যেমনটা ঠিক করা হয়েছিল ঠিক তেমনই মিস্টার হুইম্পার প্রতি সোমবার খামারে আসতে শুরু করলেন। হুইম্পার ছোটখাটো চেহারার মানুষ, গালে জুলফি, মুখের মধ্যে কেমন যেন একটা ধূর্ত ধূর্ত ভাব। আপাতত ফার্মের কাজ বলতে খুব একটা কিছু নেই, কিন্তু চতুর হুইম্পারের এটা অনুমান করতে মোটেই অসুবিধা হল না, যে খুব শিগগিরই অ্যানিম্যাল ফার্মে একজন দালালের প্রয়োজন পড়বে এবং সে-ক্ষেত্রে দালালি বাবদ রোজগার মন্দ হবে না!
ফার্মের জন্তুরা একরাশ আতঙ্ক নিয়ে তার আসা-যাওয়া দেখে এবং যতদূর সম্ভব তাকে এড়িয়ে এড়িয়ে চলে। তাসত্ত্বেও যখন তারা দেখে চার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানো নেপোলিয়ন দু’পেয়ে হুইম্পারকে বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দিচ্ছে তখন গর্বে তাদের ছাতি দ্বিগুণ হয়ে যায়। বলা যেতে পারে অনেকটা সেই কারণেই তারা এই নতুন বন্দোবস্তের সঙ্গে কিছুটা মানিয়ে নিয়েছে। তবে মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা আর আগের মতো নেই। এই যে অ্যানিম্যাল ফার্মের এত শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে, এর জন্য যে তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণা কিছুমাত্র কমেছে তা নয়, বরং বেড়েছে। সব মানুষেরই দৃঢ় বিশ্বাস অ্যানিম্যাল ফার্ম একদিন-না-একদিন দেউলিয়া হয়ে যাবে। আর সবচেয়ে ব্যর্থ হবে হাওয়াকল তৈরির ব্যাপারটা। মানুষেরা সরাইখানায় একজোট হয়ে বসে রীতিমতো নকশা এঁকে প্রমাণ করে দেয় যে অ্যানিম্যাল ফার্মের হওয়াকল ভেঙে পড়তে বাধ্য। যদি তা মোটামুটি দাঁড়িয়েও যায় তা হলেই বা কী— কাজ তো মোটেই করবে না।
তবে একটা কথা বলতেই হবে, পশুরা যেমন দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের কাজ সামলে নিচ্ছে, তাতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও মানুষের মনে তাদের প্রতি কিছুটা সম্ভ্রম জেগেছে। মানুষরা আজকাল অ্যানিম্যাল ফার্ম-কে তার সঠিক নামে অর্থাৎ ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’ বলেই উল্লেখ করছে ‘ম্যানর ফার্ম’ আর বলছে না। তারা এখন জোন্সকে সমর্থন করাও বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে জোন্সও নিজের ফার্ম ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে দেশের অন্য কোনও প্রান্তে গিয়ে থাকতে শুরু করেছেন। যদিও এক হুইম্পার ছাড়া অ্যানিম্যাল ফার্মের সঙ্গে বাইরের জগতের আর কোনও যোগসূত্র নেই, তবুও লাগাতার গুজব রটে চলেছে, যে নেপোলিয়ন নাকি খুব শিগগিরই হয় ফিক্সউডের মিস্টার পিলকিংটন-এর সঙ্গে, নয়তো পিঞ্চফিল্ডের মিস্টার ফ্রেডরিকের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করতে চলেছে। কিন্তু দেখা গেছে, একত্রে দু’জনের সঙ্গেই ব্যবসা করে চলেছে, এমনটা কিন্তু কখনও রটেনি।
ঠিক এই সময়েই শুয়োররা হঠাৎ ফার্মের বসতবাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করল। জন্তুরা তো অবাক, বসতবাড়িতে থাকার বিরুদ্ধে কী যেন একটা প্রস্তাব নেয়া হয়েছিল না আগে? কিন্তু স্কুইলার আবার এসে তাদের বোঝাল যে ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। বসতবাড়িতে থাকাটা এই মুহূর্তে তাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। শুয়োররাই তো খামারের মগজ। আর সেই মগজের কাজ করার জন্য দরকার নিরিবিলি জায়গা। তা ছাড়া আমাদের ‘নেতা’-র (স্কুইলার আজকাল নেপোলিয়নকে ‘নেতা’ বলে উল্লেখ করে) মর্যাদার কথা চিন্তা করলে শুয়োরের খোঁয়াড়ে থাকার চেয়ে বাড়িতে থাকাটাই তাঁর পক্ষে বেশি সম্মানজনক।

তাসত্ত্বেও যখন তারা শুনল যে শুয়োররা বসতবাড়িতে শুধু থাকছেই না, তারা রান্নাঘরে খাওয়া-দাওয়া সারছে, বৈঠকখানায় ফুর্তিফার্তা করছে, এমনকি বিছানায় শুয়ে ঘুমুচ্ছে, তখন কিন্তু জানোয়ারদের বেশ অস্বস্তি হতে শুরু করল। বক্সার ‘নেপোলিয়ন সর্বদাই সঠিক’ বলে বরাবরের মতো পাশ কাটিয়ে গেল। কিন্তু ক্লোভারের যেন মনে হচ্ছে বিছানা-টিছানার বিরুদ্ধে সাত বিধানে কিছু লেখা ছিল। সে গোলাবাড়ির কোণে গিয়ে সেই বিধানগুলো পড়ার চেষ্টা করল। কিন্তু বৃথা চেষ্টা। অক্ষরগুলোকে আলাদা আলাদা করে চিনতে পারলেও ক্লোভার একটা শব্দও পড়ে উঠতে পারল না। তখন সে বাধ্য হয়ে মুরিয়েলকে ডেকে এনে বলল, “মুরিয়েল, চার নম্বর বিধানটা একবার পড়ে দেখো তো! ওখানে বিছানায় শুয়ে ঘুমোতে নিষেধ করেনি?”
লেখাটা পড়তে মুরিয়েলকেও একটু বেগ পেতে হল। কোনওমতে বানান-টানান করে সে লেখাটা পড়ে বলল, “এখানে লিখেছে কোনও পশুই চাদর পেতে বিছানায় শুতে পারবে না।” ক্লোভার কৌতূহলী হল। চার নম্বর বিধানে চাদরের কোনও উল্লেখ কি ছিল? কিন্তু দেয়ালের গায়ে যখন লেখা আছে তার মানে নিশ্চয়ই ছিল। এমন সময় স্কুইলারের দেখা পাওয়া গেল। সে দু-তিনটে কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছিল। স্কুইলার পুরো ব্যাপারটাকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিল। সে বলল:
“কমরেডস, তোমরা তা হলে শুনেছ যে আমরা খামারবাড়ির বিছানায় শুয়ে ঘুমোচ্ছি? শোবো নাই বা কেন? তোমাদের কি মনে হয় যে বিছানায় শোয়ার বিরুদ্ধে কোনও আইন আছে? বিছানা কী? সোজা কথায় যেখানে শুয়ে আমরা ঘুমোই সেটাই হল বিছানা। সেই অর্থে আস্তাবলের খড়ের গাদাও হল গিয়ে বিছানা। নিষেধাজ্ঞা যা-কিছু রয়েছে তা ওই বিছানার চাদর নিয়ে। কারণ সেটা মানুষের আবিষ্কার। তাই আমরা করেছি কী, সব বিছানা থেকে চাদর সরিয়ে দিয়েছি। কম্বলের ভেতর ঢুকে ঘুমোই। সে বিছানাও খুবই আরামদায়ক। তবে তোমাদের এটুকু বলতে পারি যে, আজকাল যে-পরিমাণ মাথার কাজ করতে হচ্ছে আমাদের, তারপর যতটুকু আরাম আমাদের প্রয়োজন হয় ঠিক ততটুকুই আরাম আমরা পাই— তার বেশি কিছু নয়। কমরেডস, তোমরা নিশ্চয়ই শুয়োরদের এই শান্তির ঘুমটুকু কেড়ে নিতে চাও না? চাও কি? তোমরা কি চাও আমরা এতই ক্লান্ত হয়ে পড়ি যে আমাদের কর্তব্যটুকুও পালন করার ক্ষমতা না থাকে? তোমরা নিশ্চয়ই চাও না যে জোন্স আবার ফিরে আসুক!”
জন্তুরা সঙ্গে সঙ্গেই স্কুইলারকে আশ্বস্ত করল যে, না তারা তেমন কিছু চায় না। সুতরাং এরপরে খামারবাড়ির বিছানায় শুয়ে শুয়োরদের ঘুমোনো নিয়েও আর কিছুই বলার রইল না। এবং কিছুদিন পরে যখন ঘোষণা করা হল, যে শুয়োররা সকালবেলা বাকি পশুদের চেয়ে এক ঘণ্টা পরে ঘুম থেকে উঠবে তখন সে-নিয়েও কেউ কোনও অনুযোগ-অভিযোগ করল না।
হেমন্তকাল এল। জন্তুরা ক্লান্ত হলেও খুশি। বছরটা বেশ কষ্টে কেটেছে, উৎপন্ন শস্যের একটা অংশ বেচে দেয়া হয়েছে বলে শীতের জন্য যে যথেষ্ট পরিমাণ খাবার মজুদ আছে, তা বলা যায় না। কেবলমাত্র হাওয়াকলের আশায় আশায় সব পুষিয়ে যাচ্ছে। হাওয়াকলের প্রায় অর্ধেকটা তৈরিও হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। ফসল তোলার পর বেশ অনেকগুলো দিন পরিষ্কার ও শুষ্ক আবহাওয়ায় কাটল। সেই সময় জন্তুরা সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করল। তারা সারাদিন খাদান থেকে পাথর টেনে যায় এই আশায়, যে হাওয়া কলের দেয়াল আরও একটা ফুট উঁচু হবে। বক্সার আবার রাতেও কাজ করতে শুরু করল। হেমন্তের চাঁদের আলোয় সে একাই দু-এক ঘণ্টা কাজ করে। অবসর সময়ে জন্তুরা অর্ধসমাপ্ত হাওয়াকলের চারপাশে চরকি কাটে আর মুগ্ধ বিস্ময়ে ভাবে— কী শক্তপোক্ত আর ঋজু হয়েছে দেওয়ালগুলো! এমন জবরদস্ত একটা জিনিস তারা বোধ হয় আর কখনও বানাতে পারবে না। একমাত্র বুড়ো বেঞ্জামিন হাওয়াকলের ব্যাপারে উৎসাহ দেখাতে একেবারেই নারাজ। বরাবরের মতোই রহস্যময় ভঙ্গিতে সে শুধু বলে, “গাধারা বহুদিন বাঁচে!”
ক্লোভারের যেন মনে হচ্ছে বিছানা-টিছানার বিরুদ্ধে সাত বিধানে কিছু লেখা ছিল। সে গোলাবাড়ির কোণে গিয়ে সেই বিধানগুলো পড়ার চেষ্টা করল। কিন্তু বৃথা চেষ্টা। অক্ষরগুলোকে আলাদা আলাদা করে চিনতে পারলেও ক্লোভার একটা শব্দও পড়ে উঠতে পারল না। তখন সে বাধ্য হয়ে মুরিয়েলকে ডেকে এনে বলল, “মুরিয়েল, চার নম্বর বিধানটা একবার পড়ে দেখো তো! ওখানে বিছানায় শুয়ে ঘুমোতে নিষেধ করেনি?”
নভেম্বর এল। সঙ্গে করে নিয়ে এল গর্জনশীল দক্ষিণ-পশ্চিমি ঝোড়ো বাতাস। হাওয়াকলের কাজ বন্ধ করে দিতে হল। কারণ সিমেন্ট ভালো করে মেশানোই যাচ্ছে না। সব ভিজে যাচ্ছে। শেষমেশ একরাতে এমন ভয়ানক ঝড় উঠল যে খামারবাড়ির ভিত অবধি কাঁপতে শুরু করল। গোলাঘরের চাল থেকে উড়ে গেল কয়েকটা টালি। মুরগিরা ঘুম ভেঙে উঠে ভয়ের চোটে আর্তনাদ করতে শুরু করল। তারা সবাই নাকি দুঃস্বপ্ন দেখেছে যে দূরে কোথাও কামান দাগা হচ্ছে। সকালবেলা জন্তুরা তাদের খোঁয়াড় থেকে বেরিয়ে এসে দেখল পতাকাদণ্ড মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে। ফলবাগানে একটা দেবদারু গাছ এমনভাবে পড়ে আছে যেন একটা মূলোকে কেউ মাটি থেকে উপড়ে ফেলেছে। পরমুহূর্তেই তাদের চোখে পড়ল এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। সে-দৃশ্য দেখে তারা হতাশায় একেবারে বুকভাঙা চিৎকার করে উঠল। তাদের নয়নের মণি সেই হাওয়াকল এখন সম্পূর্ণ ভগ্নস্তুপে পরিণত হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে তারা একসঙ্গে সে-দিকে দৌড়াল। নেপোলিয়ন, যে কিনা সাধারণত ধীরেসুস্থে হাঁটে, সে ছুটল সবার আগে। তাদের এতদিনের হাড়ভাঙা মেহনতের ফল একেবারে মাটিতে মিশে গেছে। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে পাথরের চাঁই। শোকে দুঃখে কিছুক্ষণের জন্য কারও মুখে কোনও কথা সরল না। শোকবিহ্বল দৃষ্টিতে তারা শুধু তাকিয়ে রইল সেই পাথরের টুকরোগুলোর দিকে।
নেপোলিয়ন নিঃশব্দে ইতস্তত পায়চারি করে চলেছে আর মাঝে মাঝে মাটিতে নাক ঠেকিয়ে কী যেন শুঁকে দেখছে। তার লেজটা এখন শক্ত হয়ে গেছে। সেটাকে সে এদিক-ওদিক স্যাটাস্যাট নাড়াচ্ছে। তার মাথা এখন প্রবলভাবে সক্রিয়— এসব তারই লক্ষণ। হঠাৎই নেপোলিয়ন থমকে দাঁড়াল। যেন কিছু একটা করবে বলে মনস্থির করে ফেলেছে। সে শান্তভাবে বলল,
“কমরেডস তোমরা কি জানো এর জন্য কে দায়ী? তোমরা কি জানো কে সেই শত্রু যে রাত্রিবেলা এসে আমাদের হাওয়াকলটাকে বরবাদ করে দিয়ে গেছে? স্নোবল!”
হঠাৎই বজ্রকণ্ঠে গর্জে উঠল সে,
“এ-সব স্নোবলেরই কীর্তি। বিদ্বেষ! স্রেফ বিদ্বেষের বশে এই কাজ করেছে সে, যাতে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে পারে। রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে চুপিচুপি এসে আমাদের প্রায় এক বছরের মেহনত তছনছ করে দিয়ে সে তার নিজের অসম্মানজনক বিতাড়ণের বদলা নিয়েছে। কমরেডস এই মুহূর্তেই আমি স্নোবল-কে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছি। যে তাকে যথাযথ শাস্তি দিতে পারবে তাকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণীর পশুবীর’ উপাধি আর হাফ বুশেল আপেল দেয়া হবে আর যে তাকে জ্যান্ত ধরে আনতে পারবে তাকে দেয়া হবে পুরো এক বুশেল আপেল।”

স্নোবল এত খারাপ কাজও করতে পারে! পশুরা মনে মনে অকল্পনীয় আঘাত পেল। সকলেই যেন রাগে ফুঁসে উঠে ভাবতে শুরু করল স্নোবল আবার যদি কখনও এখানে ফিরে আসে তা হলে কোন কৌশলে তাকে বন্দি করবে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঢিবির খুব কাছে ঘাসের মধ্যে একটা শুয়োরের পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়া গেল। মাত্র কয়েক গজ গিয়েই সেই ছাপ যাচ্ছে মিলিয়ে। তারপর বেড়ার সামনে গিয়ে আবার সেই ছাপের উদয় হচ্ছে এবং সেই ছাপ গিয়ে অদৃশ্য হচ্ছে ঝোপের গায়ে একটা ফোকরের মধ্যে। নেপোলিয়ন গভীরভাবে সেই ছাপ শুঁকে-শুঁকে পরীক্ষা করে রায় দিল এ ছাপ স্নোবলের। সঙ্গে এও জানাল যে তার মতে স্নোবল সম্ভবত ফক্সউড-এর দিক থেকে এসেছে। পায়ের ছাপ পরীক্ষা করেই হুংকার দিল নেপোলিয়ান:
“আর দেরি করা যাবে না কমরেডস, অনেক কাজ করতে হবে। আজ এই সকালবেলা থেকেই আমরা আবার হাওয়াকল গড়ার কাজ শুরু করব। রোদ-বৃষ্টি যা-ই হোক না কেন, সারা শীতকাল ধরে আমরা এই কাজে লেগে থাকব। সেই হীন বিশ্বাসঘাতককে আমরা দেখিয়ে দেব যে আমাদের কাজ নষ্ট করা অত সহজ নয়। মনে রেখো কমরেডস, পরিকল্পনায় কোনওরকম অদল-বদল করা চলবে না। হাওয়াকল যেদিন শেষ করার কথা ছিল ঠিক সেদিনই শেষ করতে হবে। এগিয়ে চলো কমরেডস। হাওয়াকল দীর্ঘজীবী হোক। অ্যানিম্যাল ফার্ম দীর্ঘজীবী হোক।”
*ছবি সৌজন্য: Saatchi Art, Ralph Steadman from Opencuture.com
অর্ক পৈতণ্ডীর জন্ম ১৯৮৫-তে বীরভূমের সিউড়িতে। পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা বোলপুর, শান্তিনিকেতনে। বিজ্ঞানের স্নাতক। পেশাদার শিল্পী। 'মায়াকানন' পত্রিকা ও প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার। অবসরে লেখালিখি করেন। অলঙ্করণ শুরু ষোলো বছর বয়সে শুকতারা পত্রিকায়। পরবর্তীকালে আনন্দমেলা, সন্দেশ, এবেলা, এই সময়, উনিশ-কুড়ির মতো একাধিক পত্রপত্রিকার জন্য ছবি এঁকেছেন। কমিক্স আঁকার জন্য ২০১৪ সালে নারায়ণ দেবনাথ পুরস্কার পেয়েছেন।