ক্লান্ত শরীরে রেলিংয়ের গায়ে হাত রেখে সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে উঠে আসে সুতপা। অবশেষে সিঁড়ির গা ঘেঁষে থাকা দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। দরজার ল্যাচে মোচড় দেয়। খুট করে একটা শব্দ হয় আর দরজাটা খুলে যায়। সুতপা ঘরে ঢোকে। ভেতরের ঘর থেকে ফোনে মেয়েলি গলায় কারও উত্তেজিত কথাবার্তা ভেসে আসে। সুতপা সেদিকে একবার তাকায় আর তারপর ঝুঁকে মনোযোগ সহকারে জুতো খুলতে থাকে। যে কথাগুলো ভেসে আসে সেগুলো কতকটা এইরকম:
– এছাড়া আর কী এক্সপেক্ট করিস তুই! এই নিয়ে আমি পঞ্চাশবার বলছি যে আমি অদলবদল করে যাচ্ছি! তারপরেও …’
কয়েক লহমার জন্য সব চুপচাপ | তারপর আবার:
– বলছি তো আমি চেষ্টা করছি। কিন্তু ব্যাপারটা যতটা সহজ ভাবছিস, তা আদৌ নয়! এই পুরো ব্যাপারটা একেবারেই অন্যরকম! যদি কিছু হয়ে যায় বা ও জানতে পেরে যায়, তাহলে কী হবে বুঝতে পারছিস! এইখানে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি আমি নিচ্ছি। একটু এদিকওদিক যদি হয়ে যায়, তাহলে আমার কেরিয়ারের এখানেই ইতি হয়ে যাবে। ব্যাপারটা কী তোর মগজে ঢুকছে!’
কয়েক মুহূর্ত থেমে আবার সেই কণ্ঠস্বর উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
– এটা জেনে রাখ, ও এটাকে কোনওভাবেই একটা প্র্যাক্টিক্যাল জোক হিসেবে নেবে না… না, ও পুরোপুরি সিরিয়াস টাইপ…
বলতে বলতে বাইরের ঘরে ফোন হাতে ডোরিনা বেরিয়ে আসে। সুতপার সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে যায়। সে এক মুহূর্তের জন্য চমকে ওঠে আর সঙ্গে সঙ্গে তার গলার স্বর খাদে নেমে যায়।
– এখন আমি আর কথা বলতে পারব না! হ্যাঁ আমি একটু বাদেই বেরব। জানি না কী হবে। সব কিছুই প্ল্যান অনুযায়ী করা আছে। হ্যাঁ এসে গেছে। উফ! এত প্রশ্ন করিস না! আমি রাখছি। ফ্ল্যাটের নীচে নটার সময় পাক্কা চলে আসিস। বাই!
ফোনটা কেটে দিয়ে সুতপাকে কিছু বলবে বলে ডোরিনা সুতপার সঙ্গে একটু আগে যেখানে চোখাচোখি হয়েছিল সেদিকে তাকায়। সুতপা সেখানে নেই, ঘরের মধ্যেও নেই। সে চারদিকে তাকায়। সেইসময় বাথরুমে কল খোলার শব্দ শোনা যায়। ডোরিনা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। চেঁচিয়ে বাথরুমের দরজার কাছে গিয়ে বলে:
– তোর কি দেরি হবে?
– কেন বল তো? বেরবি?
– হ্যাঁ! একটা দেখা করার আছে।
– আমাকে দশটা মিনিট দে!
– ঠিক আছে! তুই সময় নে।
ডোরিনার ফোন আবার বেজে ওঠে। সে ফোন ধরে বলে:
– হ্যাঁ! সবকিছু সাজানো গোছানো আছে। আমার একটা উপকার করবি? দয়া করে ফোন করে আমাকে আর জ্বালাস না! ইউ অল আর গেটিং অন মাই নার্ভস! আমাদের সবাইকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। তোকে যা করতে বলা হয়েছে সেটা শুধু ঠিকঠাক কর।
আরও পড়ুন: বাণী বসুর সঙ্গে আলাপচারিতা
ডোরিনা ফোন কেটে দেয়। বাথরুমের দিকে একবার তাকায়। তারপর আস্তে আস্তে সোফার দিকে যেতে যেতে একটা সিগারেট ধরায়। সোফায় বসে সে আর একবার ঘড়ি দ্যাখে, মোবাইলে কিছু একটা টেক্সট করে কাউকে… তারপর অধৈর্য হয়ে আবার উঠে দাঁড়ায় পায়চারি করবে বলে। সেইসময় বাথরুমের দরজা শব্দ করে খুলে যায় আর সুতপা বেরিয়ে আসে। বলে:
– আমার হয়ে গেছে। বাথরুম খালি।
একটা ম্যাক্সি পরে মাথার চুল তোয়ালে দিয়ে ঘষতে ঘষতে পাশের ঘরে যাওয়ার সময় সুতপা বলে। ডোরিনার দিকে সে তাকায় না। সুতপার চলে যাওয়া লক্ষ্য করতে করতে ডোরিনা বলে:
– থ্যাঙ্কস! তারপর বাকি সিগারেটটুকু অ্যাশট্রেতে গুঁজে দিয়ে বাথরুমের দিকে এগিয়ে যায়।
সুতপা একটা ইংরেজি গান গুন্গুন করতে করতে চিরুনি হাতে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। আস্তে আস্তে আনমনে চুল আঁচড়ায়। তারপর কী একটা মনে পড়ায় আবার পাশের ঘরে চলে যায় আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে একটা বিয়ারের বোতল হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসে। সোফায় বসে রিমোটে টিভি অন করে। ডোরিনা একটা টি শার্ট আর জিনস পরে ঘরে ঢোকে। একবার দাঁড়িয়ে টিভিস্ক্রিনের দিকে দ্যাখে। তারপরে সোফায় বসে থাকা সুতপাকে দ্যাখে। সে সোফায় বসে না। ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে করতে আপনমনে মোবাইলে কি টেক্সট করে চলে আর বিড়বিড় করে। সুতপা সোফায় বসে রিমোটে চ্যানেল ঘোরায় আর আড়চোখে ডোরিনাকে দেখতে থাকে। একসময় বলে:
– কিরে তোকে এত টেন্সড লাগছে কেন আজ?
ডোরিনা ফোন কেটে দেয়। বাথরুমের দিকে একবার তাকায়। তারপর আস্তে আস্তে সোফার দিকে যেতে যেতে একটা সিগারেট ধরায়। সোফায় বসে সে আর একবার ঘড়ি দ্যাখে, মোবাইলে কিছু একটা টেক্সট করে কাউকে… তারপর অধৈর্য হয়ে আবার উঠে দাঁড়ায় পায়চারি করবে বলে। সেইসময় বাথরুমের দরজা শব্দ করে খুলে যায় আর সুতপা বেরিয়ে আসে। বলে: আমার হয়ে গেছে। বাথরুম খালি।
– সেরকম কিছু না। আমাদের লাইনে যা হয় আর কী! সব কিছু একেবারে ঘেঁটে ঘ হয়ে আছে। আমাকে আজকের মধ্যেই এটার একটা হেস্তনেস্ত করতে হবে। সুতপার দিকে তাকিয়ে ডোরিনা হাসে। সুতপা তাকে থামস আপ দেখায়। বলে:
– বস না ! এখুনি বেরচ্ছিস না তো! ফ্রিজে বিয়ারের আরো দুটো বোতল আছে…
– না! এখন নয়।
– কত্তার ইচ্ছেয় কর্ম! তোর মতিগতি বোঝা ভার!
সুতপা টিভি দিকে মনোযোগ দেয়। ডোরিনার ফোনটা এই সময় আবার বেজে ওঠে। ডোরিনা ফোন ধরে বলে:
– হ্যাঁ! আসছি!
ফোন ধরা অবস্থাতেই দরজার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে সুতপার দিকে তাকায় আর কোনও শব্দ না বের করে ঠোঁট নেড়ে বলে, ‘বাই!’ সুতপা উঠে দরজা বন্ধ করে। একটা মোটরবাইকের বেরিয়ে যাওয়ার শব্দ শোনা যায়।
***
অনেক রাত। সুতপার ঘুম আসে না। সে উঠে আলো জ্বালে; শোকেসের ওপরে রাখা টেবিল ঘড়িটা হাতে নিয়ে সময় বোঝার চেষ্টা করে। অচিরেই বুঝতে পারে ঘড়িটা বন্ধ। বিরক্ত হয়ে ঘড়িটাকে জায়গা মতন রেখে সে তার ভ্যানিটি ব্যাগ হাতড়ে মোবাইলটা বের করে সময় দ্যাখে। তার ফোন নাড়াচাড়া দেখে বোঝা যায় যে সে খুব একটা টেক স্যাভি নয়। ফোনটাকে শোকেসের ওপর রেখে সে বিছানার কাছে ফিরে আসে। ঠিক তখনই সেটা বেজে ওঠে। মোবাইলে ডোরিনার নাম দেখতে পায়। সুতপা ফোন ধরে।
– হ্যালো! ঘুমিয়ে পড়েছিলিস নাকি?
– না। বল।
– আসলে একটা জিনিস একদম ভুলে গেছিলাম। আমার ল্যাপটপটা… মানে শাট ডাউন করেছিলাম কিনা ঠিক মনে করতে পারছি না। একটু দেখবি প্লিজ! যদি না করে থাকি প্লিজ বন্ধ করে দিস!
– ঠিক আছে। আর কিছু?
– না| থ্যাঙ্কস রে! বাই!
ফোন কেটে যায়। সুতপা উঠে ডোরিনার বিছানার দিকে এগিয়ে গিয়ে ল্যাপটপটা তুলে নেয় আর বুঝতে পারে সেটা অন করা আছে। সে মাউস প্যাডটা নাড়তে ল্যাপটপটা অ্যাকটিভ হয়ে যায়। সে চার্জার খুলে নেয় আর শাট ডাউন করতে গিয়ে দেখে একটা ওয়ার্ড ফাইল খোলা আছে। সে কৌতূহলবশত ফাইলটা দ্যাখে। তার চোখে মুখে একটা মৃদু হাসি খেলে যায়।
– স্টোরি! স্ক্রিপ্ট! এইটা নিয়েই তাহলে গত কাল থেকে… সে ঘাড় নাড়তে নাড়তে ল্যাপটপ হাতে নিজের বিছানায় ফিরে যায়। বিছানার ওপর রাখা মাথার বালিশটাকে পিঠের পেছনে নিয়ে ভাল করে ঠেসান দিয়ে বসে। ল্যাপটপটাকে কোলে তুলে নেয় আর পড়তে আরম্ভ করে।
‘অতএব আগের পৃষ্ঠাগুলোয় ইনিয়ে বিনিয়ে যে মানুষটার বিষয়ে নানান কথা বলা হয়েছিল সে আবার সম্বিৎ ফিরে পেয়ে হাঁটতে শুরু করে।’
সুতপা ভুরু কুঁচকে পেজ নম্বর দ্যাখে। ওয়ার্ড-এ পৃষ্ঠা সাত দ্যাখায়। সে কার্সার নিয়ে ওপর দিকে যায়; তারপর কী ভেবে আবার সাত নম্বর পেজে ফিরে আসে। আবার আগের লাইন থেকে পড়া শুরু করে।
‘অন্ধকার রাতে স্ট্রিট ল্যাম্পের আবছা আলোয় সে এবড়ো খেবড়ো পথে বারকয়েক হোঁচট খায়। তবু চোয়াল শক্ত করে সে এগিয়ে চলে। তার হাত অথবা পা দেখা যায় না। শুধু আর একবার আর একরকমভাবে তার ঠান্ডা নিথর চোখ দুটোর বর্ণনা দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: মধুবনী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপচারিতা
পড়তে পড়তে সুতপার ভেতরটা শিরশির করে ওঠে। এরকম চোখ সুতপা আগে কোথায় দেখেছে? পড়া থামিয়ে ভুরু কুঁচকে সে চিন্তা করতে থাকে। ঝাপসা ঝাপসাভাবে স্মৃতি থেকে দু’ একটা মুখ, দু’ একটা মানুষ উঠে আসে। ঘরের ভেতর পায়ের শব্দ হয় আর মানুষগুলো অনেকটা ক্যাটওয়াকের মতন করে ঘরের অন্য কোণ থেকে বিছানার দিকে এগিয়ে আসে; তার সামনে কয়েক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে দাঁড়ায় আর তারপর ঘরের অন্যদিকের দেয়ালে মিলিয়ে যায়। সুতপা আধশোয়া অবস্থায় ভাবতে থাকে। তারপর ঘাড় নাড়ে আর কিছুক্ষণের জন্য চোখ বোজে। সে বিছানায় এবার উপুড় হয় আর ল্যাপটপটাকে সামনে রেখে পড়ে চলে…
‘মানুষটা দিশা বদলায় আর প্রধান সড়ক ছেড়ে একটা লাগোয়া সরু পথ ধরে। চেনা পথ মনে হয়, তাই বোধহয় সে ওই আঁধারের মধ্যেও দ্রুতগতিতে হেঁটে চলে। হাঁটতে হাঁটতে সে রেলক্রসিং পার হয়ে সরকারি আবাসনগুলোর একেবারে কাছে এসে পড়ে। কুকুরগুলো প্রথমে ডেকে ওঠে আর তারপর হয়তো তার চেনা বলে চুপ করে যায়।’
বাইরে, কিন্তু খুব কাছে হঠাৎ অনেকগুলো কুকুরের ডাক শুনতে পায় সুতপা। সে উঠে বসে। কুকুরগুলোর ডাক কয়েকমুহূর্ত বাদে থেমে যায়। সুতপার জল তেষ্টা পায়। সে বিছানা থেকে নামে। ওয়াটার পিউরিফায়ারের দিকে এগিয়ে যায়। জল খেয়ে ধীর পায়ে বিছানায় ফিরে আসে। ল্যাপটপটা কোলে তুলে নিয়ে আবার পড়তে শুরু করে।
‘মানুষটা নীচ থেকে তিনতলার আলো জ্বলা ফ্ল্যাটটাকে চিহ্নিত করে ও তাড়াতাড়ি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে থাকে। মানুষটা তিনতলায় কলিংবেল বাজায়।’
আচমকা কলিংবেল বেজে ওঠে আর সুতপা ঘুরে তাকায়। বেলটা আর একবার জোরে বেজে থেমে যায়। সুতপা ল্যাপটপ হাতে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। দরজার দিকে এগোবে কিনা ভাবে আর ইতস্তত করে। তবে সেটা কয়েকমুহূর্তের জন্য। শরীরটাকে দরজার দিকে ঘুরিয়ে সুতপা দু’পা এগোয় আর ল্যাপটপটাকে টেবিলের ওপর রাখে। ল্যাপটপের ধাক্কায় টেবিলের ওপর রাখা খালি গেলাসটা মেঝেতে পড়ে যায়। সুতপা সেদিকে একবার তাকায় আর তারপর দরজার ছিটকিনি খোলে। কেউ নেই। সে ল্যাপটপটা তুলে নিয়ে আবার বিছানায় ফিরে আসে আর পা ঝুলিয়ে বসে আবার মনোযোগ সহকারে পড়তে শুরু করে।
‘মানুষটা অপেক্ষা করে না। আবার নীচে নেমে যায়। মানুষটা হাতে একটা সরু লোহার রড চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চিপে উত্তেজিতভাবে রেলিংয়ে দুবার ঠোকে। বাইরে কী একটা ভেঙে পড়ার শব্দ হয়।
সুতপা আচমকা একটা আওয়াজ পেয়ে উঠে দাঁড়ায়। তিনতলার জানলা দিয়ে ঝুঁকে নীচের দিকে তাকায়। কিছু দেখতে পায় না। বিছানায় ফিরে এসে আবার পড়তে শুরু করে।
সুতপার ঘুম আসে না। সে উঠে আলো জ্বালে; শোকেসের ওপরে রাখা টেবিল ঘড়িটা হাতে নিয়ে সময় বোঝার চেষ্টা করে। অচিরেই বুঝতে পারে ঘড়িটা বন্ধ। বিরক্ত হয়ে ঘড়িটাকে জায়গা মতন রেখে সে তার ভ্যানিটি ব্যাগ হাতড়ে মোবাইলটা বের করে সময় দ্যাখে। তার ফোন নাড়াচাড়া দেখে বোঝা যায় যে সে খুব একটা টেক স্যাভি নয়। ফোনটাকে শোকেসের ওপর রেখে সে বিছানার কাছে ফিরে আসে। ঠিক তখনই সেটা বেজে ওঠে।
‘মানুষটা সরু রডটা রেলিংয়ে মারতে মারতে ঝড়ের গতিতে উঠে আসে ওপরে।… ’
সুতপার হঠাৎ খেয়াল হয়, দরজাটা বন্ধ করা হয়নি। সে নিজের ওপর বিরক্ত হয়। অস্বস্তি বোধ করে। ল্যাপটপ বন্ধ করে উঠে যায় দরজা বন্ধ করতে। ওমা! দরজা তো বন্ধই আছে! সুতপা ‘অ্যাবসার্ড!’ বলে মাথা নাড়তে নাড়তে ফিরে আসে শোবার ঘরে। ল্যাপটপটাকে ডোরিনার বিছানায় রেখে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ে।
হঠাৎ শব্দে বোঝে সরু রড রেলিংয়ে মারতে মারতে ঝড়ের গতিতে কেউ সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসছে। আবার কলিং বেল বেজে ওঠে। বাইরে থেকে দরজা খোলার শব্দ হয়। অন্ধকারের মধ্যে সুতপা বলে ওঠে, ‘কে?’
গৌতম চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৭৩ সালে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে। সফটঅয়্যার প্রোগ্রামার হিসেবে কর্মজীবনের শুরু। এখন পেশায় সফটঅয়্যার মার্কেটিং ম্যানেজার। বর্তমানে কলকাতাবাসী। কিছু সময়ের জন্য 'একালের রক্তকরবী' পত্রিকার সহ-সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেছেন। মূলত ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক।