সামনেই পুজো। বনলতা সেন তো হতেই হবে। একঢাল রেশমি চুলে নানা রকম স্টাইল করার ইচ্ছে তো সেই কবে থেকে মনের মধ্যে পুষে রেখেছেন। অথচ আপনার চুল মোটেই আপনার সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। সেই কবে চুল কেটেছিলেন, বাড়ার নাম গন্ধ নেই! অথচ লম্বা চুলের কত শখ আপনার। মা-ঠাকুমার চুলের গোছ দেখলে এখনও ঈর্ষা হয়। কিন্তু কী করবেন বলুন, সব স্বপ্ন কি আর পূরণ হয়। আলবাৎ হয়! আমরা আছি কী করতে। চুল লম্বা হতেই পারে, যদি মেনে চলেন কয়েকটা সহজ টিপস। কি, রাজি তো?
১। স্ক্যাল্পে ভাল করে মাসাজ করুন। সালঁয় গিয়ে অয়েল মাসাজ বলছি না। বাড়িতেই ড্রাই মাসাজ করুন। টিভি দেখছেন, একটু মাসাজ করে নিন। যত বেশি মাসাজ করবেন, ততই স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। এর ফলে হেয়ার ফলিকলসে বেশি পরিমাণে পুষ্টি পৌঁছবে। আরও ভাল বাড়ির কাউকে বা বন্ধুকে বলুন আপনাকে ভাল করে একটা হেড মাসাজ দিতে। কাজ হবেই হবে।
২। চুল ধোওয়ার সময়, আঙুলের ডগা দিয়ে স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। ঘাড় থেকে শুরু করে চুলের সামনের দিকে আসুন। ভাল করে মাসাজ করতে থাকুন। এতেও লাভ হবে।
৩। ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট যাতে বিশেষ করে ভিটামিন বি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে , চুলের ডগা মজবুত করতে সাহায্য করে। অনেক হেয়ার কেয়ার এক্সপার্ট এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পরামর্শ দেন। আপনিও ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।
৪। চুল ট্রিম করে ফেলুন। জানি বলবেন, একদিকে চুল লম্বা করার কথা বলছি, আবার অন্য দিকে কেটে ফেতে বলছি, এ কেমন পরামর্শ! চুল কেটে ছোট করে ফেলতে বলছি না। কিন্তু গবেষণা করে দেখা গেছে চেড়া চুল কেটে ফেললে চুল অনেক তাড়াতাড়ি বাড়ে। আর না কেটে ফেললে আরও চুল ফাটতে থাকে। ক্রমশ চুলের টেক্সচার নষ্ট হয়ে যায়।
৫। শ্যাম্পু চুল ও স্ক্যাল্প থেকে সমস্ত ময়লা, তেল বার করে দেয়। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। চুলকে পুষ্টি জোগাতে হবে। তবেই না সে বাড়বে। আর তার জন্য চাই সঠিক কনডিশনার। ডিপ ট্রেটমেন্ট হেয়ার মাস্ক ব্যবাহার করতে পারেন। এতে চুল তাড়াতাড়ি বড় হয়। মাঝে মাঝে ড্রাই শ্যাম্পুও লাগাতে পারেন।
৬। চুল বড় করতে হলে হিটিং টুলস কম ব্যবহার করুন। ড্রায়ার, কার্লিং আয়রন, ফ্ল্যাট আয়রন পারতপক্ষে এড়িয়ে চলুন। আর ব্যবহার করতে হলেও চুলে হিট প্রটেক্ট্যান্ট প্রডাক্ট অবশ্যই লাগিয়ে নিন।
৭। স্নান করে বাথরুম থেকে বেরোবার আগে এক বার চুল ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। এতে চুলের ময়শ্চার বজায় থাকবে আর অতিরিক্ত তাপ থেকেও চুল সুরক্ষিত থাকবে। অতিরিক্ত গরম জলে স্নান করলে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। ফলে চুল বাড়ার গতি অনেক কমে যায়।