সন্ততি
যে নারী সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছিল এবার সে বলল, সন্ততি সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। এবং তিনি বললেন: তোমার সন্তান কিন্তু আসলে তোমার নয়। তারা তো জীবনের পুত্রকন্যা, যাদের জন্ম জগতের পিপাসায়। এরা জন্মেছে তোমার মধ্যে দিয়ে, কিন্তু তোমার থেকে নয়। যদিও তোমার সঙ্গেই তারা আছে, কিন্তু তোমাতেই যে তারা একাত্ম এমন নয়।
তুমি তাকে ভালোবাসা দিতে পার, কিন্তু তোমার ভাবনাচিন্তা নয়। কারণ, তারও আছে এক নিজস্ব ভাবনার জগত। তার শরীরটি তুমি ধারণ করেছ মাত্র, কিন্তু আত্মাকে নয়। কারণ, তার আত্মাকে আশ্রয় করে আছে আগামী, আর সেই ভাবীকাল তোমার কাছে অদৃশ্য, এমনকি স্বপ্নেও অদেখা।
এদের মতো হয়ে ওঠার চেষ্টা, সে তুমি করতেই পার। কিন্তু কোনওভাবেই তাদেরকে তোমার নকল করে তুলো না। কারণ, জীবন না ছোটে অতীতে, না কাটায় গতকালের সঙ্গে গড়িমসি করে। তুমি শুধু এক ধনুক মাত্র, যেখান থেকে জ্যা মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এসেছে তোমার সন্তান, যেন জীবনের একটি তীর।
এই অনন্তের পথে, ধনুর্ধর দেখেছেন চিহ্নগুলি এবং তাঁরই শক্তিতে বাঁকিয়েছেন তোমাকে, যাতে তাঁর তীরগুলি দূরান্তে ছুটে যায়, তীব্র গতিতে। তোমার এই টান টান বেঁকে যাওয়াকেই আরও এক বৃহত্তর আনন্দে সঁপে দাও, এই ধনুর্ধরেরই হাতে।
যে তীরটি দ্রুত নির্গত হয়ে গেছে, তিনি তাকেও যেমন ভালোবাসেন, ঠিক তেমনই ভালোবাসেন, তাঁর নিজেরই হাতে ধরা ওই অবিচল ধনুকটিও।
আড্ডা আর একা থাকা,দুটোই খুব ভাল লাগে।
লিখতে লিখতে শেখা আর ভাবতে ভাবতেই খেই হারানো।ভালোবাসি পদ্য গান আর পিছুটান। ও হ্যাঁ আর মনের মতো সাজ,অবশ্যই খোঁপায় একটা সতেজ ফুল।