তাঁর নাম জন হেনরি নয়। কিন্তু পোলান্ডের মার্সিন জিয়েনস্কির কাহিনি জন হেনরিকে মনে পড়িয়ে দেবেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার সেই কালো মানুষ, যাঁর গল্প মুখে মুখে ফিরত, যাঁকে নিয়ে গান বাঁধা হয়েছিল, পেশীর শক্তি দিয়ে মেশিনকে হারিয়ে দেওয়ার গল্প। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গানে জন হেনরি বাঙালিরও খুব চেনা, অনেকেই হয়তো আজও মে দিবসের সকালে নিজের অজান্তে গুনগুন করে ওঠেন, ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’।
মার্সিন জিয়েনস্কি পাথর কাটার মেশিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, তাঁর লড়াই এলিভেটর বা লিফ্টের সঙ্গে। ছাব্বিশ বছরের এই তরুণ সম্প্রতি পোলান্ডের রাজধানী ওয়ারস’ শহরে একটি হোটেলে ছ’তলায় উঠেছেন লিফ্টের আগে। ছ’তলা মানে ২৩ মিটার। এতটা পথ চড়াই ভাঙতে তাঁর সময় লেগেছে ১২.১২ সেকেন্ড। এমন প্রতিযোগিতা দেখতে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। লিফ্টটিকে আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছিল। প্রতিযোগীদের মধ্যে হাড়াহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে জয়ী হন মার্সিন।
এমন কাণ্ড হঠাৎ করা যায় না। মার্সিনকে এমন রেকর্ড করার জন্যে অনেক দিন ধরে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তিনি ছোটবেলা থেকেই বাড়ির বাগানে আপেল গাছে চড়ে নিজেকে স্পিড ক্লাইম্বিংয়ের, মানে দ্রুত চড়াই ভাঙার প্রতিযোগিতায় খুব দক্ষ তৈরি করেছিলেন। সকলকে হারিয়ে প্রথম হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে স্পিড ক্লাইম্বিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এখনও এই প্রতিযোগিতার নাম কম লোকে জানে, কিন্তু শিগগিরই এর পরিচিতি অনেক বাড়বে, কারণ সামনের বছর টোকিও অলিম্পিক্সে স্পিড ক্লাইম্বিংও স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।