গ্রামের নাম লঙ্গয়া
দিল্লিতে প্রাতঃরাশ। সিঙ্গাপুরে মধ্যাহ্নভোজ। হংকংয়ে নৈশভোজ। বিত্তশালী ব্যস্ত মানুষের এখনকার নিত্যযাপন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিনদেশে ঘুরে বেড়িয়ে কাজকর্ম করা এবং খাওয়াদাওয়া সারার জন্য অনেক হুড়োহুড়ি করতে হয়। সঙ্গে রয়েছে পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে অভিবাসনের রকমারি ঝকমারি। এক দেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে যাতায়াতে আছে অনেক বিধিনিষেধ। তবে নীল আকাশের নীচে এমনও জায়গা আছে যেখানে তেমন কোনও বাধা নেই। অনায়াসে যখন খুশি বাসিন্দারা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে অবাধে যাতায়াত করতে পারেন। এমনকি খাওয়ার ঘরে পরিপাটি করে খাওয়াদাওয়া সেরে বিশ্রামের জন্য যে ঘরের চৌকাঠ ডিঙিয়ে যেতে হয় সেটিও অন্য দেশে অবস্থিত।
গ্রামের নাম লঙ্গয়া (Longwa)। জেলা মন (Mon)। লঙ্গয়া গ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান সত্যিই বিচিত্র। নাগাল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত মন জেলার উত্তরে অরুণাচল প্রদেশ, পশ্চিমে অসম, পূর্বে মায়ানমার ও দক্ষিণে নাগাল্যান্ডের লংলেং ও টুয়েনসাং জেলা৷ জেলার প্রশাসনিক সদরের নামও মন৷ সেই মন জেলার উত্তর পূর্ব কোণায় লঙ্গয়া গ্রামের অবস্থান।
আয়তনের দিক থেকে মন নাগাল্যান্ডের জেলাগুলির মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। ১৭৮৬ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যার নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয়। ২০১১-র জনগণনা অনুসারে মন জেলার মোট জনসংখ্যা আড়াই লক্ষের একটু বেশি। জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের মোট ৬৪০টি জেলার মধ্যে মন জেলার স্থান ৫৮২তম৷ মন জেলার প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে মহিলার সংখ্যা ৮৯৮ জন৷ আর এই জেলার সাক্ষরতার হার প্রায় ৫৭ শতাংশ।
ভারত সরকারের পঞ্চায়তী রাজ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ (২০০৬) হিসেব অনুযায়ী দেশের মোট ৬৪০টি জেলার মধ্যে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া ২৫০টি জেলার অন্যতম হল মন। ভারত সরকারের পিছিয়ে পড়া অঞ্চল অনুদান তহবিল (ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্টস্ ফান্ড সংক্ষেপে বিআরজিএফ) থেকে পাওয়া সম্পদের ভিত্তিতে টিকে আছে মন জেলার অর্থনীতি।

এছাড়া এখনও এখানে জুম চাষ চালু রয়েছে। অকর্ষিত জমিকে কৃষিযোগ্য করে তোলার এক প্রাচীন প্রক্রিয়ার নাম জুম চাষ। জমির নির্দিষ্ট অংশে আগুন ধরিয়ে কয়েক মাস, প্রয়োজনে বছরভর ফেলে রাখা হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে জমি কৃষিযোগ্য হয়ে ওঠে। কয়েক বছর চাষের পর উর্বরতা কমে যাওয়ায় সেই জমিকে পরিত্যাগ করে অন্য কোথাও এই পদ্ধতিতে নতুন কৃষিযোগ্য জমি তৈরি করা হয়। জুম চাষের জন্য জমির অবক্ষয় হয় এবং দূষিত হয় পরিবেশ। এবং এই পদ্ধতিতে চাষ মোটেও লাভজনক নয়। অনেক চেষ্টা করে দেশের অন্যত্র জুম চাষ বন্ধ করা গেলেও মন জেলায় এখনও বিক্ষিপ্ত ভাবে এই প্রথা চালু রয়েছে। ফলে এখানকার অনেককেই বাড়তি উপার্জনের আশায় প্রতিবেশী জেলা ও অন্য রাজ্যে ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যেতে হয়।
মন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি প্রান্তিক জেলা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিরিখে বলার মতো তেমন কিছুই নেই। তবুও মন চূড়ান্ত বিচারে দেশের মধ্যে অনবদ্য। বিশেষতঃ মন জেলার লঙ্গয়া গ্রামের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না যে এমনটাও হতে পারে।
লঙ্গয়া কোনিয়াক জনজাতিদের গ্রাম। জেলার সবচেয়ে বড় গ্রাম। রাজ্যের উত্তরতম অংশে অবস্থিত মন জেলার লঙ্গয়া গ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে এর মধ্য দিয়ে ভারত আর মায়ানমার সীমান্তরেখা চলে গিয়েছে।

এই গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির এক অংশ ভারতে অবস্থিত। বাকিটার ঠিকানা মায়ানমার। কোনও বাড়ির রান্না হয় ভারতে আর খাওয়ার জন্য মায়ানমারে যেতে হয়। কারণ খাওয়ার ঘরটি ভারতের মাটিতে নির্মিত হয়নি। তবে রান্নাঘর থেকে খাওয়ার ঘরে যাওয়ার জন্য কোনও পাসপোর্ট ভিসার দরকার নেই।
কষ্ট করে পায়ে হেঁটে সরেজমিনে সমীক্ষা করার বদলে মানচিত্রের উপর খেয়ালখুশি মতো কলম-পেন্সিলের আঁচড় কেটে দুই দেশের সীমানা নির্ধারণ করলে এমনটাই হয়। জলজ্যান্ত উদাহরণ ভারত ভাগ। ১৯৪৭-এর জুলাই মাসে বিলেত থেকে ভারতে এসে বাংলা ও পাঞ্জাব নিজের চোখে না দেখে দিল্লির অশোক রোডের বাংলোয় বসে মানচিত্রে আঁকিবুকি কেটে আইনজীবী সিরিল জন র্যাডক্লিফ ভারতভাগের বন্দোবস্ত করে দিলেন। ফলাফল ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ কোটি কোটি মানুষ রাতারাতি বাস্তুহারা। এবং সীমান্ত এলাকার অনেকানেক বাড়ির উপর দিয়ে সীমান্ত রেখা চলে যাওয়ায় দেশ তো বটেই বাড়িরও ভাগাভাগি হয়ে যায়।
ভারতে থাকা লঙ্গয়া গ্রাম নাগাল্যান্ডের ফোমচিং (Phomching) বিধানসভার অন্তর্গত। আর মায়ানমারের অংশটি সেদেশের ইওচেন লে শহরের আওতায় পড়ে। আন্তর্জাতিক সীমানা গ্রামকে দু’ টুকরো করলেও এখানকার বাসিন্দারা তথা কোনিয়াক জনজাতির মানুষের কিন্তু সীমান্তের দু প্রান্তেই অবাধে যাতায়াত। এমনকি মায়ানমারের ২৭টি গ্রামে কোনিয়াক জনজাতির মানুষের বসবাস।
লঙ্গয়া কোনিয়াক জনজাতিদের গ্রাম। জেলার সবচেয়ে বড় গ্রাম। রাজ্যের উত্তরতম অংশে অবস্থিত মন জেলার লঙ্গয়া গ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে এর মধ্য দিয়ে ভারত আর মায়ানমার সীমান্তরেখা চলে গিয়েছে। এই গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির এক অংশ ভারতে অবস্থিত। বাকিটার ঠিকানা মায়ানমার। কোনও বাড়ির রান্না হয় ভারতে আর খাওয়ার জন্য মায়ানমারে যেতে হয়।
এত বৈচিত্র্যময় লঙ্গয়া গ্রামে পৌঁছনো মোটেই সহজ নয়। দিল্লি-কলকাতা তো বটেই এমনকি গুয়াহাটি থেকেও বিমানে সফর করতে হলে প্রথমে অসমের জোরহাট পৌঁছতে হবে। তারপর গাড়িতে বা বাসে করে আরও শ’ দুয়েক কিলোমিটার পেরিয়ে গেলে আসবে মন জেলার সদর শহর মন। নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকারের বাসে করে এলে এখানেই সফর শেষ। লঙ্গয়া গ্রামে পৌঁছতে হলে আরও কমবেশি ৪০/৪২ কিলোমিটার যেতে হবে। অগত্যা ভাড়ার গাড়িই ভরসা।
রেলপথেও মন হয়ে লঙ্গয়া গ্রামে পৌঁছনো যায়। দিল্লি থেকে আওয়ধ-অসম এক্সপ্রেসে চড়ে ভোজো স্টেশনে নামতে হবে। এখান থেকে গাড়িতে লঙ্গয়া প্রায় ৯০ কিলোমিটার। কমবেশি ঘন্টা চারেক সময় লাগে। কলকাতা থেকে কামরূপ এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়লেও ভোজো স্টেশনেই নামতে হবে। গুয়াহাটি থেকে গুয়াহাটি-লেডো ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়লে কিন্তু একটু সতর্ক থাকা দরকার। না, নিরাপত্তাজনিত কারণ নয়, ট্রেনের সময়সূচি সংক্রান্ত সমস্যা। রাত ৮টা ৪০-এ গুয়াহাটি থেকে সফর শুরু করে গুয়াহাটি-লেডো ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। জাগীরোড, হোজাই পৌঁছতেই দিন শেষ। মাঝরাতে অর্থাৎ পরের দিন লামডিং, ডিফু, ডিমাপুর, বোকাজান, সরুপাথর, বরাপাথর হয়ে ট্রেন যখন শিমালুগুড়ি জংশন স্টেশন হয়ে ভোজো-র দিকে এগিয়ে যাবে তখন ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসতেই পারে। সেইজন্যই আগাম সতর্কতা। ট্রেন ভোজো পৌঁছয় সকাল ৭টা নাগাদ।

মন জেলা কোনিয়াক নাগা জনজাতির বসতিস্থল৷ কোনিয়াকদের পরম্পরাগত নেতা হলেন ‘আং’। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া উপাধি। প্রতিটি গ্রামে আং-এর বাড়িটিই সবচেয়ে বড়। বাড়ির সামনে সাজানো থাকে জীবজন্তুর হাড়। বয়স্ক কোনিয়াক পুরুষের কানে থাকে হাড়ের তৈরি বড় দুল, পরনে কেবল একটি কটিযুক্ত পোশাক। কেউ কেউ ‘দাও’ বা ‘বন্দুক’ নামের একটি অস্ত্র বহন করেন। মেয়েদের পিঠে বাঁধা বাঁশের ঝুড়িতে বাচ্চাদের কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরম্পরাগতভাবে কোনিয়াকরা সারা শরীরে উল্কি আঁকিয়ে থাকেন। কোনিয়াকদের হাতে বোনা শালের নকশা নজর কাড়তে বাধ্য। উৎসব চলাকালীন পুরুষরা পালকে সজ্জিত রঙিন শাল এবং শিরোস্ত্রাণ পরিধান করে হাতে দাও-বর্শা-বন্দুক ইত্যাদি নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন। নাচের সঙ্গে চলতে থাকে ছন্দবদ্ধ গান। কোনিয়াকদের প্রধান উৎসব ‘আওলেয়াং মনয়ু’ প্রতি বছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে উদ্যাপন করা হয়৷
লঙ্গয়া গ্রামে এখনও আছেন একজন কোনিয়াক রাজা– টোনেই কোনিয়াক আং। কোনিয়াক জনজাতির বর্তমান প্রধানকে ৭০টিরও বেশি গ্রামের রাজ্যপাট সামলাতে হয়। মায়ানমারের যে ২৭টি গ্রামে কোনিয়াক জনজাতির বসবাস সেখানেও আং-এর আধিপত্য রয়েছে। সেইজন্যই কিনা বলা যায় না, কোনিয়াক জনজাতির রাজার বাড়িটিও ভারত ও মায়ানমারে ছড়িয়ে রয়েছে। বাড়িটির অবস্থান এমনই যে, রাজার শোয়ার ঘর ভারতে আর বসার ঘর পড়েছে মায়নামারে৷

একটা সময় পর্যন্ত শত্রুর শিরশ্ছেদ ছিল কোনিয়াক জনজাতির জনপ্রিয় বিনোদন। জমি দখলের জন্য আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ চালানো হত। কোনিয়াকদের দাপটে রীতিমতো সন্ত্রস্ত থাকত প্রতিবেশী জনজাতির সমস্ত মানুষ।
কোনিয়াকদের বাড়ি সাধারণত পাহাড়ের উপর তৈরি করা হত যাতে সহজেই শত্রুদের উপর নজর রাখা যায়। শত্রুর শিরশ্ছেদের পর তার মাথার খুলি সংগ্রহ করা হত। তখনকার রীতি ছিল যাঁর সংগ্রহে যত বেশি নরমুণ্ড, সে তত সম্মানীয়৷ কোনিয়াকদের বিশ্বাস ছিল মাথার খুলি সংগ্রহ করলে চাষের জমি উর্বর হয়। ১৯৪০-এ শিরশ্ছেদ করার প্রথা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও অনেকের মতে ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত তা চালু ছিল। গ্রামের অনেক পরিবারে এখনও পিতলের খুলির মালা দেখতে পাওয়া যায়। যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে নিজের জয়ের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয় এই মালার প্রতিটি খুলি। এখনও অনেক বাড়িতে গৃহসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় পুরনো দিনের মাথার খুলি এবং হাতির দাঁত।
একটা সময় পর্যন্ত শত্রুর শিরশ্ছেদ ছিল কোনিয়াক জনজাতির জনপ্রিয় বিনোদন। জমি দখলের জন্য আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ চালানো হত। কোনিয়াকদের দাপটে রীতিমতো সন্ত্রস্ত থাকত প্রতিবেশী জনজাতির সমস্ত মানুষ।
আশপাশের এলাকায় রয়েছে সাংন্যু গ্রাম। এখানে আছে ৮ ফুট উচ্চতার ও ১২ ফুট প্রস্থের একটি ঐতিহাসিক কাঠের মূর্তি৷ মূর্তিটিতে মানুষ ও জীব-জন্তুর প্রতিচ্ছবি খোদাই করা আছে৷ ইতিহাস মতে, এই গ্রামের ও আহোম রাজত্বের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল৷ সদর শহর মনের কাছের এক গ্রামের নাম চুই। গ্রামটির আং-এর বিরাট বাড়িটির সম্মুখভাগ পূর্বপুরুষ ও তাঁর নিজের হাতে নিধন করা শত্রুর কঙ্কালে সজ্জিত৷ আর রয়েছে নাগনিমুরা নামের এক জনপদ। নাগা রানিদের সমাধিস্থল বলে এমন নামকরণ।
লঙ্গয়া গ্রামে রয়েছে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। চারদিকে সবুজের সমারোহ। লঙ্গয়া এলাকায় দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে ডোয়াং নদী, শিলোই লেক। ভৌগোলিক অবস্থানগত বৈচিত্র্য প্রত্যক্ষ করার জন্য শ্রম ও সময় সাপেক্ষ সফর হলেও ইদানিং লঙ্গয়া গ্রামে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সরাসরি তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে নাগাল্যান্ড বিজ্ঞান কেন্দ্র। আর এই সুবাদে কিঞ্চিৎ বাণিজ্য করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনজাতির মানুষের তৈরি হস্তশিল্পের বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হংকং মার্কেট। এতকিছুর পরেও লঙ্গয়া গ্রামে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য হল ভারত ও মায়ানমারের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত একটি সীমানা নির্ধারণকারী স্তম্ভ (border post), যার উপর খোদাই করা রয়েছে ‘154 BP 1971-72’, অর্থাৎ বৈচিত্র্যময় লঙ্গয়া গ্রামের প্রকৃত পরিচয়।
ছবি সৌজন্য: অভিষেক বসাক ও Wikipedia
প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ ও পরিচিত পরিকল্পনাবিশারদ। পড়াশোনা ও পেশাগত কারণে দেশে-বিদেশে বিস্তর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। তার ফসল বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বই। জোয়াই, আহোম রাজের খোঁজে, প্রতিবেশীর প্রাঙ্গণে, কাবুলনামা, বিলিতি বৃত্তান্ত ইত্যাদি।
One Response
It was not known, feeling of visiting the place