Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

চ্যাটজিপিটি – মিডজার্নি ও আমাদের বদলাতে থাকা ‘সংজ্ঞারা’

একক

জুন ১৯, ২০২৩

ChatGPT mid journey and human creativity
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

প্রায় দেড় দশক আগে, যে ট্র্যাভেল এজেন্ট প্রথমবার আমার কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর যাওয়ার টিকিট কেটে দিয়েছিলেন, তিনি নিজে কস্মিনকালেও দক্ষিণ ভারতে পা রাখেননি। বিটিএম-এ পেইং গেস্টের বন্দোবস্ত, কোথায় গেলে সেরা মাইসোর পাক খেতে পাব, এবম্বিধ সমস্ত তথ্য নেওয়ার পর আনাড়ির মতো জিজ্ঞেস করলুম, আপনি তো অনেকবার গেছেন তাই না? চোখ কপালে তুলে উত্তর কোলকাতার মার্কামারা তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে তিনি বললেন: ধোহ্ মশাই ওসব তেঁতুলজলে আমার ইন্টারেস্ নেই!

বোঝো! আপনি বলবেন, আমার ভাগ্য ভালো যে ‘আঁখো দেখি’ সিনেমার সেই সক্রেটিসের ভাবশিষ্য বাউজির মতো, ভদ্রলোক টিকিট কেটে দিতেই অস্বীকার করেননি। বা, কোনোদিন নিজের অভিজ্ঞতায় নেই বলে, ব্যাঙ্গালোর নামে ভূ-ভারতে কোনও জায়গা আছে, মানতেই। কী ফ্যাসাদটাই না হত তাহলে। ওসব পাগলামি সিনেমাতেই ভাল্লাগে— যাই  বলুন।

তবে কখনও কখনও বাস্তবেও এমনতর হাবভাব নিয়ে জলঘোলা হয় বৈ কি! এই যেমন, আটের দশকে আমেরিকার দার্শনিক জন সার্ল তাঁর বিতর্কিত চাইনিজ রুম আর্গুমেন্ট যখন প্রথম প্রকাশ করলেন। বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার ও কৃত্ৰিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গামা গামা থিওরি আর আর্গুমেন্টে ব্যস্ত, এই সময়ে সার্ল একটা থট এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে হাজির, যার মূল দাবি হল কম্পিউটার যতই বুদ্ধিমানের মতো যে কোনও বিষয়ে টকা-টক উত্তর দিক না কেন, আসলে সে ঐ বিষয়ে কিছুই ‘বোঝে না’। কম্পিউটারের তথাকথিত বুদ্ধিমত্তা অনেকটা চাইনিজ ভাষা আদৌ না বুঝে কিছু চিহ্ন ও নিয়মের দ্বারা কোনও চাইনিজ বাক্যের উত্তর কী হবে, এইটা জেনে মুখস্থ উগরে দেওয়ার মতো। সত্যি সত্যিই কোন চাইনিজ শব্দের কী মানে তা কম্পিউটার জানে না।

AI learning process

এবার, সার্লের এই আর্গুমেন্টের পর থেকে আজ অবধি এর স্বপক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর আলোচনা হয়ে গেছে। উইক এআই— স্ট্রং এআই নিয়ে সেসব পাতার পর পাতা যুক্তিজালে পাঠককে ঘাবড়ে দেওয়া এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। আমরা বরং দেখব, কোনও জিনিসকে ‘বোঝা’ বা ‘ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা’— এই যে ব্যাপারগুলোর উপর সক্রেটিস ইস্কুলের লোকজন এত জোর দিয়েছিলেন, সেই ‘বোঝা’ ব্যাপারটাকেই মানুষ একটু অন্যভাবে দেখতে বাধ্য হল চাইনিজ রুম আর্গুমেন্ট-এর পরবর্তী সময়ে। কিছু লোক বলে বসল, ঠিকাছে চলো, ওই ঘরে বন্দি লোকটা না হয় চাইনিজ বোঝে না। কিন্তু এই যে চাইনিজ ইনপুটকে গ্রহণ করে উত্তর দিতে গিয়ে এত এত সিম্বল ব্যবহার কল্লে আর প্রশ্নের উত্তরস্বরূপ সিম্বল তয়ের কল্লে, এই পুরো সিস্টেমটা কি নিজেই একটা বোঝাবুঝি নয়, মানে সিস্টেমটাকেই যদি চেতনাসম্পন্ন একটা অস্তিত্ব বলে ধরে নিই? কথাটা শুনলে কেমন মনে হয় না যে, এই বলছে কেও চাইনিজ বোঝে না, আবার এই বলছে কেও বোঝে তাহলে কে বোঝে? ভূতে? কিন্তু আবার কথাটা ফেলেও দেওয়া যায় না, কারণ ওই ‘বোঝাবুঝির সিস্টেম’ নামক এক অদ্যবধি অজানা কর্তার উপস্থিতি।

আরও পড়ুন: কল্পবিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জিনিসটা করেছে কী, এর জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের চিন্তার দর্শনকে একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ এবং বিস্তৃত করে চলেছে। সত্যি বলতে কি বাপু, প্রসেসর আর ক্লাউড সস্তা হয়েছে বলেই গত কয়েক বছর যাবৎ পথেঘাটে এআই নিয়ে এত আলোচনা। কিন্তু থিওরিগুলো নিয়ে যা কাজকর্ম সে তো অনেক আগের। অনেকদিন ধরেই মানুষের চিন্তার দর্শনকে, চেতনার সংজ্ঞাকে প্রশ্ন করে আসছে এইসব আবিষ্কার। এই যেমন এখন মিড্ জার্নি এআই অবিশ্বাস্য সব ছবি এঁকে ফেলার পর ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে যে মৌলিক সৃষ্টি বলে আর কিছু রইল না। শিল্প ও শিল্পীরা আক্রান্ত। এবার, এই হালফিলের প্যানিক থেকে কিঞ্চিৎ তফাৎ বসে পাঠক একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন তো: যা কিছু সৃষ্টিশীল তা কি অভিনব থুড়ি মৌলিক হতেই হবে? প্রশ্নটা অকারণ শিশিবোতল করে ফেল্লুম? দাঁড়ান! আচ্ছা ছোটবেলায় সেই যখন ইউটিউব আসেনি, তখন যত গান শুনে মুগ্ধ হতেন, ইউটিউব আসার পর যখন জানতে পারেন আপনার নস্টালজিয়া চোবানো বহু বহু মিউজিক পিস্ কোনও না কোনও অন্য পিস্ থেকে হুবহু বা কিছু কিছু ধার করা— তখন কেমন মনখারাপ লেগেছিল? এই মনখারাপ লাগাটা দোষের নয়। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, রোম্যান্টিক মুভমেন্টের সময় যখন অতীতের ধরাবাঁধা রাশানাল গঠনশৈলীকে অস্বীকার করছে নতুন যুগের শিল্পীরা, তখন সৃষ্টিশীল চাহিদার শূন্যতা পূরণের জন্যেই অভিনবত্বের ধারণার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা শুরু হয়। সৃষ্টি মানেই হতে হবে মৌলিক ও অভিনব কিছু।

AI and Human creativity

তারপর বহু বহু বছর কেটে গেছে। পৃথিবী এখন ইন্টারনেটে যুক্ত, যেখানে সামান্য এই নিবন্ধটি লিখতে বসেই আমি পাঁচটা লেখা ঘাঁটছি। আমি কি আনকোরা নতুন কিছু বলছি? না, একদম না। যে যত লেস-ইনফর্মড, তার কাছে হয়তো দু-একটা নাম বা শব্দ একটু নতুন ঠেকতে পারে। তাও তক্ষুনি উইকি করে নিয়ে তিনিও মুখ টিপে হাসবেন, দেখেছো, ছোঁড়া ঐখান থেকে নিয়েসে!  হ্যাঁ, হয়তো কোথাও আমার যুক্তি পরম্পরা, প্রক্ষেপণ আলাদা। তাও পাঁচজনের সঙ্গে না মিললেও ছয় নম্বর ব্যক্তির সঙ্গে মিলে যাবে। অর্থাৎ কিনা ক্রিয়েটিভিটি ব্যাপারটাও আর অরিজিনালিটির দাবিদার নয়। সেখানে দাঁড়িয়ে চ্যাটজিপিটিতে গল্প লেখা বলুন বা মিড্ জার্নিতে ছবি আঁকা, তাই নিয়ে এত হৈ চৈ কেন? কসমোপলিটন ম্যাগাজিন তাদের কভার ফটো করল এআই দিয়ে। ব্যাপারটা প্রতীকী। কোথাও একটা বার্তা কি গেল না যে, কভার আঁকার জন্যে শুধু মানুষ-ইলাস্ট্রেটরের উপর আর নির্ভরশীল নন সম্পাদক?

‘আর্ট’ বললেই আমরা সাধারণ মানুষরা ‘স্পেশাল’ কিছু ভেবে একটু গদগদ হয়ে পড়ি। কিন্তু যিনি আর্ট করে খান তিনি জানেন— একটা বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল লেখা, একটা লোগো ডিজাইন, একটা ব্যানার, কভার ইলাস্ট্রেশন থেকে শুরু করে বড় ক্যানভাসে আঁকা পেইন্টিং বা রাস্তার মোড়ে সুবিশাল ইনস্টলেশন আর্ট— সবটাই আর্ট-এর জগৎ। এবং সত্যিটা হল এই যে, আর্টিস্টদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথমোক্ত কাজগুলোই বেশি পরিমাণে করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সে যতই বোকা হোক না কেন, ঐটুকুতে থাবা বসানোর ক্ষমতা আয়ত্ত করে ফেলেছে এবং ভালো মতোই করেছে। তাই অভিনবত্বের দুনিয়ায় বিশাল কিছু পরিবর্তন আনতে না পারলেও, শিল্পীর রোজগারের জায়গায় প্রতিযোগী এসে গেল, এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে ব্যাপারটা এতটাও সহজ নয়!

রোম্যান্টিক মুভমেন্ট-এর পর এতগুলো মুভমেন্ট এসে গেলেও, অভিনবত্বের দাবিটা কিন্তু আজও, মূলত টিঁকে গেছে একটা পুঁজিবাদী কারণে। অভিনবত্ব দিয়েই ঠিক হয় কপিরাইট কার। এআই সৃষ্ট কাজের আইনি ক্ষেত্রটাও তাই জটিল প্রশ্ন তুলেছে। কে এই সব কাজের মালিক? যদি কোনও বিখ্যাত শিল্পীর স্টাইল বা টেমপ্লেট ব্যবহার হয়ে থাকে এআই নির্মিত ছবি আঁকার সময়, সেই টেমপ্লেট-এর কপিরাইট কার? শিল্পীদের বঞ্চিত করেছে কি এআই? প্রশ্ন স্বাভাবিক এবং শিল্পীরা সোচ্চার হচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন। আশা করা যায়, ব্যাপারটা দ্রুত একটা টেকনোলিগ্যাল পথে সমাধানের অভিমুখে চলে আসবে।  তারপরেও এগুলো বড় ‘সমস্যা’ নয়।  নতুন টেকনোলজি কিছু আইনি জটিলতা আনেই, যার সমাধানও হয়ে যায়। পুঁজি তার রাস্তা খুঁজে নেয়। কিন্তু  ধরুন, আজ যদি কোনও অভিনেত্রী তাঁর বয়েস থাকতে থাকতে সিদ্ধান্ত নেন, যে তাঁর আর্টিফিশিয়াল এভাটার বানিয়ে সাবস্ক্রিপশন ফি নেবেন এবং তারপর শারীরিকভাবে অবসর নিয়ে ছুটি কাটাতে চলে যান? খুব অসম্ভব লাগছে? না, খুব বেশি দূর নয় সেই দিন। সম্প্রতি টম হাংকস ঠারেঠোরে এরূপ ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। ব্যাপার হল, আপনি পড়ার সময় ভাবছেন ভালোই তো, আমিও এইভাবে অবতার বেচে ছুটি কাটাব। কিন্তু বাস্তবে উল্টোটাও হতে পারে। কতিপয় নামী-দামি অভিনেতা অভিনেত্রী সেই অবতারের বাজারে করে খেলেন, এবং তাঁরা কখনোই ‘বুড়ো’ হলেন না বলে, নতুন টেমপ্লেটদাতা থুড়ি আর্টিস্টরা চান্স-ই পেল না!

একই জিনিস ঘটতে পারে ছবি আঁকা থেকে সংগীত— সবক্ষেত্রেই। গণেশ পাইনের ফিল্টার কিনে ব্যবহার করতে পারে ইন্টিরিয়র ডেকোরেটর হাউস। নিজেদের অর্ডারি ছবি বানিয়ে ভরে দিতে পারে সব ড্রয়িংরুম। সেইসব ছবি, যা গণেশ পাইন কোনোদিন আঁকেনই-নি। দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠে শুনতে পারেন নতুন কোনও বাংলা সিনেমার গান।

Tom_hanks
এবার কি রুপোলি পর্দা কাঁপাবে তম হাংকসের আর্টিফিশিয়াল এভাটার?

তাহলে তখন কি শিল্পীদের আঁকাআঁকি বন্ধ হয়ে যাবে? রেকর্ডিং কোম্পানি উঠে যাবে?

মনে হয়, না।

খেয়াল করে দেখুন, ক্যামেরা আবিষ্কারের সময় লোকজন হাহাকার করেছিল যে অঙ্কনশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। তা কি হয়েছে? তা বলে কি কোনও প্রভাব পড়েনি? পড়েছে। একসময় ছবি আঁকিয়েদের সবচেয়ে অর্থকরী এসাইনমেন্ট ছিল,  পয়সাওয়ালা লোকের বাড়ি গিয়ে পোর্ট্রেইট আঁকা। সে জিনিস বলতে গেলে বন্ধ হয়েছে। ফটোগ্রাফি সেই জায়গা পুরোপুরি নিয়ে নিয়েছিল। এখন আবার নিয়েছে মোবাইল ক্যামেরার সেলফি। কিন্তু পেইন্টিং তার নিজের জায়গা খুঁজে নিয়েছে অন্যান্য ক্ষেত্রে। কাজেই ভয় এটা নয় যে দুম করে কোনও একটা ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাবে। বাঁক বদলাবে অবশ্যই। পুঁজি তার রাস্তা খুঁজে নেবে।

চাপ অন্যত্র। শুভ্ শুভ্ বোলো আপ্তবাক্য মেনে, ধরে নিন, কেও বন্ধ হল না।  এআই-কে সকলে সমাদরে দিবারাত্র ব্যবহার করতে থাকল। ইন্টারনেট ভরে উঠল লক্ষ লক্ষ জার্নালে, আর্টিকল-এ, ছবিতে, যার রচয়িতা এআই। তাদের ডেটা থেকে লার্ন করে আরও লক্ষ লক্ষ লেখা-আঁকা ইত্যাদি উপহার দিল এআই। দিয়েই চলল।

তারপর একটা সময় এল, যখন সবাই সবকিছু সবার সঙ্গে ভীষণ ভীষণ একরকম!

যেদিকে তাকান সেই ঘিসাপিটা। লেখায় কোনও নতুন স্টাইল নেই। এআই এআই-কে পড়ছে, এআই এআই-কে শেখাচ্ছে। নতুন কোনও বাগধারা তৈরি হচ্ছে না। মানুষ মেশিনের সঙ্গে ইন্টারেক্ট করছে শুধুই বাটন টিপে বা ইমোজি দিয়ে, কাজেই মানুষের থেকে নতুন কিছু ভাষা বা কারুকৃতি শিখবে সেই সম্ভাবনাও নেই। সবকিছুই তখন ভীষণ যুক্তিনিষ্ঠ, প্রোগ্রামড, সমজাতীয়, নির্ভুল এবং একইসাথে ভীষণ বোরিং। তখন?

আমাদের অপেক্ষা করতে হবে সেই ‘তখন’-টার জন্যে। আজকের জঙ্গম হবে সেদিনের স্থাবর। সেই যুক্তিনিষ্ঠ থোর-বড়ি-খাড়া ভাঙতে হয়তো আসবে আবার একটা রোম্যান্টিক ইরা। হয়তো মানুষ আবার নিজেকে বিশ্বাস করাবে, আকাঁড়া মৌলিকত্ব বলে কিছু হয়। কিংবা সৃষ্টিশীলতা-অভিনবত্ব এইসব শব্দের সংজ্ঞাই হয়ত বদলে যাবে। প্রভাব পড়বে পুঁজির বিকাশে। মানুষ আবার ঝাঁপ দেবে অনিশ্চিতে! পুনরায় গোলচক্কর।

তদ্দিন এআই নিয়ে খেলা করুন। জার্নিতে থাকুন। এ পরবাস, মিড জার্নি বৈ তো নয়।

 

 

*ছবি সৌজন্য: PixabayFreepic, Wikimedia Commons

Author Santanu Debnath (Ekok)

একক নামেই যাবতীয় লেখালেখি। গল্প ও কবিতা মূল পরিসর। মিশনে ইশকুল পত্রিকার হাত ধরে লেখার শুরুয়াৎ। ২০০৬ থেকে একটি ওয়েবম্যাগাজিন ও প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে লেখক-সম্পাদনা সহায়ক হিসেবে যুক্ত। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। কাজের সুবাদে দেড় দশক নেপাল, ভূটান ও কর্ণাটক হয়ে অবশেষে কল্লোলিনীর টানে ফিরে আসা। নিজের লেখায় হরর-কে, চিরাচরিত গথিক ভঙ্গিমা থেকে সরে এসে ভারতীয় ধ্রুপদী রসের জায়গা থেকে প্রকাশে আগ্রহী। প্রিয় বিষয়: অঙ্ক। নেশা ফটোগ্রাফি। প্রিয় লেখক: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, ওসামু দাজাই, কাওয়াবাতা। প্রিয় চিন্তাবিদ: স্লটারডাইক। আপাতত হুয়েলবেক-এ নিমজ্জিত। প্রিয় অবসর: চুপ করে থাকা। ২০১৮-তে গুরুচণ্ডালী থেকে প্রকাশিত গল্প সংকলন 'অতিনাটকীয়'।

Picture of একক

একক

একক নামেই যাবতীয় লেখালেখি। গল্প ও কবিতা মূল পরিসর। মিশনে ইশকুল পত্রিকার হাত ধরে লেখার শুরুয়াৎ। ২০০৬ থেকে একটি ওয়েবম্যাগাজিন ও প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে লেখক-সম্পাদনা সহায়ক হিসেবে যুক্ত। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। কাজের সুবাদে দেড় দশক নেপাল, ভূটান ও কর্ণাটক হয়ে অবশেষে কল্লোলিনীর টানে ফিরে আসা। নিজের লেখায় হরর-কে, চিরাচরিত গথিক ভঙ্গিমা থেকে সরে এসে ভারতীয় ধ্রুপদী রসের জায়গা থেকে প্রকাশে আগ্রহী। প্রিয় বিষয়: অঙ্ক। নেশা ফটোগ্রাফি। প্রিয় লেখক: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, ওসামু দাজাই, কাওয়াবাতা। প্রিয় চিন্তাবিদ: স্লটারডাইক। আপাতত হুয়েলবেক-এ নিমজ্জিত। প্রিয় অবসর: চুপ করে থাকা। ২০১৮-তে গুরুচণ্ডালী থেকে প্রকাশিত গল্প সংকলন 'অতিনাটকীয়'।
Picture of একক

একক

একক নামেই যাবতীয় লেখালেখি। গল্প ও কবিতা মূল পরিসর। মিশনে ইশকুল পত্রিকার হাত ধরে লেখার শুরুয়াৎ। ২০০৬ থেকে একটি ওয়েবম্যাগাজিন ও প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে লেখক-সম্পাদনা সহায়ক হিসেবে যুক্ত। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। কাজের সুবাদে দেড় দশক নেপাল, ভূটান ও কর্ণাটক হয়ে অবশেষে কল্লোলিনীর টানে ফিরে আসা। নিজের লেখায় হরর-কে, চিরাচরিত গথিক ভঙ্গিমা থেকে সরে এসে ভারতীয় ধ্রুপদী রসের জায়গা থেকে প্রকাশে আগ্রহী। প্রিয় বিষয়: অঙ্ক। নেশা ফটোগ্রাফি। প্রিয় লেখক: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, ওসামু দাজাই, কাওয়াবাতা। প্রিয় চিন্তাবিদ: স্লটারডাইক। আপাতত হুয়েলবেক-এ নিমজ্জিত। প্রিয় অবসর: চুপ করে থাকা। ২০১৮-তে গুরুচণ্ডালী থেকে প্রকাশিত গল্প সংকলন 'অতিনাটকীয়'।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com