বাংলার রাজপাট: পঞ্চম পর্ব
আজকের দিনে যে দুর্গাপুজো আমরা দেখি তার সূচনা বাংলার সুলতানি শাসনকালেই হয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। এই পুজোর ব্যাপ্তি বা বিকাশ একটা পর্বে এসে এত দ্রুত হয়েছিল যে পরবর্তীকালে সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান এক সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। বাল্মীকি রামায়ণে রামচন্দ্রের দুর্গোৎসবের কোনও বিবরণ নেই। বাংলার মধ্যযুগে কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর বাংলা রামায়ণে পুরাণের ঘটনা সাজিয়ে রামচন্দ্রের দুর্গাপুজোর বর্ণনা দিয়েছেন। কৃত্তিবাস ওঝার লেখা ‘শ্রীরামপাঁচালী’ বা রামায়ণ ও সেখানে বর্ণিত অকালবোধন দুর্গাপুজোর (Akalbodhan Durga Puja) কথা আলোচনা করবার আগে গৌড়ের সুলতানি প্রাসাদের কথা জেনে নেওয়া যেতে পারে, সম্ভবত যে প্রাসাদের সুলতানি দরবারের সভাকবি হিসেবে কৃত্তিবাস ওঝা ‘শ্রীরামপাঁচালী’ রচনার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে মনে করেন কোনও কোনও ইতিহাসবিদ।

সুলতানি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ
আগের আলোচনাগুলো থেকে আমরা দেখেছি, মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপত্যগুলো নির্মিত হয়েছিল বাংলার বিভিন্ন সুলতানের আমলে। প্রশ্ন হল, সেই সব সুলতানেরা বসবাস করতেন কোথায় এবং তাঁদের প্রাসাদই বা কোথায় ছিল? কারণ গৌড়ে এখন কোনও অক্ষত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদ দেখতে পাওয়া যায় না!
এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে হেনরি ক্রেইটন, জে এইচ র্যাভেনস প্রমুখ ইতিহাসবিদদের লেখা থেকে। সুলতানি প্রাসাদ বলতে প্রথমেই চোখে পড়বে এক বিশাল প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ। এটা বাইশগজি প্রাচীর নামে পরিচিত। এর উচ্চতা ছিল ২২ গজ অর্থাৎ ৬৬ ফুট। ওই প্রাচীরের ভিতরের অংশেই ছিল সুলতানের প্রাসাদ।

রাজকীয় প্রাসাদ ছিল তিন ভাগে বিভক্ত— প্রথম অংশটা ছিল সুলতানের দরবার, সেটা অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের। তারপরের অংশটা সুলতানের বসবাসের জায়গা বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ সুলতান সেখানে থাকতেন এবং একেবারে শেষ যে অংশটা, সেটাকে বলা হচ্ছে জেনানা মহল বা সুলতানের পরিবারের মহিলারা ওখানে বাস করতেন। এই যে শেষ অংশ, অর্থাৎ যেটাকে জেনানা মহল বলছেন ক্রেইটন, সেই অংশটা নদীর দিকে এবং তিনি জানাচ্ছেন যে সুলতানি পরিবারের মহিলারা বা জেনানা মহলে যাঁরা বাস করতেন তাঁরা নদীর তীরে ঘোরাফেরা করতেন। স্পষ্ট কোনও প্রমাণ না থাকলেও যদি তেমনটা হয়, তাহলে ওই অংশটা জেনানা মহল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ-এর সর্বশেষ খননে পাওয়া এই জায়গাটা সম্পর্কে এখনও খুব বেশি কিছু জানা না গেলেও ক্রেইটন তাঁর বাসস্থান গুয়ামালতী নীলকুঠির কাছে যে শিলালিপিটা পেয়েছিলেন সেটা থেকে বেশ কিছুটা তথ্য পাওয়া যায়। ওই শিলালিপি অনুসারে জানা যাচ্ছে, রাজকীয় প্রাসাদের তলা দিয়ে একটা অন্তঃসলিলা জলপ্রণালী ও নিমদরওয়াজা ছিল। ৮৭১ হিজরি সনে অর্থাৎ, ১৪৬৬ সাধারণাব্দে সুলতান রুকনুদ্দিন বারবাক শাহ ওই জলপ্রণালী ও নিমদরওয়াজা নির্মাণ করিয়েছিলেন।

কবি কৃত্তিবাস ওঝা ও ‘শ্রীরাম পাঁচালী’
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি কৃত্তিবাস ওঝার জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে, তার কারণ ‘শ্রীরাম পাঁচালী’-র যে পুথি পাওয়া যায় সেখানে কবির সম্পূর্ণ আত্মপরিচয় অংশটা নেই। পুথির ভণিতায় গৌড়েশ্বরের কথা থাকলেও কোনও সুলতান বা রাজার নাম স্পষ্ট করে বলা নেই। দীনেশচন্দ্র সেনের হিসেব অনুসারে কৃত্তিবাসের জন্ম ১৪৪০ সাধারণাব্দ। সেই অনুসারে তখন গৌড়ের সুলতান ছিলেন রাজা গণেশের পৌত্র শাম্স্উদ্দিন আহম্মদ শাহ।
জন্মপরিচয় দিতে গিয়ে কৃত্তিবাস লিখেছেন—
‘‘আদিত্যবার শ্রীপঞ্চমী পূণ্য মাঘমাস।
তথি মধ্যে জন্ম লইলাম কৃত্তিবাস॥’’
অর্থাৎ, মাঘ মাসের এক রবিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন, তিথি হিসেবে সেটা ছিল পঞ্চমী। সুখময় মুখোপাধ্যায়ের গণনা অনুসারে ইদানীংকালে বলা হয়, তিনি ১৪৪৩ সাধারণাব্দের জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শাম্স্উদ্দিন আহম্মদ শাহ অবশ্য তখনও গৌড়ের সিংহাসনে আসীন ছিলেন।
জন্মসালের মতো কৃত্তিবাস ওঝা ঠিক কবে ‘শ্রীরামপাঁচালী’ লিখেছিলেন, তারও কোনও উল্লেখ নেই এ পর্যন্ত পাওয়া পুথিগুলোতে। তিনি এক গৌড়েশ্বরের রাজসভার কথা বলেছেন বটে, কিন্তু তাঁর নাম উল্লেখ করেননি। কৃত্তিবাসের বর্ণনা অনুসারে সেই রাজা হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে কোনও কোনও ইতিহাসবিদ উল্লেখ করলেও তা স্পষ্ট নয়। সুলতানি যুগের একমাত্র হিন্দু রাজা গণেশ হলেও কবির জন্ম-সময়ের সঙ্গে তা মেলে না।

‘শ্রীরামপাঁচালী’র রচনাকাল সম্পর্কে কৃত্তিবাস ওঝা নির্দিষ্ট করে না বললেও অন্যান্য তথ্য থেকে অনুমান করা যেতে পারে, পঞ্চদশ শতকের শেষভাগেই লেখা হয়েছিল ওই কাব্য। কিন্তু যদি সুখময় মুখোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র মজুমদার প্রমুখ ইতিহাসবিদদের যুক্তি অনুসারে কৃত্তিবাস ওঝা ১৪৪০-৪৩ সাধারণাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে ধরে নেওয়া যায়, তবে বলা যেতে পারে, এগারো বছর বয়সে তিনি গুরুর কাছে গেছেন শিক্ষালাভ করতে এবং গুরুগৃহে ১০-১১ বছর শিক্ষালাভের পর গৌড়েশ্বরের কাছে সভাকবি হওয়ার জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন। তাহলে তার আনুমানিক সময়কাল হবে ১৪৬২-৬৫ সাধারণাব্দ। বাংলার সুলতানি যুগের ইতিহাস অনুসারে, দ্বিতীয় ইলিয়াস শাহী সুলতানি বংশের দ্বিতীয় সুলতান রুকনুদ্দিন বারবাক শাহ গৌড়ের সিংহাসনে আসীন ছিলেন ১৪৬০ থেকে ১৪৭৪ সাধারণাব্দ পর্যন্ত।
কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর আত্মজীবনীতে গৌড়েশ্বরের রাজপ্রাসাদের কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি গৌড়েশ্বরের প্রাসাদে যাওয়ার পথ প্রসঙ্গে যা লিখেছেন তা এ পর্যন্ত পাওয়া ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে হুবহু না মিললেও অংশত অবশ্যই মেলে। কৃত্তিবাস কেল্লা থেকে সুলতানি প্রাসাদ পর্যন্ত ৯টা দরজার কথা লিখলেও এখন পর্যন্ত সবকটা দরজার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্যান্য তথ্য এবং সেই সময়ে গৌড়ে অবস্থানকারী পর্তুগিজ পর্যটকদের দেওয়া বিবরণ অনুসারে কবি কৃত্তিবাস ওঝা ওই প্রাসাদের কথাই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা যেতে পারে।
‘শ্রীরাম পাঁচালী’র রচনা প্রসঙ্গে কৃত্তিবাস লিখছেন,
‘‘…সন্তুষ্ট হইয়া রাজা দিলেন সম্ভোক।
রামায়ণ রচিতে করিলা অনুরোধ।।
বাপ মায়ের আশীর্বাদ গুরু আজ্ঞা দান।
রাজাজ্ঞায় রচি গীত সপ্ত কাণ্ড গান।।’’
কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর আত্মজীবনীতে গৌড়েশ্বরের রাজপ্রাসাদের কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি গৌড়েশ্বরের প্রাসাদে যাওয়ার পথ প্রসঙ্গে যা লিখেছেন তা এ পর্যন্ত পাওয়া ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে হুবহু না মিললেও অংশত অবশ্যই মেলে। কৃত্তিবাস কেল্লা থেকে সুলতানি প্রাসাদ পর্যন্ত ৯টা দরজার কথা লিখলেও এখন পর্যন্ত সবকটা দরজার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, কৃত্তিবাস ওঝার জন্মের সময়কাল যদি পঞ্চদশ শতকের মধ্যভাগের কিছু আগে হয়ে থাকে, তবে বর্তমান গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ প্রাঙ্গণে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের খনন করা রাজপ্রাসাদের যে অংশ দেখতে পাওয়া যায়, সেখান থেকেই তৎকালীন সুলতান বারবাক শাহর অনুরোধে কৃত্তিবাস ওঝা ‘শ্রীরামপাঁচালী’ রচনা আরম্ভ করেন।

‘শ্রীরাম পাঁচালী’ ও অকালবোধন দুর্গাপুজো
আদিকাণ্ড, অযোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড, কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সুন্দরকাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড ও উত্তরাকাণ্ড— এই মোট সাতটা সর্গ বা কাণ্ডে বিভক্ত ‘শ্রীরামপাঁচালী’ সাধারণভাবে কৃত্তিবাসী রামায়ণ নামে পরিচিত।
পৌরাণিক বিবরণ অনুসারে বলা হয়ে থাকে, রাজা সুরথ পৃথিবীতে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন বসন্তকালে। কিন্তু কৃত্তিবাস রচিত রামায়ণ কাব্য অনুসারে, রাবণ বধের জন্য ব্রহ্মা রামকে দুর্গোৎসবের পরামর্শ দিলে তিনি অকালে দেবীর বোধন করে আশ্বিনের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী, সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন (Akalbodhan Durga Puja)। পুরাণের ব্যাখ্যা অনুসারে বসন্তকাল দেবতাদের জেগে থাকবার সময় তাই রাজা সুরথ ওই সময়ে দেবী দুর্গার পুজো করেছিলেন বলে দেবীর নিদ্রা ভঙ্গের জন্য বোধন করবার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু রাম শরৎকাল, অর্থাৎ দেবতাদের নিদ্রার সময়ে অকালে দেবী দুর্গার পুজো করেছিলেন বলে পুজোর আগে বোধন করে দেবী দুর্গাকে জাগাতে হয়েছিল।
কৃত্তিবাস লিখছেন,
‘‘চণ্ডীপাঠ করি রাম করিলা উৎসব।
গীত নাট করে জয় দেয় কপি সব।।
প্রেমানন্দে নাচে আর দেবীগুণ গায়।
চণ্ডীর অর্চনে দিবাকর অস্ত যায়।।
সায়াহ্নকালেতে রাম করিলা বোধন।
আমন্ত্রণ অভয়ার বিল্বাধিবাসন।।
আপনি গড়িলা রাম প্রতিমা মৃন্ময়ী।
সংগ্রামে হইতে দুষ্ট রাবণ বিজয়ী।।
আচারেতে আরতি করিলা অধিবাস।
বান্ধিলা পত্রিকা নব বৃক্ষের বিলাস।।’’

মহাষ্টমী ও মহানবমী তিথির সন্ধিক্ষণে সন্ধিপুজোর কালে ১০৮ নীলপদ্মযোগে পূজার আয়োজন করা হল। হনুমান পদ্ম জোগাড় করে আনলেন। কিন্তু দেবী দুর্গা রামকে পরীক্ষা করার জন্য একটা পদ্ম মায়াবলে লুকিয়ে ফেলেন। পদ্ম না পেয়ে রাম তির দিয়ে নিজের একটি চোখ উৎপাটনে উদ্যত হলে দেবী তাঁকে দর্শন দেন ও রাবণবধের বরদান করেন।
বাল্মীকি রামায়ণে এরকম কোনও আখ্যানের কথা লেখা নেই। পণ্ডিতদের মতে বৃহদ্ধর্মপুরাণ, দেবী ভাগবৎ, কালিকাপুরাণ প্রভৃতি পুরাণগ্রন্থ থেকে নির্যাস নিয়ে কৃত্তিবাস ‘লঙ্কাকাণ্ড’ অংশে চণ্ডিকা বা দুর্গার অকাল বোধনের কাহিনি লিখেছেন। সেই কাহিনিকে হাতিয়ার করেই ইসলাম যুগে হিন্দু জমিদার ও বিত্তশালীরা বাংলায় দুর্গাপুজোর প্রবর্তন করেন।
(ক্রমশ)
গ্রন্থঋণ:
১। রজনীকান্ত চক্রবর্তী, গৌড়ের ইতিহাস, দে‘জ পাবলিশিং কলকাতা ৭০০০৭৩
২। মালদহ: জেলা লোকসংস্কৃতি পরিচয় গ্রন্থ, লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র
৩। মালদহ চর্চা (১), মলয়শঙ্কর ভট্টচার্য্য সম্পাদিত, বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভা মালদহ জেলা অঞ্চল
৪। মালদহ চর্চা (২), মলয়শঙ্কর ভট্টচার্য্য সম্পাদিত, বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভা মালদহ জেলা অঞ্চল
৫। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙ্গালার ইতিহাস (অখণ্ড সংস্করণ), দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা
৬। নীহাররঞ্জন রায়, বাঙ্গালীর ইতিহাস: আদি পর্ব, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা
৭। কেদারনাথ গুপ্ত, গৌরবময় গৌড়বঙ্গ, সোপান, কলকাতা
৮। সুস্মিতা সোম, মালদহ ইতিহাস-কিংবদন্তী, সোপান কলকাতা
৯। অনিরুদ্ধ রায়, মধ্যযুগের ভারতীয় শহর, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা
১০। প্রদ্যোৎ ঘোষ, মালদহ জেলার ইতিহাস: প্রথম পর্ব, পুস্তক বিপণি, কলকাতা
১১। সিদ্ধার্থ গুহরায়, মালদা, সুবর্ণরেখা, কলকাতা
১২। কমল বসাক, শ্রীশ্রীরামকেলিধাম রূপ-সনাতন ও মালদহের গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজ, উৎসারিত আলো প্রকাশনী, মালদহ বুক ফ্রেন্ড, মালদহ
১৩। গৌতম বসুমল্লিক, কলকাতার পারিবারিক দুর্গাপুজো, কারিগর, কলকাতা
১৪। গৌতম বসুমল্লিক, কৃত্তিবাস ওঝার ‘শ্রীরামপাঁচালী’র অনুপ্রেরণা থেকেই কি বঙ্গে দুর্গাপুজোর উদ্ভব? জানুন ইতিহাস, এই সময় ডিজিটাল, ২৮ অগস্ট ২০২৩
১৫। কৃত্তিবাস ওঝা, শ্রীরাম পাঁচালী ( আশুতোষ ভট্টাচার্য সম্পাদিত), অখিল ভারত জনশিক্ষা প্রচার সমিতি, কলকাতা
১৬। Creighton Henry, The Ruins of Gour described and represented in eighteen views; with a topographical map, Londan
১৭। Gaur its Ruins and Inscriptions, John Henry Ravenshaw, C. Kegan Paul & Co. London
১৮। Abid Ali Khan, Memoirs of Gour and Pandua,
*পরবর্তী অংশ প্রকাশ পাবে ২১ নভেম্বর, ২০২৩
গৌতম বসুমল্লিকের জন্ম ১৯৬৪ সালে, কলকাতায়। আজন্ম কলকাতাবাসী এই সাংবাদিকের গ্রামে গ্রামে ঘুরে-বেড়ানো আঞ্চলিক ইতিহাস-চর্চার সুবাদে। মূলত কলকাতার ইতিহাস নিয়ে কাজ করলেও, এখনও বাংলার বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান ইতিহাস, স্থাপত্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ [UGC, Human Resource Development Centre (HRDC)]-র আমন্ত্রিত অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়াচ্ছেন দীর্ঘকাল। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কলকাতার পারিবারিক দুর্গাপুজো’।