সুদিন আসবে না জানি
তাও আনাজের ঝুড়ি নিয়ে
ওরা হেঁটে যায় বাইপাস ধরে
ঝাঁ চকচকে এই শহর আর তার
বৈভবের ঘরে বড় বেমানান ঠেকে
ছেঁড়া শাড়ি, ময়লা চটি
খুব সস্তা তেলের গন্ধে ম-ম,
গা বমি করা ঝুড়িওয়ালিটাকে
ঘাম লেগে যেতে ঘেন্না করেছি কত।
সুদিন আসবে না জানি,
এই ভাবেই ধনী এই শহরের ফুটপাথে
বসে ওরা ফেরি করে একবেলার
আধপেটা খিদেওলা সন্তানের দায়,
সুদিন আসবে না জানি.
রাতের সংগম আর মদ-খেকো সব
অন্য ঘর থেকে ফেরা পুরুষ মানুষেরা
ধুঁকতে ধুঁকতে চেয়ে নেবে
ভালোবাসা ছাড়া বেহায়া স্বামীর মার।
সুদিন আসবে না জানি,
আনাজওয়ালির ঝুলে যাওয়া শুকনো বুকে
দারিদ্র আর অবহেলার দুধ,
প্রাণ ভরে খুঁটে খায় কোলের শিশু
ব্যর্থক্ষয় অতীত মুছেছে যার
সুদিন আসবে না জানি।
তবু কবিতা আঁকি বৃষ্টির এই শহরে
ভালোবাসার কবিতা লিখতে বসে
আমার কেবল ফুটপাথ আর
ন্যাংটো শিশুদের হাত পাতা মনে পড়ে।
জন্ম শিলিগুড়িতে হলেও বেড়ে ওঠা হাওড়ার বালিতে। মফসসলের জীবন থেকে বেঁচে থাকার সংগ্রহ করা চলত প্রতিনিয়ত। সেগুলোই এক দিন কবিতা হয়ে ওঠে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সংস্কৃতে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। পড়া শেষ করে যোগ দেন সাংবাদিকতায়। বর্তমানে আনন্দবাজার পত্রিকায় কর্মরত। ভালবাসেন শব্দ দিয়ে মানুষের কথা লিখে রাখতে।