Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

‘এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম’

অরিজিৎ মৈত্র

আগস্ট ১৭, ২০২৪

Arijit Maitra
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

‘স্মৃতির আকাশ’ শিরোনামে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে সব ব্যক্তিদের নিয়ে লিখছি, তাঁদের মধ্যে সঙ্গীতশিল্পী, চলচ্চিত্র পরিচালকসহ আরও অনেকে কিন্তু কোনও রাজনীতিবিদ ছিলেন না। পরিকল্পনা ছিল আগামীতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার পরিবার এবং আমার ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা লিখব। এইসব ভাবনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘটল ইন্দ্রপতন। চলে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। কিন্তু তবুও তিনি ছিলেন কিন্তু আজ যে বড়ই শূন্যতা। এই পর্যায়ে তাই মনে হল খুব অল্প সময়ে বিভিন্ন অবকাশে তাঁকে যে পেয়েছিলাম, তাঁর সান্নিধ্যে বেশ কয়েকবার যাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে যে ওঁর সাহায্য পেয়েছি এবং অল্প কয়েকবার সুযোগ ঘটেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য’কে মানুষ হিসেবে দেখবার সেইসব স্মৃতিকথাই আজ ভাগ করে নেব পাঠকের সঙ্গে। বুদ্ধদার গায়ে শুধুমাত্র রাজনীতিবিদ বা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তকমা এঁটে দিলে অন্যায় হবে। রাজনৈতিক বৃত্তের বাইরে তিনি ছিলেন প্রাবন্ধিক, কবি, রবীন্দ্র-অনুরাগী, চলচ্চিত্রের অনুরাগী এমনকি একজন বাচিকশিল্পী। ছিলেন একজন ভাল পাঠক। এক কথায় যাঁকে বলা যায় শিল্প ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। আর পাঁচজনের মতো, ভাল-মন্দে, দোষে-গুণে মেশানো মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর কথা লিখতে গেলে চারটি স-এর শব্দ উল্লেখ করতে হবে। তাঁর মত সৎ, সুভদ্র, সুন্দর এবং সৌজন্যবোধের ধারক খুব বিরল, আজকের দিনে। বিশেষ করে রাজনীতিতে তো বটেই। বর্তমানে আমাদের দেশে বিশেষ করে আমাদের রাজ্যে রাজনীতি এবং সৎ এই দুটো শব্দ একসঙ্গে উচ্চারণ করতে লজ্জা করে। পঁয়ত্রিশ বছর আগে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে আমরা কয়েকজন মিলে গড়ে তুলেছিলাম ‘হেমন্ত স্মৃতি সংসদ’। সংস্থার সভানেত্রী ছিলেন শ্রদ্ধেয়া কানন দেবী। বেলা কাকীমা(মুখোপাধ্যায়) তো আমাদের সঙ্গে ছিলেনই। হেমন্ত দাদুর জীবনাবসানের পরে প্রথম জন্মদিন পালন করব ঠিক করেছিলাম রবীন্দ্রসদনে। সেই কারণেই কানন দেবী এবং বেলা কাকীমার চিঠি নিয়ে দেখা করেছিলাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে মহাকরণে। তখন তিনি রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী। আমাদের সময় দিলেন, বিশদে অনুষ্ঠানের বিষয় জানতে চাইলেন। সব শুনে আমাদের অনুরোধে সায় দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অধিকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন। সঙ্গে এও বলে দিলেন রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহ ব্যবহারের জন্য যেন কোনওভাবে আমাদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ অর্থ না নেওয়া হয়। এরপর অনেকদিন বুদ্ধদার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগের প্রয়োজন হয়নি।

অন্যদিকে চিত্রনির্মাতা তপন সিংহের সঙ্গে আমার ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাঁর ‘আতঙ্ক’ ছবির মুক্তিকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল এক অদ্ভুত জটিলতা। রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে কিছুতেই ছবিটি মুক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলছিল না। তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরে অবশ্য জ্যোতি বসুর হস্তক্ষেপে ছবিটি মুক্তি পায়। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকে তপনদা এবং বুদ্ধবাবুর মধ্যে তৈরি হয় এক দূরত্ব। ‘আতঙ্ক’ ছবির বিষয়বস্তু আজও প্রাসঙ্গিক কিন্তু সেই ছবির বিষয় তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীকে কেন এতটা বিচলিত করে তুলেছিল, জানি না আর বুদ্ধদার মতো সংস্কৃতি সচেতন একজন শিল্পমনস্ক মানুষ কেনই বা এহেন আচরণ করেছিলেন, তাও অজানা। এমনকি তপনদার মৃত্যুর পরে কোনও যথাযথ শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসতে অনেক দেরী হয়েছিল এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রেরিত সামান্য ফুল এসেছিল কেওড়াতলা মহাশ্মশানে একদম শেষ মুহূর্তে। মনে আছে, বাংলা আকাদেমির সভাঘরে তপনদা’র স্মরণসভায় আমি এই ধরণের অদ্ভুত আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বক্তব্য রেখেছিলাম এমনকি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছিলাম। এর আগে একটা ঘটনা ঘটেছিল। কিংবদন্তী চিত্রনির্মাতা বিমল রায়ের কন্যা রিঙ্কি ভট্টাচার্য কলকাতায় তাঁর বাবার স্মরণে একটি অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন আর চেয়েছিলেন তপনদা’র ছবির একটা রেট্রোস্পেকটিভ করতে। সেই সময় অনামিকা কলাসঙ্গমের তৎকালীন অধিকর্তা মধুছন্দা চ্যাটার্জীর উপদেশ মেনে আমরা স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন ডাঃ বারীন রায়ের। তাঁর সঙ্গে বুদ্ধদা’র খুব সুন্দর এক ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। আমরা চেয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রী যদি একটু সাহায্য করেন। বারীনদা সব শুনে বুদ্ধদাকে মহাকরণে ফোন করেন।

আমরা একবার তাঁর সঙ্গে আমাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। বারীনদাকে ফোনে বুদ্ধদা জানান যে “ওঁদের আমার কাছে রাইটার্সে আসার দরকার নেই, আমিই সন্ধেবেলা আপনার ওয়াটার্লু স্ট্রীটের চেম্বারে গিয়ে ওঁদের সঙ্গে দেখা করব। যেমন কথা তেমন কাজ। মহাকরণ থেকে পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে যাওয়ার সময় উনি বারীনদার চেম্বারে এলেন এবং আমাদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বসে মিটিং করলেন। সেই মিটিং-এ বুদ্ধদা ছাড়াও ছিলেন বিমল রায়ের কন্যা রিঙ্কি ভট্টাচার্য, আমি এবং বারীনদা। বিমল রায়ের ওপর স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করার জন্য আমাদের সামনেই ফোন করলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী তপন সিকদারের সঙ্গে।

তপনদা’র ছবি নিয়ে উৎসব করার বিষয়টি শুনে বললেন ‘আমি ওঁর ছবি ভালোবাসি কিন্তু আমার দলের অভ্যন্তরে এই বিষয়ে আপত্তি উঠতে পারে।’ নন্দনে সব অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা প্রকাশ করার কথা প্রসঙ্গে উনি এগুলো বলেছিলেন। যাওয়ার আগে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘প্রয়োজনীয় আবেদনপত্র নিয়ে তুমি তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকে যোগাযোগ করো, আমি বলে রাখব। পরে কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আমাদের কোনও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। নন্দনের পরিবর্তে ‘চ্যাপলিন’ প্রেক্ষাগৃহেই আমরা বিমল রায় মেমোরিয়াল কমিটির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠানগুলি করি। এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি যে তপনদা ছিলেন ঘোর কমিউনিজম বিরোধী। হয়তো সেই কারণেই এই শীতল সম্পর্ক বা সংঘাত ছিল।

যাক এইবার প্রশাসক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে ব্যক্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গে আসি। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী থাকার সময় থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যতদিন ছিলেন, মানে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই বিকেলে উনি নন্দনে আসতেন। এই নন্দনে আসা নিয়ে বর্তমান সরকারের এক বিশিষ্ট নেতা এবং আইনজীবিও বটে, বর্তমানে সাংসদ, তিনি বুদ্ধদার সম্পর্কে কতিপয় নোংরা কথা বলে তাঁর চরিত্রকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা যারা নিয়মিত নন্দনে যেতাম তখন দেখতাম, বুদ্ধদা আসতেন, ছবি দেখতেন ‘সত্যজিৎ রায় আর্কাইভ’-এর নির্ধারিত কক্ষে। যখন টাটার গাড়ির কারখানার কাজ বেশ অনেকটা এগিয়েছে, তখন একদিন অটোমোবাইলের বিষয়ে একটা মোটা বই সঙ্গে করে নিয়ে এলেন। তারপর থেকে কদিন ছবি দেখার পরিবর্তে বইটি নিয়ে পড়তে শুরু করলেন। রাজ্যে গাড়ির কারখানা গড়ে তোলার বিষয়ে একজন মুখ্যমন্ত্রীর এত আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা দেখে সেদিন মুগ্ধ হয়েছিলাম।

আর একদিনের একটা বিশেষ ঘটনার কথা মনে আছে। নন্দনে এসেছেন, গাড়ি থেকে নামার পরেই ওঁর চটিটা ছিঁড়ে গেল। খালি পায়ে ছেঁড়া চটি হাতে করে – উপরে উঠলেন। ক্যালকাটা ক্লাবের সামনে একজন মুচি বসত সেই সময়ে। এখনও বসে, কিন্তু দিক পরিবর্তন করে বসছে ময়দান থানার সামনে। যাক, সেই মুচি এলেন বুদ্ধদার চটি সারাতে। চটি সারাতে গেলে তো মুচিকে চটি হাতে নিতেই হবে। বুদ্ধদার তাতেও কুণ্ঠা! একজন সজ্জন ভদ্রলোকের আচরণ তো এমনই হওয়া উচিৎ। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যখন নন্দন চত্বরে ঢুকত, তখন খুব একটা পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ত না। তাঁর কড়া নির্দেশ ছিল কাওকে যেন সরানো না হয়। অনেকে কাছে এসে প্রণাম করতেন অথবা অটোগ্রাফ চাইতেন। হাসিমুখে সবার আবদার মেটাতেন। এছাড়া কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সময় তাঁর স্বকীয়তা ছিল দেখার মতো। এখনকার মতো সেই সময়ের চলচ্চিত্র উৎসব সার্কাস বা কার্নিভালে পরিণত হয়নি। সেই উৎসবের একটা নিজস্ব গাম্ভীর্য ছিল। মনে আছে, তাঁর কবিতার একটা ক্যাসেট নিজেই আমাকে উপহার দিয়েছিলেন।

এরপর তো রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হল বাংলায়। রাজ্য থেকে টাটাকে তাড়িয়ে, বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে আরেকটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এল। নন্দন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চলচ্চিত্র কেন্দ্র হওয়ার সুবাদে নতুন সরকারের দখলে গেল। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নন্দনে আসা বন্ধ হল। কিন্তু আলিমুদ্দিনের দলীয় কার্যালয়ে যেতেন নিয়মিত। আমাদের এক দাদা শৈবাল পত্রনবীশ ছিলেন সিপিআইএম-এর একজন সক্রিয় সদস্য। উনি ভীষণরকম ঘনিষ্ট ছিলেন বিমানদার এবং বুদ্ধদার। মাঝে মাঝে যখন শৈবালদার সঙ্গে আলিমুদ্দিনের দলীয় কার্যালয়ে যেতাম তখন মাঝে মধ্যে মুড়ি ও তেলেভাজা খেতে খেতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হত। খোঁজ নিতেন হেমন্ত স্মৃতি সংসদের কাজকর্ম কেমন চলছে, রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে একটি বহুজাতিক সংস্থার দাক্ষিণ্যে ও সাহায্যে আমার সম্পাদনায় একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটির ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন শঙ্খ দা(ঘোষ)। ২০১২ সালের জুন মাসে সায়েন্স সিটিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটেছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ ইচ্ছে ছিল ওই বইটির একটি কপি আলিমুদ্দিনের সিপিএমের রাজ্য দপ্তরে গিয়ে বুদ্ধদার হাতে তুলে দেওয়ার। সেই ইচ্ছা পূরণও হয়েছিল। ফোন করে, সময় নিয়ে একদিন পার্টি অফিসে গিয়ে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে বইটি তুলে দিয়েছিলাম।

পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আর বইটি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে তৃপ্তি পেয়েছিলাম। বইটি হাতে নিয়ে উল্টোতে থাকেন তিনি। শঙ্খদা ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন দেখে ভীষণ খুশি হন। রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক একটি বিশেষ ডায়ারিতে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ক’টি লাইন লিখতে বললে বলেছিলেন, ‘যেখানে শঙ্খদা’র মতো ব্যক্তি লিখেছেন, সেইখানে আমি কী লিখব?’ আমি বারংবার অনুরোধ করার পরে বললেন, ‘কী লিখি বলো তো? রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছু লিখতে বা বলতে গেলে একটাই কথা মনে হয়, “হায় গগন নহিলে তোমাকে ধরিবে কে বা।” আমরা তখন ওঁকে অনুরোধ করলাম যে ওই লাইনটিই লিখে দিতে। উনি সম্মত হলেন এবং সেই লাইনটিই লিখে দিলেন। সময়টা ছিল গ্রীষ্মকাল, ভীষণ গরম। চা খেতে বললেন, চা খাই না শুনে নির্দেশ দিলেন একটু নুন মিশিয়ে লেবুজল দিতে। তখন বুদ্ধদার সঙ্গে বেশ অনেকক্ষণ ধরে জাপানের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক এবং সেখানকার রবীন্দ্রচর্চার প্রাণপুরুষ কাজুও আজমা’কে নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। দীর্ঘদিন রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রকে। পরে হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ওঁর গঠনমূলক কাজের বিরোধিতা করেছিল ওঁর দল, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেত্রী।

যখন ‘লাল সেলাম’ ধ্বনির মধ্যে তাঁর নিথর দেহ নিয়ে মরদেহবাহী শকট দেহদানের উদ্দেশ্যে এন আর এস-এর দিকে এগিয়ে চলেছে, তখন সজল চোখে তাঁর কাকা সুকান্ত ভট্টাচার্যের রচিত একটি গানের লাইন মনে পড়ছিল, ‘এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম, অবাক পৃথিবী সেলাম, সেলাম তোমাকে সেলাম’।

চিত্র সৌজন্য – লেখক

Author Arijit Maitra

অরিজিৎ মৈত্র পেশায় সাংবাদিক। তপন সিংহ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক অরিজিৎ পুরনো কলকাতা নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসেন। নিয়মিত লেখালিখি করেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত বই: অনুভবে তপন সিনহা, ছায়ালোকের নীরব পথিক বিমল রায়, চিরপথের সঙ্গী - সত্য সাই বাবা, বন্দনা, কাছে রবে ইত্যাদি।

Picture of অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র পেশায় সাংবাদিক। তপন সিংহ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক অরিজিৎ পুরনো কলকাতা নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসেন। নিয়মিত লেখালিখি করেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত বই: অনুভবে তপন সিনহা, ছায়ালোকের নীরব পথিক বিমল রায়, চিরপথের সঙ্গী - সত্য সাই বাবা, বন্দনা, কাছে রবে ইত্যাদি।
Picture of অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র পেশায় সাংবাদিক। তপন সিংহ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক অরিজিৎ পুরনো কলকাতা নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসেন। নিয়মিত লেখালিখি করেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত বই: অনুভবে তপন সিনহা, ছায়ালোকের নীরব পথিক বিমল রায়, চিরপথের সঙ্গী - সত্য সাই বাবা, বন্দনা, কাছে রবে ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com