গত বছর হিন্দী সিনে জগতে যে কারণে তোলপাড় হয়েছিল, তার নাম আপনারা সকলেই জানেন। বলছি ‘মি টু’ মুভমেন্টের কথা। আর তারপর রাজনীতির অন্দর থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন জগৎ, মিডিয়া হাউস, সব জায়াগাতেই ছড়িয়ে পড়েছিল এই মুভমেন্ট। তাবড় তাবড় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মহিলারা। আর এই মুভমেন্টের কাণ্ডারি ছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত।
মিস ইন্ডিয়া জেতার পর তনুশ্রী বলিউডে শুরু করেন ইমরান হশমির বিপরীতে ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছবি দিয়ে। মোটামুটি ভালই চলেছিল ছবিটি। তনুশ্রীর গ্ল্যামার গার্ল অবতারটি দর্শকদের ভালও লেগেছিল। এর পর একের পর এক ‘চকোলেট’, ‘রকিব’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা গেছিল তাঁকে। তারপরই একদিন হঠাৎ করেই বলিউডকে টাটা-বাই বাই করে তনুশ্রী রীতিমতো নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ওঁর অভিনীত শেষ সিনেমা ছিল ‘অ্যাপার্টমেন্ট’। প্রায় ১০ বছর তাঁর কোনও পাত্তাই ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেরকম ভাবে দেখা যেত না তাঁকে। তারপর হঠাৎ তিনি লাইমলাইটে আসেন মি টু মুভমেন্টের কারণে। হলিউডে ততদিনে এই মুভমেন্ট ভালই সাড়া ফেলেছিল।
তনুশ্রী ভারতে এসেছিলেন বিশেষ কাজে। হঠাৎ এক সাংবাদির সম্মেলন বিস্ফোরণ ঘটান এই বলে যে ১০ বছর আগে নানা পাটেকর ‘হর্ন ওকে প্লিজ’-এর সেটে ওঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন। একটি নাচের দৃশ্যে জোর করে উনি কোরিওগ্রাফারকে দিয়ে এমন কিছু স্টেপস করিয়েছিলেন, যাতে উনি তনুশ্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে পারেন। পরিচালক, প্রযোজক সবাই এই দলে সামিল ছিলেন বলেই অভিযোগ জানান তনুশ্রী। এর পর পুলিশ কেসও হয়। কোর্টে অবশ্য যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে নানা পাটকেরকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি।
তবে তনুশ্রী কিন্তু হার মানেননি। এখন তনুশ্রী জানিয়েছেন যে উনি হিন্দী সিনেমায় কাজ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু এবার উনি খুব বেছে কাজ করবেন এবং শুধুমাত্র তাঁদের সঙ্গেই কাজ করবেন যাঁদের সঙ্গে উনি স্বচ্ছন্দ। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওঁর আগের অভিজ্ঞতা যতই খারাপ হোক না কেন, ওই স্মৃতিগুলো তিনি মুছে ফেলে নতুনভাবে শুরু করতে চান। ভাল লোকেদের সঙ্গে ভাল কাজ করাই এখন ওঁর লক্ষ্য।
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।