একটা মেল ট্রেনের হঠাৎ ড্রাগন সাজার ইচ্ছে হয়েছিল
আগুন নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে সে যখন শূন্যে লাফ দিতে উদ্যত
পাহাড়ের চুড়া থেকে এক জাদকর বললো, দাস্ ফার, এন্ড নো ফারদার!
একটু দূরে মুচকি হেসেছিল সমুদ্র।
একটি রমণীকে উপহার দিতে গেলাম গুঞ্জাফুলের মালা
সে বললো, আমি টিশিয়ানকে ভালোবাসি, আমায়
মুখ ফেরাতে বলো না!
শিল্পের নারীরা কখনো মুখ ফেরায় না
মাটির প্রতিমাই শুধু গলে গলে যায়
শিল্পের নারীরা পতঙ্গভুকের মত শিল্পীকেও খেয়ে
হজম করে ফেলে
তার বুক ছেঁড়া জামাও কেউ চেয়ে দেখে না
এত অন্ধকার, চাঁদের ওপিঠের মতন চির অন্ধকার
তার জঠরে
বাসি ফুল আর বেলপাতায় দাপাদাপি করে ধেড়ে ধেড়ে ইঁদুর
শব্দে গাঁথা মালাটা কচমচিয়ে খেয়ে যায় ছাগলে…
এবার সমুদ্রের পালা
সে মেল ট্রেনকে বললো, ভাঙো, ভাঙো, ব্রিজটা ভেঙে
ঝাঁপ দাও খাড়িতে
ওসব জাদুকর ফাদুকর, রাজা-গজা আমি ঢের দেখেছি
ওদের কারুকে দেখেছো তোমার ছন্দপতন নিয়ে চোখের
জল ফেলতে
যে চোখের জলকে ওরা বলে কবিতা!