মশলা
চায়ের কাপটা ঠক করে টেবিলের উপরে রেখে বলে উঠলেন সৌদামিনী,
– আজকাল চায়েও স্বাদ পাই না। পঞ্চাশ বছর আগে হেঁসেলে গুড়ের চা বানাতাম । সে যে কী টেস্ট!
মোবাইলের ওপারে স্কাইপে বড় নাতি অরুণ। সে হেসে ফেলল।
– ঠাকুমা, সব ব্যাপারেই তোমার নস্টালজিয়া। এখনকার কোনও জিনিসই কি ভাল না?
সৌদামিনী জিভ কেটে বললেন,
– এই দ্যাখ! বুড়ো হয়েছি সেটা বেরিয়ে পড়ে কথায় কথায়। ভাগ্যিস এইসব মোবাইল বেরিয়েছে আর এই ছবি দেওয়া কল! নইলে কী আর অ্যাদ্দূর থেকে তোদের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম দাদাভাই!
অরুণ হেসে বলল,
– থার্ড ওয়েভ কেটে গেলে তোমাকে লন্ডনে নিয়ে আসব ঠাকুমা। তোমার মেম নাতবউকে রান্না খাওয়াব তোমার। কুলীন বাঙালি পদ। ভাপা ইলিশ, ভেটকি পাতুরি, মোচার ঘন্ট! আহা! বলতে গিয়েই জিভে জল আসছে।
সৌদামিনী দুঃখী মুখ করে বললেন,
– বাটা মশলা না হলে কী আর সোয়াদ হবে? শিলনোড়া চাই।
– লন্ডনে শিলনোড়া? খেপেছ! পাব কোথায়? এর থেকে এলিয়েন দেখতে পাওয়া ইজি।
খুক খুক করে হাসল অরুণ।
সৌদামিনী এখন সেজ ছেলের বাড়িতে। মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো চার ছেলের বাড়ি ঘুরেফিরে থাকতে হয়। সংসার বাড়ছিল। বাগবাজারের বাড়িতে আর ধরছিল না। তাছাড়া জ্ঞাতিগুষ্টির অনেকেই চাইছিল বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে চলে যাক। বাড়িটা ছেড়ে আসার আগে পুরনো জিনিস, বাক্সবিছানা, কাঁসার বাসন, সবই আনিয়েছেন সৌদামিনী। শুধু ভুল হয়ে গিয়েছে একটি জায়গায়। শিলনোড়াটা ফেলে এসেছেন। ভাঁড়ারঘরের বাইরে দরজার কোণায় রাখা ছিল শিলনোড়াটা। তাড়াহুড়োয় খেয়াল করা হয়নি। সৌদামিনীর খুব আফসোস হয়। পরেরদিনই লোক পাঠিয়েছিলেন কিন্তু ততক্ষণে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শপিংমল হবে। প্রোমোটারের তাড়া ছিল। রাজমিস্ত্রিরা ধুপধাপ শব্দে বাড়ি ভাঙছে। কে আর শিলনোড়া নিতে প্রাণ হাতে করে বাড়ির ভিতর ঢুকবে?
সেজছেলের মেয়ে শ্রেয়ার বিয়ে হয়েছে দু’বছর। গতকাল বাপের বাড়ি এসেছে। স্কাইপে জ্যেঠতুতো দাদার সঙ্গে গল্পে মজে উঠল।
– জানিস দাদা, একটা ধামাকা খবর আছে আমার! চ্যানেল ফোরের রসুইঘর নামে যে মেগা শো-টা হয়, সেটাতে ডাক পেয়েছি।
– ওয়াও! দ্যাটস গ্রেট! কী রাঁধবি?
– ঠিক করিনি এখনও। কোয়াইট কনফিউজড। সেজন্যই তো এলাম ঠাকুমার টিপস নিতে।
– ওরা তোকে বলেনি কী রান্না করতে হবে?
– চ্যানেল বলেছে অরিজিনাল মানে নিজস্ব কিছু ক্যুইজিন রাঁধতে।
– অল দ্য বেস্ট। ডেট, টাইম জানিয়ে দিস। অ্যাপে দেখে নেব।
সৌদামিনী এক খিলি পান মুখে দিয়ে বললেন,
– ওখানে তো গুঁড়ো মশলায় রান্না করতে দেবে। তাই না?
শ্রেয়া চোখ বড় বড় করে বলল,
– বাব্বাহ! প্রোগ্রামটার স্পনসরই তো গুঁড়োমশলার বিখ্যাত কোম্পানি ‘ফ্লেভার’। ওদের সব মশলা থাকবে। জিরে, ধনে, সম্বর, ছোলে মশলা, তন্দুরি মশলা, মিট মশলা! পাঁঠার মাংস কষানোর স্পেশ্যাল! – থাক থাক। হয়েছে।
সৌদামিনী হাত তুললেন।
– ওদের ঐ খেলনা কড়াইতে কী আর মাংস রাঁধবি? সাকুল্যে পাঁচশো গ্রাম। কষানোর সময় দেবে? ওরা তো বড্ড তাড়া মারে। আর পঞ্চাশ হাজার বিজ্ঞাপন!

সত্যি! এটা ঠিক বলেছে ঠাম্মা। বাগবাজারের বাড়িটা ছেড়ে আসার সময় সে দশ বছরের বালিকা ছিল। সব মনে আছে। মাইনে পেয়ে সেই আনন্দে রাতে বাড়ি ফেরার সময় গোটা খাসি কাটিয়ে নিয়ে আসতেন বড় কিংবা মেজজেঠু। এনেই উঠোনে ফেলে দিয়ে বলতেন, আজরাতে মাংসভাত। শুনেই চেঁচামেচি শুরু করতেন জ্যেঠি কাকিরা। এত রাতে রাঁধবে কে এসব? কে বাটবে মশলা?
ঠাকুমা বলতেন,
– আহা! রাগ করো কেন বড়বউ। আঁশশিলে পেঁয়াজ রসুনটা নাহয় আমিই বেটে দিচ্ছি দাও।
মা জ্যেঠিমারা বলতেন,
– আপনি যান মা। আপনাকে দিয়ে মশলা বাটালে আর আপনার ছেলেদের সামনে দাঁড়াতে পারব না। কাঁচা খেয়ে ফেলবে আমাদের।
ঠাকুমা বলতেন,
– তাই বলে কি তোমাদের দিয়ে ওভারটাইম করাব? ওটি হবে না। এই অরুণ, এই বরুণ!
মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো চার ছেলের বাড়ি ঘুরেফিরে থাকতে হয়। সংসার বাড়ছিল। বাগবাজারের বাড়িতে আর ধরছিল না। তাছাড়া জ্ঞাতিগুষ্টির অনেকেই চাইছিল বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে চলে যাক। বাড়িটা ছেড়ে আসার আগে পুরনো জিনিস, বাক্সবিছানা, কাঁসার বাসন, সবই আনিয়েছেন সৌদামিনী। শুধু ভুল হয়ে গিয়েছে একটি জায়গায়। শিলনোড়াটা ফেলে এসেছেন। ভাঁড়ারঘরের বাইরে দরজার কোণায় রাখা ছিল শিলনোড়াটা। তাড়াহুড়োয় খেয়াল করা হয়নি।
ঠাকুমার ডাকাডাকিতে দুই জোয়ান নাতি আসতেই ঠাকুরমা বলতেন,
– যা তো বাছারা আমার। দু’কেজি পেঁয়াজরসুন শিলে বেটে নিয়ে আয়।
বড় আর মেজজেঠি কাঁদো কাঁদোমুখে দাঁড়িয়ে।
– ছেলেদুটোকে পড়ার টেবিল থেকে তুলে আনলেন মা!
– ওমা! একী! তোমরাই না বলো আধুনিকতা মানে ছেলেমেয়ে সমান সমান। তা আমার নাতনিদের বদলে ওরাই না হয় বাটুক। নাতনিরা তো বিয়ের পর শ্বশুরঘরের জোয়াল ঠেলবেই।
পেঁয়াজ কাটতে কাটতে মা আর ছোটকাকিমার দু’চোখে জলের ধারা। ঠাকুমা বড়জেঠুকে ডেকে বললেন,
– পুজোয় সেজ আর ছোট বউমাকে আমার তবিল থেকে আলাদা করে তাঁতের শাড়ি দিবি। যত হুজ্জুতি ওদের উপর হয়।
দুই দাদা শিলে আদা-রসুন বাটতে বাটতে বলল,
– আর আমাদের ভাগে?
ঠাকুমা পান খাওয়া দাঁত বের করে হেসে বললেন,
– তোদেরটা নাতবউদের দেব।
দাদাদের মুখে লজ্জায় কুলুপ।
দরজার আড়ালে লুকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল শ্রেয়া। দু’বছর হল বিয়ে হয়েছে, আজও অমিতের সঙ্গে সম্পর্কটা পাকাপোক্ত হল না। কতভাবে চেষ্টা করেছে অমিতের মন জয় করতে। ফেভারিট ডিশ রেঁধে খাইয়ে, লক্ষ্মীবউয়ের মতো ঘরদোর গুছিয়ে, অমিতের বাবা মায়ের সেবা করে। অমিত সেই ছাড়াছাড়া। শ্রেয়ার যে ইনফার্টিলিটি আছে বিয়ের আগে জানত না। জানা যায় নাকি? কোন মেয়ে বিয়ের আগে শুধুমুদু জরায়ুর স্ক্যান করে! এমনিতে তো কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না তার। জরায়ু বাচ্চা নেওয়ার অনুপযুক্ত। বাবা হতে পারবে না জেনে অমিত তাকে একপ্রকার ত্যাজ্য করেছে। বাইরে যদিও কেউ বুঝবে না ভাঙনের চেহারা। শ্রেয়া বহুবার ভেবেছে, সম্পর্কটা চুকিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে। মা বাবা দুজনেই বাধা দিয়েছে। মায়ের ধারণা, একটা সন্তান দত্তক নিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ডিভোর্সে তীব্র আপত্তি বাবা মায়ের। শ্রেয়া অনুভব করে, সম্পর্কটা মরে গিয়েছে। নিজেকে ভুলিয়ে রাখে তাই এসব টিভি প্রোগ্রামে। সৌদামিনীর চোখকে অবশ্য ফাঁকি দিতে পারেনি শ্রেয়া। হু হু করে কেঁদে ফেলে স্বীকার করেছে সব। অমিতের নিঃস্পৃহতা। এমনকী শ্রেয়ার অসুখবিসুখে তার উদাসীনতার কথাও।

সৌদামিনী জানলা দিয়ে আকাশ দেখতে দেখতে অন্যকথা ভাবছিলেন। করোনার জন্য মানুষ এমনিতেই মেলামেশা কমিয়ে দিয়েছে। জিভে স্বাদ নেই। নাকে গন্ধ নেই। জীবন পানসে। বাক্সবন্দি রেডিমেড জীবনে কি আর তুফান ওঠে? তার জন্য সমুদ্র সাঁতরাতে হয়। বড় নাতি অরুণেরও অবস্থা টলোমলো। ডেটিং করেই চলেছে। বিয়ে আর হয় না। অরুণ চাইছে মেম বিয়ে করতে, যাতে চট করে ওদেশে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। সব বোঝেন সৌদামিনী। ওরে, মশলা না কষালে কী রান্নায় খুশবু হয়? সম্পর্কও তাই। হিসেব করে হয় না। সময় দিতে লাগে। অরুণকে কালই স্কাইপে বলবেন, তিনি যাবেন না। বাঙালি রান্না দিয়ে মেম পটিয়ে নাতবউ করার মধ্যে কোনও গর্ব নেই। সে যদি এমনিই নাতিকে ভালবাসে তাতেই মহাসুখ।
সৌদামিনী সেজ ছেলেকে বললেন,
– হ্যাঁ রে সেজখোকা, শীতলষষ্ঠীর দিনে শিলনোড়াটাকে কত যত্ন করতাম তোর মনে আছে?
শ্রেয়া দেখল, বাবা হাসতে হাসতে বলছেন,
– সে আবার ভোলা যায় নাকি! সরস্বতী পুজোর দিন। আমরা পাড়ায় ঘুরতাম খিচুড়ি লাবড়া নাড়ু কুল খাওয়ার জন্য আর তুমি শিলের গায়ে যত্ন করে নতুন কাপড় মুড়ে দই আর হলুদ লাগাতে।
সৌদামিনী চশমা খুলে ফেললেন। ঝকঝকে দৃষ্টি। তাঁর প্রবল ব্যক্তিত্বকে ছেলেরা এখনও ভয় পায়। সে যুগের বিএ পাশ সৌদামিনী। ব্রাহ্ম মেয়েদের মতোই লেখাপড়া শিখেছিলেন। কর্তার মত ছিল অবশ্য। নয়তো প্রাইভেটে পরীক্ষাটা দেওয়া হত না। রান্নাবান্নায় সৌদামিনী দ্রৌপদী। বিশেষত মশলার অনুপানে কতটা জিরে আর কতটা আদা, কটা লঙ্কা, সব শিখে নিয়ে যেত প্রতিবেশিনীরা।
– আমার শিলনোড়া হারানোর সেই দুঃখ আজও যায়নি। কত স্মৃতি ওটার সঙ্গে! তবু কি আমি বেঁচে নেই? দ্যাখ আমি কিন্তু দিব্যি স্বাদগন্ধ পাই। তোদের মিক্সিপেষা মশলাতেই নতুন নতুন পদ চেখে বেড়াই।
শ্রেয়া দেখল, বাবার চোখে বিস্ময়।
– মা, তোমার কি পুরনো বাড়িটার কথা ভেবে মনখারাপ লাগছে? চলো পুরনো পাড়ায় ঘুরিয়ে আনছি গাড়ি করে। মাস্ক পরো।
– আমার কথা ভাবতে হবে না। তুই বরং মেয়েটার একটা হিল্লে কর। অসুখী বিয়ে। নাতনিটা আমার তিলে তিলে মরে যাবে। ডিভোর্স চেয়ে নে।
– মা! কী বলছ! ঢি ঢি পড়ে যাবে সবদিকে। আমাদের পরিবারে…
– ঠিকই বলছি। আমি যখন বিএ পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখনও ঢি ঢি পড়েছিল। তাতে কী এসে গেছে? শোন, জোড়াতালি দিয়ে রান্না হয় না। ওকে সরঞ্জাম দে। এখনও সময় আছে। ওর জীবনের রান্নাটা ও নিজেই করতে পারবে। কীরে পারবি না?
শ্রেয়া অস্ফুটে বলল,
– শিওর ঠাম্মা…

বিনোদন ও স্বাস্থ্য
অক্ষয় কুমার দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত। এই খবর মিডিয়ার জন্য সংবেদী। হু হু করে বাড়বে অনলাইন নিউজ পোর্টালের ভিউ। কাল আরও বাড়বে প্রিন্ট মিডিয়ার বিক্রিবাটা। হ্যাঁ, আপামর ভারতীয়র মতো আমি, আপনিও দুঃখিত। মনেপ্রাণে চাই উনি সেরে উঠুন। কিন্তু যে গণতন্ত্রের এত জয়গান করে আপনি চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলে দেন, একবার ভেবে দেখেছেন, আপনি করোনাক্রান্ত হলে অমন রাজকীয় শয্যা পাবেন? রাজকীয় ছাড়ুন, ন্যূনতম চিকিৎসা?
অক্ষয় কুমারের শিল্পীসত্তায় মুগ্ধ আমরা। কিন্তু ভাইরাস সাচ্চা গণতান্ত্রিক। তার কাছে ধনী দরিদ্র, খ্যাত অখ্যাতর কোনও ফারাক নেই। ভাইরাসের থেকে কিছু শিখলেন? ফিটনেসের প্রতীক, মার্শাল আর্টিস্ট, ধুন্ধুমার অ্যাকশন নায়ককেও আজ রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে কোভিড। বলা যায় না দাউদ ইব্রাহিমকেও দেখাবে কিনা! রাজা, রানি সব কুপোকাত। ২০২০-২১-২২ আমাদের আরও কত কী শেখায়, দেখুন। কোভিড হলে আপনি আমি বাঁচব কিনা একমাত্র বলতে পারে ডারউইনের ‘সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট’ তত্ত্ব। পাতি বাংলায় ভাবানুবাদ করলে ওটা মা সারদার বাণী- যে সয়, সে রয়।’ এই সয়ে নেওয়া মুখ বুজে রাজারানির পুজো করে সয়ে নেওয়া নয়। এটা আমার আপনার স্বাস্থ্যের অধিকার। যাতে অসুখ হলে আমরাও/ আমাদের সন্তানরাও বেড পেতে পারি, চিকিৎসার অধিকার পেতে পারি।

দোহাই, বলে বসবেন না, চিকিৎসকদের দোষ। এদেশে জনগণের মতোই চিকিৎসকরাও দাবার বোড়ে। নিয়মনীতি কোনওটাই তাঁরা তৈরি করেন না। পেটের দায়ে বাধ্য হন মেনে নিতে। তা এবার একটু পজিটিভ হোন না হয় ভাইরাসের মতো। সংক্রামক হোক ‘সাধারণের স্বাস্থ্যের দাবি’। না, কোনও রাজনৈতিক প্রচার করছিনা। সমালোচনাও নয়। এটা আমাদের ভারতীয় সংবিধানে থাকা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আমরা ভেড়া বলেই ভুলে যাই দাবি আদায় করতে। আমাদের সফট টার্গেট স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তাররা। আমরা লাখ লাখ লোক হিরোর বাংলোর সামনে জড়ো হই। কিন্তু ভুলে যাই আমাদের অসুখবিসুখে এঁরা আমাদের দেখবেন না।
জীবনে কোনটা বেশি প্রয়োজনীয়? স্বাস্থ্য না বিনোদন?
কোভিডের থেকে শিখে নিন গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। পৃথিবীর এতগুলো দেশের সিস্টেমে ঢুকে পড়েছে সমানভাবে। তা আমরা কী করব? মিম, জোকস, রান্নাবান্নার ছবি শেয়ার করব নয়তো বাঙালির জাতীয় খেলা- আয় ভাই টেনে নামাই। কে যেন সেদিন বললেন, There is no DEMOCRACY & PRIVACY in today’s tech savvy world. কোভিড ভাইরাসকে দেখে কথাটার প্রথম অংশটা বিশ্বাস করতে পারছি না। গণতন্ত্র আছে। থাকবে। জিত হবেই।
আপনি কী বলেন?
*ছবি সৌজন্য: Worldnomads, New Yorker, DW, Kanjik
পেশায় ডাক্তার দোলনচাঁপা নতুন প্রজন্মের লেখকদের মধ্যে পরিচিত নাম। মূলত গল্প এবং উপন্যাস লেখেন বিভিন্ন ছোটবড় পত্রপত্রিকায়। 'চন্দ্রতালের পরীরা' এবং 'ঝুকুমুকু' তাঁর লেখা জনপ্রিয় কিশোরসাহিত্যের বই।