প্রথম পাতা » কবিতা » Page 4
ধীর-কষ্ট গা সওয়া হলে; অচেনা-অক্ষরে বাধা চেনা-শব্দ জড়িয়ে আসে ঘুম; শরীর নিঙড়ে লেখা তার কাজ সারে, একান্তে।
বাড়িতে হাঁসের বাচ্চা তোলা হ'ত। তখন সবার সে কী আনন্দ। তুরতুর করে রংবেরঙের তুলোর বলগুলো ছুটেছুটে বেড়াতো উঠোনময়।
তখন সবাই সমবয়সী,/দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিশোরীর সাথে/এমন স্বপ্ন আমার রোজ আসে/রোজ আকাশে জেগে ওঠে তেরাঙ্গা রঙের বিরাট এক মেঘ... সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
বনবিবিরও কোনও ভরসা নেই আজকাল/তাঁর পুজো করে গিয়েও বাঘের খপ্পরে পড়েছে অনেকে -/বলছিল মন্টুদা , সুন্দরবনে ভগবানও থাকেনা
একজোড়া পায়রার মতো/বুকের ওপর বসে আছে/আমার বুক, এক ঢালু জমি... যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতায় মনখারাপের জমাট বাঁধা আন্ধকারের কথা।
ভোর হলে ওদের পায়ের তলা দিয়ে/কাকভিজে চুপিসারে বেরিয়ে আসত অজস্র/সব উপকথা আর আখ্যান।
ওর বিচার সভায় গেলে/আমি উপুড় করে দিতাম ধান-ভানা গান।/চোখ বন্ধ করে উড়িয়ে দেওয়াই যেত/নির্লজ্জ রাতের শরীর।/চর জাগা কামড়ের দাগ।
অথচ দুঃখে এসে শান্ত হয়ে দাঁড়াবার উপায় নেই/দুদণ্ড দাওয়ায় বসে গল্প করা, দুঃখের গেরস্থালি/মানিয়ে গুছিয়ে নিয়ে থেকে যাব, তেমন ঘটে না
Notifications