অনেকদিন হল রাইটার্স বিল্ডিংয়ের ভিতরে যাওয়া হয়নি। শেষ গিয়েছি ২০০১-৫, রূপকলা কেন্দ্র গড়ে তোলার পর্বে। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর কাছে মিটিং থাকত অথবা প্রধান সচিবের সঙ্গে ফাইল নিয়ে আলোচনা। মেন গেটের বড় পোর্টিকোর নীচে গাড়ি নামিয়ে দিলে ডিউটিতে থাকা পুলিশ অফিসাররা হাসিমাখা স্যালুট দিয়ে স্বাগত জানাতেন। ২০১১-তে নবান্নয় অধিকাংশ বিভাগ স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ায় রাইটার্সের জৌলুস অনেকটাই কমে গেছে। মেন গেটে নামার সময় একটি মেয়ের কথা মনে পড়ত, ১৯৭৮ সালে ছ’মাস যার নিয়মিত যাতায়াত ছিল রাইটার্সে। প্রায় প্রতিদিনই বলা যায়।
আইডেনটিটি কার্ড দেখিয়ে ডান ধারের স্টাফ গেট দিয়ে লাইন করে ঢুকতে হত। হাজিরা খাতায় সই করার সময় হয়ে গেলে তুমুল হুড়োহুড়ি আরম্ভ হত। কোমর ছাপানো লম্বা চুলে বিনুনি বাঁধা, সুতির শাড়ি, পায়ে বাকল দেওয়া চপ্পল, তখনও সে ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে আনে কবিতার খাতা— খাতা ঠিক নয়, ওষুধ কোম্পানির দেওয়া রাইটিং প্যাড, যাতে ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন লেখেন। দাদাদের কাছ থেকে চেয়ে আনা। রোজই ভাবে, এখানে কেন আসি আমি, কত দিন আসতে হবে? বাড়ি না ফেরার কথাও ভাবত কিন্তু সে বিকল্প তার হাতের নাগালে ছিল না। ‘কবিতা তুমিও ত্যাগ করেছ আমাকে? ‘অথবা ‘সে কি করে মারা যায়, আমি নিজে, তার হাতে হাত ভরে খেলেছি যে’, ইত্যাদি নানা প্রিয় কবিতা পরে ওই প্যাড থেকে আমার প্রথম কবিতার বই ‘চন্দন গাছ’-এর পাণ্ডুলিপিতে জায়গা পায়।
রাইটার্স বিল্ডিং তখন সবে ক্ষমতাবদলের স্বাদ নিতে আরম্ভ করেছে। আমার কাছে এ এক বিরাট পালাবদল। শৈশব থেকে নানারকম রাজনৈতিক কবিতা লিখেছি ডায়েরির পাতায়, অধিকাংশই মাত্রাহীন আবেগে। যেমন সর্বহারার শাসন কামনা করে অথবা আকাশে উড়তে থাকা কাস্তে হাতুড়ির পতাকার স্বপ্ন দেখে। কলেজ যেতাম ২বি বাসে। বিশ্ববিদ্যালয় যাবার সময় পথটা লম্বা হল, এই যা। ১৯৭৭-এর জুনে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এল। পথে নামা মানুষের উদ্দাম মিছিলে যানচলাচল স্তব্ধ। হাজরার মোড়ে বাসে উঠেছিলাম। বাস যাবে না। পথে নেমে হাঁটতে হবে আমাকেও। মনে আছে, এবং আজও ভাবলে আনন্দ হয়, কপালে লাল আবিরের টিপ দিয়ে কনডাকটর বলেছিলেন, আসুন, কমরেড। মধ্যবিত্তের, পাতি বুর্জোয়ার বিপ্লব স্বপ্নের কপালে সেই চাঁদের টিপ।

১৯৭৮-এ আমার নিজের জীবনের স্বপ্ন ভাঙে রাইটার্স বিল্ডিং। সহপাঠিরা অনেকে জিআরই পরীক্ষার ফর্ম ভরছে, বিদেশ যাবে বলে। আমার গন্তব্য, গেট দিয়ে ঢুকে দুর্গন্ধ ওঠা নর্দমার পাশ দিয়ে মেন বিল্ডিংয়ের পিছন দিকে ‘রিলিফ অ্যান্ড রিহাবিলিটেশন ডিপার্টমেন্ট’-এর বড় হলঘর। শেষপ্রান্তে পর্দা দেওয়া একটা ঘরে বসতেন একজন বয়স্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, পাট করা চুল আঁচড়ানো, একটু বেশি পরিপাটি তাঁকে মাঝেমধ্যে বেরোতে দেখেছি। ওই ঘরের বাইরে জানলার ধারে একটা টেবিলে বসতেন দয়ালু সেকশন হেড তারকবাবু। মাঝের দিকে একটা থামের আড়ালে লম্বা টেবিলে পাশাপাশি দুটো চেয়ারে বসতাম আমি আর আমার এমএ-র ব্যাচমেট অমলা।
কোনও পারিবারিক কারণে এমএ পড়া ছেড়ে ও আমারই মতো কাজে ঢুকে গিয়েছিল। সুন্দর ডাগর চোখ, রহস্যময় হাসি, লম্বা চুলের মেয়েটা প্রথম দিন থেকেই আমার বন্ধু, অবলম্বন সবকিছু হয়ে গিয়েছিল। পাশের সেকশনে কাজ করত প্রণব আর রামচন্দ্র। দু’জনেই পরে অন্যত্র কাজ নিয়ে চলে গিয়েছিল। প্রণবের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ফেসবুকে দেখা হয়। রামচন্দ্র গুণী। কবি ও বাচিক শিল্পী। আমার কবিতাও পাঠ করেছে পরবর্তীকালে। অমলার পাশের চেয়ারে একদিন এল অমরেশ নামের এক ভদ্র, শান্ত, নরম মনের ছেলে। তার সঙ্গে আমার আর অমলার বেশ বন্ধুত্ব হয়ে ছিল। আমরা কাজ করি, সিনিয়রদের বকুনি খাই— যেমন আমার সেকশনের সেই খ্যাঁকশিয়াল সেকশন অফিসার। মাঝে মাঝে বারান্দায় গিয়ে গল্প করি। টিফিন টাইমে বাইরে থেকে কোনও বন্ধু এলে ভিড় ঠাসাঠাসি ক্যান্টিনে চা আর চিকেন কবিরাজি অর্ডার দেওয়া। কী আনন্দ!
‘লালদিঘি’-তে কবিতা ছাপা হয়। কে বা কারা চেয়েছিল এখন আর মনে নেই। ময়লার পরত জমা ফাইল ডাঁই হয়ে থাকে কাচভাঙা আলমারির মাথায়, দেওয়ালের কোণে পানের পিক, কেউ ধুলো ঝাড়ে না কোনও তাক বা আলমারির। শতাব্দী প্রাচীন ঝুল ঝুলতেই থাকে। কী কুৎসিত ভাষা পুরুষদের! নোংরা কথা এ মুড়ো থেকে ও মুড়ো ছুড়ে দিতে তাদের একটুও বাধে না। একই জায়গায় তরুণী মেয়েরা কাজ করছে, তাদের বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপও নেই। কুশ্রীতা, অসৌন্দর্য সবখানে। অফিসে এতখানি সময় কাটে, অথচ এত ক্লেদাক্ত আবিল কেন পরিবেশ?
তখন থেকেই দু’তিনটি কথা ভেবে রেখেছিলাম। পরিচ্ছন্ন অফিস। ব্যবহারযোগ্য টয়লেট। মেয়েরা মাথা নিচু না করে কাজ করতে পারে এমন পরিবেশ। যদি কখনও দায়িত্ব পাই এমন অফিসই করব। কিন্তু কী সে অফিসের ঠিকানা? উল্টোদিকে থামের আড়ালে বসেন এক প্রফুল্ল মুখ প্রৌঢ়। গায়ে জড়ানো সুতির চাদর। অফিসের কাজের পাশাপাশি করেন গণৎকারের কাজ। একটা খাতায় কোষ্ঠীর ছক ও নানা আঁক কাটা। আমার দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে বলেন, ‘ও মেয়ে, তুমি কোন চেয়ারে বসেছ? এ তো তোমার চেয়ার নয়? কোথায় চলে যাবে তুমি, কত দূরে—’
কোমর ছাপানো লম্বা চুলে বিনুনি বাঁধা, সুতির শাড়ি, পায়ে বাকল দেওয়া চপ্পল, তখনও সে ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে আনে কবিতার খাতা— খাতা ঠিক নয়, ওষুধ কোম্পানির দেওয়া রাইটিং প্যাড, যাতে ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন লেখেন। দাদাদের কাছ থেকে চেয়ে আনা। রোজই ভাবে, এখানে কেন আসি আমি, কত দিন আসতে হবে? বাড়ি না ফেরার কথাও ভাবত কিন্তু সে বিকল্প তার হাতের নাগালে ছিল না। ‘কবিতা তুমিও ত্যাগ করেছ আমাকে?’ অথবা ‘সে কি করে মারা যায়, আমি নিজে, তার হাতে হাত ভরে খেলেছি যে’, ইত্যাদি নানা প্রিয় কবিতা পরে ওই প্যাড থেকে আমার প্রথম কবিতার বই ‘চন্দন গাছ’-এর পাণ্ডুলিপিতে জায়গা পায়।
একমাত্র সান্ত্বনার স্থল ছিল রাইটার্সের লাইব্রেরি। কাজের ফাঁকে, টিফিন টাইমে সেখানে অনেকটা সময় কাটাতাম। দুর্লভ সব বই, গেজিটিয়ারের পাশাপাশি বাংলা ইংরাজি বইয়ের সমারোহ। নেড়ে চেড়ে সাধ মেটে না। ইচ্ছে করে দিনের অনেকটা সময় ওখানেই কাটাই। কিন্তু সেই শিয়াল সেকশন অফিসার! জনশ্রুতি ছিল, সৌরীন সেন ঐ লাইব্রেরিতে বসে পড়াশুনো করেই ‘ভিয়েতনাম’, ‘আখের স্বাদ নোনতা’র মতো বই লিখেছিলেন। তখন তো গুগল আসেনি। সকালের দিকে গেলে দেখা যেত, বিশেষভাবে তৈরি এক কিউবিকল-এ বসে পড়াশুনো করছেন রিটায়ার্ড আইসিএস শৈবাল গুপ্ত। একদিন নিজে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ করলাম। বললাম, ‘আইএএস পরীক্ষা দেব ভাবছি।’ কত স্নেহে তিনি আশীর্বাদ করেছিলেন, অচেনা এক জুনিয়র করণিক মেয়েকে। ‘নিশ্চয়ই পারবে, পরীক্ষা দাও’, বলে।
একদিন সেকশনে কর্মী ইউনিয়নের এক নেতা এলেন রোঁদে। বোধহয় আমার কথা কারো মুখে শুনেছিলেন। দলবল নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে গেলেন। ‘হায়ার সেকেন্ডারিতে ফার্স্ট? বাহ বাহ বেশ বেশ। কবিতা লেখেন শুনেছি। আপনার আগে একজন এসেছিলেন, ব্রাইট, সুন্দরী, তিনি আবার সবখানে আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলে গেছিলেন। দেখুন, আপনি আবার সেরকম করবেন না তো? হা হা হা।’ হাড়পিত্তি জ্বলে গেল। দাদাগিরি আমার কোনওদিনই সয় না। এই লোকটিকে পরে আমি অকালবোধন উপন্যাসে ভিলেন হিসেবে একটা ছোটখাটো ভূমিকায দিয়ে বাংলা সাহিত্যে অমর করে দিয়েছি। এটাই আমার স্বভাব। যাকে পছন্দ হয় না, তাকে উপন্যাসের চরিত্র বানিয়ে নাস্তানাবুদ করি। তবে এমনভাবে অন্য চরিত্রের সঙ্গে ব্লেন্ড করি যে কেউ ধরতে পারে না।
কাঁটাকল থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা মাঝে মাঝে দেখা করতে আসত। এদেরই একজন, বিভাস, বুঝতাম কবিরাজি কাটলেট পর্বের পরও কিছুটা সময় থেকে যাচ্ছে। অমলার চেয়ার টিফিন টাইম শেষের পরও ফাঁকা। এই বন্ধুত্ব পরে প্রেমে পরিণতি পায়। দুজনেই বিয়ের পর আমেরিকাবাসী হয়েছিল। বিদেশে অর্থনীতির অধ্যাপক বিভাস অকালে চলে গেছে। অমলা এখনও বিদেশে, দেশের সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন করেনি। দুই কৃতী সন্তান নিয়ে সে সুখী। আর একজনের কথা মনে পড়ে, নাম ধরা যাক, পরেশ। এতদিন পর মনে হচ্ছে ওই নামটাই তাকে দিব্যি মানায়।
একটাই টি শার্ট, যার চলতি নাম তখন গেঞ্জি, তার এক পিঠ লাল, অন্য পিঠ কালো, তার রোজকার পোশাক ছিল। চেঁচিয়ে কথা বলত, হাসত। আমাকে একবার এসে বলেছিল, ‘কী খাইয়া আপনার দাঁতগুলি অমন ঝকঝকে বলেন দেখি?’ রাগ হয়েছিল। কিন্তু এটা তার গ্রামীণ সারল্য, ইউনিয়ন নেতার মাতব্বরি নয়, তা বুঝেছিলাম। একদিন তাকে চিনলাম। বাবার অসুখ। সারা রাত বমি, সকালে বিছানা থেকে উঠতে পারেননি। বাবার হাইপারটেনশন ছিল কিন্তু দুই সন্তান ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও তার কোনও চিকিৎসা হয়নি। ডাক্তাররা বোধহয় বাড়ির লোকের অসুখ ধরতে পারে না।
একমাত্র সান্ত্বনার স্থল ছিল রাইটার্সের লাইব্রেরি। কাজের ফাঁকে, টিফিন টাইমে সেখানে অনেকটা সময় কাটাতাম। দুর্লভ সব বই, গেজিটিয়ারের পাশাপাশি বাংলা ইংরাজি বইয়ের সমারোহ। নেড়ে চেড়ে সাধ মেটে না। ইচ্ছে করে দিনের অনেকটা সময় ওখানেই কাটাই। কিন্তু সেই শিয়াল সেকশন অফিসার! জনশ্রুতি ছিল, সৌরীন সেন ঐ লাইব্রেরিতে বসে পড়াশুনো করেই ‘ভিয়েতনাম’, ‘আখের স্বাদ নোনতা’র মতো বই লিখেছিলেন। তখন তো গুগল আসেনি। সকালের দিকে গেলে দেখা যেত, বিশেষভাবে তৈকি এক কিউবিকল-এ বসে পড়াশুনো করছেন রিটায়ার্ড আইসিএস শৈবাল গুপ্ত।
শেষ জীবনে বাবার মাথার ভিতর বিপুল রক্তক্ষরণ ও পক্ষাঘাত। যাই হোক, বাবা যেমনই থাকুন, অফিস কামাই করা যাবে না। চোখ মুছতে মুছতে এসেছি। হাফ ডে ক্যাসুয়াল লিভের দরখাস্ত দিয়ে একটা নাগাদ চলে যাব। বেরিয়ে দেখি, পিছনে পরেশ। বিরক্ত লাগল। ট্রাম ধরলাম, সেকেন্ড ক্লাসে পরেশ উঠেছে। কোথায় যাচ্ছে ও? বাড়ির স্টপে নেমে দেখি, পরেশও নামল। পিছনে তাকাচ্ছি না। সোজা হাঁটছি। বাজারের বাড়ির নীচে বড় গেটের কাছে পিছন ফিরলাম। পরেশ। এবার চ্যাঁচালাম। কেন ফলো করছেন, কী মতলব, ইত্যাদি বলে। জোড়হস্ত হয়ে বলল, ‘অফিসে চোখ মুছছিলেন দেখলাম, অসময়ে বেরলেন, চোখে জল, ভাবলাম, নিশ্চয়ই কোনও বিপদ, যদি কিছু কাজ থাকে, ওষুধবিষুধ কিনতে হয়, তাই এসেছি।’
এই হল মানুষ চেনার গল্প। ১৯৭৮-এর বন্যায় পরেশের মাটির বাড়ি ভেঙে ভেসে গিয়েছিল, আর দেওয়ালে ভরে রাখা বত্রিশ হাজার টাকা, সোনার গয়নাগাঁটি। সেদিন অফিসে এসে বিধ্বস্ত পরেশ হাউহাউ করে কেঁদেছিল, সেই লাল কালো গেঞ্জি ছিল না ওর পরনে। মাত্র ছ’টি মাস। কিন্তু রাইটার্সে জুনিয়র ক্লার্কের সিট আমাকে নম্র আর বাস্তববাদী করে তুলেছিল। সাধারণ কর্মীদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা যদি সারাজীবন মনে রাখতে পেরে থাকি, তার শিক্ষা এখানেই পেয়েছিলাম।
*ছবি সৌজন্য: kaajcareer.in, Sarmaya.in
কলকাতায় জন্ম, বড় হওয়া। অর্থনীতির পাঠ প্রেসিডেন্সী কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কবিতা দিয়ে লেখক জীবন আরম্ভ। সূচনা শৈশবেই। কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটদের জন্য লেখায় অনায়াস সঞ্চরণ। ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার সদস্য ছিলেন সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময়। মহুলডিহার দিন, মহানদী, কলকাতার প্রতিমা শিল্পীরা, ব্রেল, কবিতা সমগ্র , দেশের ভিতর দেশ ইত্যাদি চল্লিশটি বই। ইংরাজি সহ নানা ভারতীয় ভাষায়, জার্মান ও সুইডিশে অনূদিত হয়েছে অনিতা অগ্নিহোত্রীর লেখা। শরৎ পুরস্কার, সাহিত্য পরিষৎ সম্মান, প্রতিভা বসু স্মৃতি পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবন মোহিনী দাসী স্বর্ণপদকে সম্মানিত। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমীর সোমেন চন্দ পুরস্কার ফিরিয়েছেন নন্দীগ্রামে নিরস্ত্র মানুষের হত্যার প্রতিবাদে। ভারতের নানা প্রান্তের প্রান্তিক মানুষের কন্ঠস্বর উন্মোচিত তাঁর লেখায়। ভালোবাসেন গান শুনতে, গ্রামে গঞ্জে ঘুরতে, প্রকৃতির নানা রূপ একমনে দেখতে।
4 Responses
বেশ এগোচ্ছে। এগিয়ে চলুক।
প্রতি পর্ব পড়ছি অধীর আগ্রহে
onekdin pore elen athoi-duratwa-r dekha nei
baro bhalo lagche thamaben na
bhalo thakben namoskar..
রাইটার্সে এল ডি ক্লার্ক পোস্টে চাকরি করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কিভাবে করতেন। কাঁটাকলের সেই সময়ের দিনগুলোর কথা আরও কিছু লিখলে ভালো লাগতো।