‘ইউ মি অওর হাম’ ছবিতে প্রথম বার পরিচালকের ভূমিকা পালন করেছিলেন অজয় দেবগন। অন্য রকম প্রেমের ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন। বিপরীতে ছিলেন স্ত্রী কাজল। ছবিটির গল্পে নতুনত্ব থাকলেও সমালোচক বা দর্শক, কারওর ভালবাসাই পায়নি সেই ছবি। এর পর প্রায় আট বছর বাদে অজয় বানান তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘শিবায়’। মারমার কাটকাট সব অ্যাকশন দৃশ্য, অজয়ের সংবেদনশীল অভিনয় কোনওকিছুই বক্স অফিসে সাড়া জাগাতে পারেনি। পরিচালনার দিক থেকেও রয়ে গেছিল কিছু ত্রুটি। তবে অজয় থেমে থাকার মানুষ নন। উনি বারংবার বলেছেন যে পরিচালনা উনি ভালবাসেন এবং ভবিষ্যতেও ছবি পরিচালনা করবেন। তবে সুযোগটা যে এত তাড়াতাড়ি এসে যাবে তা ভাবতে পারেননি।
আসলে ‘ভূজ-দ্য প্রাইড অব ইন্ডিয়া’ ছবির শুটিং করছেন এখন উনি। বহু তারকাখচিত এই ছবি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ প্রচুর। অজয় ছাড়া এই ছবিতে অভিনয় করছেন সঞ্জয় দত্ত, সোনাক্ষী সিনহা, পরীনিতি চোপড়া, রানা ডগ্গুবাটি আরও অনেকে। পরিচালনা করছিলেন নবাগত অভিষেক দুধাইয়া। এর আগে রোহিত শেট্টির একাধিক ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে দেখা গেছো তাঁকে। সবকিছুই ঠিক মতো এগোচ্ছিল, কিন্তু বাধ সাধল অভিষেকের ব্যবহার।
সেটের প্রতিটি মহিলার সঙ্গে নাকি অভিষেক দুর্ব্যবহার করেন বলেই অভিযোগ। প্রকাশ্যে কারওর সঙ্গে শ্লীনতাহানি করেছেন এমন খবর না থাকলেও, ওঁর আচরণে রীতিমতো বিরক্ত সকলেই। টিমের মহিলা সদ্যসরা জানিয়েছেন যে তাঁরা অভিষেকের সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ নন। প্রত্যেকেই তাঁদের সমস্যা নিয়ে অজয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এর সুরাহা করার জন্য। ‘মি টু মুভমেন্ট’-এর জেরে এখন সবাই বেশ ভাল সতর্ক। তাই অভিষেককে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রযোজকরা। সিনেমার অনেকটা শুটিং হয়ে গেলেও তাঁরা ঠিক করেছেন যে বাকি অংশের পরিচালনা করবেন খোদ অজয়। উনিও রাজি হয়েছেন। তবে ডিরেক্টরের ক্রেডিটে ওঁর নাম দেখা যাবে কি না তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। অজয়ের ডিরেকশন নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সমস্ত কলাকুশলীরাও। আপাতত দেখার দুটো ফ্লপের পর অজয় থার্ড টাইম লাকি হন কি না!
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।