banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

গুরু-শিষ্য পরম্পরা – সমকালীনতার আলোকে

সুভদ্রকল্যাণ

জানুয়ারি ২২, ২০২০

Baba Alauddin Khan Indian Classical Music Guru গুরু শিষ্য পরম্পরা
Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

আমাদের দেশে শিক্ষা দান পদ্ধতি বিষয়ক যে গবেষণা এতদিন ধরে চলে আসছে, তা বারবারই প্রমাণ করেছে, গুরু শিষ্য পরম্পরাই সর্বাগ্রে গ্রহণযোগ্য কারণ তাইই সর্বার্থে বিজ্ঞানসম্মত। গ্রহণযোগ্য, তা তো বোঝা গেল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়, বিবর্তনও হয়। এক্ষেত্রেও গুরু শিষ্য পরম্পরার বিবর্তন হতে হতে তা কোন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে এবং তার প্রাসঙ্গিকতা বর্তমানে আধুনিক কালে কতটা তাইই আলোচনা করব বেশ কিছু উদাহরণের সঙ্গে।

এই প্রথাটির উৎপত্তি কবে, কোথায়, কিভাবে, সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে এটুকু বলতে পারি, ‘উপনিষদ’ এর প্রাচীনতম উদাহরণ বহন করে। ‘উপনিষদ’ -এই শব্দটির অর্থ খণ্ডন করলে দাঁড়ায় ‘কাছে বসা’। 

আবার অন্য দিকে শঙ্করাচার্য বৃহদারণ্যক উপনিষদে এই একই শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ করে বলেন, এর প্রকৃত অর্থ ‘আত্মবিদ্যা’। অতএব, বিদ্যালাভের সঙ্গে উপনিষদ শব্দটির নিবিড় সংযোগ বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়।

উপনিষদ অন্তর্গত বিভিন্ন গল্পে এবং পরবর্তী কালে পৌরাণিক কাহিনী গুলিতেও গুরু-শিষ্যের সম্পর্কের বহু নজির উঠে এসেছে। রামায়ণে রাম ও হনুমান, বাল্মীকি ও লব-কুশ এবং মহাভারতে দ্রোণ ও পাণ্ডব-কৌরব, পরশুরাম ও কর্ণ, দ্রোণ ও একলব্য এবং কৃষ্ণ ও অর্জুন গুরু-শিষ্য পরম্পরার বিশিষ্ট উদাহরণগুলির মধ্যে কয়েকটি।

গুরু-শিষ্য পরম্পরার বিবর্তন গুরু ও শিষ্যের জটিল সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ, এই বিবর্তনই এই সম্পর্ককে করে তুলেছে সহজ থেকে সহজতর। আদিকালে শক্তিপত, ভক্তিযোগ, প্রপত্তি ইত্যাদি বিশ্বাসে বিশ্বাসী মানুষ মানতেন, গুরু-র প্রতি শিষ্যের পূর্ণ সমর্পণই কাম্য। আধুনিক কালে এই একই বিশ্বাস নতুন মাত্রা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে ; কয়েদিপনা নয়, অধ্যয়নই যে শিষ্যের লক্ষ্য – বারবার বুঝিয়েছে তা।

ভারতবর্ষের সঙ্গীত জগতে গুরু-শিষ্য পরম্পরার যে প্রাবল্য দেখা যায়, আর কোনো ক্ষেত্রে তা দেখা যায় বলে আমার জানা নেই। এগারো বছরের রামতনু পাণ্ডে বাড়িঘর, বাবা-মা কে গুডবাই জানিয়ে ড্যাং ড্যাং করে বৃন্দাবন চলে গেল গুরু-র ডাকে। গুরু-র বাড়িতে থেকে শিখতে শিখতে হঠাৎই একদিন সে হয়ে গেল আকবরের সভাগায়ক মিঞা তানসেন। তাঁর যে গুরু-র কথা উল্লেখ করলাম তিনি পরবর্তীকালের প্রখ্যাত ধ্রুপদ শিল্পী, ডাগর ভ্রাতৃবৃন্দের পূর্বপুরুষ, স্বামী হরিদাস। তানসেনের বংশধরদের কারও সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ পরিচয় ছিল না বলাই বাহুল্য, তবে যতটুকু পুরনো গান বাজনার জগতের মানুষজনের কাছে শুনেছি, প্রপত্তি, অর্থাৎ পূর্ণ সমর্পণের চেয়ে, শক্তিপত, অর্থাৎ শিষ্যের গুরু-র পরিবারের একজন হয়ে ওঠাই এক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে বেশি।

ভারতবর্ষে গুরু-শিষ্য পরম্পরার প্রধান পথিকৃৎদের মধ্যে অবশ্যই নাম করতে হয় বাবা আলাউদ্দিন খানের। মধ্যপ্রদেশের মাইহারে অধিষ্ঠিত এই শিল্পী’র সারা বিশ্বের  সঙ্গীত মহলে একচ্ছত্র আধিপত্য। অন্যমনস্ক, আত্মভোলা এই মহাপুরুষ সঙ্গীতচর্চার সঙ্গে সঙ্গে অক্লান্ত ভাবে সঙ্গীতের শিক্ষাদান করে গেছেন। তাঁর এই অভ্যাস বজায় ছিল সুদীর্ঘ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। মাইহারে তাঁর গুরুকুলে যাঁরা থাকতেন, পুত্র আলি আকবর খান, কন্যা অন্নপূর্ণা দেবী, প্রিয়তম শিষ্য রবিশঙ্কর, শিষ্য নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, শিষ্য পান্নালাল ঘোষ ও পৌত্র আশিস খান (আলি আকবর খানের পুত্র), তাঁদের এককথায় আশ্রমিকই বলা চলে। উস্তাদ আশিস খানের কাছে যে কঠিন নিয়মানুবর্তিতার গল্প শুনেছি, তাতে মনে হয় না গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক খুব একটা সহজ ছিল। উস্তাদজি আজও মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, ‘রামপ্যাঁদানি না পড়লে’ উপরোক্ত শিক্ষার্থীরা কেউই পরবর্তী কালে বিশ্ববন্দিত সঙ্গীত শিল্পী হয়ে উঠতে পারতেন না। ‘রামপ্যাঁদানি’র প্রসঙ্গে অবশ্য বলে রাখা ভালো, পণ্ডিত রবিশঙ্কর কিন্তু বলেছেন, বাবা আলাউদ্দিন কখনও তাঁকে মারধর করেন নি। পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষও কখনও তাঁর ক্রোধের সামনে পড়েছেন বলে জানা নেই। সুতরাং উস্তাদজির কথায় এটাই ধরে নিতে হবে, আলাউদ্দিনের বিশ্ববিখ্যাত ক্রোধের কথা বলতে গিয়ে তিনি মুখ্যত তাঁর ও তাঁর বাবার কথাই বলেছেন এবং হয়তো কিছুটা পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও

বিংশ শতাব্দীকে সঙ্গীতে সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য পণ্ডিত বিষ্ণু দিগম্বর পালুস্কর। গান শেখাবেন বলে তিনি লাহোরে খুলেছিলেন গন্ধর্ব মহাবিদ্যালয়। পরে অবশ্য লাহোরের পাট চুকিয়ে পাকাপাকি ভাবে মুম্বইতে তাঁর মহাবিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। এই গন্ধর্ব মহাবিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরবর্তীকালের খ্যাতনামা কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী – পণ্ডিত ওঙ্কারনাথ ঠাকুর, পণ্ডিত নারায়ণ রাও ব্যাস, পণ্ডিত বিনায়ক রাও পট্টবর্দ্ধন, পণ্ডিত বিনয় চন্দ্র মৌদগল্য ও পুত্র দত্তাত্রেয় তথা ডি. ভি.পালুস্কর।

পণ্ডিত নারায়ণ রাও ব্যাসের পুত্র ড বিদ্যাধর ব্যাস আমায় একবার বলেছিলেন, তাঁদের গুরুকুলে গুরু-শিষ্য সম্পর্ক কিছুটা হলেও সহজ ছিল। বিষ্ণু দিগম্বর তাঁর ছাত্রদের শুধু গান নয়, বাজার করতেও শেখাতেন। শেখাতেন কীভাবে পরবর্তী প্রজন্মকে সঙ্গীত শিল্পী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখাতে হয়। ঘাড় মুখ গুঁজে রেওয়াজ তিনি সমর্থন করতেন কিনা জানা নেই, তবে তোতাপাখির মত মুখস্থ করা তাঁর ঘোর অপছন্দের ছিল। বাবা আলাউদ্দিনের একটা সুবিধে ছিল। যে তিনি নিজে যেমন বাঙালি, তাঁর শিষ্যরাও অধিকাংশই ছিলেন বাঙালি। সে যুগে অনেক বাঙালি পরিবারেই ‘গান বাজনা করে কী হবে?’ এ ধরনের বিশ্বাস খুব একটা তখনও ছিল না। কিন্তু বিষ্ণু দিগম্বর ভারতবর্ষের যে অংশের মানুষ, সেখানকার বাসিন্দারা গান-বাজনাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়াকে খুব একটা সুনজরে দেখত না। এর জন্য তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। বিষ্ণু দিগম্বর প্রায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নানা ভাবে বুঝিয়ে বাড়ির ছেলেকে মহাবিদ্যালয়ে নিয়ে আসতেন। তবে তাঁর এই প্রচেষ্টা যে ব্যর্থ হয়নি, তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। 

বাংলার গুরু-শিষ্য পরম্পরার সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ গুরু জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের ২৫ নং ডিক্সন লেনের গুরুকুল। জ্ঞানবাবু তাঁর শিষ্যদের বাড়িতে রেখেই তালিম দিতেন। পরের দিকে অবশ্য এর ব্যতিক্রম হয়েছিল। যাঁরা এ বাড়িতে থেকে শিখেছেন, তাঁরা হলেন পণ্ডিত কানাই দত্ত, পণ্ডিত শ্যামল বোস ও পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ। পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষকে আমি গুরু হিসেবে পেয়েছি দীর্ঘ বারো বছর। গুরুজির কাছে শুনেছি, তিনি ও পণ্ডিত শ্যামল বোস একসঙ্গে সারারাত রেওয়াজ করতেন। রাতে ঘরের আলো নেভানোর বা পাখা চালানোর নিয়ম ছিল না।

গুরু-শিষ্য পরম্পরার আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে যাঁর নাম করতেই হয় তিনি পণ্ডিত নিখিল ঘোষ। মুম্বইতে স্থাপিত সঙ্গীত মহাভারতী তথা বিশ্বের বহু বড় বড় সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজও তাঁর আবিষ্কৃত পদ্ধতিতেই শিক্ষাদান করে। পণ্ডিত নিখিল ঘোষের পুত্র, পণ্ডিত নয়ন ঘোষ একদিন গল্প করতে করতে আমাকে বলেছিলেন, কী ভাবে কম সময়ে বেশি শেখা যায়, সে বিষয়ে পণ্ডিত নিখিল ঘোষ বিশেষ নজর দিতেন। গুরুর কাছে বসেই সহজ থেকে সহজতর পদ্ধতিতে কীভাবে একজন শিক্ষার্থী সঙ্গীত সম্পর্কে অবগত হবেন, এ বিষয়ে পণ্ডিত নিখিল ঘোষের গবেষণা ছিল অতুলনীয়। 

আমার গুরুজি শঙ্কর ঘোষের শিক্ষাদান পদ্ধতি কিছুটা পণ্ডিত নিখিল ঘোষের দ্বারা অনুপ্রাণিত বা বলা ভাল প্রভাবিত ছিল, যা তিনি নিজেও স্বীকার করতেন। তবে অবশ্যই অনেকটা ছিল তাঁর নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল। সঙ্গীতে বা অন্য কোনও শিল্পেই মাত্রাতিরিক্ততার কোনও স্থান নেই, এ কথা তিনি মানতেন। একজন মানুষের যে অন্য কাজও থাকতে পারে, আজকের যুগে পড়াশোনা থাকতে পারে, ব্যক্তিগত জীবন থাকতে পারে, এ কথা প্রাচীন কালের অনেক গুরুই মানতেন না। অন্ধ সমর্পণেই তাঁরা বিশ্বাসী ছিলেন। তবে পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, পণ্ডিত নিখিল ঘোষ, পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষের মতো আধুনিকমনস্ক শিক্ষাগুরুরা এ কথাই বিশ্বাস করতেন যে পূর্ণ সমর্পণ মন থেকে থাকলেই যথেষ্ট।

আমি যে বারো বছর গুরুজির কাছে শিখেছি, সে সময়ে আমি গুরুজির শিক্ষকসত্ত্বার একটা স্পষ্ট বিবর্তন লক্ষ্য করেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের মননে পরিবর্তন আনতে তিনি জানতেন। এও লক্ষ্য করেছি, গড়ে শেখানোর পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি প্রত্যেককে আলাদা ভাবে তার মত করে শেখাতেন। আমাকে যখন শেখাতেন, ইশারাতেই অর্ধেক কাজ সারতেন। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে তিনি প্রতিটি মাত্রা ধরে ধরে হাতে তালি দিয়ে শেখাতেন।

বিবর্তন হবেই। সেটাই স্বাভাবিক। তা সে গুরু-শিষ্য পরম্পরারই হোক আর যারই হোক। প্রাচীন পদ্ধতি আজও প্রাসঙ্গিক কি না সে তর্ক এখানে যুক্তিহীন, তবে সময়ের প্রবাহে থমকে না থাকাই ভাল, এটা যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি হবে ততই মঙ্গল। আজ মানুষের সামাজিক পরিস্থিতি, শিক্ষাগত পরিস্থিতি, সবই এতটাই পাল্টে গেছে যে পারস্পরিক বিশ্বাস মোড় নিতে বাধ্য। সে যেদিকে মোড় নেবে সেদিকে তার সঙ্গে এগিয়ে চলাই শ্রেয়। ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টায় অতিরিক্ত প্রাচীনপন্থী হওয়া অন্ধ কূপমণ্ডুকতারই নামান্তর।

সুভদ্রকল্যাণ বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র। বাংলা ও ইংরাজি উভয় ভাষাতেই তাঁর লেখা সংগীত ও সাহিত্য বিষয়ক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। বহু বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করেছেন, সেগুলিও প্রকাশিত ও সমাদৃত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা কবিতা প্রকাশ পেয়েছে। মূলত ইংরাজি ভাষায় কবিতা লেখেন সুভদ্রকল্যাণ। তাঁর আরেকটি পরিচয় রাগসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। সংগীতশিক্ষা করেছেন আচার্য শঙ্কর ঘোষ, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, ডঃ রাজিব চক্রবর্তী প্রমুখ গুরুর কাছে। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা।

7 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

[adning id="384325"]
[adning id="384325"]

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com