আগের পর্বের লিংক: খলিল জিব্রানের দ্য প্রফেট-এর অনুবাদ: [কথামুখ] [প্রেম] [বিবাহ] [সন্ততি] [দান ও দাক্ষিণ্য] [পান-ভোজন] [কাজ-কারবার] [দুঃখ ও সুখ] [ঘর-বসত] [পরিধেয়] [বিকি কিনি] [অপরাধ ও শাস্তি] [আইনসম্মত] [স্বাধীনতা] [যুক্তি ও আবেগ]
সময়
এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবার জিজ্ঞাসা করলেন, প্রভু, সময় কী?
তিনি বলেন;
সময় – যা তুমি মাপতে চাইছ, তা আসলে অপরিমেয় এবং নির্ণয় হীন।
নির্ণয়ী সময় আর ঋতু মেনে তুমি শুধু তোমার নিজের কাজেরই সমঝোতা করতে পারো এবং পারো, তাকে তোমার প্রাণশক্তিতে চালিত করতে।
সময় পেলে, একটি জলস্রোত বানিয়ে, তারই তীরে বসে দেখতে পারো, সেই স্রোত প্রবাহ।
কিন্তু এও জানবে যে, তোমার মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছে যে অনিঃশেষ সময়, সে কিন্তু এটা জানে যে, জীবন অনন্ত।
আর সে এটাও খুব ভাল করেই জানে যে, অতীতও এই বর্তমানেরই স্মৃতি মাত্র এবং ওই আগামীও , যা আজকেরই স্বপ্ন।
আর সেই যে তোমার মধ্যে গান গাইছে এবং অন্তর্দৃষ্টিতে লক্ষ্যও করছে সব, সে কিন্তু এখনও তোমার সেই প্রথম মুহূর্তের চৌহদ্দিতেই বাস করে, যে মুহূর্তটিই মহাশূন্যে ছড়িয়ে দিয়েছিল তারাগুলি।
তোমাদের মধ্যে একজনও কি আছ, যে অনুভব করও না যে, তাঁর ভালবাসার ক্ষমতা সীমাহীন?
আর যদি তা অনুভব নাও কর, তবুও কি নিঃসীম সেই ভালবাসা যা তাঁর কেন্দ্রের চারপাশে পরিবেষ্টিত হয়ে আছে, তা একের শুভ ইচ্ছা থেকে অপরের শুভ ইচ্ছায় এবং একের সুকর্মের থেকে অন্যের সুকর্মের ব্যাপ্তিতে বিস্তারিত হয়েই ছড়িয়ে পড়েনা?
সময়ও কি ভালবাসার মতোই এক অবিভাজিত মহাশূন্যই নয়?
ধরা যাক, ঋতুর পরিমাপ ভেদে সময় গুণতে বসেছ তুমি, তখনও কিন্তু প্রত্যেকটি ঋতুই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আবর্তিত হয়েই চলেছে, এই একটিই ঋতুচক্র জালে।
আজকের দিনটি স্মৃতিমেদুরতায় তাই আলিঙ্গন করুক গতকালকে, আর একই সঙ্গে আগামীকেও গ্রহণ করুক এক ব্যকুল আগ্রহে।
আড্ডা আর একা থাকা,দুটোই খুব ভাল লাগে।
লিখতে লিখতে শেখা আর ভাবতে ভাবতেই খেই হারানো।ভালোবাসি পদ্য গান আর পিছুটান। ও হ্যাঁ আর মনের মতো সাজ,অবশ্যই খোঁপায় একটা সতেজ ফুল।