ঠান্ডা ঘ্রাণ
পড়ে থাকছে হাড় মজ্জা, মাংসের সুতোয় বাঁধা
আমি গন্ধ, যমের অরুচি সকাল, মেঘ বৃষ্টি
বিস্কুটের গুঁড়ো। এবারের কার্তিক মাস ধোয়া
নেই মোছা নেই খেজুর বাকল, তবুও চুঁয়ে থাকা রস
যেন যোনি জল আরামের মালিক।
সে সব চোখ বন্ধ, ঘামের অদৃষ্ট প্রবন্ধের সংকলনে
দেখা যাচ্ছে ভূত ও ঈশ্বরের দর কষাকষি
সেখানে আমি বা মানুষ শুধুই এপিক মাত্র।
ভাবা যখন অলীক আলোর নীচে
কে বন্ধু শত্রু রূপে নাকি চোখের ভুল,
যেভাবে ছায়াকে মেঘ ভেবে খর তাপে
আরামের উপপাদ্য গাঁথা। এখন দু’চোখ মানে
অন্ধত্বে অন্ধকার ভাবা। জানা নেই কঙ্কালের হৃৎপিণ্ড
ঠিক কতটা উনবিংশ রক্ত দেখেছে?
রঙিন শাড়ির আড়ে বালিকা বিধবা আলো মুখ
টিপে নাচ টিপে রাখে। সে’ তো ঋতুযোগ চেপে রাখা
শ্বাস মানে ইচ্ছের কবর। ফেলে আসা ধুৎ ছাই হতাশার বাগান।
এবার দেখা যাবে ঠিক কীভাবে একে একে সব বাগান
জোর করে কেটে দিলেও ফুল বুনবে যৌন পরি।
*ছবি সৌজন্য: Wikipedia
লেখালেখির সূত্রপাত ছোটবেলায়। বর্তমানে শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত কবিতা ও গল্প লেখেন তথ্যকেন্দ্র, গৃহশোভা, নবকল্লোল দৈনিক স্টেটসম্যান, সুখবর, সাতসকাল, দেশ, আনন্দবাজার রবিবাসরীয়, এই সময়-সহ আরো বহু বাণিজ্যিক পত্রিকায়। এই পর্যন্ত ইংরেজিতে লিখিত কবিতা ও গল্প ভারত-সহ বহু দেশে প্রকাশিত। নিবন্ধ ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে বাংলালাইভ, মহানগর, দ্য ওয়াল-সহ বহু অনলাইন ম্যাগাজিনে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সাত।