ভাদুরে গগনে কালো মেঘ জ’মে তিল ঠাঁই আর নাহি রে
মা-কাকিমা-পিসি সবে দিবিনিশি বলিতেছে ত্রাহি ত্রাহি রে!
বাদলের ধারা ঝরে ঝরোঝরো, পিচের রাস্তা জলে ভরোভরো
ঘরের আঁধারে পাখার হাওয়ায় কাপড় শুখায় নাহি রে!
মা-কাকিমা-পিসি সবে দিবিনিশি বলিতেছে ত্রাহি ত্রাহি রে!
ওই শোনো শোনো পুজো আসে বলে বাজারে লাগিছে ধুম
মুখোশ নামায়ে সবে করে হুড়ুদুম…
কিন্তু এসব জামাজুতো লয়ে, প্যান্ডেলে যেতে কাকভেজা হয়ে
পুজোর সাজের সব ফুটানি যে বাহিরিয়া যাবে বাহিরে!
মনে মনে বলি, পুজোয় বিষ্টি বাঙালি চাহিবে নাহি রে…
স্বচ্ছ গোলকে হাত বুলাইয়া কী হবে, কী হবে ভাবি রে
জনতা, তোরা কি মায়ের পেসাদ পাবি রে?
দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্যান্ডেল পানে, মন্দ্র জলদ বলি যায় কানে
অনেক হয়েসে, পুজোয় এবার সবে কাঁচকলা খাবি রে…
আমরা কেবল মাথা চুলকায়ে কী হবে কী হবে ভাবি রে!
পুজো মাটি হবে বিষ্টির জলে, ভেবে কূল নাহি পাহি রে!
আকাশ আঁধার, মেঘ কড়া নাড়ে বাহিরে…
ঝর ঝর ধারে ভিজিবে ঠাকুর, চ্যাপচেপে হবে চপ-চুরমুর
ছাতার জলেতে সদলবলেতে ব্যাজার বদনে গাহি রে…
পুজো-হুল্লোড় রসাতলে গেল, আর কোথা এবে যাহি রে!
*ঋণ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে’ গানের ছন্দ অবলম্বনে
*ছড়া: পল্লবী মজুমদার