ঘুমপাড়ানি মাসি এবং পিসি দুজনেরই খুব গুমর। যখন ওনাদের ডাকাডাকি করা হয় তখন ওনারা সে ডাকে পাত্তা দেন না, বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পান না। অথচ পরীক্ষার আগেরদিন, যেদিন ভোর পাঁচটায় বেরনোর কথা তার আগের রাতে, মাসি পিসিরা আদর করে চোখের পাতায় এসে বাসা বাঁধেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, সাহেবসুবোদের মাসিপিসিরা এতটা নিষ্ঠুর নন।
স্লিপ মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, প্রাচ্যের চেয়ে পাশ্চাত্যের মানুষ ঘুমোয় বেশি। তার মধ্যেও আবার মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ সবচেয়ে দেরিতে ঘুমোতে যায়। এই পরীক্ষা করা হয় ১৬ থেকে ৩০ বছরের সতেরো হাজারের কিছু বেশি মানুষের ওপর।
নতুন শতাব্দীতে প্রযুক্তি, সোশ্যাল নেটওয়ার্কের বাড়বাড়ন্ত, কাজের বেড়ে চলা চাপ প্রভাব ফেলছে নতুন প্রজন্মের ওপর। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিদেশি ক্লায়েন্টের প্রয়োজনে বেশি রাত অবধি জেগে কাজ করার অভ্যেসও তৈরি হয়েছে এক শ্রেণীর মধ্যে। সেইসঙ্গে বেড়েছে টেলি ও ওয়েব সিরিজের প্রতি আসক্তি। সব মিলিয়েই তাই মিলেনিয়াল প্রজন্ম নিশাচর।
তবে প্রাচ্যের মানুষদের মধ্যে ঘুমনোর তুলনামূলকভাবে কম হবার কারণ হয়তো কিছুটা সামাজিক। পারিবারিক দায়দায়িত্ব পালন ও পড়াশোনার চাপের কারণেই ঘুমের সময় কম পড়ছে প্রাচ্যে যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্কের ঘুমের গড় সময় সাড়ে ছ ঘন্টা এবং ইওরোপে সেটা সাত ঘন্টার বেশি।
তথ্যসূত্র:
রেডিফ
হিন্দুস্তান টাইমস
পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় আকারে স্থূল, প্রকারে কুল এবং জোকার-এ মশগুল। ভালোবাসেন মার্ভেল, ডিসি, আর যা কিছু ফিশি। পূর্বজন্মে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে বাংলার নেশায় বুঁদ। পরজন্মে গল-দের গ্রামে খোলা আকাশের নীচে গোল টেবিলে নৈশভোজের আসরে বসে বুনো শূকরের রোস্ট খেতে চান।