Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

স্মৃতির আকাশ থেকে: গল্প হলেও সত্যি

অরিজিৎ মৈত্র

জানুয়ারি ১১, ২০২৫

Arijit Maitra_Tarun Majumder_Kalamkari_11.1.2025_AG
Arijit Maitra_Tarun Majumder_Kalamkari_11.1.2025_AG
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

বর্তমানে পালন করা হচ্ছে প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্রনির্মাতা তপন সিংহর জন্মশতবর্ষ। সেই কারণেই আজ স্মৃতির আকাশ থেকের এই পর্যায়ে তপন সিংহর সঙ্গে আমার দেড়দশকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করি। আরেক কিংবদন্তী চলচ্চিত্র পরিচালক বিমল রায়ের কন্যা রিঙ্কি ভট্টাচার্যের মাধ্যমে তপনদার সঙ্গে আমার পরিচয় বর্ষার এক বিকেলে তাঁর নিউ আলিপুরের বাড়িতে। প্রাথমিক পরিচয়ের পরে একদিন ফোন করে তপনদার বাড়িতে গেলাম বিমল রায় সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকার নিতে। সেইদিন খুব সুন্দরভাবে বিমল রায়ের সম্পর্কে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘বিমলদা শুটিং চলাকালীন এক একদিন সারাদিন ধরে শুধু লাইটিং-এর কাজ করে যেতেন তন্ময় হয়ে, এমনও হয়েছে যে সেদিন আর কোনও শট নেওয়া হয়নি।’ এরপর অনেকদিন কোনও যোগাযোগ ছিল না। কোনও প্রয়োজনও হয়নি যোগাযোগ করার। একই সঙ্গে মনে হয়েছে শুধু শুধু ওঁকে বিরক্ত করার কোনও মানে হয় না। বেশ কয়েক মাস কেটে যাওযার পরে একদিন আমার মা বললেন যে ওঁরা কলকাতা দূরদর্শনের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট কথা-সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছেন, সেই কারণে ওঁরা তপনদার একটি সাক্ষাৎকার নিতে চান। (Tapan Sinha)

একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি : অরিজিৎ মৈত্র

শারীরিক কারণে সেই সময় দূরদর্শনের স্টুডিওতে গিয়ে ইন্টারভিউ রেকর্ড করা তপনদার পক্ষে সম্ভব ছিল না তাই দূরদর্শন কতৃপক্ষ ঠিক করেছিলেন উনি অনুমতি দিলে ওঁরা তপনদার বাড়িতে গিয়েই কাজটা করবেন। কথাটা শুনে আমি মাকে জানালাম, আমার সঙ্গে তপনদার খুব যে একটা গভীর পরিচয় বা যাতায়াত রয়েছে এমন নয়, তাই এমন একটা প্রস্তাব জানাতে লজ্জা করছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি যে অনেকেই হয়তো জানেন যে তপনদার প্রথম ছবির নাম ছিল ‘অঙ্কুশ’, যা উনি তৈরি করেছিলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সৈনিক’ গল্প অবলম্বনে। (Tapan Sinha)

তা আমার লজ্জা পাওয়ার কথা জানতে পেরে মা আমার কাছ থেকে তপনদার বাড়ির ফোন নম্বর নিয়ে নিজেই সরাসরি ওঁকে ফোন করেছিলেন এবং আমার পরিচয়টাও দিয়েছিলেন। সব শুনে তপনদা এক কথায় সময় দিয়েছিলেন কিন্তু এরপরে আবারও ওঁর শরীর খারাপ হওয়াতে আমাকে একদিন ফোন করলেন এবং বললেন যদি কাজটা অন্য কোনওদিন করা যায়। আমি বলেছিলাম ক্যামেরা বুক করা হয়ে গেছে কিন্তু মাকে বলছি চেষ্টা করতে অন্য কোনওদিন রেকর্ডিংটা করতে। ক্যামেরা বুকিং হয়ে গেছে শুনে বললেন, ‘একবার ক্যামেরা বুক হয়ে গেলে সেটা ক্যানসেল করে আবার নতুন করে বুক করা খুব সমস্যা।’ তাই পূর্ব নির্ধারিত দিনেই কাজটা হল ওঁর ইচ্ছা অনুযায়ী। সুভদ্র, শান্ত, শল্পভাষী মানুষটি কখনওই চাইতেন না যে ওঁর জন্য কেউ অসুবিধায় পড়ুন।

আরও পড়ুন: স্মৃতির আকাশ থেকে: পরবাসী, চলে এসো ঘরে

যেদিন দূরদর্শন থেকে তপনদার বাড়িতে যাওয়া হল, সেদিন আমি যখন সিঁড়ি দিয়ে উঠছি, তপনদা আমায় দেখে বলে উঠলেন, ‘তুমি অনেকদিন পরে এলে।’ আমি অপ্রস্তুত হয়ে, ভাবছিলাম কেন উনি আমাকে ওই কথা বললেন! সেদিনের আগে আমি তপনদার বাড়িতে মাত্র দু’বার গেছি। আমার সঙ্গে যখন তপনদার পরিচয় হয়, তখন তিনি ছবি তৈরির কাজ করা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। আমার সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক নিবিড় হল কয়েকটি বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে এবং লেখালিখির বিষয়ে। কলকাতায় বিমল রায়ের জন্মদিন সংক্রান্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করার সময় আমার মাথায় এক পরিকল্পনা আসে, তা হল তপন সিংহর সঙ্গে কাজ করেছেন, এমন মানুষ যাঁরা তখনও জীবিত, তপনদা সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করে তারপর একটা বই প্রকাশ করবার।

কাজ শুরু করলাম, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুর, ভারতী দেবী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, শমিত ভঞ্জ, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেক বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎকার নিলাম এবং পরবর্তীকালে সেগুলি একসঙ্গে বই হয়ে প্রকাশিত হয় এম.সি.সরকার থেকে। কুড়ি বছর পরে গত মাসে ‘অনুভবে তপন সিংহ’ বইটির দ্বিতীয় মুদ্রন প্রকাশিত হয়েছে। কলকাতা বইমেলায় বইটির অনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেছিলেন ভারতী দেবী, দিব্যেন্দু পালিত এবং নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওর দিলীপ সরকার।

অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে শুনলাম তপনদা ফোন করেছিলেন। আমি আবার ওঁকে ফোন করাতে জিজ্ঞাসা করলেন বই প্রকাশ অনুষ্ঠান কেমন হল? বইমেলায় ধুলোর কারণে না যাওযার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন। এমন ভদ্রলোক এখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ আছেন কী না জানি না! অনুভবে তপন সিংহ বইটি প্রকাশের কিছুদিন পর থেকেই দৈনিক স্টেটসমান পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে তপনদা লিখছিলেন তাঁর অন্যতম আত্মজীবনী ‘কিছু ছায়া কিছু ছবি’। সেই সময় একদিন তপনদা নিজেই আমাকে ফোন করে বাড়িতে ডাকলেন। যাওয়ার পরে এক কাপ কফি খাওয়ালেন তারপরে বললেন, ‘তুমি তো জানো আমি বাংলা স্টেটসম্যান কাগজে প্রতি রবিবার ‘কিছু ছায়া কিছু ছবি’ শিরোনামে একটা ধারাবাহিক লেখা লিখছি, এখন শরীরটাও অশক্ত হয়ে পড়েছে, মাঝে মাঝে হাতও কাঁপে। একজনকে রেখেছিলাম কিন্তু তার হাতের লেখাও ভালো নয় আর ভীষণ বানান ভুল করে তাই ভাবছি তুমি যদি লেখো তাহলে ভাল হয়। আমি যেরকম বলব, তুমি লিখে আমায় একবার দেখাবে, যদি কিছু ঠিক করার থাকে তবে সেটা করব। তারপরে এক একটা অংশ কাগজের আপিসে পাঠিয়ে দেব।’

তপনদার প্রস্তাবে আমি এক কথায় রাজি। এরপর আমার লজ্জা পাওয়ার পালা। উনি এই বিশেষ কাজটির জন্য টাকার কথা বলতে, আমি বললাম, ‘আপনার সঙ্গে কাজ করব, এটা তো আমার সৌভাগ্য, এখানে টাকার বিষয় আসতেই পারে না।’ উনি একটা সুন্দর হাসি হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে, কাজটা শুরু হোক।’ এই কাজের সুবাদে তপনদা হলেন আমার আপনজন। কখনও সপ্তাহে দু’দিন আবার কখনও বা তিনদিনও যেতাম ওঁর বাড়িতে। কাজ করতে করতে অতীতের স্মৃতিচারণ করতেন।

অনেক বিষয় নিয়ে গল্প হত যার মধ্যে সিনেমার বিষয় খুব কমই থাকত। কথা হত ক্রিকেট, আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম, সঙ্গীত ইত্যাদি নিয়ে, আর প্রতিটি আলোচনায় এবং গল্পে রবীন্দ্রনাথ অবশ্যই থাকতেন। তপনদার মতো রবীন্দ্রঅনুরাগী খুব কমই দেখেছি। আর গানের বিষয়ে কথা হলে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তো উঠতই। তপনদার জন্মদিন ২অক্টোবর, সেই কারণে প্রতিবার জন্মদিনটা পুজোর কাছাকাছি সময়ে পড়ত। কখনও বা আবার পুজোর মধ্যেও পড়ত।

এক একবার সকালে যেতাম আবার এক একবার বিকালেও যেতাম। মনে আছে একবার জন্মদিনের দিন সন্ধেবেলায় গিয়ে বেল টিপেছি, তপনদা ওপর থেকে আমায় দেখে বললেন, ‘তোমাকে সকাল থেকেই এক্সপেক্ট করছিলাম।’ নিজেই নিচে নেমে দরজা খুলে দিয়ে বললেন, ‘চলো ওপরে গিয়ে বসি, সৌমিত্র বসে আছে।’ সেদিন সারাটা সন্ধে আমি, তপনদা আর সৌমিত্রকাকু বসে কিঞ্চিৎ পান সহযোগে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত গল্প করেছিলাম। সেদিনের একটা ঘটনা সারা জীবন মনে থাকবে, সেটা হল আড্ডার ফাঁকে সৌমিত্রকাকু তপনদার জন্মদিনে দেওয়া ওঁর কবিতার বই থেকে কয়েকটি কবিতা পড়ে শোনাচ্ছিলেন। সেটা আমার কাছে ছিল এক বিরল সন্ধ্যা।

এক একদিন যখন বিকেলে যেতাম, দেখতাম উনি বারান্দায় বসে আছেন চুপ করে। সেদিন ওই বারান্দাতে বসেই কথা হত। খুব কম কথার মানুষ ছিলেন, বর্ষাকালে ওরকমই এক সন্ধ্যায় দুজনে বসে আছি, মাঝে মধ্যে কয়েকটি কথা, তারপর যখন আমার ওঠার সময় হল, তপনদা, ‘এখনই যাবে? বৃষ্টি কিন্তু পুরোপুরি থামেনি, তোমার সর্দি-কাশির ধাত আছে, ঠান্ডা লেগে যাবে। আমি বরং ছাতা নিয়ে তোমাকে ট্যাক্সিতে তুলে দিয়ে আসি।’ এমন ভদ্রতাবোধ আজকের দিনে আশা করলে আঘাত পেতে হবে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পরে তপন সিংহর মতো পারফেক্ট জেন্টলম্যান আমি দেখিনি।

একবার হলদিয়া উৎসবে তপনদা এবং উস্তাদ বিসমিল্লা খানকে সম্মানিত করা হল। জানুয়ারি মাস, তপনদার সঙ্গে ওঁর স্থিরচিত্রগ্রাহক সুকুমার রায়, তপনদার ছবির ড্রেসার এবং প্রতিবেশী মুকুল মাসি আর আমি গিয়েছিলাম হলদিয়ায়। কলকাতা থেকে হলদিয়া আমরা গিয়েছিলাম গাড়িতে, অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা পাইলট কার দিতে চেয়েছিলেন কিন্ত তপনদা রাজি হননি। ওখানে পৌঁছনোর পরে একটি গেস্ট হাউসে আমরা উঠি। দুপুরে খাবার সময় তপনদা আমরা কে কী খাচ্ছি, সেদিকে নজর রেখেছিলেন। ভাত এবং অন্য খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেলে উনিই নিজের হাতে সেগুলো আমাদের প্লেটে তুলে দিচ্ছিলেন। সেও এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা! খেতে বসে তপনদা ওঁর দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনের ওঁর বিদেশ ভ্রমণের অনেক গল্প শোনাচ্ছিলেন।

গাড়িতে যাতায়াতের সময় ওঁর ইউনিটের কলাকুশলীদের সম্পর্কেও অনেক মজার গল্প বলছিলেন। গাড়িতে অনেক্ষণ ধরে অনেক দূরের রাস্তায় ভ্রমণ করতে আমার একটু অসুবিধা হয়। অসুবিধা মানে একটু গা গুলোয়। হলদিয়া থেকে ফেরার পথে তপনদা সেই কথা শুনে নিজে গাড়ির পেছনে বসে আমার জন্য সামনের আসনটি ছেড়ে দিলেন। আবার নন্দকুমারের এক স্থানীয় বাজারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কোথা থেকে গন্ধরাজ লেবু কিনে নিয়ে এসে আমার হাতে দিয়ে বললেন, ‘গা গুলোলেই নখ দিয়ে লেবুর খোসাটা অল্প চিরে নিয়ে শুঁকতে, তাতে বমির ভাবটা চলে যাবে।’ গোটা পথে মাঝে-মধ্যেই আমার খোঁজ নিচ্ছিলেন।

তপনদার ভদ্র অনুভূতির নিদর্শন যতই দেব ততই লেখা কলেবরে বৃদ্ধি পাবে। তপনদার শরীর খারাপ হলে আমি ফোনে খোঁজ নিলে অপর প্রান্ত থেকে শুনতে হত তুমি কেমন আছ? ‘কিছু ছায়া কিছু ছবি’ কাগজে প্রকাশ হওয়ার পরে এম.সি.সরকারের তৎকালীন কর্ণধার শমিত সরকার একদিন আমাকে ফোন করে পুরো লেখাটি বই আকারে ছাপার ইচ্ছে প্রকাশ করলে আমি ওঁকে জানাই তপনদার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে।

এরপর একদিন আমরা দুজনে বই ছাপার প্রস্তাব নিয়ে তপনদার কাছে গেলে উনি সব শুনে বললেন, ‘এই বইটা ছাপলে তোমাদের কোনও ক্ষতি হবে না তো বাণিজ্যিকভাবে?’ শেষ পর্যন্ত ওই বছরের ২৫ বৈশাখে বইটি প্রকাশিত হয়। কয়েক মাসের মধ্যে বইটির প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে যায়। ছায়াবানীর কর্ণধার রামলাল নন্দী ঠিক করেছিলেন তপনদার ওপর একটা তথ্যচিত্র তৈরি করবেন, সেই মতো কাজও এগিয়েছিল বেশ কিছুটা। তপনদা নিজে ফোন করে দিলীপকুমারের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে কথাও বলিয়ে দেন, শুটিং-এর কাজও বেশ খানিকটা এগিয়ে যায় কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কাজটা আর শেষ পর্যন্ত হয়নি।

এসবের মধ্যেই খবর আসে ভারত সরকার তপনদাকে ‘দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আমাদের সবার খুব আনন্দ হয় কারণ সত্যজিৎ, ঋত্বিক আর মৃণাল সেনকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতির ফলে তপন সিংহ, অজয় কর, তরুণ মজুমদারের মতো বহু চলচ্চিত্রনির্মাতাকে অবহেলা করা হয়েছে। এমনকি বিমল রায়ের মতো পরিচালককে নিয়েও কোনও আলোচনা হয় না! তপনদার জীবিত অবস্থায় শেষ জন্মদিনে আমরা তপনদার উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠা করলাম তপন সিংহ ফাউন্ডেশন। বাকি ছিল আর কয়েকটি মাস।

তারপর ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তপনদা চলে গেলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওঁর পরিবারকে প্রস্তাব দিয়েছিল ওঁর দেহ নন্দন অথবা রবীন্দ্রসদনে রাখার যাতে ওঁর অনুরাগীরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন কিন্তু পরিবারের সদস্যরা রাজি হননি কারণ তপনদার বারণ ছিল। আসলে তপনদা চাইতেন না ওঁর কারণে কোনওরকম যান-জট হোক। বিশিষ্ট মানুষের যাতায়াত, রাজ্যপাল, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ভিড়ের মধ্যেও এক অসীম শূন্যতা। তপনদার দেহ চলে গেল, বাড়ির বাইরে পড়ে রইল রজনীগন্ধার কিছু পাপড়ি।

ছবি- লেখক

অরিজিৎ মৈত্র পেশায় সাংবাদিক। তপন সিংহ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক অরিজিৎ পুরনো কলকাতা নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসেন। নিয়মিত লেখালিখি করেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত বই: অনুভবে তপন সিনহা, ছায়ালোকের নীরব পথিক বিমল রায়, চিরপথের সঙ্গী - সত্য সাই বাবা, বন্দনা, কাছে রবে ইত্যাদি।

Picture of অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র পেশায় সাংবাদিক। তপন সিংহ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক অরিজিৎ পুরনো কলকাতা নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসেন। নিয়মিত লেখালিখি করেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত বই: অনুভবে তপন সিনহা, ছায়ালোকের নীরব পথিক বিমল রায়, চিরপথের সঙ্গী - সত্য সাই বাবা, বন্দনা, কাছে রবে ইত্যাদি।
Picture of অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র

অরিজিৎ মৈত্র পেশায় সাংবাদিক। তপন সিংহ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক অরিজিৎ পুরনো কলকাতা নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসেন। নিয়মিত লেখালিখি করেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত বই: অনুভবে তপন সিনহা, ছায়ালোকের নীরব পথিক বিমল রায়, চিরপথের সঙ্গী - সত্য সাই বাবা, বন্দনা, কাছে রবে ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com