল উপন্যাসের নির্জাসকে প্রতিপাদ্য করে সিনেমার জন্য ‘কপালকুণ্ডলা‘ বা ‘ইন্দিরা‘র চিত্রনাট্যে তিনি উজাড় করেছেন তার ভাবনার বিস্তার। নিজের স্বতন্ত্রতার স্বাক্ষর রেখেছেন অসংখ্য ছোটগল্প এবং প্রবন্ধতে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্প, ‘পাশাপাশি‘। প্রকাশকাল সম্ভবত ১৯৪৩। সাতটি গল্প নিয়ে প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘বীতংস’। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে প্রকাশিত হয়েছে তার একটির পর একটি গল্পগ্রন্থ- ভাঙাবন্দর’ (১৯৪৫), ‘কালাবদর’ (১৯৪৮), ‘শ্রেষ্ঠগল্প’ (১৯৫১), ‘শ্বেতকমল’ (১৯৫১), ‘গন্ধরাজ’ (১৯৫৭) ইত্যাদি। শেষ গল্পগ্রন্থ ‘শিলাবতী’ (১৯৬৪)। নিয়মিত ব্যবধানে প্রকাশিত এই গল্পগ্রন্থ, উপন্যাস এবং সিনেমার চিত্রনাট্য কোথাও যেন হারিয়ে ফেলেছিল সেই আধ্যাত্মিক জীবনবোধে জারিত তরুণ কবিকে। কিন্তু তাঁর বুদ্ধিমেধার স্পর্শ একইরকম ভাবে রয়ে গিয়েছে তাঁর প্রতিটি রচনায়। এর মধ্যেই উল্লেখ্য টেনিদার চারমূর্তি প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে। অর্থাৎ স্থিতিশীল এক ধারার জঁরের বাইরে বেরিয়ে এসে নতুন নতুন রসের খোঁজ।
তবে শিশুসুলভ চাপল্যে ভরপুর টেনিদা হোক বা অন্য গম্ভীর ছোটগল্পই হোক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ যত্নশীল ছিলেন গল্পের টেকনিকের প্রতি। আমার পাঠ করা তাঁর কোনও গল্পেই আলগা বুনন দেখিনি। ইতিহাস, পরম্পরা এবং রোম্যান্টিসিজমকে তিনি সরল প্রবাহে রাখতেন। অথচ গল্পের অভিঘাতকে গভীরভাবে বুনে দিতেন পাঠকের হৃদয়ে। ‘বীতংস’ গল্পের সুন্দরলাল ভেকধারী সাধু চরিত্রটির সঙ্গে সরল সাঁওতালদের বিশ্বাস সেরকম একটি উদাহরণ। আবার ‘হাড়’ গল্পটিতে ইতিহাস, রাজনীতি এবং সমকালীন সমাজের এক সুন্দর মিশেল পাই, যার একটি উদাহরণ আগেই দিয়েছি। অতি নাটকীয়তাকে যেমন সচেতনভাবে পরিহার করেছেন তেমনই ধারালো রাখার চেষ্টা করেছেন সংলাপকে।
কোনও কোনও সমালোচক বলে থাকেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের রচনা সমগ্রকে দু‘ভাগে ভাগ করা যায়। ‘ফর দ্য ক্লাস অ্যান্ড ফর দ্য মাস’ অর্থাৎ উচ্চাঙ্গ পাঠ্য এবং সর্বজন পাঠ্য। কিন্তু নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রচনাতে খুব কঠিনভাবে বাক্যবন্ধ বা ভাবনা প্রকাশ করতেন না যাতে সর্বজন পাঠ্যের অন্তরায় হয়ে যায়। বরং তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত শব্দচয়ন বা উপমার প্রয়োগ তাঁর রচনাকে সুখপাঠ্য এবং জনপ্রিয় করেছে। এই বিষয়ে উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর ‘সুনন্দর জার্নাল’ ধারাবাহিক কলমটি। সমসাময়িক ঘটনাবলী, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে আরম্ভ করে ইতিহাস, দর্শন, প্রকৃতি বিভিন্ন বিষয়কে অত্যন্ত নির্মেদ উপায়ে তিনি উপস্থাপন করে গিয়েছেন।
শুরু করেছিলাম টেনিদা দিয়ে। শেষও করব টেনিদা দিয়ে। একথা বহুশ্রুত যে পটলডাঙা স্ট্রিটে সাহিত্যিক প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে থাকতে এসে তাঁকে দেখে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নির্মাণ করেছিলেন ভজহরি মুখার্জ্জী ওরফে টেনিদা চরিত্রটি। ফেলুদার মধ্যে অনেকে সত্যজিৎ রায়ের ব্যক্তিত্বের আদল খুঁজে পান বা ঘনাদার মধ্যে প্রেমেন্দ্র মিত্রকে। তাহলে কি টেনিদার মধ্যে একটুও নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং নেই? আসলে তুলনামূলক ভাবে ফেলুদাকে যদি মধ্যবিত্ত বনেদি খাঁটি বাঙালি মনে হয় বা ঘনাদাকে এক স্বপ্নদর্শী বাঙালি, সেখানে টেনিদা হচ্ছে এক জীবনযুদ্ধে হেরেও না হেরে যাওয়া আপামর আটপৌরে বাঙালি। বাঙালির সেই জিনটা সঠিক চিনে ছিলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় আর সেই জিন এখনও আমরা আমাদের রক্তে বয়ে নিয়ে চলেছি। তাই টেনিদা এখনও আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক এবং জনপ্রিয় চরিত্র।
আর্থর কোনান ডয়াল শার্লক হোমসকে একবার মেরে ফেলেও প্রভূত পাঠকরোষে বাধ্য হয়েছিলেন তাকে ফিরিয়ে আনতে। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অকাল মৃত্যুর পর বাঙালি পাঠকের আর সেই উপায় ছিলনা। কিন্তু প্রবল হাহাকার ছিল। সেই শূন্যস্থান পূর্ণ করতে সপার্ষদ টেনিদাকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিলেন লেখক পত্নী আশা দেবী। লিখতে হয়েছিল টেনিদাকে নিয়ে নতুন উপন্যাস, ছোটগল্প। চরিত্রের জনপ্রিয়তার এমন উদাহরণ বিশ্বসাহিত্যে কটা আছে? তাই আজও প্রথমেই বলা হিন্দীভাষি বন্ধুর সঙ্গে আলাপচারিতাটা মনের মধ্যে টাটকা। সৃষ্টি যে স্রষ্টাকে হারিয়ে দিতে পারে সেই স্রষ্টার জন্য একবুক গর্ব হয় বইকি।
আমাকে একটু সকাল সকাল অফিস যেতে হয়। আমহার্স্ট স্ট্রিট দিয়ে বউবাজারের দিকে যেতে রোজই চোখে পড়ে পুরসভার ছোট্ট সবুজ বোর্ডটা। পটলডাঙা স্ট্রিট। সকালের শান্ত শহর। আরও শান্ত পটলডাঙা স্ট্রিটের গলিটা। মনে হয় গাড়ি থামিয়ে কাচটা নামালেই ওই শান্ত গলিটা দিয়ে ভেসে আসবে সেই শব্দগুলো, ‘ডি লা গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস। ইয়াক। ইয়াক।’ মনে হয় পঞ্চাশ বছর পরও টেনিদা ওখানেই আছে। শান্ত সৌম্য হাসিমুখে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে আছেন সুদর্শন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ও। একটু পরেই শহরটা আবার যখন দমবন্ধ চঞ্চল হয়ে উঠবে, উনি নেমে আসবেন ওঁর লেখার টেবিলে। সেই কিশোর বয়সে মাথার মধ্যে যে মুগ্ধতার বীজটা বপন করে দিয়েছিলেন সেটা যে আজ মহীরহু হয়ে গিয়েছে।
লেখক পরিচিতি - কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। জন্ম ১৯৬৪ সালে ব্যারাকপুরে। বাল্যকাল কেটেছে শ্যামনগরে। পেশা – ইঞ্জিনিয়ার, আপারেশন রিসার্চে এমবিএ।
প্রথম একটি ছোট গল্প প্রকাশিত হয় উদিত পত্রিকায় ১৯৮৬ সালে। তারপর দীর্ঘ ১৯ বছর বিরতির পর ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত লিখছেন মুলত আনন্দবাজার পত্রিকার বিভিন্ন পত্রিকায়। প্রকাশিত গ্রন্থ ২৫। ছোট গল্প শতাধিক। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস : রাধিকা, আয় ঘুম, অন্তরাল, কালযাত্রী, শূন্যস্থান, রায়মঙ্গলপুর ব্যান্ড, অসমাপ্ত, প্রজ্ঞাসূত্র, বিস্মৃতি, স্পর্শ; ফুলমতী ইত্যাদি। ৫০টি ছোট গল্পের একটি সঙ্কলন প্রকাশ করেছেন আনন্দ পাবলিশার্স, আরেকটি গল্প ও প্রবন্ধের সঙ্কলন ‘গল্প গুজব‘ এই প্রকাশিত হয়েছে পত্রভারতী থেকে এবং ছোটদের গল্পের একটি সঙ্কলন প্রকাশ করেছেন মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স।
3 Responses
Khub bhalo laglo
ভালো লাগল। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুদূর বাল্যে টেনিদার মাধ্যমে আলাপ হয়েছে আমাদের প্রায় সবারই । তবু ওঁর কালজয়ী রচনার নিদর্শন হিসেবে আমি মনে রাখতে পছন্দ করব ‘উপনিবেশে’-র মতো উপন্যাস, ‘টোপ’ বা ‘হাড়ে’-র মতো ছোটগল্প এবং ‘রামমোহনে’-র মতো নাটক আর ‘সুনন্দ’-র মতো কিছু আনকমন ‘কমনম্যান’-কে !
Ekdam satyi bolechhen. Khub bhalo laaglo