আমার নাম অনিমান। আজকে আমি স্বামী বিবেকানন্দের সেই ছোটবেলার গল্পটা বলব।
স্বামী বিবেকানন্দের ছোটবেলার নাম ছিল বিলে। বীরেশ্বর শিবের বরে ছেলেকে পেয়েছিলেন বলে মা ছেলের নাম রেখেছিলেন বীরেশ্বর। কিন্তু এত বড় নাম ধরে কি কেউ ছোট ছেলেকে ডাকে? বাড়িতে তাই সবাই তাকে বিলে বলেই ডাকত। কিছুদিন পর মুখেভাতের সময় তার ভাল নাম দেওয়া হল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। কিন্তু বাড়িতে সবাই বিলেই বলত।
ছেলেবেলায় বিলে বড় দুরন্ত ছিল। সে কী দুষ্টুমি বাপ রে বাপ। তাকে সামলাতে মা-দিদি সবাই হিমশিম খেয়ে যেত। দিদিরা ধরতে গেলে বিলে একছুটে নর্দমার ভিতরে নেমে গিয়ে দাঁড়িতে থাকত। সে জানে, সেখানে দিদিরা কেউ যাবে না। এলে তাদের স্নান করতে হবে যে!
মাঝে মাঝে আবার বিলে ভয়ানক রেগেও যেত। তখন একটা কাণ্ড করে বসত। যা সামনে পেত তাই ভেঙে চুরমার করে ফেলত। মা মাঝেমাঝে হেসে বলতেন, শিবঠাকুরের কাছে ছেলে চাইলাম। তা তিনি নিজে তো এলেন না, পাঠালেন তাঁর চেলা একটা ভূতকে। ছেলেকে শান্ত করার একটা অদ্ভুত উপায় বের করেছিলেন মা। বিলের দুরন্তপনা যখন খুব বেড়ে যেত, বা সে খুব রেগে যেত, মা কয়েকঘটি জল এনে তার মাথায় ঢেলে দিতেন আর শিবের নাম করতেন। বিলে সত্যিই তাতে একেবারে শান্ত হয়ে যেত। কখনও আবার মা বিলেকে বলতেন, এ রকম দুষ্টুমি করলে শিব তোকে আর কৈলাসে যেতে দেবেন না। তাতেও বিলে শান্ত হত।
আমি আমার খাতায় সেই ছোট্ট বিলের দুষ্টুমির ছবি এঁকেছি। মা তার মাথায় জল ঢেলে দিচ্ছেন সেই ছবিটাও এঁকেছি।
* অনিমানের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে লিখে দিয়েছেন পল্লবী মজুমদার
দশ বছরের অনিমান যেন ফুটফুটে এক রাজকুমার। নিজের জগতে তার সভাসদেরা হল টিনটিন, হ্যারি পটার আর আ্যভেন্জারস্। রাজপুত্রের পছন্দের প্রাণি আবার সাপ। ছোট থেকেই যে কোনও গাড়ি দেখে তার নাম বলে দিতে পারত সে। তবে রাজকুমারের মনটা যেন গলা মোম, এক্কেবারে তপতপে।
One Response
অনিমান, তুমি ভীষণ ভাল এঁকেছ। ইসসস! আমি যদি এমন সুন্দর আঁকতে পারতাম! তুমি ভাল থেকো।