আমার নাম টিপু। ভালো নাম দেবাদ্রি রায়। নার্সারি ওয়ানে পড়ি।
স্কুল তো বন্ধ। কত্তদিন যাই না। বাড়িতে পড়া করি। দাদানের কাছে রাম-রাবণের যুদ্ধের গল্প শুনি আর বাবামের সঙ্গে আমি তারা দেখি।
রাত্তিরবেলা ছাদে উঠলে তারা দেখা যায়। মার্স, স্যাটার্ন, জুপিটার সঅঅঅব দেখেছি।
দুর্গাপুজো হল না কয়েকদিন আগে? আমি মা দুর্গাকে দেখলাম। অসুরকে ত্রিশূল দিয়ে ঘ্যাঁচাং করে মেরে দিচ্ছে। আর ওমনি ঢাক বাজছে।
কিন্তু এ বার বেশি ঠাকুর দেখা হয়নি। সবাই তো মাস্ক পরে আছে! শুধু মা দুর্গা মাস্ক পরেনি। অসুরও পরেনি।
মা দুর্গা একটা হাঁ করা সিংহের ওপর দাঁড়িয়েছিল, জানো! সিংহটা একদম নড়াচড়া করছে না। করলেই মা দুর্গা তো ধপাস করে পড়ে যাবে! আর অসুরটা পালিয়ে যাবে।
আসলে মা দুর্গার গায়ে আয়রন ম্যানের মতো জোর। আমার গায়েও। আমি তো বড় হয়ে আয়রন ম্যান হব। আর দুষ্টু লোক দেখলেই সাঁই সাঁই করে মারব।
আমি রোজ করলা খাই। মা বলেছে ওটা হেলদি ফুড। হেলদি ফুড খেলে গায়ে খুব জোর হয়। করলা খেলেই আমি আয়রন ম্যানের মতো কবচ বানাতে পারব আর সোজা আকাশে উড়ে যাব।
আমি মা দুর্গা, সিংহ আর অসুরকে এঁকেছি। আর সামনে অনেক পুজো হচ্ছে সেটাও এঁকেছি।
*দেবাদ্রির বক্তব্যের ভিত্তিতে অনুলিখন করেছেন পল্লবী মজুমদার।
দেবাদ্রি বাল নিলয় স্কুলে নার্সারি ওয়ানের ছাত্র। বয়স চার। মায়ের সঙ্গে কাঁচি আঠা হাতে ক্রাফট করা আর ছবি আঁকা তার ভারি পছন্দ। আর পছন্দ গপ্পো শোনা। চিকেন আর 'বিরোয়ানি' খেতে খুব ভালোবাসে দেবাদ্রি। তবে তেতোও খেয়ে নেয় লক্ষ্মীছেলের মতো। বড় হয়ে কিনা তাকে আয়রন ম্যান হতে হবে! তাই সবকিছু খায়।
2 Responses
দারুন ব্যাপার তো…. অনেক আদর টিপু ♥️♥️
একদিন সে মস্ত বড় হবে, আমাদের ছোট্ট সুপারহিরো 💙