১১৩০০ ফুট উচ্চতায় চিটকুল গ্রামটা খুবই ছোট। গণনা অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু এখানে কেউ স্থায়ীভাবে থাকে না। শীতের কয়েকটা মাস, যখন এখানকার সবকিছু বরফে ঢাকা পড়ে যায়, তখন এখানকার অধিবাসীরা নীচের দিকে নেমে যায়। আবার বরফ গললে ফিরে আসে। এবারে আমরাই ছিলাম সম্ভবতঃ শেষ পর্যটক দল। চিটকুলের একদিকে বরফের পাহাড় আর অন্যদিকে বসপা নদী, সবুজ তৃণভূমি আর ফলের বাগান। সব মিলিয়ে প্রকৃতি এখানে অপরূপা, আর তাই পর্যটকদের কাছে চিটকুলের এত আকর্ষণ।
অন্য দর্শনীয় স্থান বলতে এখানকার প্যাগোডা স্টাইলের মন্দির আর শ্লেট পাথরের ছাদওয়ালা ঘরবাড়ি। গ্রামটা মোটের উপর অপরিচ্ছন্ন। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে হোটেলের সংখ্যাও। কিন্তু এসব যারা বানিয়েছে, আর যে সরকারি বিভাগ এদের অনুমতি দিয়েছে তাদের সৌন্দর্যজ্ঞান না থাকায় এই ‘বিকাশ’ হয়েছে পরিকল্পনাহীন দৃষ্টিকটু। অথচ এই জায়গাটায় সহজেই গড়ে তোলা যেত চমৎকার একটা পর্যটন কেন্দ্র, এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে এবং স্থানীয় স্থাপত্যশৈলিকে মর্যাদা দিয়ে।
পরদিন যাত্রা করলাম আমাদের শেষ গন্তব্য কল্পার উদ্দেশ্যে। পথ একইরকম কিন্তু আরও একটু সরু। পথে রেকংপিওর বাজারে থামা হল। এই বাজারটা খুব বড় আর ব্যস্ত। আমাদের মধ্যে অনেকেই এখান থেকে কম্বল কিনলেন। এখানে কুলু শাল এবং পশমের অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায়। বাসস্ট্যান্ডের পাশে দেখি অনেক লোক বড় বড় ওজন করার মেশিন নিয়ে বসে আছে। জিজ্ঞাসা করে জানলাম যে আশপাশের গ্রাম থেকে চিলগোজা নিয়ে বিক্রেতারা আসবেন, আর এঁরা কিনবেন। চিলগোজা হচ্ছে পাইনের বাদাম। সংগ্রহ করা কঠিন, ফলে দামও খুব বেশি।

রেকংপিও থেকে কল্পা সামান্য কয়েক মাইলের পথ। এখানে আমরা উঠলাম ‘কিন্নর ভিলা’ বলে সুন্দর একটা হোটেলে। এর সব ঘর থেকেই দেখা যায় ‘কিন্নর-কৈলাস’-এর তুষারাবৃত সব শিখর, যেন সামান্য একটু হাঁটলেই পৌঁছে যাব সেখানে। হোটেলের বিরাট খোলা ছাদে রোদে বসে পাহাড় দেখেই কাটিয়ে দেওয়া যায় অনেকটা সময়।
লাঞ্চের পর দলের অন্য সবাই যখন ছাদে রোদ পোহাচ্ছে, আমরা দুজন বেরিয়ে পড়লাম গ্রাম ঘুরে দেখতে। উদ্দেশ্য ছবি তোলা এবং যদি এখানকার বিখ্যাত আপেল কিছু কেনা যায়, সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া। আপেল এখানে অজস্র, কিন্তু সেসবই বড় বড় ব্যাপারীরা আগাম কিনে রেখেছে। ট্রাকে বোঝাই হয়ে সেগুলো যাচ্ছে এখানকার মানুষের ভাষায় ‘কারখানায়’। সেখানে আপেলের সাইজ অনুযায়ী ভাগ করে এবং বাক্সে ভরে তাদের পাঠানো হবে দেশের অন্যত্র এবং বিদেশে। দেখলাম প্রায় সব আপেলই পাড়া হয়ে গেছে। কয়েকজন চাষি নিজেদের জন্য কিছু রেখেছেন। তাঁরা আমাদের আপেল খেয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানালেন, কিন্তু বিক্রি করবেন না। নিরাশ হয়ে হোটেলে ফিরলাম।

চিটকুল এগারো হাজার ফুটের উপরে, আর কল্পার উচ্চতা ন’হাজার সাতশ ফুটের বেশি। কিন্তু চিটকুলে আমরা গিয়েছিলাম একটু বেলায়, রোদের মধ্যে। ফলে থার্মোমিটার সাত ডিগ্রি দেখালেও আমরা অতটা বুঝতে পারিনি, যদিও সেখানে আগের দিনই বরফ পড়েছিল। কল্পাতে ওয়েদার রিপোর্ট যদিও দেখাচ্ছিল পাঁচ ডিগ্রি, বিকেল হতেই হাড়কাঁপানো শীত। বিকেলের অস্তগামী সূর্যের আলো কিন্নর-কৈলাসের শিখরে শিখরে প্রতিফলিত হয়ে যে অনৈসর্গিক দৃশ্য সৃষ্টি করেছিল তার জন্য আমি এর চাইতে আরও বেশি শীত সহ্য করতে রাজি। পরদিন ভোরে, তাপমাত্রা তখন এক ডিগ্রি সেলসিয়াস, প্রথমে ছাদ, পরে আমাদের বারান্দা থেকে সুর্যোদয়ের ছবি তোলা গেল। উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারিতেও পঞ্চচুল্লির অপূর্ব দৃশ্য পেয়েছিলাম; কিন্তু এখানে শৃঙ্গগুলো যেন আরও কাছে। দিগন্তের একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত বরফে ঢাকা গগনচূম্বী সব শিখর।
হিন্দু এবং বৌদ্ধ ভক্তদের কাছে কিন্নর-কৈলাসের মাহাত্ম্য এবং পবিত্রতা আসল কৈলাসের চেয়ে কম নয়। জোরকান্ডেন (২১,২৩৭ ফুট) এই পর্বতশ্রেণির সবচেয়ে উঁচু শিখর। যার নামে এর নাম, সেই কিন্নর-কৈলাস চূড়াটি কিন্তু একটু কম উচ্চতার, ১৯,৮৪৯ ফুট। এই শৃঙ্গটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা ৭৯ ফুট উঁচু একটা খাড়া প্রস্তরখন্ড, যেটি একটু লক্ষ্য করলেই চোখে পড়ে। এই ‘শিবলিঙ্গ’ই হচ্ছেন কিন্নর কৈলাস মহাদেব। এর একটু নীচেই আছে পার্বতী কুন্ড (১৪,৯০০ ফুট)। মানুষের বিশ্বাস, এই কুন্ড, কিন্নর কৈলাস শৃঙ্গ এবং আশেপাশের প্রস্তরময় অঞ্চলটি মহাদেব এবং পার্বতীর লীলাভূমি। প্রতি বছর বহু পূণ্যার্থী এই দুর্গম কিন্নর কৈলাস পরিক্রমা করেন। তবে ধর্মীয় মাহাত্ম্যের কথা বাদ দিলেও এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলনাহীন। কল্পার একমাত্র বড় রাস্তার উপর দাঁড়ালে দেখা যায়, তিনটি স্তর– উপরে আকাশছোঁয়া বরফ-সাদা পাহাড়ের শ্রেণি। তার নীচে ঘন সবুজ বনানী আর তারপরে গ্রামের ঘরবাড়ি আর আপেলের বাগান ও সবজির খেত।

পরদিন কল্পা এবং আশেপাশের গ্রামের কয়েকটা মন্দির আমরা দলবেঁধে দেখলাম। প্রথমেই গেলাম ব্রেলিঙ্গি বৌদ্ধ মঠে। মঠটা কল্পা থেকে সামান্য দূরে। বড় রাস্তা থেকে কিছুটা উপরে উঠতে হয়। মঠটির চোখে পড়ার মতো কোনও বৈশিষ্ট্য নেই। পাশেই রয়েছে বিরাট বুদ্ধমূর্তি, যেমন সব মঠেই থাকে। মঠের ভিতরে বৌদ্ধ দেবদেবীর মূর্তির সামনে ধূপ ধরানো হয়েছে দেখলাম। একপাশে রয়েছে ফ্রেমে বাঁধানো বর্তমান দলাই লামার ছবি এবং বাণী। এর পরে আমরা গেলাম কল্পা (পুরনো নাম ‘চিনি গ্রাম’) গ্রামের ভিতরে একটা প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরে। মন্দিরের চারদিকে তিব্বতী ভাষায় মন্ত্র লেখা জপযন্ত্র। ভিতরে নানা বৌদ্ধ দেবদেবীর মূর্তির সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বলছে। শুনলাম এটি বৌদ্ধ মন্দির হলেও এখানে নারায়ণের পুজোও হয়। মন্দিরের বাইরে প্রাঙ্গণের একধারে ভক্তেরা অনেক প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রসাদ হিসাবে আমাদের বিস্কুট ও ক্যান্ডি দেওয়া হল।

বৌদ্ধ মন্দিরের কাছেই ‘নারায়ণ-নাগিনী’ মন্দির। সেই একই প্যাগোডা শৈলীতে কাঠ ও পাথর দিয়ে তৈরি। ছাদ স্লেট পাথরের। মন্দিরের কাঠের কাজ অপূর্ব, আর এখান থেকে কিন্নর-কৈলাশের দৃশ্যও অপরূপ। মন্দির দেখে ফেরার রাস্তায় দেখি কোন এক ‘রায়বাবু’ এখানে বাঙালি খাবারের ‘হোটেল’ খুলে বসেছেন। সময়াভাবে তাঁর সঙ্গে আলাপ করা হল না। কিন্তু মনে মনে তাঁর প্রশংসা করলাম। এরকম প্রত্যন্ত এক জায়গায় আলুপোস্ত, ভাত, মাছ এবং অন্যান্য লোভনীয় সব পদ মেনুতে রাখা কি চাট্টিখানি কথা! আসলে এইসব অঞ্চলে পর্যটকদের সিংহভাগই মাছ আর পোস্তপাগল বাঙালি। স্থানীয় মানুষজনও প্রায় একশো ভাগ আমিষভোজী। কাজেই, রায়বাবু ভেবেচিন্তেই হোটেলটি খুলেছেন।
মন্দির পরিক্রমায় আমাদের শেষ গন্তব্য ছিল রোঘী গ্রামের হিন্দু মন্দির। পথে একটা দর্শনীয় স্থান ‘সুইসাইড পয়েন্ট’। একদিকে আকাশছোঁয়া পাহাড়ের দেওয়াল, আর অন্যদিকে অতলস্পর্শী খাদ যেখানে কয়েক হাজার ফুট নীচে শতদ্রু বয়ে চলেছে। মাঝে একফালি সঙ্কীর্ণ পিচের রাস্তা। ভারতের প্রায় সব হিল স্টেশনেই সাধারণত একটা করে ‘সুইসাইড পয়েন্ট’ থাকে। কিন্তু এখানে আমরা জায়গাটা দেখলাম গাড়ির ভিতর থেকে, যেহেতু এখানে গাড়ি থামাবার কোনও উপায় ছিলনা। আমি ও আমার স্ত্রী ঠিক করলাম যে আমরা দুপুরে খাওয়ার পরে হোটেল থেকে আড়াই কিলোমিটার হেঁটে এসে এখানটা ভাল করে ঘুরে দেখব। রোঘীর মন্দিরটাও এখানকার রীতি মেনে কাঠের তৈরি। ঘন নীল আকাশ আর তুষার-ধবল কিন্নর-কৈলাসের পশ্চাদপটে মন্দিরের চূড়াগুলোর দৃশ্য ভারী সুন্দর। এটি কোনও স্থানীয় গ্রাম্য দেবতার মন্দির বলে আমার মনে হল। কারণ, স্থানীয় কেউ এখানে কোন দেবতার পূজা হয় তা স্পষ্ট করে বলতে পারলেন না।

দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমাদের ছিল না। তাই চললাম সুইসাইড করার আদর্শ জায়াগাটা দেখতে। সাপের মতো আঁকাবাঁকা রাস্তা। সামান্য চড়াই-উৎরাই। আকাশ যেরকম নীল সেরকম দিল্লির মতো ধূলোভরা শহরে কল্পনাই করা যায় না। সেই নীলের পটভূমিতে দুপুরের রোদে বরফ-ঢাকা চূড়াগুলো ঝকঝক করছে। তাপমাত্রা সাত ডিগ্রি, কিন্ত ডানদিকের খাড়া পাহাড়ের ছায়া সরে গেলেই রোদ্দুরে মাথার চাঁদি ফেটে যাবার অবস্থা। একজায়গায় পথটা গেছে ছায়াঘেরা বিশাল বিশাল দেবদারুর বনের মধ্য দিয়ে। আমাদের বাঁদিকে শতদ্রু এত নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে, চেষ্টা করেও খালিচোখে তাকে দেখতে পেলাম না। জনহীন পথে দু-একটা গাড়ি। মাঝে মাঝে মানুষের আওয়াজ অবশ্য ছিল।

ধীরেসুস্থে আধঘণ্টার মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম সুইসাইড পয়েন্টে। এখানে একটু উঁচু করে রেলিং দেওয়া, আর ‘আই লভ কিন্নর’ লেখা হোর্ডিং। সূর্য সরাসরি মুখের উপর পড়েছে। এই জায়গাটায় খাদের ঢালটা এতটাই খাড়া আর গভীর যে ঝুঁকলে মাথা ঘুরে যায়। রোদ থেকে বাঁচার জন্য আমরা একটু এগিয়ে গেলাম রাস্তার বাঁকের দিকে, যেখানে পাহাড়ের ছায়া পড়েছে। এখানে উপলব্ধি করলাম যে একটা বিশেষ জায়গাকে ‘সুইসাইড পয়েন্ট’ বলা ভুল, কারণ এই পুরো রাস্তাটাকেই ‘সুইসাইড রোড’ বললে নামকরণটা সার্থক হত।
গুরুভোজনের পরে এই পাঁচ মাইল হাঁটাটা আমাদের ব্যর্থ হয়নি, কারণ এরকম ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য গাড়ির কাচের মধ্য থেকে উপভোগ করা যায় না। এ ছাড়াও আরও দুটো কারণে এই মধ্যাহ্ন-ভ্রমণ সার্থক হয়েছিল। কিন্নরে শেষ রাত বলে ডিনারে ছিল এলাহি বন্দোবস্ত। যদি দুপুরের খাওয়াটা হেঁটে হজম না করতাম তাহলে গ্র্যান্ড ফিস্টের পদগুলোর আস্বাদন থেকে বঞ্চিত হতাম। আর এবার অন্য কারণটায় আসি। প্রবাদ বলে, কপালে নাই ঘি, ঠকঠকালে হবে কী? অর্থাৎ ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হলে হাজার মাথা ঠুকলেও অভীষ্ট মেলে না। এর উল্টোটাও যে সত্যি তার প্রমাণ পেলাম এই অসময়ে হাঁটাহাঁটি করার ফলে।

হেঁটে হোটেলের কাছাকাছি আসতেই দেখি আমাদের তিন গাড়িচালকও কল্পা গ্রামের দিক থেকে এগিয়ে আসছে। তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতেই হল যে প্রথম দিকে আপেল কেনায় অনীহা দেখানোয় এখন আমাদের বোধহয় কিন্নরের আপেল দিল্লিতেই কিনতে হবে। ওরা বলল যে ওরাও সামান্যই কিনেছে, এবং আরও কিছু কেনার ফিকিরে ঘুরছে। আরও জানা গেল যে রোঘি গ্রামে জনৈক নেগিবাবুর কাছে কিছু আপেল, এবং আখরোটও পাওয়া যেতে পারে। সেইমতো গাড়ি করে রোঘি গিয়ে সেই নেগি সাহেবের দোকান পাওয়া গেল, কিন্তু আপেলের মান আমাদের পছন্দ হল না। উনি তখন বললেন যে ওঁর বাড়িতে সদ্য পাড়া আপেল রয়েছে, যেগুলো ভাল জাতের।
আমরা ড্রাইভারদের উপর ছেড়ে দিলাম আপেল পছন্দ করে কেনার ভার, কারণ তখন আমাদের আর ‘সামান্য ১৫০টা সিঁড়ি উপরে’ ওঠার অবস্থা নেই। ওরা আমাদের বিশ্বাসের মান রেখেছিল। দিল্লির বন্ধুরা সেই আপেলের স্বাদের যারপরনাই প্রশংসা করেছিলেন। কিন্নরের আখরোটও খুব সুস্বাদু। কাশ্মীর বা অন্যান্য জায়গার আখরোটের মতো শক্ত নয়। হাতের মুঠো দিয়ে একটু ঠুকলেই খোলটা ভেঙে দিব্যি ভিতরের বাদামটা বেরিয়ে আসে।
এভাবেই কিন্নর ভ্রমণ শেষ হল। পরদিন সিমলার পথে রামপুরের কাছে ভদ্রাস বলে একটা জায়গায় রাত কাটিয়ে চন্ডীগড় হয়ে দিল্লি ফেরা। যদিও কিন্নরের অনেক কিছু অদেখা রয়ে গেল, তবু এ পর্যন্ত দেখা ‘বৃহত্তর হিমালয়ের’ সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলোর অন্যতম কিন্নর আমাদের স্মৃতিতে বহুদিন অম্লান থাকবে।
*সব ছবি লেখকের তোলা
সন্দীপ মিত্রের জন্ম ১৯৫৫ সালে কলকাতা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। ১৯৭৮ সালে বিদেশমন্ত্রকে চাকরিতে যোগ দেন। এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের ভারতীয় দূতাবাসে কাজ করেছেন দীর্ঘকাল। ২০১৫ সালে অবসর নেন। ভালোবাসেন বই পড়তে, ব্লগ লিখতে, দেশবিদেশ ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতে। ভারতীয় রাজনীতি, বিদেশনীতি এবং ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ে বিশেষ আগ্রহী।
2 Responses
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা। আর ছবিগুলো অনবদ্য।
ধন্যবাদ।