কষ্টের কথা শুনলে মানুষ কিছুক্ষণ দুঃখী মুখে থাকে
তারপর স্নানে যায়, খেতে বসে, যা যা কাজ বাকি ছিল
সেসবেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মানুষের জীবনে তো তেমন আমোদ
নেই। বিনোদন নেই। তারা তাই অবসর পেলে
কষ্টের কথাগুলি কাগজের বলের মত গোল্লা করে
পরস্পর লোফালুফি করে, বেলুনের মতো তাকে
ওড়ায় বাতাসে। সংসারে এমনই নিয়ম। কষ্টের কথা যদি
মানুষকে ভুল করে বলে ফ্যালো, তবে নির্ঘাৎ জেনো
আগামী মরসুমে সেসব কথার নাড়িভুঁড়ি কাক-চিল
মুখে করে ছড়াবে শহরে। তার চেয়ে ভালো, চুপ করো।
চুপ হও। কথা যা বলার ছিল, একা গিয়ে বলে দাও
সিলিংফ্যানের কাছে, নদীর শান্ত ঘাটে, লেভেল ক্রসিংয়ে…
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করছেন। অনর্থনীতির উপাসক। নিবাস কোন্নগর। হাজরাতে দোল খেলার সুযোগ ঘটেনি, তবে পাঁজরাতে চোরা মফস্বল পুষে রাখার বদভ্যাস আছে। কবিতা ও কুকুরের সঙ্গে কোন নগরে সময় কাটান তা কেউ জানে না। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'ভাঙা বিকেলের টুকরো'।