Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৭

বাংলালাইভ

মে ৩১, ২০২৩

Interview with Debojyoti Dutta part 7
Interview with Debojyoti Dutta part 7
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

বিটি রোডের পাশে ঐতিহ‍্যবাহী বেলঘরিয়ার সরস্বতী প্রেস। কলকাতা তো বটেই, সারা ভারতবর্ষে এই প্রেসের সুখ‍্যাতি রয়েছে। ১৯২৩ সালে ‘যুগান্তর’ দলের কর্ণধার প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতীর পরামর্শে ত‍ৎকালীন দুই বিখ‍্যাত কংগ্রেস নেতা অরুণচন্দ্র গুহ এবং মনোরঞ্জন গুপ্তকে সঙ্গী করে মহেন্দ্রনাথ দত্ত ২৬/২ বেনিয়াটোলা লেনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সরস্বতী প্রেস। পরবর্তীকালে সাহিত‍্য সংসদ এবং শিশু সাহিত‍্য সংসদও তৈরি করেন এই মহেন্দ্রনাথ দত্ত-ই। বেনিয়াটোলা লেনে সরস্বতী প্রেসের শুরুটা হলেও নানা কারণে পরের বছর থেকে তা স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পরাধীন ভারতে মূলত জাতীয়তাবাদী সাহিত‍্যকে প্রচারের আলোতে নিয়ে আসাই ছিল এই প্রেস তৈরির নেপথ‍্য কারণ। ফলে এই প্রেসের প্রতিটি ইঁটের খাঁজে লুকিয়ে আছে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস। ১৯৭৫ সাল থেকে সরস্বতী প্রেসের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্রনাথ দত্তের সুযোগ‍্য পুত্র এবং সাহিত্য সংসদের কর্ণধার দেবজ‍্যোতি দত্ত। শতাব্দী প্রাচীন এই প্রেসের নেপথ‍্যের নানান গল্প নিয়ে বাংলালাইভের মুখোমুখি হলেন তিনি। প্রতি বুধবার ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পর্বে প্রকাশিত হবে দেবজ‍্যোতি দত্তের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি। কথোপকথনে দেবজ্যোতি দত্ত এবং শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়…

আজ সপ্তম পর্ব।

ষষ্ঠ পর্বে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু সমস্যা, যাদবপুরের প্রিন্টিং স্কুল স্থাপন, সরস্বতী প্রেসের বড় হয়ে ওঠা ও ডানলপের কাছে দ্বিতীয় আস্তানা তৈরির কথা প্রসঙ্গে…

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সরস্বতী প্রেস অফসেটে কনভার্ট করল কোন বছর?

দেবজ্যোতি দত্ত: ১৯৪৯ সালে।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সেটা তো ভারতবর্ষের মধ্যে বোধহয় প্রথম দিকেই।

দেবজ্যোতি দত্ত: না। না। ঈগল লিথো কিন্তু তার আগে লিথোগ্রাফি করেছে, অফসেট করেছে। ঋষি দাস ছিলেন সে-ব্যাপারে একদম পায়োনিয়ার। 

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ওদের প্রতিষ্ঠান কোথায় ছিল?

দেবজ্যোতি দত্ত: ওদের ছিল ক্রিস্টোফার রোডে। আর তার আগে চণ্ডীচরণ দাস ওঁর বাবা চণ্ডীচরণ দাস বলে একটা প্রতিষ্ঠান ছিল। যেখানে এই ম্যাপগুলো তৈরি হত লিথো সিস্টেমে। এরা কিন্তু প্রচুর কাজ করেছে।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: মানে, ওই চণ্ডীচরণের ম্যাপবই বলে যেটা আমাদের ছোটবেলায় পরিচিত ছিল?

দেবজ্যোতি দত্ত: আধুনিক পৃথিবীর মানচিত্র। এত বড় করে মানচিত্রগুলো এবং প্রত্যেকটা ম্যাপের তলায় একটা করে ঈগলের ছবি থাকত। কারণ ওটা ঈগল লিথো থেকে ছাপা হত। ঈগল লিথোর লোগো ছিল ওই ঈগল পাখির ছবি। লাইন ড্রইং।

Beniatola Lane
বেনিয়াটোলা লেনের পুরনো সরস্বতী প্রেস

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: দেবজ্যোতিদা, এতক্ষণ আমরা সরস্বতী প্রেসের হয়ে ওঠা ও তার বিপুল কর্মকাণ্ডের কথা জানলাম। কিন্তু এবার যেটা জানতে চাইব, শুধু মুদ্রক না, মহেন্দ্রনাথ দত্তের প্রকাশক হিসেবে আত্মপ্রকাশের ভাবনা কোন সময় থেকে?  

দেবজ্যোতি দত্ত: বাবার মাথায় কিন্তু প্রেস চালাতে চালাতে অন্য জিনিস খেলতে শুরু করেছে।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ১৯৪৯ সালে যখন অফসেট এল, তারপরেই তো ‘ছড়ার ছবি’ বইটা ছাপা হল।

দেবজ্যোতি দত্ত: কিন্তু তার আগেই, ওই যে বললাম ১৯৪৬–’৪৭ সাল থেকেই বাবার মাথায় আছে যে বাচ্চাদের জন্য নতুন কিছু করা যায় কি না। এর প্রত্যক্ষ কারণ আমার দাদা। দাদাকে তখন বাবা ইংরেজি ছড়ার বড় বড় বই এনে দিত এবং আমার দাদা সেগুলো নিয়ে নিজের কাছে আগলে রাখত। সেইটা দেখে বাবা ভাবত বাংলায় কেন যে এরকম সুন্দর রঙিন ছড়ার বই নেই। যদি এমন বই করা যায়, তাহলে কেমন হয় সেই ভাবনাচিন্তা থেকেই…

Mahendra Dutta
বাবা মহেন্দ্র দত্ত

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ধীরে ধীরে ওঁর মধ্যে একটা প্রকাশক সত্তাও তৈরি হচ্ছে।

দেবজ্যোতি দত্ত: প্রকাশক সত্তা তৈরি হচ্ছে, তার কারণ বাবা জেলখানায় থাকাকালীন ছড়া এবং ছন্দ নিয়ে ভেতরে ভেতরে একটা চিন্তা চলছিল এবং এক্ষেত্রে তাঁর গুরু ছিলেন অনঙ্গ ব্যানার্জি বলে একজন। স্কুলে পড়ার সময় বাবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়েছেন, সুকুমার রায়ের কবিতা পড়েছেন। কখনো স্কুলে গিয়ে আবৃত্তি করেছেন। মাস্টারমশাই বলেছেন, ‘বাঃ, খুব সুন্দর হয়েছে’। ছন্দ ব্যাপারটা বাবার মনের মধ্যে ছিল। তখন এই প্রেসের মধ্যে, প্রেসে তো কিছু আর্টিস্টও থাকতেন নরেন দত্ত বলে একজন আর্টিস্ট ছিলেন। অনেক সময়ে অনেক পার্টি চায়, এই রকম একটা ডিজাইন করে দিন, ওইখানে একটা ডিজাইন করে দিন… তো তাঁরা ছিলেন। তখন বাবা তাঁকে এই পরিকল্পনাটা বললেন। নরেনবাবু বললেন, আমার এক বন্ধু আছেন, প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতুলবাবু কিন্তু আগে থেকেই ছবি আঁকতেন, কলেজস্ট্রিটে অনেক বইয়ের অলংকরণ ও প্রচ্ছদের কাজও করেছেন। তো যাইহোক, প্রতুলবাবুকে নিয়ে আসা হল। বাবা তখন পরিকল্পনা করছেন একটা বই করার। একটা পশু-পাখিদের নিয়ে আর একটা মানুষদের নিয়ে। বাবা ছড়া ঠিক করলেন। সবই প্রচলিত ছড়া। প্রতুলবাবু কিন্তু দেরি না করেই এঁকে দিলেন। নরেনবাবু এঁকে দিতে একটু দেরি করলেন। সেই জন্য প্রতুলবাবুর বইটা ‘ছড়ার ছবি-১’ বলে ১৯৪৯ সালে ছাপা হল। তার কারণটা হচ্ছে ১৯৪৯ সালেই সরস্বতী প্রেস অফসেটের জন্য ক্র্যাবট্রি সিঙ্গল কালার মেশিন আমদানি করেছিল। ওই মেশিনে বইটা ছাপা হল। চার কালারের বই কিন্তু এক কালার, এক কালার করে। একটা কালারের ওপর আরেকটা কালার, একটার ওপর আরেক কালার তখন তো আর একসাথে দু-কালারের মেশিন আসেনি। সেই সময়ে বইটা করলেন। যখন বেরোল বাজারে একটু হৈ হৈ পড়ল।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: আমি শুনেছি এই বইটা নিয়ে খুব উৎসাহী ছিলেন দিলীপকুমার গুপ্ত।

দেবজ্যোতি দত্ত: দিলীপ গুপ্তর সঙ্গে বাবার খুব পরিচয় ছিল। কারণ দিলীপ গুপ্ত তখন…

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: তখন কি সিগনেট…?

দেবজ্যোতি দত্ত: সিগনেট তখন শুরু হয়েছে। প্রিন্টিংয়ের জন্য বাবার সঙ্গে খুব আলাপ ছিল। উনি তখন বাবাকে বললেন, ‘এটা কী করেছেন! এ তো একেবারে দারুণ জিনিস হয়েছে। এ তো ভাবাই যায় না। বাচ্চাদের এরকমভাবে এত বড় ফরম্যাটে ৪ লাইন ৬ লাইন ৮ লাইনের ছড়া আর সঙ্গে ছবি।’
এখানে একটা কথা বলব, যেহেতু বাচ্চাদের বই, তাই ছবিই হচ্ছে তার প্রধান অঙ্গ। বাবা সেজন্য ঠিক করলেন শিল্পীদের রয়্যালটি দেবেন। তার আগে কেউ আর্টিস্টদের রয়্যালটি  দেননি।

D K Gupta
দিলীপ কুমার গুপ্ত

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: এবার আমরা কিন্তু শিশু সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠার কথায় ঢুকব। ‘ছড়ার ছবি ১’ এবং ‘ছড়ার ছবি ২’ যখন তৈরি হচ্ছে এবং এত মানুষের পছন্দও হচ্ছে ব্যাপারটা, তখনও তো মহেন্দ্রনাথ দত্তের সেই অর্থে কোনও প্রকাশনা সংস্থা নেই।

দেবজ্যোতি দত্ত: না, এটা করার পরই প্রথম শিশু সাহিত্য সংসদ যেহেতু শিশুদের বই দিয়ে শুরু তাই শিশু সাহিত্য সংসদ বলে একটি প্রতিষ্ঠান বাবার প্রোপ্রাইটারশিপে হল।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: এটা আপনার বাবার নিজস্ব?

দেবজ্যোতি দত্ত: বাবার নিজের।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠা হবার আগেই শিশু সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠিত হল। 

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, শিশু সাহিত্য সংসদ দিয়ে কোম্পানি শুরু। এখনও কিন্তু সাহিত্য সংসদ কোনও কোম্পানি নয়। কোম্পানিটা শিশু সাহিত্য সংসদ। বড়দের বইয়ের উইং হচ্ছে সাহিত্য সংসদ। প্রত্যেকটি সাহিত্য সংসদের বইতে প্রিন্টার্স লাইনে দেখবে লেখা আছে শিশু সাহিত্য সংসদ প্রাইভেট লিমিটেড, এবং এটা প্রাইভেট লিমিটেড হল ১৯৫১ সালে। যখন দেখা গেল যে এটা বেশ চালু হচ্ছে আর কি… বিক্রিবাটা হচ্ছে। ১৯৪৯ সালে বেরিয়েছিল ‘ছড়ার ছবি ১’, আর ১৯৫০ সালে বেরিয়েছিল ‘ছড়ার ছবি ২’।

Shishu Sahitya Samsad
শিশু সাহিত্য সংসদের লোগো

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: এটা কি বিক্রির দিক থেকেও একটা ভালো জায়গায় পৌঁছেছিল?

দেবজ্যোতি দত্ত: তোমাকে বলি, প্রথমটা কত ছাপা হয়েছিল জানো? ‘ছড়ার ছবি ১’ ছাপা হয়েছিল ১০,০০০ কপি। সেই সময়ে, ১৯৪৯ সালে। ‘ছড়ার ছবি ২’ ছাপা হয়েছিল সাড়ে ১৪,০০০ কপি। 

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সে তো অনেক বই!

দেবজ্যোতি দত্ত: কোন বই কোন সালে কোন মাসে বেরিয়েছে, কত কপি দিয়ে শুরু হয়েছে তার একটা লিস্ট আমার কাছে করা আছে। সেটা ‘সংসদের ৩৫ বছর’ বইটার মধ্যে লিপিবদ্ধ করা আছে। এই তথ্যগুলো আমি মোটামুটি জোগাড় করে রেখেছি। তখন বাবা বেঁচে, সংসদের ৩৫ বছরে একটা, আবার ৪৫ বছরেও একটা বেরিয়েছিল। সাহিত্য সংসদ এবং শিশু সাহিত্য সংসদের বইপত্রের হদিশ নিয়ে।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ৩৫ বছর মানে ১৯৮৬ সাল নাগাদ?

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ। এই প্রসঙ্গে ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ বইটির কথা আসবে। ওটি ছাপার ব্যবস্থা করেছিল দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানি।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: মানে দীনেশচন্দ্র সেনের বইটা? 

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ। দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে বাবার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। কারণ বাবা যখন ১৯২৩ সাল নাগাদ প্রিন্টিং লাইনে আসেন, তখন দাশগুপ্ত সবে শেয়ারে তৈরি হয়েছিল। ভেবে দেখো, কলেজস্ট্রিটে কিন্তু দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানি আজকের নয়। সেখানে খগেন দাশগুপ্ত বলে একজন ভদ্রলোক ছিলেন। তিনি বাবাকে খুব স্নেহ করতেন। কোনও দিন কাজ থাকলে বাবাকে ডেকে নিতেন। ১৯৫০-’৫১ সালে তখন ওখানে কিন্তু খগেন দাশগুপ্তর পুত্র অমূল্য দাশগুপ্ত বসে গেছেন। এই দাশগুপ্ত কোম্পানির অবদান শিশু সাহিত্য সংসদের পিছনে অনেকখানি। এটা আমি এখনও সকলের কাছে স্বীকার করি যে দাশগুপ্ত কোম্পানি না থাকলে শিশু সাহিত্য সংসদ অনেক সংকটে পড়ত।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: কেন? এটা বলছেন কেন? 

দেবজ্যোতি দত্ত: ওই যে বললাম ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ যখন ওরা করল, তখন বলল, যে আমরা তো বই বিক্রি করি, কিন্তু প্রকাশনাটা আপনি করুন। অমল দাশগুপ্ত বললেন। সেই সময়ে সংসদ থেকে ছেপে বেরোয় ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’।

সুনির্মল_বসু
কবি সুনির্মল বসু

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: এটা কি অখণ্ড সংস্করণ হয়েছিল?

দেবজ্যোতি দত্ত: অখণ্ড সংস্করণ। তারপরে সংসদের প্রথম যে মেজর কাজটা, সেটা হল বঙ্কিম রচনাবলী।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: ১৯৫৪ সালে। যোগেশচন্দ্র বাগল যেটা করলেন।

দেবজ্যোতি দত্ত: কারণ বাবার মাথায় তখন যেটা ছিল, বঙ্কিমচন্দ্র মারা গেছেন ১৮৯৪ সালে। কপিরাইট চলে গেছে ৫০ বছর পরে। বঙ্কিমের উপন্যাসগুলো বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান দলিল। তো সেগুলো নিয়ে রচনাবলী করলে কী রকম হয়! তার আগে কিন্তু ১৯৫১-তে কোম্পানি ফর্ম হয়ে গেছে। কোম্পানি ফর্মেশনে ছিলেন অরুণ গুহ, শৈলেন গুহরায়, বাবা এবং জীবপ্রিয় গুহ। পরবর্তীকালে কিছুদিনের মধ্যেই শশীভূষণ দাশগুপ্ত, বরিশালের মানুষ, কৃতী অধ্যাপক ও লেখক, কোম্পানির একজন ডিরেক্টর হয়েছিলেন। বাবার সংসদ এবং শিশু সাহিত্য সংসদে যে দু-জন অ্যাডভাইসর ছিলেন তাঁদের একজন শশীভূষণ দাশগুপ্ত, অন্যজন সুনির্মল বসু।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: কবি সুনির্মল বসু? 

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ, বাবার ভীষণ বন্ধু ছিলেন। ছড়া লিখতেন। প্রথমে কবিতাই লিখতেন। বাবাই ওঁকে ১৯৪৯ সালে প্রথম জোর করেন, ‘আপনি কবিতা-টবিতা লিখসেন, এবার ছড়া লেখেন’। তারই ফল হচ্ছে ‘ছড়ার ছবি ৩’। সুনির্মল বসুর ছড়ার বই।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: সমস্ত ছড়াগুলোই ওঁর লেখা?

দেবজ্যোতি দত্ত: ‘ছড়ার ছবি ৪’ বলেও একটা আছে সুনির্মল বসুর। তারপরে সুনির্মল বসুর ‘আমার ছড়া’ বলে একটা বই বেরিয়েছিল। প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজাইন করেছিলেন।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: যিনি ‘ছড়ার ছবি ১’-এর ছবি এঁকেছিলেন?

দেবজ্যোতি দত্ত: হ্যাঁ। ‘ছড়ার ছবি  ১’-এর যদি তুমি ছবিগুলো দেখ, অ্যানাটমি সম্বন্ধে প্রতুলবাবুর যা জ্ঞান, ওরকম ভারতবর্ষের খুব কম আর্টিস্টের ছিল। ঐ যে ‘হাতি নাচছে, ঘোড়া নাচছে’ সেই ছবিগুলো যদি তুমি দেখ, অ্যানাটমিক্যালি কোনোটা ডিসপ্রপোরশনেট হয়নি। হাতিও নাচছে, ঘোড়াও নাচছে। হাতি ও ঘোড়ার প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রপোরশনেট। ঘোড়ার প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক আছে। হাতি ঘোড়ার প্রপোরশন সেটাও কিন্তু ঠিক।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়: বড় শিল্পীর যা গুণ আর কি!

দেবজ্যোতি দত্ত: এই জায়গাটা কিন্তু প্রতুলবাবু ওঁর আঁকা ছবিতে এমন ফুটিয়েছেন, সেই সময়ে ভাবা যায় না যে কত সুন্দর একটা বই বেরিয়েছিল।

 

 

*ছবি সৌজন্য: লেখক, Wikipedia, Facebook
*পরের পর্ব প্রকাশ পাবে ৭ জুন।

Banglalive.com Logo

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।

Picture of বাংলালাইভ

বাংলালাইভ

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।
Picture of বাংলালাইভ

বাংলালাইভ

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।

One Response

  1. SRI DEBOJYOTI DUTTA HAPPENS TO BE MY YESTERYEAR FRIENDS HAILED FROM R.K.MISSION VIDAYALAYA NARENDRAPUR. IT TAKES GREAT PLEASURE TO READ HIS FATHER’S FIGHT TO RUN THE SARASWATI PRESS FROM A HUMBLE BUT SERIOUS BEGINNING. HE HAS BEEN CARRYING THE LEGACY OF HIS GREAT FATHER. THE EPISODES ONCE AGAIN PROVE THAT THE BENGALEES KNOW TO RUN ANY INDUSTRY IN AN EFFICIENT WAY.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com