হাইওয়ে
প্রতিটি কবিতা নাগরিক
প্রতিটি অক্ষরে মেশে পিচ আর লরীর আঘাত
লোহার শেকলে জীর্ণ লেপার্ড শরীর
লালা, থুতু, বমি মেখে ঘরে ফেরে রোজ
ফ্লুরোসেন্ট চোখে দেখে চষির পায়েস
ঘুম পায় তার… চোখ মেলে চেয়ে থাকে মৃত ধানক্ষেত
জখম ডানায়
নাট্য
সে আসে যেমন করে
হাওয়া
সে যায় তেমন করে
রোদ
রাস্তায় শুয়ে থাকে গোধূলির
ভাষা
রাস্তায় শুয়ে থাকে
মন
মঞ্চ
গল্পে অথচ প্রথম…
রক্তের কাছাকাছি হেঁটে যাওয়া যত অভিনয়
উদ্দেশ্য সফল হলে জলে ভরে শহরের চোখ
অথচ, আসলে মৃত
চরিত্র হিসেবে কোনওদিন
নগর বোঝেনি তাকে…
কতটুকু ক্ষত। কতটুকু অভিনয় ছিল
করুণাময়ী, নির্মিত হও
অতটাও প্রিয় নয় শোক; দীর্ঘস্থায়ী।
অভিনয়ে নিপুণ বিষন্ন
অন্ধত্বের ভান করে পড়ে থাকা চারণের শব
কোজাগরী চোখ
হলুদ থালায় ভাসে জমা মৃতমুখ
ফাঁদে দিই শস্যকণা… জল… তৃষ্ণা নিবারক…
করুণাময়ী, নির্মিত হও
বছর কাটিয়ে ফেরো মঞ্চে… ভূমিকায়
চিত্রগুপ্ত
ফালাফালা বুক আর সামান্য জলের ফাঁদ
কীভাবে শেখাবে তাকে বিষবৃক্ষ… আরোগ্-নিদান
বাঁকের আড়ালে এসে স্রোত তার বিপরীতগামী
সমস্ত হত্যার কাছে ধারালো খুনের পটভূমি…
আঁকে শোক, উড়ানো খইয়ের গুড়ো…
দৃশ্যের আড়াল টেনে কথা বলো মৃদু, অন্তর্যামী
*ছবি সৌজন্য: Pixels, Fineartamerica