Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৯

বাংলালাইভ

জুন ১৪, ২০২৩

Interview with Debojyoti Dutta part-9
Interview with Debojyoti Dutta part-9
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

বিটি রোডের পাশে ঐতিহ‍্যবাহী বেলঘরিয়ার সরস্বতী প্রেস। কলকাতা তো বটেই, সারা ভারতবর্ষে এই প্রেসের সুখ‍্যাতি রয়েছে। ১৯২৩ সালে ‘যুগান্তর’ দলের কর্ণধার প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতীর পরামর্শে ত‍ৎকালীন দুই বিখ‍্যাত কংগ্রেস নেতা অরুণচন্দ্র গুহ এবং মনোরঞ্জন গুপ্তকে সঙ্গী করে মহেন্দ্রনাথ দত্ত ২৬/২ বেনিয়াটোলা লেনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সরস্বতী প্রেস। পরবর্তীকালে সাহিত‍্য সংসদ এবং শিশু সাহিত‍্য সংসদও তৈরি করেন এই মহেন্দ্রনাথ দত্ত-ই। বেনিয়াটোলা লেনে সরস্বতী প্রেসের শুরুটা হলেও নানা কারণে পরের বছর থেকে তা স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পরাধীন ভারতে মূলত জাতীয়তাবাদী সাহিত‍্যকে প্রচারের আলোতে নিয়ে আসাই ছিল এই প্রেস তৈরির নেপথ‍্য কারণ। ফলে এই প্রেসের প্রতিটি ইঁটের খাঁজে লুকিয়ে আছে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস। ১৯৭৫ সাল থেকে সরস্বতী প্রেসের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্রনাথ দত্তের সুযোগ‍্য পুত্র এবং সাহিত্য সংসদের কর্ণধার দেবজ‍্যোতি দত্ত। শতাব্দী প্রাচীন এই প্রেসের নেপথ‍্যের নানান গল্প নিয়ে বাংলালাইভের মুখোমুখি হলেন তিনি। প্রতি বুধবার ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পর্বে প্রকাশিত হবে দেবজ‍্যোতি দত্তের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি। কথোপকথনে দেবজ্যোতি দত্ত এবং শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়…

আজ নবম পর্ব।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: শিশু সাহিত্য সংসদের কিছু বই প্রকাশিত হওয়ার পর মহেন্দ্রনাথ দত্ত বড়দের জন্য ভাবতে শুরু করলেন এবং সাহিত্য সংসদের নামে কিছু বই আসতে শুরু করল। প্রথম যে বড় কাজটা হল, সেটা বঙ্কিম রচনাবলী।

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, বঙ্কিম রচনাবলী ১ম এবং ২য় খণ্ড। প্রথমটা হচ্ছে উপন্যাস, দ্বিতীয়টায় সমস্ত প্রবন্ধ।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সম্পাদনা করলেন যোগেশচন্দ্র বাগল!

Jogesh chandra bagal
যোগেশচন্দ্র বাগল

দেবজ্যোতি দত্ত: বাবা যে এই ব্যাপারটা করলেন, তার আগে রচনাবলী অনেক হয়েছে, কিন্তু পাবলিশার কী দিত সেখানে? কোনও  এডিটোরিয়াল ইনপুট ছিল না।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: একেবারেই তাই। সম্পাদকের জন্য কোনও জায়গা সচরাচর থাকত না।

দেবজ্যোতি দত্ত: এই যে সম্পাদকের এডিটোরিয়াল ইনপুট সেটা যে একটা প্রকাশনারও ইনপুট, এটা বাবা প্রথম চালু করলেন বঙ্কিম রচনাবলী দিয়ে। সেখানে কে সম্পাদনা করলেন? যোগেশচন্দ্র বাগল। সে যুগের একজন প্রসিদ্ধ গবেষক। যোগেশচন্দ্র বাগলের যে ট্রেন্ড, সেটা কিন্তু রচনাবলীর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল এবং এই রচনাবলী আরেক দিক থেকেও ট্রেন্ড তৈরি করল। তার আগে কী হত জানো তো? বাঁধানো বইয়ের যে ডাস্ট জ্যাকেট থাকে, সেই ডাস্ট জ্যাকেট সাধারণত এক কালারের হত, খুব একটা ডিজাইনও করা হত না। বঙ্কিম রচনাবলীতেই সে যুগে কালারফুল ডিজাইনের ডাস্ট জ্যাকেট প্রথম। এই জ্যাকেট ডিজাইনে কে সাহায্য করেছিলেন জানো? বি. কে. গুপ্ত। পীযূষ মিত্র করেছিলেন, কিন্তু সমস্ত প্ল্যানিংটা বি. কে. গুপ্তর। ওই যে হলুদ এবং গাঢ় চকলেটের মতো একটা রং, এটা কিন্তু সেকালে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে বুক-কেসে শোভা পেত।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ওটা তো ডিমাই সাইজে হয়েছিল? 

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, ডিমাই সাইজে হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তোমাকে বলি, বইটা কী কাগজে ছাপা হয়েছিল জানো? বাইবেল পেপারে। পাতলা কাগজ। বাইবেল পেপারে ছাপা কিন্তু লেটারপ্রেসে খুব সহজ ছিল না। 

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: কাগজটা পাতলা বলে? 

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, মেশিনটার এত প্রেসার পড়ে, তাতে কিন্তু… 

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: কম জিএসএম-এর বলে ছিঁড়ে যাবার সম্ভাবনা?

দেবজ্যোতি দত্ত: পেছনে ফুটো হয়ে যেতে পারে। দু-পিঠে ছাপার ব্যাপারটায় অনেক ঝামেলা। কিন্তু সরস্বতী প্রেস এরকম লেভেলে পৌঁছেছিল যে টিস্যু পেপারেও ছাপতে পারত।

Bankim Rachanabali

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: পারফেকশনটা ওই লেভেলের!

দেবজ্যোতি দত্ত: সরস্বতী প্রেসের পারফেকশনটা সত্যিই এমন জায়গায় ছিল। বাইবেল পেপারে ছাপা নিয়ে তোমাকে আমি বলি,  ১৯৬১ সালে তো রবীন্দ্রনাথের শতবার্ষিকী হল। তার আগে থেকেই কিন্তু প্ল্যানিং চলছিল। ১৯৫৮-’৫৯ সালে, বাবা আমাকে বলেছেন, বিধান রায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: আপনার বাবাকে?

দেবজ্যোতি দত্ত: বাবাকে এবং শৈলেন গুহরায়কে। বিধান রায় ডেকে বললেন যে উনি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের একটা রচনাবলী করতে চান।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সুলভ মূল্যে রচনাবলী?

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, সুলভ মূল্যে একটা রচনাবলী দিতে চান এবং তিনি এই কাজে বাবাদের সাহায্য চাইলেন। বাবা তখন বললেন, ‘ঠিক আছে। সব থেকে ভালো ছাপা আমি সস্তায় করে দেব’। উনি তারপর একটা ফলস কপি করতে বললেন। কীরকম ভাবে হবে, কত টাকা লাগবে আন্দাজ দিতে বললেন। তখন বাবা কস্টিং করে দিলেন। 

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ওই বঙ্কিম রচনাবলীর সাইজেই হল?

দেবজ্যোতি দত্ত:  হ্যাঁ। কিন্তু কেন ওই সাইজটা, সেকথা বলছি। বিধান রায় জিজ্ঞাসা করলেন কোন সাইজটা করলে ভালো হয়? বাবা তখন বঙ্কিম রচনাবলীর ১ নম্বরটা নিয়ে গেলেন। বিধান রায় দেখে খুব খুশি। বললেন, ‘বাঃ, বেশ তো। হাতে ধরে বেশ সহজভাবে পড়া যাচ্ছে। কোনও অসুবিধে হচ্ছে না তো পড়তে’। তখন উনি করলেন কি, ডি.এন.সেনকে ডেকে পাঠালেন। এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের ডি.এন. সেন তখন ওঁর ডান হাত। ডি.এন.সেনও ওই সাইজটা খুব পছন্দ করলেন। তখন ঠিক হল যে ওই সাইজটাই হবে। বাবা জানতে চাইলেন কাগজটা কি আপনারা দেবেন? এটা তো পাতলা কাগজে করেছি। আপনারা মোটা কাগজে করলে তো এই সাইজটা হবে না।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: মোটা হয়ে যাবে!

দেবজ্যোতি দত্ত: তখন বিধান রায় বলেছিলেন, ‘আমি নোবেল ফাউন্ডেশনকে লিখেছি যে আমি এটা করতে যাচ্ছি। আমাকে ভালো কাগজ সস্তায় আপনারা ডোনেট করুন।’

Dr. Bidhan Chandra Roy
বিধান রায়

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: নোবেল ফাউন্ডেশনকে?

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, নোবেল ফাউন্ডেশনকে। বাবা বললেন, ‘ঠিক আছে।’ কস্টিং করে দিলেন। কস্টিং তো বাবার মাথার মধ্যেই থাকে। এটা আমি পরে শুনেছিলাম বাবার কাছ থেকে। ৭৫ টাকা দাম হয়েছিল ১৫ ভল্যুমের। ১৫-এর ক, খ কিছু একটা হয়েছিল— সেটা আমার ঠিক মনে নেই। মোটামুটি কিছু মোটা, কিছু পাতলা হয়েছিল। দাম ৭৫ টাকা।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ফুল সেট? 

দেবজ্যোতি দত্ত: ফুল সেট ৭৫ টাকা। তার মানে প্রতি কপি ৫ টাকা। আমাদের বঙ্কিম রচনাবলী যখন প্রথম বাইবেল পেপারে ছেপে বেরোয়, তার দাম ছিল সাড়ে ৭ টাকা। তার মানে কী? তার কস্টিং কম ছিল। আমাদের কিছু কমিশন দিয়ে তো বেচতে হবে। তার মানে কস্টিং ৫ টাকার কম ছিল নিশ্চয়ই। না হলে আমি কী করে ছাপব? ৬০০০ কপি ছাপা হয়েছিল। যাতে কস্টিংটা কমে যায়, দামটা ঠিক রাখা যায়। রবীন্দ্র-রচনাবলীর কাগজ কিন্তু আসেনি।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: নোবেল ফাউন্ডেশন কথা রাখেনি?

দেবজ্যোতি দত্ত: না, নোবেল কথা রেখেছিল। কিন্তু কাগজ নয়, কাগজের পাল্প পাঠিয়েছিল। বিনা পয়সায় পাল্প পাঠিয়েছিল জাহাজে করে। সেই পাল্প কোথায় প্রসেস হয়েছিল জানো? অ্যান্ড্রু ইয়ুলের ইন্ডিয়ান পেপার অ্যান্ড পাল্প কোম্পানিতে এবং ১৫ ভল্যুমের ১০ ভল্যুম সরস্বতী প্রেস ছেপেছিল।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ওই পাল্পের কাগজ কি ব্যবহার করা হয়েছিল? 

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, ওই পাল্পের কাগজই তো ব্যবহার করা হয়েছিল। যার জন্য কাগজে ঘুণ ধরত না। এখনও অবধি কাগজ ভালো আছে। আমার বাড়িতে এখনও আছে।

S N Guharoy
শৈলেন গুহরায়

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: আমি রচনাবলী প্রসঙ্গে আরেকটু জানতে চাইব সাহিত্য সংসদ থেকে বঙ্কিম রচনাবলীর পর রমেশ রচনাবলী, দ্বিজেন্দ্র রচনাবলী, মধুসূদন রচনাবলী পরপর বাংলার চিরায়ত সাহিত্যের যে ভাণ্ডার, সেটা আস্তে আস্তে পাঠকের সামনে আসতে থাকল এবং প্রত্যেকটিই এডিটোরিয়াল ইনপুটে সমৃদ্ধ রচনাবলী। যেটা আপনার বাবা বাংলা প্রকাশনায়…

দেবজ্যোতি দত্ত: রচনাবলী করার সময় এডিটোরিয়াল ইনপুট যেটা দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকটা বইয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করা, সেটা তখনকার দিনের বাংলা প্রকাশনায় অন্যরকম ব্যাপার ছিল। যার জন্য সাহিত্য সংসদ ছোট কোম্পানি হলেও তার একটা গুডউইল বা সুনাম কিন্তু প্রথম থেকেই ছিল। প্রোডাকশনের দিক থেকে, পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে এবং বিষয়ের দিক থেকে সব দিক থেকেই পাঠকের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেছিল বলে সংসদ সব সময়ই লোকের মনে দাগ কেটেছিল।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: এই যে গোটা সিরিজটা বঙ্কিম রচনাবলী, রমেশ রচনাবলী, দ্বিজেন্দ্র রচনাবলী, মধুসূদন রচনাবলী, গিরিশ রচনাবলী পরপর হচ্ছে…

দেবজ্যোতি দত্ত: গিরিশ করেছিলেন দেবীপদ ভট্টাচার্য। রচনাবলীর শেষের দিকটায় যেটা হল তারাশঙ্কর তখন প্রায় ক্ল্যাসিকের দিকে পৌঁছে গেছেন, আমরা কিন্তু আর কারোর গল্পের বই করিনি। 

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: তারাশঙ্করের গল্পগুচ্ছ?

দেবজ্যোতি দত্ত: এটা কিন্তু বাবার অন্যরকমের একটা পদক্ষেপ ছিল, কারণ সেই সময় তারাশঙ্কর প্রায় কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। সেইজন্য সমস্ত গল্প গল্পগুচ্ছের তিনটে ভল্যুমে আছে এবং এর কপিরাইটও আমাদের কাছে আছে। অনেকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নিয়ে করেছেন বটে, বাবা তাতে অনুমতিও দিয়েছেন ঠিক আছে করুক। তাঁর ছেলে সরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এগুলো দেখতেন, বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ভালো ছিল। উপন্যাসগুলো ছিল মিত্র ও ঘোষের।

Mahendra Dutta
বাবা মহেন্দ্র দত্ত

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সাহিত্য সংসদ রচনাবলী ছাপছেন যখন, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলা সাহিত্যের চিরায়ত লেখকদের লেখাই ছাপা হচ্ছে। রবীন্দ্র রচনাবলী সে সময় ছাপার সুযোগ ছিল না। সরকার একটা করছেন, তাতে উনি সাহায্য করছেন। বঙ্কিম হচ্ছে, মধুসূদন হচ্ছে… কিন্তু সমসাময়িক বাংলা গল্প-উপন্যাস এইগুলো কেন ছাপা হচ্ছে না?

দেবজ্যোতি দত্ত: বাবা ঠিক করেছিলেন সমসাময়িক গল্প-উপন্যাস আমরা কোনোদিনই ছাপব না।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: কবিতার বই?

দেবজ্যোতি দত্ত: না, কবিতার বইও বাবা ছাপেননি। ছেপেছেন, অন্য জিনিস। মডার্ন কবিতা নয়।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: আধুনিক কবিতা বলতে আমরা যা বুঝি, সেরকম বই কিন্তু সংসদ ছাপেনি কখনও। আপনিও পরবর্তীকালে ছাপেননি।

দেবজ্যোতি দত্ত:  আমিও ছাপিনি, কারণ ওই জিনিসটা আমি বুঝি না। বাবা ছড়া বুঝতেন এবং আরেকটা জিনিস বাবা শেষের দিকে করেছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সমস্ত কাব্যগ্রন্থ নিয়ে বাবা বই করেছিলেন। সম্পাদনা কে করেছিলেন জানো? অলোক রায়। কিছুদিন আগে মারা গেলেন। অলোক রায়কে ঠিক করে দিয়েছিলেন শঙ্খ ঘোষ। বাবা শঙ্খ ঘোষকে নিজের পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। তখন শঙ্খদাই বলেন যে অলোক রায় হচ্ছেন যোগ্য মানুষ। শঙ্খদার বাবা মণীন্দ্রকুমার ঘোষ ছিলেন আমার বাবার ভীষণ বন্ধু।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: তাই?

দেবজ্যোতি দত্ত: ভীষণ বন্ধু! বলি তোমাকে, ৫৬ সালে যখন প্রথম বাংলা অভিধান বেরোয় তখন বাবা মণীন্দ্রবাবুর কাছে ওঁর মতামত জানতে চেয়েছিলেন এবং সেই সূত্র ধরে, মণীন্দ্রবাবু তো বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-বানান ইত্যাদি দিক থেকে…

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: স্টলওয়ার্ট।

দেবজ্যোতি দত্ত: স্টলওয়ার্ট ছিলেন। সংসদ বাংলা অভিধানের যখন তৃতীয় সংস্করণ বেরোয়, তখন মণীন্দ্রবাবু বলেন, এখন কাজটা সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রথম যখন বেরিয়েছিল, তখন সেটা রাজশেখর বসুর কাছেও গিয়েছিল, ওঁর চলন্তিকা তখন খুবই চালু অভিধান। তা সত্ত্বেও রাজশেখর বসু কিন্তু ওটার প্রশংসা করেছিলেন। অনেকের কাছেই গিয়েছিল। অভিধান বেরোনোর পর সংসদের ইতিহাস আবারও নতুন ধারায় বইল।

 

 

 

*ছবি সৌজন্য: লেখক, Wikipedia, Amazon

*পরের পর্ব প্রকাশ পাবে আগামী বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

Banglalive.com Logo

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।

Picture of বাংলালাইভ

বাংলালাইভ

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।
Picture of বাংলালাইভ

বাংলালাইভ

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com