নন্টে ফন্টে আর হাঁদাভোদার বুদ্ধিতে এমনিতেই চোর ডাকাত গুন্ডা বদমায়েশরা যথেষ্ট নাকাল হয়েছে। পদ্মশ্রী নারায়ণ দেবনাথের সৃষ্ট এই দুই চরিত্র মজার মোড়কে দুষ্টু লোকেদের নাকে দড়ি দিয়ে নাজেহাল করেছে। তার উপর শ্রী দেবনাথ তৈরি করলেন বাঁটুল দি গ্রেট নামক চরিত্র। যেম ন তার দশাসই চেহারা, তেমন গায়ে অসুরের বল। সুকুমার রায়ের ষষ্ঠীচরণের সঙ্গেই একমাত্র তুলনীয় সে। আর তার হাত থেকে নিস্তার নেই কোনও খারাপ লোকের। চোর ডাকাত পকেটমার গুন্ডা বদমাশ, সকলকেই বাঁটুল করে ফেলছে কুপোকাৎ। আর বাঁটুলের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ নিরন্তর কাজ করে চলেছেন এই নবতিপর বয়সে এসেও। তাঁকেই শ্রদ্ধা জানালেন এ যুগের কার্টুনশিল্পী তমাল ভট্টাচার্য।
রেবতীভূষণের স্নেহধন্য কার্টুনিস্ট তমাল ভট্টাচার্যের প্রথাগত শিক্ষা গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজে। তবে কার্টুনের প্রতি ভালবাসা অনেক শিশু বয়স থেকে। কলেজে পড়াকালীনই তাঁর কার্টুন ও অলঙ্করণ প্রকাশিত হয় নানা পত্রপত্রিকায়। সোনার বাংলা, গণশক্তি, কালান্তর প্রভৃতি সংবাদপত্র ছাড়াও কলকাতা দূরদর্শনের 'রঙ্গব্যঙ্গ' বিভাগে তাঁর কার্টুন ছিল নিয়মিত। প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন নির্মল বুক এজেন্সি, নিউ বেঙ্গল প্রেস, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি, উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির প্রভৃতি প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে।