তাঁর নাম পাহাড়ী (Pahari Sanyal)। পাহাড়ের কোলেই তাঁর জন্ম। বাঙালিদের প্রিয় অভিনেতার জন্ম দার্জিলিং (Darjeeling), এটা ভেবে তাঁদের টান আরো কিছুটা বেড়ে যায় বটে, তবে পারিবারিক সূত্রে তাঁর খুড়তুতো ভাইপো ব্রতীন্দ্রনাথ সান্যাল বলেন, “পাহাড়ী আসলেই হিমাচলি।” পোশাকি নাম যাঁর নগেন্দ্রনাথ। সিমলার কাছে কসৌলি শহরে ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯০৬ সালে ওঁর জন্ম। বাবা নৃপেন্দ্রনাথ ওখানে আর্মি ক্যাম্পে চাকরি করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজ ফৌজের হয়ে ‘মেসোপটেমিয়া অভিযানে’ যুদ্ধবন্দি হন। পরে ওখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ছোট ছেলে পাহাড়ীর তখন মাত্র বারো বছর বয়েস। মাতৃহারা হন আরো ছোট বয়সে। পড়াশোনায় ভালো হলেও সুর ও সংগীত এর প্রতি প্রেম ও ভালবাসাটুকু এসেছিল তাঁর বাবার কাছ থেকেই। যিনি নিজেও তালিম নিয়েছিলেন হিন্দুস্থানি ধ্রুপদী সঙ্গীতে। সত্যজিৎ রায়ই বাংলা ছবিতে তাঁকে দিয়ে সেই মন ভোলানো গান গাইয়েছেন। ভোলা যায় না ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিতে তাঁর গাওয়া অতুলপ্রসাদের গানখানি। “প্রেমে চন্দ্র তারা/ কাটে নিশি দিশাহারা/ যার প্রেমের ধারা/ বহিছে শতধারে/ সে ডাকে আমারে”। বৃদ্ধ গাইছেন আর চারজন যুবক, দুই মহিলা, সদ্য পিতৃহীন একটি শিশু, আর সেই অরণ্য – সেই দৃশ্যাবলী অমর হয়ে আছে। পাহাড়ী সান্যাল বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি মিলিয়ে প্রায় ১৯৭টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।