নিজেকে কোনও-কোনও সময় শিকারি মনে হয়। সেই পশ্চিম মঙ্গোলিয়াতে অলটাই পাহাড়ের শিকারি, যারা ঘোড়ায় চেপে শিকারে যায়। সঙ্গে থাকে সোনালি ঈগল। নিয়মিত ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাকে। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে শিকারি। মাথায় কানঢাকা পশমের টুপি। পরনে চামড়ার পোশাক। ডান হাতে সোনালি ঈগল। তার চোখে ঠুলি। শিকারির মেয়ে পাহাড়ের পায়ের কাছে, ঘোড়ায়। তারও সর্বাঙ্গে গরম পোশাক। ডান বাহুমূল অবধি ঢাকা চামড়ার দস্তানা। ট্রেনিং চলছে। পাহাড় চূড়ার শিকারি ঈগলের ঠুলি খুলে দিল। ঘোড়ার পিঠে বসা মেয়ের তীক্ষ্ণ ডাক– ‘উরর….ক্যা…উরর…ক্যা…’ ঈগল উড়তে শুরু করেছে।
বিশাল ভারী ডানায় বাতাস কেটে ঈগল নেমে আসছে মেয়ের দিকে। এই সময় ঈগলের দিকে তাকানো নিষেধ, মেয়ের চোখে আঘাত লাগতে পারে। ঈগল এল, ডানা গুটিয়ে বসল মেয়ের ডান বাহুতে। মেয়ে তৈরি, তৈরি ঈগলও। এবার শিকারের শুরু। ঘোড়ায় চলেছে মেয়ে, কপকপ কপকপ। দক্ষিণ বাহুতে ঈগল। হঠাৎ দূরে দেখা গেল লাল শিয়াল– রেড ফক্স। দৌড়ে পালাচ্ছে। ঘোড়া ছুটিয়ে ধরা শক্ত। মারাও সহজ নয়। ঈগলের ঠুলি খুলে লেলিয়ে দেওয়া হল। দুরন্ত ঈগল অচিরেই পৌঁছে গেল লক্ষ্যের কাছে। ধারালো নখে বিদ্ধ শিয়াল। টুঁটি চেপে তীব্র ঠোক্কর। আহত শিয়াল বেশি কিছু করবার আগেই পৌঁছে গেছে শিকারি। তার কাজ এখন সহজ। ঘোড়া থেকে নেমে ছুরি চালিয়ে স্তব্ধ করে দিতে হবে লাল শিয়ালকে। তারপর বস্তাবন্দি করে ঘোড়ায় ঝুলিয়ে নিতে হবে শিকার।
এমনভাবেই শিকার করা হবে করসাক ফক্স, পাহাড়ি ভেড়া আর খরগোশ। জন্তুর মাংস, ছাল সব কিছুই কাজে লাগে পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার এই আড়াইশো ঘর শিকারিদের। মাংসের কিছুটা ভাগ নিশ্চয়ই পাবে সোনালি ঈগল। ভালো করে ভেবে রঞ্জনের মনে হল সে শিকারি নয়, সোনালি ঈগল। তার কাজ ঠুলি খুলে গেলে আজ্ঞাবহের মতো শিকারের দিকে ছুটে যাওয়া। কী এক অনিবার্যতায় সে এইসব শিকারিদের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে !
আরও পড়ুন: মন্দার মুখোপাধ্যায়ের কলমে: খলিল জিব্রানের ‘দ্য প্রফেট’-এর বাংলা অনুবাদ
কানের কাছে কেউ যেন সকাল থেকে ক্রমাগত ফিসফিস করে মন্ত্রণা দেয়। একদিন রাসবিহারি অ্যাভিনিউ ধরে গড়িয়াহাটের দিকে যাচ্ছে। একটা নতুন রিটেল আউটলেট খুলেছে। একবার দেখে আসা দরকার পোস্টার ড্যাংলার সব ঠিকঠাক লেগেছে কিনা। একটা গ্লো-সাইনও তো লাগাবার কথা। হঠাৎ কানের কাছে কেউ ফিসফিস করল– বাঁ-দিক, বাঁ-দিক… পেট্রোল পাম্পের কাছে দাঁড় করাও। দাঁড়াল। খয়েরি শার্ট পরা একটা লোক এগিয়ে এল। হাতে ব্রাউন পেপারের খাম। পেটমোটা। বলল, ‘এই যে এইটা….’ লোকটা মিলিয়ে গেল পাশের রাস্তায়। তারপর ‘ডান দিক বাঁ-দিক সোজা’ এইসব নির্দেশ দিতে থাকল কেউ। রঞ্জন সম্মোহিতের মতো গাড়ি চালিয়ে যে বাড়ির সামনে পৌঁছল, তার রঙ হলুদ। তিনতলা। সবুজ জানলা। পুরনো দিনের গরাদ। ওইখানে কেউ একজন এসে চিঠি নিয়ে যাবার পর ঘোর কাটল। বোঝা গেল তপসিয়াতে হাজির হয়েছে। ওর তো এখানে আসার কথা ছিল না! কেন এল?
আবার একদিন এমনই নিশি পাওয়ার মতো ঘুরতে-ঘুরতে পৌঁছে গেল ঝাউতলা রোড। গাড়ি রেখে নামতে বলল কেউ। একটা পলেস্তারা ওঠা বাড়ির দোতলায় নিয়ে যাওয়া হল তাকে। মাঝবয়েসি একটা লোক ভালো করে দেখল রঞ্জনকে। লোকটার চোখে সুর্মা। তীব্র চাহনি। চোখ ঝলসে যাচ্ছিল। চোখ একটু নামাতেই দেখা গেল গোঁফ নেই, দাড়ি আছে। রঞ্জন ভালো করে দেখল লোকটাকে– এর দাড়ি নকল। এরকম যাত্রাপার্টির মতো সেজেছে কেন?
লোকটা বলল,
– যা বলছি কর, আল্লাহপাকের দোয়া মিলবে…
রঞ্জন মাথা নাড়ল।
– একটা কথা। আপনি কি যাত্রা করেন?… শাহজাদা দারাশুকোর পার্ট? তাই দাড়ি লাগিয়েছেন?
– খামোশ…
দারাশুকোর ভুরু কুঁচকে গেল। মনে হচ্ছে রেগে গেছে। কিংবা নাটকের সংলাপও হতে পারে, ঝালিয়ে নিচ্ছে। যাইহোক, ওকে ঠান্ডা করবার জন্য রঞ্জন বলল,
– না মানে আমিও তো একটু-আধটু অভিনয় করতাম… তাই ভাবছিলাম আপনারও বোধহয় আজকে কোথাও শো। ও বুঝেছি, আপনি সিরিয়ালের জন্য মেক-আপ…
মাঝপথ থেকে দারাশুকো বলল,
– যা বলটু নিয়ে যা। এ পারবে…
এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্য একটা একতলা বাড়িতে গেল ও আর বলটু। সেখানে একটা ঘরে সাতজন। ভয় পাওয়া ছাগলের মতো মুখ। খালি গায়ে সিল্কের চাদর, কপালে চন্দনের ফোঁটা। প্রত্যেকের মাথায় ছ’ইঞ্চি লম্বা টিকি। বলটু একটা কাঁচি দিয়ে বলল,
– এদের টিকিগুলো কেটে দাও…
টিকি কাটাতে আর কী অসুবিধা? রঞ্জন ফটাফট কেটে দিল। যখন ঘোর কাটল, দেখল ঝাউতলা রোডে গাড়ির মধ্যে বসে আছে। একে দিবাস্বপ্ন বলে উড়িয়ে দিতে পারত রঞ্জন, যদি না পরদিনের কাগজে ওই টিকিছাঁটা লোকগুলোর ছবি বের হতো। হ্যাঁ! এই লোকগুলোকেই তো রঞ্জন দেখেছে আগেরদিন। কাগজ এও লিখেছে যে, এইসব দাঙ্গা বাধাবার কায়দা। কী বিপদের কথা!
একদিন রাসবিহারি অ্যাভিনিউ ধরে গড়িয়াহাটের দিকে যাচ্ছে। একটা নতুন রিটেল আউটলেট খুলেছে। একবার দেখে আসা দরকার পোস্টার ড্যাংলার সব ঠিকঠাক লেগেছে কিনা। একটা গ্লো-সাইনও তো লাগাবার কথা। হঠাৎ কানের কাছে কেউ ফিসফিস করল– বাঁ-দিক, বাঁ-দিক… পেট্রোল পাম্পের কাছে দাঁড় করাও। দাঁড়াল। খয়েরি শার্ট পরা একটা লোক এগিয়ে এল। হাতে ব্রাউন পেপারের খাম। পেটমোটা। বলল, ‘এই যে এইটা….’ লোকটা মিলিয়ে গেল পাশের রাস্তায়।
একমাস পরে বিকেল চারটেয় আবার ফিসফাস। আবার সম্মোহন যাত্রা। দোতলা বাড়ির ছাদে বসানো হল রঞ্জনকে। হঠাৎ একজন এল। নিশ্চয়ই ষাট পেরিয়েছে। মাথা পুরো সাদা। ফলে তামাটে মুখ কালচে দেখায়। ভদ্রলোকের চোখ গেল ছাদের কোণে।
– এ কি! ওই জঞ্জালের বস্তাটা ছাদে কেন? এই যে বাবা রঞ্জন, এই ছাদের পশ্চিমে ভাগাড়। একতলায়। ভাগাড়ে ফেলে দাও না বস্তাটা, প্লিজ। কাল করপোরেশনের গাড়ি এসে নিয়ে যাবে। তারপর তোমার সঙ্গে কথা বলছি… অনেক কথা আছে।
ভদ্রলোককে ঊনবিংশ শতাব্দীর মনীষীদের মতো দেখতে। উনি এগিয়ে এসে রঞ্জনের মাথায় হাত রাখলেন। কীসব মন্ত্র পড়তে থাকলেন বিড়বিড় করে। শেষে বললেন,
– যাও ফেলে এস। তুমিই পারবে, তোমার মধ্যে কালীঠাকুর ভর করেছেন। বল, বল… জয় কালী।
জয় কালী…। রঞ্জন বস্তাটা তুলল। বেশ ভারী। আন্দাজে বুঝল ভেতরে ভাঙা ইঁট, জানালার কাঠ এই জাতীয় কিছু আছে। নিশ্চয়ই কোনও ঘরে রাজমিস্ত্রি লেগেছে। ছাদের আলসে বেশ উঁচু। বস্তাটা তুলে তার ওপর রাখতেই হাঁফ ধরে গেল। কিন্তু এইভাবে বেশিক্ষণ রাখা যায় না। এমন বেঢপ বেয়াদব বস্তা খালি গড়িয়ে ছাদের দিকে চলে আসতে চায়! দু’হাত দিয়ে সজোরে ধাক্কা দিল রঞ্জন
– যা ভাগাড়ের মাল ভাগাড়ে যা…
পেছন ফিরে দেখে কেউ নেই। সেই ষাট বছরের বৃদ্ধ হাওয়া। নীচ থেকে হল্লা শোনা যাচ্ছে। রঞ্জন একতলায় নেমে এল। একদল ছেলে ওর পাশ দিয়ে ওপরে উঠে গেল ‘কোন শালা ফেলল, ধরতে পারলে ছাল ছাড়িয়ে নেব’, এইসব বলতে-বলতে।
টিভিতে রাতের ‘কলকাতা রাউন্ড আপ’-এ জানা গেল খিদিরপুরে ইঁট-লোহা ভরা বস্তার আঘাতে পাঁচজন আহত। একজনের অবস্থা সংকটজনক। বাড়ির ওইদিকে রমজান মাসের বাজার বসে। নমাজ শেষে অনেকে যখন বাজারের দিকে যাচ্ছে, তখন বস্তাটা ওপর থেকে পড়ে। মাঝখানে একটা মোটা লোহার রডে ধাক্কা খেয়ে বস্তাটা পড়ায় তার গতি কিছু কমেছে, পূর্ণগতিতে পড়লে ভয়ংকর কাণ্ড হত।
এরপরে যা হল, তা আরও মারাত্মক। টুইটার মোবাইল একটা নতুন স্কিম আনবে। নিয়মমতো মুম্বইয়ের অফিস থেকে প্রোডাক্ট নোট আগে রঞ্জনকে পাঠানো হল। কনফিডেনশিয়াল নোট। দারুণ কনসেপ্ট। এই প্রিপেড স্কিমে আনলিমিটেড কল আর এসএমএস-এর ব্যবস্থা আছে। টাকাও সামান্য। দারুণ হিট হবে এই স্কিম। রঞ্জন মতামত লিখে মেল করে দিল। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে বাজারে এসে যাবে তাদের এই প্রিপেড স্কিম। কিন্তু, কী আশ্চর্য, তার আগেই, পনেরোই অগস্ট স্প্যারো কমিউনিকেশনস বাজারে ছেড়ে দিল ফ্রিডম কল নামে প্রিপেড স্কিম। যে প্রোডাক্ট রঞ্জনকে পাঠানো হয়েছিল গোপনীয় বলে, কী করে হুবহু সেই জিনিস বাজারে এসে গেল ওদের আগেই! আরও আশ্চর্য শুধু কলকাতাতেই স্প্যারো ছেড়েছে এই স্কিম! কী করে হল? এ অফিসে রঞ্জন ছাড়া তো আর কেউ জানেনা এই প্রোডাক্টের খবর!
হঠাৎ মনে পড়ল সাতদিন আগের সন্ধের কথা। ওকে ফিসফিস করে নিয়ে যাওয়া হল উড স্ট্রিটের এক অফিসে। টাই পরা এক ভদ্রলোক কম্পিউটার এগিয়ে দিয়ে বললেন,
– নাও প্রোডাক্ট নোটটা লিখে ফেল তো, দেখি কেমন পড়া মুখস্থ করেছ… ডিটেলে লেখবার দরকার নেই, হাইলাইটসগুলো লিখে দাও, তাহলেই চলবে।
সে লিখেছিল সব। তারপর ঘোর চলে গেলে দেখল নিজের চৌরঙ্গি অফিসেই বসে।
রঞ্জন বস্তাটা তুলল। বেশ ভারী। আন্দাজে বুঝল ভেতরে ভাঙা ইঁট, জানালার কাঠ এই জাতীয় কিছু আছে। নিশ্চয়ই কোনও ঘরে রাজমিস্ত্রি লেগেছে। ছাদের আলসে বেশ উঁচু। বস্তাটা তুলে তার ওপর রাখতেই হাঁফ ধরে গেল। কিন্তু এইভাবে বেশিক্ষণ রাখা যায় না। এমন বেঢপ বেয়াদব বস্তা খালি গড়িয়ে ছাদের দিকে চলে আসতে চায়! দু’হাত দিয়ে সজোরে ধাক্কা দিল রঞ্জন – যা ভাগাড়ের মাল ভাগাড়ে যা… । পেছন ফিরে দেখে কেউ নেই। সেই ষাট বছরের বৃদ্ধ হাওয়া। নীচ থেকে হল্লা শোনা যাচ্ছে।
এই কথা তো আর হেড অফিসের লোককে বলা যায় না! সে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। নিজের কোম্পানির খবর রাইভ্যাল কোম্পানিকে দেওয়া কোনওমতেই ক্ষমাযোগ্য নয়। যেহেতু রঞ্জনের সুনাম প্রচুর তাই কেউ ওকে সন্দেহ করল না। শুধু সাবধান করা হল, ওর সেক্রেটারি বা জুনিয়র কেউ যেন কোনওমতেই ওর কম্পিউটারে হাত না দেয়। অর্থাৎ মুম্বই অফিস ওকে সন্দেহ করছে না ঠিকই, কিন্তু প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বাপু হে তুমি ধেড়িয়েছ, এবার সাবধান হও।
সেদিনই রঞ্জন ঠিক করেছিল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। অনেকদিন আগে নন্দিনীর মাধ্যমে সাইবার সেলের কর্তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। সেই আলাপ টিঁকে আছে এখনও। দেখা করে সব গুছিয়ে বলতে হবে। এতদিনে ফিসফিসের একটা অঙ্ক বুঝতে পেরেছে। সে যদি সোনালি ঈগল হয়, তবে সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা অবধি তাকে চালায় একদল শিকারি। আবার সন্ধে ছ’টা-সাড়ে ছ’টা থেকে দশটা এগারোটা অবধি তার দখল নেয় অন্য আর এক দল। ওই যে মাঝে এক ঘণ্টার ছুটি, তার মধ্যে কিছুটা ঘোর কেটে যায়। নিজস্ব চিন্তাশক্তি কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরে আসে। আবার মাঝরাত্তিরে ঘুম ভেঙে গেলে বোঝে, সে নিজের মতো ভাবছে। কারণ, এক-আধদিন নন্দিনীর জন্য কষ্ট হয়। মনে হয়, হয়তো তার ভুল ছিল কোথাও।
গগন কাঁপানো আওয়াজ তুলে একটা মোটরবাইক ছুটে গেল দক্ষিণ থেকে উত্তরে। আরোহী এক বাইশ-তেইশের ছেলে। হেলমেট নেই, মাথায় লাল ফেট্টি বাঁধা। এরা ইচ্ছে করে সাইলেন্সর পাইপ খুলে রাখে! আওয়াজ তুলে যাওয়ায় নাকি বেশ দাপট। কী যে ভাবে এরা নিজেদের!
চারদিক ভালো করে দেখে নিল রঞ্জন। লছমন এখনও আসেনি। কোথায় যে চলে গেল! দেখাল কড়ে আঙুল, হয়তো বড় পেয়ে গেছে। গাড়ি থেকে নেমে একটা ভুট্টা কিনল রঞ্জন। কামড় দিয়ে দানাগুলোকে মুখের ভেতর নিতেই অপূর্ব লাগল। গরম ভুট্টা। কচি। ভালো করে লেবু, নুন মাখানো। ভুট্টা খেতে-খেতে ফুটপাথে পায়চারি শুরু করল রঞ্জন। পায়চারি করতে করতে ভাবতে পারলে চট করে কোনও সূত্র পাওয়া যায়।
প্রাবন্ধিক ঔপন্যাসিক অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের ঝোঁক বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি। তাঁর তিনটি তথ্য-উপন্যাস-- অগ্নিপুরুষ, আটটা-ন’টার সূর্য এবং অবিরাম জ্বরের রূপকথা--তিনটি বিভিন্ন সময় নিয়ে। প্রবন্ধের জন্য দু’বার পেয়েছেন আনন্দ-স্নোসেম পুরস্কার। শেষোক্ত উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে নামী পুরস্কারের বিচার তালিকায় স্থান পেয়েছিল।