ছোট থেকেই বাবার হাতে নির্যাতন চলত অবিরাম। তেরো বছর বয়সে স্বামীর ঘর করতে আসা। সেখানেও চরম মোহভঙ্গ এবং অকথ্য শারীরিক মানসিক অত্যাচার। তারপর কোলে ছোট ছোট সন্তান নিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়া কাজের সন্ধানে। কী কাজ? লোকের বাড়ি বাড়ি বাসন মাজা-ঘর মোছা-কাপড় কাচা… ভাল বাংলায় বললে পরিচারিকার কাজ, যাকে ইংরেজিতে কায়দা করে আমরা বলে থাকি ‘হাউজ় হেল্প’। কিন্তু সেই সব পরিবারেও নিরন্তর শোষণের শিকার হয়েছেন। তবু হার মানেননি। আলো একদিন ফুটবেই, এই বিশ্বাসে অন্ধকার ভেঙে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হলেও হেঁটে গিয়েছেন বেবি হালদার।
এ গল্প আমাদের খুব চেনা। কিন্তু যেটা চেনা নয়, তা হল এই সাহস, নিয়তির কাছে আত্মসমর্পণ না-করার এই শপথ। আর শেষমেশ নিজের গল্প নিজে বলবেন বলে কলম তুলে নেওয়ার কাজটাও এর আগে দেখেনি বাঙালি তথা ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজ। তিনি লেখক নন। কিন্তু শখ করেও লিখতে আসেননি। তিনি স্পষ্ট করে বলতে চান তাঁর শোষণ নিপীড়নের আখ্যান, বার্তা দিতে চান এর বিরুদ্ধে, চান সহজ ভাষায় সরল আবেগের স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
বেবির লড়াই শুরু হয়েছিল যখন তিনি প্রকৃতই ‘বেবি’ বা শিশু। আদি বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদে। বাবা ছিলেন ঘোর মদ্যপ। ফলে মা ঘর ছেড়েছিলেন বেবির চার বছর বয়সে। ঘরে এলেন সৎ মা, যিনি বেবিকে স্পষ্টতই বোঝা মনে করতেন। মুর্শিদাবাদ ছেড়ে বাবা ঘর বাঁধলেন দুর্গাপুরে। আর তারপর তেরো বছর বয়সেই বেবির বিয়ে ঠিক হল। স্বামী বেবির থেকে বছর চোদ্দোর বড়। বিয়ের পরে পরেই বেবির কোলে আসতে লাগল সন্তান। আর একইসঙ্গে চলতে লাগল স্বামীর অত্যাচার। অবশেষে একদিন ১৯৯৯ সালে, মাত্র ২৫ বছর বয়সে, দুই ছেলে সুবোধ ও তাপস এবং এক মেয়ে পিয়াকে নিয়ে ঘর ছাড়েন বেবি।

কোনওক্রমে ট্রেনে উঠে পাড়ি দিলেন অজানা শহরে। দিল্লি। সেখানে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতে শুরু করলেন। নইলে অজানা শহরে ছেলেমেয়ের মুখে তুলে দেবেন কী? ২০১৫ সালে এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেবি নিজেই বলেন, ‘লোকের বাড়িতে বাসন মেজেছি। ঘর মুছেছি। একজন পরিচারিকে যা-যা করতে হয়, করেছি। কিন্তু, যাঁদের যাঁদের বাড়িতে কাজ করেছি, তাঁদের সবার ব্যবহার কিন্তু ভালো ছিল না। তিন সন্তানদের মুখ চেয়ে সেই দুর্ব্যবহার সহ্য করতে হয়েছে। না হলে, ওরা বড় হবে কী করে? খাওয়াব কী?’
বেবির জীবনে নতুন বাঁক আসে গুড়গাঁওতে ৮০ বছরের অবসরপ্রাপ্ত ভূবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রবোধকুমার শ্রীবাস্তবের বাড়িতে কাজ করতে এসে। তিনি প্রখ্যাত হিন্দি সাহিত্যিক মুন্সি প্রেমচন্দের নাতিও বটে। তিনিই বেবির লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহের কথা প্রথম লক্ষ করেন। বেবি ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন গ্রামে থাকতে। অধ্যাপক শ্রীবাস্তব তাঁর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন, নিজের জীবনের গল্প সকলকে শোনাতে চান বেবি।
শ্রীবাস্তবেরই উৎসাহে বেবি কাগজ কলম হাতে তুলে নেন। তারপর যোগাযোগ হয় জ়ুবান বুকস-এর (পেঙ্গুইন প্রকাশনা) কর্ণধার শ্রীমতি ঊর্বশী বুটালিয়ার সঙ্গে। এঁদের দু’জনের উৎসাহেই বেবি মাতৃভাষায় লিখতে শুরু করেন নিজের কথা। ২০০২ সালে ‘আলো আঁধারি’ নামে সেই বই প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেস্টসেলার তালিকায় নাম তুলে নেয়। শ্রীবাস্তব নিজে তার হিন্দি অনুবাদ করেন। ২০০৬ সালে ইংরিজি অনুবাদ করেন ঊর্বশী স্বয়ং। নাম দেন – A Life Less Ordinary: A Memoir।

তবে শুধু ইংরেজি নয়, বিশ্বের মোট বারোটি ভাষায় অনূদিত হয় বেবির বই। হইচই পড়ে যায় সাহিত্যমহলে। দুনিয়ার সেরা বইমেলা, সাহিত্যসভায় আমন্ত্রিত হতে থাকেন তিনি। কিন্তু সেইসব মঞ্চে নিজেকে কখনও লেখিকা হিসেবে পরিচয় দিতে চাননি বেবি। তাঁর নিজস্ব যাপনের মতোই অনন্য এক ভঙ্গিমায় বলেছেন, ‘আমি একজন গৃহকর্মী, লেখক নই।’ এর মাঝখানে মাঝখানেই চলতে থাকে তাঁর লেখার কাজ। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় বই ‘ঈষৎ রূপান্তর।’ এখানেও নিজের জীবনের কথাই শুনিয়েছেন বেবি। তৃতীয় উপন্যাস ‘ঘরে ফেরার পথ’ প্রকাশিত হয় ২০১৪-তে। প্রত্যেকটি বইই বেস্টসেলার।
২০১৬ পর্যন্ত এই খ্যাতির আলোতেই আলোকিত হয়ে থেকেছে বেবির জীবন। কখনও সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার, কখনও টেলিভিশনের পর্দায় ডাক, কখনও লিট ফেস্ট, কখনও বই রিলিজ়ের অনুষ্ঠান। নিজের কথা শোনানোর জন্য ডাক পেয়েছেন দেশবিদেশের নানা জায়গায়। কিন্তু এত সাফল্যের পরেও পরিচারিকার কাজ ছাড়েননি বেবি। বারবার বলেছেন, ওটাই আমার কাজ, ওটাই আমার প্রেরণা। প্রবোধের কাছেই থেকে যান বেবি। তাঁকে নিজের বাবার মতো শ্রদ্ধা করেন। ভালবাসেন।

কিন্তু খ্যাতির এই ঔজ্জ্বল্য বেশিদিন তাঁর ভাল লাগেনি। তিনি মাটির মানুষ। সাধারণ, ঘরোয়া, লাজুক মেয়ের পরিচয়ই তাঁর আসল পরিচয় বলে মনে করেন বরাবর। তাই ২০১৬ সালের পর থেকেই ক্রমে লোকচক্ষুর অন্তরালে সরে যেতে থাকেন। অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল কলকাতায় এসে বাংলায় লেখালিখি করবার। এখানেই স্থায়ীভাবে থাকতেও চেয়েছেন তিনি। তাই একসময় সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। হালিশহরে একটা বাড়ি করেন নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে। এখন সেখানেই থাকেন। জীবনের অজস্র ঘাত-প্রতিঘাতও তাঁর অমলিন হাসিটির ঔজ্জ্বল্য ম্লান করতে পারেনি। তাঁর মুখোমুখি দোলনচাঁপা ভট্টাচার্য। সাক্ষাৎকারের কিয়দংশ রইল বাংলালাইভে।
দোলনচাঁপা: জীবন এখন কেমন চলছে?
বেবি: একদমই ভাল বলা যাচ্ছে না। অতিমারীতে অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। হাতে কোনও কাজ নেই। আমার ছেলেমেয়েরাও এর জেরে কাজ হারিয়েছে। হালিশহরে এই বাড়ি বানাতে আমার সমস্ত জমানো টাকা, বই থেকে পাওয়া রয়্যালটি খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন দিন আনি দিন খাই অবস্থা প্রায়।
দোলনচাঁপা: কোনও নতুন প্রজেক্টে কাজ করছেন কি?
বেবি: গত একবছর আমি কিছু লিখিনি। যদিও ভাবনার স্তরে রয়েছে অনেক কিছুই। শুরু করার কথা ভাবছি। আসলে এখনকার অবস্থাটা যে কোনও সৃজনশীল কাজের পক্ষে, ভাবনার পক্ষে এত প্রতিকূল যে বুঝে উঠতে পারছি না কতদূর বাস্তবায়িত হবে।

দোলনচাঁপা: আপনার বইগুলোর কথা বলুন।
বেবি: আমার বইগুলো তো আমারই জীবনের প্রতিফলন। আমার জীবনের যেসব ভয়াল অভিজ্ঞতা, সেগুলোর কথাই মূলত রয়েছে বইগুলোতে। তবে চেষ্টা করেছি অনুকম্পাপ্রার্থীর মতো ভাব না রাখতে। আমার প্রথম বই ‘আলো আঁধারি’ বাংলাতেই প্রকাশিত হয়। পরে তাতুস (আমার আশ্রয়দাতা প্রবোধকুমার শ্রীবাস্তবকে এ নামেই ডাকি। তাতুস মানে পোলিশ ভাষায় ‘বাবা’) সেই বই হিন্দিতে অনুবাদ করেন। আর ইংরিজিতে অনুবাদ করেন ঊর্বশীদি। সবগুলোই বেস্টসেলার হয়। তেরোটা বিদেশি ভাষা-সহ মোট একুশটা ভাষায় অনুবাদ হয় বইটি। খুব মিডিয়া-অ্যাটেনশন পেয়েছিল। আমার জীবন বদলে গিয়েছিল এক রাতে। অনেক খ্যাতি, ভালবাসা পেয়েছি। আমার দ্বিতীয় বই ‘ঈষৎ রূপান্তর’-ও আমার প্রতিবিম্ব বলা যায়। নিজের কথাই লিখেছি। তৃতীয় বইটির নাম ‘ঘরে ফেরার পথ।’
দোলনচাঁপা: আপনি কি কেবল নিজের কথাই লিখতে চান না অন্য বিষয়েও লেখার ইচ্ছে আছে?
বেবি: আমার অবশ্যই ইচ্ছে রয়েছে অন্য বিষয়ে লিখবার। কলকাতায় আসার পর আমি একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হই যারা সোনাগাছির লালবাতি এলাকায় কাজ করে। ওখানে যৌনকর্মীদের জীবন খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ওদের লড়াই, ওদের জীবন সম্পর্কে অনেককিছু জানতে পেরেছি। ওদের এক একজনের জীবনের গল্প ভয়ের সিনেমার চেয়েও ভয়ঙ্কর। গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার মতো। সেসব নিয়ে একটা বই লিখতে চাই। প্রকাশিত হলে এটা আমার চতুর্থ বই হবে।
দোলনচাঁপা: আপনার লেখক হয়ে ওঠার পেছনে কী অনুপ্রেরণা কাজ করেছিল?
বেবি: আসলে আমি নিজেকে লেখক বলিই না। বিখ্যাত তো নয়ই। আমি তো স্কুলের পড়াও শেষ করিনি। লেখক হবার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতাই আমার নেই। আমার পড়তে খুব ভাল লাগত। তসলিমা নাসরিনের ‘আমার মেয়েবেলা’ পড়ে আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। বলতে পারেন, ওই বইটাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল নিজের জীবনের ভয়াবহতার ইতিহাস লেখার জন্য। তবে তাতুস আর ঊর্বশীদি না থাকলে আমি এসব কিছুই করে উঠতে পারতাম না। বেস্টসেলার তো দূরের কথা, কোনওদিন একলাইনও লিখতাম কিনা সন্দেহ। এখন কলকাতায় এসে বিশিষ্ট লেখিকা অনিতা অগ্নিহোত্রীর কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পাই, স্নেহ পাই। উনি আমাকে পড়তে উৎসাহ দেন, ভাষার উপর যাতে দখল আসে, তার জন্য নানা উপদেশ দেন। আমার তো বানান ভুল হয় এখনও। সেসবও উনি শুধরে দেন।
এখন আমার শুধু লিখতেই ইচ্ছে করে। কটা মানুষ এ সুযোগ পায় বলুন? নিজের কথা বলার? আমি পেয়েছি সেই জমি। কিন্তু আমার মতো হাজার হাজার মেয়ে সমাজে রয়েছে, যারা অন্ধকারেই রয়েছে, যাদের কথা কেউ শোনে না। আমি তাদের নিয়ে লিখতে চাই, তাদের অবস্থান, যাপন, লড়াই নিয়ে।

দোলনচাঁপা: নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে এখন চতুর্দিকে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। আপনি কি সত্যিই মনে করেন আমাদের সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়িত হয়েছে?
বেবি: নারীর ক্ষমতায়ন কিছুটা যে হয়েছে, তাতে তো সন্দেহ নেই। আমিই তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। শহুরে মেয়েরা তো আজকাল খুবই পরিণত ভাবনার দিক থেকে, নিজেদের ভালমন্দ তারা যথেষ্ট বোঝে। আমার নিজের মেয়ের কথাই ধরুন। ও গুড়গাঁওতে চাকরি করে। ও বিয়ে করতে চায় না এখন। বলছে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে চায়। তবে গ্রামের দিকে অবস্থা খুবই খারাপ এখনও। বহু বহু মেয়ে এখনও সামাজিক বৈষম্য এবং নির্যাতনের শিকার এবং ক্ষমতায়ন নেই বলে নিঃশব্দে সব সহ্য করে। আমার বইগুলিতে এটাই দেখাবার চেষ্টা করেছি যে আমাদের বাড়িঘরে যারা কাজ করে, তাদের সম্পর্কে সমাজ কতখানি উদাসীন এবং অন্ধ।
দোলনচাঁপা: আপনার সন্তানেরা আপনার লেখক পেশা বেছে নেওয়াকে সমর্থন করে?
বেবি: আমার তিন সন্তান। দুই ছেলে, এক মেয়ে। আমার বড়ছেলে সুবোধ বহুবছর আগেই আমার স্বামীর কাছে ফিরে গিয়েছে। তবে আমার ছোট ছেলে তাপস এবং মেয়ে টিয়া খুবই সাপোর্ট করে আমাকে। আমার জন্য কিছুটা গর্বও আছে ওদের। আমাকে আরও লিখতে উৎসাহ দেয়।
দোলনচাঁপা: গৃহ পরিচারিকার কাজ করে লেখার জন্য সময় পেতেন কী করে?
বেবি: গোড়ার দিকে তো সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হত। তারপর গভীর রাতে লেখা নিয়ে বসতাম। তারপর ক্রমে কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু সময় বের করে নিতাম। প্রথম একশো পাতা লেখার পর তাতুসকে দেখাই, ওঁর পরামর্শ চাই। আসলে ততদিনে লেখা আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তখনও ভাবিনি যে এসব কোনওদিন বই হয়ে বেরবে।

দোলনচাঁপা: ভারতে, ভারতের বাইরে অনেক সাহিত্য উৎসবে আপনি যোগ দিয়েছেন। কিছু স্মরণীয় অভিজ্ঞতার কথা বলুন।
বেবি: হ্যাঁ লেখকের পরিচয়ে অনেক সাহিত্য উৎসবেই গিয়েছি। দেশে তো বটেই। বিদেশেও। ফ্রাংকফুর্ট, লন্ডন সাহিত্য উৎসবে গিয়েছি। দেশে জয়পুর লিট ফেস্টে অনেক সম্মান পেয়েছি যা কোনওদিন ভুলতে পারব না। খুব বিখ্যাত এক লেখিকা আমাকে এসে বলেছিলেন, ‘বেবি হালদার তো এখন একটা ফেনোমেনা। আমাদের বই কি আর কেউ পড়বে?’ আমি বলেছিলাম, ‘আপনি একজন বিশিষ্ট জনপ্রিয় লেখিকা। আপনার পাঠককুল বিশাল। আমার তো প্রথাগত শিক্ষাই নেই। আমি যা জীবনে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি, তাই লিখেছি। লোকের সেটা ভাল লেগেছে। বেবি হালদার হয়ে উঠতে গেলে আগে তো আপনাকে বেবি হালদারের জীবনটা বাঁচতে হবে!’
দোলনচাঁপা: এখন কীভাবে দিন কাটান?
বেবি: এখন তো হাতে অনেক সময়। লেখার উন্নতির পিছনে অনেকটাই সময় দিতে পারি। লকডাউনের সময় অনেক বই পড়েছি আমি। মহাশ্বেতা দেবী, আশাপূর্ণা দেবী, তসলিমা নাসরিন, অনিতা অগ্নিহোত্রী… এঁদের বই পড়লাম। ভাষার উপর দখল তৈরি করার চেষ্টা করছি এইভাবে। বানান শিখছি ভাল করে। সোনাগাছির যৌনকর্মীদের নিয়ে যে বইটির কথা বলছিলাম, তার ভাবনাও শুরু করেছি।
*ছবি সৌজন্য: benence.net, thebetterindia.com, hindubusinessline
দীর্ঘ পনের বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন একাধিক সংবাদপত্র ও খবরের টেলিভিশন চ্যানেলে। এছাড়াও দোলনচাঁপা একজন ভয়েসওভার শিল্পী হিসেবে বিজ্ঞাপন ও ছবিতে কণ্ঠস্বর দিয়ে থাকেন। বর্তমান ঠিকানা দিল্লি।