চকোলেট খেলে মন মেজাজ ভাল থাকে, এমন অনেকেই বলেন। তবে এই প্রথম ডিপ্রেশনের সঙ্গে চকোলেটের সম্পর্ক যাচাই করে দেখলেন ‘ইউনিভর্সিটি অব লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরি এবং ক্যানাডার ‘অ্যালবার্টা হেলথ সার্ভিস’-এর গবেষকরা।
প্রায় ১৩,৬২৬জন মানুষের উপর এই পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের ওজন, উচ্চতা, বৈবাহিক অবস্থা, জাতি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আয়, শারীরিক সক্রিয়তা, ধূমপান, শারীরিক সমস্যা, সব কিছু হিসেব করেই এই পরীক্ষা করা হয়, যাতে শুধুমাত্র চকোলেট খাওয়ার সঙ্গে ডিপ্রেশনের কী সম্পর্ক তা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়।
এই পরীক্ষার ভিত্তিতে দেখা গেছে, যাঁরা পর পর দু’ দিন ডার্ক চকোলেট খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ডিপ্রেশনের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা যাঁরা একেবারেই কোনও ধরনের চকোলেট খাননি, তাঁদের চেয়ে ৭০% কম।
ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশনের মতে সারা বিশ্বে ডিপ্রেসেড মানুষের সংখ্যা ৩০০ মিলিয়েনের কাছাকাছি। এই স্টাডির প্রধান লেখক, ড. সারা জ্যাকসন জানিয়েছেন, ”এই গবেষণা অনুযায়ী চকোলেট বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটের সঙ্গে ডিপ্রেশনের একটা সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। ডার্ক চকোলেট খেলে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে। তবে এর কারণ অনুধাবন করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। এর পিছনে আরও আনুষঙ্গিক কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে।”
বলা হয় চকোলেটের মধ্যে এমন কিছু সাইকোঅ্যাক্টিভ উপকরণ আছে, যা মন-মেজাজ বদলে দিতে পারে। অনেকটা ক্যানাবিসের ক্যানাবিনয়েড যেভাবে কাজ করে, চকোলেটের উপকরণও একইভাবে মনে আনন্দের সঞ্চার করে। পাশাপাশি এর ফিনাইলএথাইল্যামিন (এক ধরনের নিউরোমডিউলেটর) মুড ভাল করার ক্ষমতা রাখে। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে চকোলেটর স্বাদ যদি ভাল না হয়, তা হলে মেজাজে কোনও পরিবর্তন নাও হতে পারে। তার মানে শুধু খাওয়াই যথেষ্ট নয়, উপভোগ করাও প্রয়োজন।
যদিও এই প্রতিটা কথা সব ধরনের চকোলেটের ক্ষেত্রেই খাটে, তাও ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকায় তা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সক্ষম। এর ফলে ডিপ্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে।
.
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।