কার ফেলে রাখা বই পড়ে বোবা-ঘাস? নিশিপ্রহরের ঘণ্টা বাজছে
আর কয়েক প্রহর আয়ু। তার আগে মহিষের দাঁত
পৃষ্ঠাগুলি ছুঁয়ে গেছে; ছিন্ন প্রবেশক…
ছিন্ন শেষপাতা
শিশিরে ভিজেছে লালাসিক্ত অক্ষরের সার
আধ-ফোটা অপরাজিতায় শেষ ফোঁড়- এই সূচী-শিৎকার
কাহিনির মতো হোক। এই চরাচর বন্ধ-ঘর। তোমাকে জড়াই
আর শুনি ধ্বনিময় গুহা… তারপর স্তব্ধ পথ, শান্ত পথ
সৌরমথ এসে বসে তামস পাতায়
ক্রমশ বিলীন গ্রন্থ। বর্ণলোপ। শেষ পাঠকের মৃত্যু ঘটে যায়।
ছবি সৌজন্য: Maxpixel
পার্থজিৎ চন্দের কবি হিসাবে আত্মপ্রকাশ শূন্য দশকের প্রথম দিকে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ছদ্মনকশা ও প্রসাদের গান’ প্রকাশিত হয়েছিল ‘কৃত্তিবাস’ থেকে। তারপর একাদিক্রমে প্রকাশিত হয়েছে
মেষপালকের ডায়েরি, বালিঝড় ও কেবিন বয়, ধান্যলক্ষ্মী, ক্যাসিনোয় লেখা
কবিতা, বাংলা, পর্ণশবরী, দূরগামী আলোর শরীর, মেফিস্টফেলিস ও নরসুন্দর
ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে গল্প গ্রন্থ ‘আটলান্টিক ও অক্টোপাস’। প্রকাশিত প্রবন্ধ-গ্রন্থের সংখ্যা দুই। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। প্রিয় বিনোদন গান শোনা ও ছবি দেখা।