(Little Magazine)
সর্বনাম পত্রিকা
সম্পাদক:
পঙ্কজ চক্রবর্তী
সুপ্রসন্ন কুণ্ডু


(Little Magazine)
পত্রিকার কথা
শুরুটা ২০১৫, আগস্ট মাস। বছরে দুটি করে সংখ্যা হবে। শুধুমাত্র প্রবন্ধের পত্রিকা, এই ভাবনা থেকেই পথচলা শুরু। শুরুর দু-তিন বছর আমরা সে ধর্ম অক্ষুণ্য রাখতে পেরেছি। তারপর পা ফসকেছে। সর্বনামের পাতায় প্রবন্ধ, পুনমুদ্রণের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে কবির একক এক ফর্মার কাব্যগ্রন্থ। গুচ্ছকবিতা, কবিতাভাবনা। বলতে দ্বিধা নেই কবিতাভাবনা বিভাগটি বহু পাঠকের কাছেই অধিক গ্রহনযোগ্যতা পেতে থাকে।
আসলে আমরা ভাবি এক। হয়ে যায় অন্যকিছু। উপর থেকে ফেলে দেওয়া বস্তু যেমন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। কিছুটা সরে পা ফেলে। আমরাও সেই স্বভাব ধর্মের বাইরে নই। অনেক মন কষাকষি, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব গায়ে চাপিয়ে ১০টা বছর পেরিয়ে ফেললাম। সাকুল্যে ৮ টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত আমাদের পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যাই সাধারণ সংখ্যা। আগামীতেও তাই থাকবে। ক্রোড়পত্র স্বাগত কিন্তু কোনো স্পেশাল ইস্যু করে নজর কাড়তে আমরা রাজি নই। দু-একটি উল্লেখযোগ্য লেখা, কয়েকজন মানুষের সামান্য বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছুই আমাদের কাছে মূল্যবান নয়। তাই আপনি পত্রিকা কিনছেন কিনা আমরা উঁকি মেরে কখনও দেখব না।
(Little Magazine)

সর্বনাম ৮ম সংখ্যা
(Little Magazine)
সম্পাদকীয়
দেখলাম সারি সারি গাছ, তার ছায়া। মানুষ, তাঁদের ছায়াছবি দেখে এলাম। সবাই উচ্চস্বরে চিৎকার করছিল। মানুষ না। পথ চলতি কাকপক্ষ্মী। ভালোই লাগছিল। বিপ্লব এখনও বিপন্ন নয়। বিপ্লবীর হালে পানি নাই। পানি তো কলেও থাকে না নির্দিষ্ট সময়ের পর। তা বলে কি তৃষ্ণা মরে গেছে? মরে নাই। আসলে কিছুই মরে না। দেখার বিষয়, হে মহারাজা, তুমি এলে কোন সাজে! বড়দিনের সকাল। ব্রিগেডের রোদ। সবই মানবিক। যতক্ষণ আপনি সলতেটা পাকাতে পারছেন।
খালি মাথায় এই সব আবোল তাবোলই আসে। তবে সর্বনাম কোনো বিশেষ্যের পক্ষে স্বর বাঁধছে না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত। নিশ্চিন্তই বা করি কীভাবে? যে দেশ নিচুস্বরে প্রতিবাদেই অভ্যস্ত। সেখানে বোবাযুদ্ধই আতঙ্কের। সুর তুলে কথা বলে লাভ নেই। তার চেয়ে ভিতরের পাতায় নজর থাক। ভুলভ্রান্তি চোখে পড়ুক। তর্ক হোক। তবে কথা দিচ্ছি ব্রিগেড যেতে বলব না।
(Little Magazine)
আমাদের কথা
পত্রিকার অষ্টম সংখ্যা প্রকৃত অর্থে আঠারো মাস পেরিয়ে প্রকাশিত হল। বিলম্বের কারণ আপাতত নানাবিধ অজুহাত। তবুও তার প্রকাশ হয়তো অনেকের আনন্দের কারণ হবে সেই সুযোগটিই আমরা গ্রহণ করলাম। এই মাত্র। আর কিছু নয়। যাঁরা শেষপর্যন্ত লেখা তুলে নিলেন না, পুনর্জীবিত করলেন তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বিলম্বের কারণে কয়েকটি লেখা ইতোমধ্যেই গ্রন্থভুক্ত হয়েছে। সেই দুর্ভাগ্যের দায় আমাদের। তবু গুরুত্বপূর্ণ সেইসব লেখা পুনরায় পঠিত হবে এই আশায় এখানে মুদ্রিত আকারে রাখা হল।
এখনও পর্যন্ত আমাদের পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যাই সাধারণ সংখ্যা। আগামীতেও তাই থাকবে। ক্রোড়পত্র স্বাগত কিন্তু কোনো স্পেশাল ইস্যু করে নজর কাড়তে আমরা রাজি নই। আমাদের পত্রিকা সংরক্ষণযোগ্য হয়ে কোনো বিদগ্ধ মানুষের দেওয়াল আলমারিতে শোভা পাক আমরা চাই না। তাই শতবর্ষ উপলক্ষে কোনো লেখক বা কবিকে স্মরণযোগ্য করে তোলার দায় আমরা নিচ্ছি না। সেই দায়িত্ব বরং পৌরসভা নিক। প্রতিটি রাতের নির্জনতায় তাঁরা পুনর্জীবিত হবেন, আমাদের বিছানার ঘামের সহচর হবেন এর বেশি খুব কিছু কি চাওয়ার আছে আজ? (Little Magazine)
এই সংখ্যার শুরুতেই রইল চারটি মূল্যবান গদ্য। কখনও তা ব্যক্তিজীবনের স্মৃতিমূলক, কোথাও তা পাঠকের স্মৃতি, রঙের গভীর এক দেখার দৃষ্টি, কখনও তার হাত ধরেছে স্মরণীয় দার্শনিকতা। প্রবীণ কবির কবিতা না থাকলেও রয়েছে এখনও নবীন এবং অতি তরুণ কবির একগুচ্ছ টাটকা কবিতা-সিন্থেটিক নয় বরং প্রাকৃতিক। ছদ্মবেশ নেই কোথাও। নব্বইয়ের একজন উল্লেখযোগ্য শক্তিশালী কবি রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের একগুচ্ছ নতুন কবিতা দিয়ে শুরু হল সম্পূর্ণ নতুন একটি বিভাগ। একজন কবিকে নিবিড় চিনে নেওয়ার এক জরুরি পদক্ষেপ। যাঁরা রজতেন্দ্রকে খাবার বা বাজার সংক্রান্ত লেখক হিসেবে জনপ্রিয় করেছেন এই অসামান্য কবিতাগুলি তাঁদের অপরাধমনস্ক করে তুলবে নিশ্চিত। প্রতিবারের মতো এবারও রয়েছে একটি সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। নব্বইয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি দেবজ্যোতি রায়ের এই কাব্যগ্রন্থটি এই সংখ্যার মূল্যবান সম্পদ। এছাড়াও রইল উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্প। এই সাতজন গল্পকারের মধ্যে পাঁচজনের মুখ্য পরিচয় প্রধানত কবি হিসেবে। তাছাড়া শূন্য দশকের অনিবার্য এক কবি রাজদীপ রায়ের সম্ভবত প্রথম মুদ্রিত গল্প এটি। সুদীপ বসু, সেলিম মণ্ডল, কুণাল বিশ্বাস কবিতার পাশাপাশি সম্প্রতি গল্প লিখে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অর্ণব সাহা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় নিজস্ব মুদ্রার ছাপ রেখেছেন ইতোমধ্যেই। আর অনির্বাণ বসু এবং অলোকপর্ণা তরুণ কথাশিল্পী হিসেবে এইমুহূর্তে স্বতন্ত্র দুটি নাম। ভবিষ্যতের বাংলা কথাসাহিত্যের গতিমুখ নিশ্চিত তাঁদের অপেক্ষায় থাকবে।
পরবর্তী সংখ্যার আগে আমরা শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই ‘সর্বনাম’ অধিক পাঠক দাবি করে না। পুঁজির স্বাস্থ্যের আকাঙ্ক্ষা আমাদের নেই। পুঁজির শোকও দূরের বিষয়। এই পত্রিকার জন্ম বা মৃত্যু বাংলা সাহিত্যের নিকটাত্মীয় নয় এই কথা মাথায় রেখেই আমরা পথে নেমেছি। দু-একটি উল্লেখযোগ্য লেখা, কয়েকজন মানুষের সামান্য বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছুই আমাদের কাছে মূল্যবান নয়। তাই আপনি পত্রিকা কিনছেন কিনা আমরা উঁকি মেরে কখনও দেখব না। (Little Magazine)
(Little Magazine)
(বানান অপরিবর্তিত)
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।