পুজো প্রায় এসেই গেল। আর পুজো মানেই তো সুন্দর করে সেজে ওঠা। কেমন হবে এবারের পুজোর সাজগোজ। জানালেন ডিজাইনার পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আপনার কাছে পুজো মানে কী?
পুজো আমার কাছে একটা বিশাল গেট টুগেদার। সারা বছর কারওর সঙ্গে সেভাবে দেখা হয় না। ফলে পুজোর সময় আমাদের প্ল্যান হয়, কে কীভাবে কোন শহর থেকে কবে কলকাতায় আসছে। সন্ধেবেলা প্রতি দিন কারওর না কারও বাড়িতে আড্ডা বসে। এখন তো স্বামীর বন্ধুরাও আমার বন্ধু, ফলে নেটওয়র্ক বেড়েই চলেছে। আমার বন্ধুরা আবার ওঁর বন্ধু। এখন আমাদের গ্রুপ যে কত বড়, তা বলে বোঝাতে পারব না। সারা বছর তো সেভাবে গল্প করা হয় না, তো এই সময়টার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করি। প্যান্ডল ঘুরে ঠাকুর সেভাবে দেখা হয় না। তবে আমার পাড়ার পুজো, ম্যাডক্স স্কোয়্যারের পুজোতে যাই-ই-যাই। সকালে অঞ্জলি দিতে যাই। অনেকটা সময় কাটাই। সবচেয়ে ভাল লাগে থিম পুজোর ভিড়ে ওরা এখনও সনাতন ঐতিহ্য আঁকড়ে আছে। এখনও একচালার ঠাকুর করে।
নতুন জামাকাপড় কেনেন পুজো উপলক্ষ্যে?
সত্যি কথা বলতে পুজোর জন্য আলাদা করে পোশাক কেনা হয় না। সারা বছরই এখন নতুন জামা কিনি। কিন্তু পুজোর সময় আমি ম্যাচ করে ব্লাউজটা অবশ্যই করাই। কোন শাড়ি কোনদিন পরব, তার সঙ্গে কী ব্লাউজ পরব, কেমন করে সাজব তা আগে থেকেই ঠিক করে ফেলি। সারা বছর যা ইচ্ছে পরলেও এই ক’টা দিন সাজপোশাক নিয়ে ভাবি। ট্র্যাডিশনাল শাড়ি পরতেই ভাল লাগে।
তার মানে কোনদিন কী পরবেন, ঠিক করে ফেলেছেন?
অলমোস্ট। তবে এখনও সব ব্লাউজ পায়নি। দর্জিদের মর্জি তো কবে পাব কে জানে!
আপনি কি নিজের লেবেলই পরেন?
না, আলাদা আলাদা জায়গা থেকেও পোশাক কিনি। ক্র্যাফ্ট কাউন্সিলের এগজিবিশন থেকে কিনি। আবার কখনও হয়তো দিল্লি গেলাম, ওখানকার কটেজ ইন্ডাস্ট্রি থেকে কিনলাম। সারা বছর কেনাকাটা চলতেই থাকে। সেগুলো রয়েই যাই। বিশেষ করে পুজোতেই বার করি।
পুজোয় আপনার নতুন কালেকশনের ব্যাপারে যদি বলেন…
পুজোতে এবারে ব্লিং কালেকশন বানিয়েছি। খুব বোল্ড রং ব্যবহার করেছি, জরির কাজ করেছি। ভীষণ উজ্জ্বল রঙের উপর জরির কাজ করিয়েছি। পান্না সবুজ, সরষে হলুদ, কেশর রং, কুমড়োর রং, মরচে রং সব ব্যবহার করেছি। তারপর হলুদবাটার যে রংটা হয় সে রঙের পোশাকও বানিয়েছি। পানপাতা সবুজ রং আমার খুব প্রিয়। আমার বিয়ের শাড়ি ছিল পানপাতা রঙের। খুব ট্র্যাডিশনাল বেনারসি। বেনারসে খুব এই রঙের চল আছে। ওখানে এর উপর মিনাকারি করা হয়, আমরা বাঙালি রীতি মেনেই জামদানি করেছি, জরি বুনেছি। রায়ট অব কালারস বলতে পারেন আমার এবারের কালেকশন। বরাবরের মতো এবারেও মিক্স অ্যান্ড ম্যাচের উপর জোর দিয়েছি। আমাদের পোশাক সেট হিসেবেও পরা যায় আবার আলাদাও পরা যায়। যেমন ড্রেস ডাউন করতে চাইলে উজ্জ্বল রঙের টপের সঙ্গে নিজের অফ হোয়াইট পাজামা পরাই যাবে। এই ভার্সেটিলিটিটা আমাদের ইউএসপি।
শাড়ি বানিয়েছেন?
একদম সিল্ক আর মটকায়। একটু ভারী শড়ি। এগুলোর সঙ্গে জরি খুব ভাল যায়। জামদানি ঘেঁষা নয়, কালার ব্লকের উপর জোর দিয়েছি। আঁচল একটা রঙের, জমি আলাদা রঙের, কখনও হাফ অ্যান্ড হাফ। আমি যে ধরনের শাড়ি বানাই তার চেয়ে আলাদা এবারের শাড়িগুলো। অনেকটাই ভারী। আমি নাম দিয়েছি কাঞ্জিভরম ফ্রম আস। মানে আওর ভার্সান অব কাঞ্জিভরম। দশ ইঞ্চি জরির পাড় আছে শাড়িগুলোয়। আঁচলটাও জরির।
এতো একেবারেই আপনার ঘরানা পোশাক নয়, এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটা কেন নিলেন?
আসলে আমাদের এরকম অনেক ক্লায়েন্ট আছেন, যাঁরা আমাদের শাড়ি খুব পছন্দ করেন পরতে, কিন্তু পুজোর সময় শুধুই সুতি বা লিনেন তাঁরা পরতে চান না। এঁরা সকলেই বাইরে থাকেন। একটু ভারী শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। এই শাড়িগুলো হাতে বোনা কিন্তু মটকা আর সিল্ক বলে দেখতে অনেক রিচ লাগে। পুরো লুকটাই ফেস্টিভ ভীষণ। এই শাড়িগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠান, উৎসবে পরার জন্য আদর্শ। প্রসঙ্গত বলি একজন বৌমা তাঁর ৯০ বছর বয়সের শাশুড়ির জন্য এই কালেকশন থেকে একটা শাড়ি নিয়েছেন দিওয়ালির উপহার হিসেবে। উনি লাল বা সোনালি রং পরতে চাননি। উনি কাঁচা হলুদ রঙের শাড়ি বেছেছেন যার উপর সাদা সুতো দিয়ে জামদানি কাজ করা আছে। অ্যান্ড শি ইজ সো হ্যাপি।
আচ্ছা অষ্টমীর সন্ধেবেলার কেমন সাজা উচিত বলে আপনি মনে করছেন?
আমি সাধারণত অষ্টমীর দিন সাদা-লাল শাড়ি পরতে ভালবাসি। কিন্তু এবারে আমি চাই না কেউ সাদা পরুক। আমি চাই খুব উজ্জ্বল রঙের শাড়ি পরুন সকলেই। কমলা, সবুজ, হলুদ রঙের শাড়ি আর তার সঙ্গে কনট্রাস্টিং সোনালি রঙের ব্লাউজ, সোনালি গয়না। যাঁদের কাঞ্জিভরমগুলো তোলা আছে, তাঁদের বলব প্লিজ বার করুন। অষ্টমীর সাজ সবচেয়ে জমজমাট হলে আমার ভাল লাগে। আমি বলব এবারের অষ্টমী লুক শুড বি অল গোল্ড।
আপনার মতে কোন তারকা আপনার পোশাক সবচেয়ে সুন্দর করে ক্য়ারি করতে পারবেন?
কঠিন প্রশ্ন করলেন। আমি চাইব শুভা মুদগল আমাদের শাড়ি পরুন। উনি ভীষণ সুন্দর শাড়ি পরেন। ওঁর একটা আলাদা ঘরানা আছে। আবার চাইব নন্দিতা দাসও আমাদের শাড়ি পরুন। ওঁর স্টাইল আবার খুব আন্ডারস্টেটেড। আর কলকাতার মধ্যে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় শাড়ি দারুণভাবে স্টাইল করতে পারেন। শাড়ি যে কতভাবে পরা যায়, তা কিন্তু উনি দেখিয়ে দেন।
" data-author-type="
Warning: Undefined array key "type" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/html-layout.php on line 18
" data-author-archived="
Warning: Undefined array key "archived" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/html-layout.php on line 19
">
Warning: Undefined array key "id" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/html-layout.php on line 39
-"
Warning: Undefined array key "archive" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/html-layout.php on line 40
itemscope itemid="" itemtype="https://schema.org/Person" >
Warning: Undefined array key "img" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-avatar.php on line 4
Warning: Undefined array key "show_social_web" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-socialmedia.php on line 6
Warning: Undefined array key "show_social_mail" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-socialmedia.php on line 7
Warning: Undefined array key "show_social_phone" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-socialmedia.php on line 8
Warning: Undefined array key "type" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-name.php on line 17
Warning: Undefined array key "type" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-name.php on line 19
Warning: Undefined array key "type" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-name.php on line 21
Warning: Undefined array key "archive" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-name.php on line 37
Warning: Undefined array key "name" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-name.php on line 41
Warning: Undefined array key "job" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-meta.php on line 10
Warning: Undefined array key "job" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-meta.php on line 15
Warning: Undefined array key "company" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-meta.php on line 17
Warning: Undefined array key "phone" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-meta.php on line 26
Warning: Undefined array key "mail" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-meta.php on line 36
Warning: Undefined array key "web" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-meta.php on line 46
Warning: Undefined array key "bio" in /www/banglalivecom_170/public/wp-content/plugins/molongui-authorship/views/author-box/parts/html-bio.php on line 8