ক্যাপ্টেন নেমোর সঙ্গে প্রথম দেখা সিনেমা হলে, ‘ফাইন্ডিং নেমো’ ছবি দেখতে গিয়ে। সেটা যতদুর মনে পরে ২০০৩ সাল ছিল, আমাদের ছোটবেলার নার্সারির প্রচণ্ড ব্যস্তবাগীশ দুষ্টু বাচ্চাগুলোর সঙ্গে নেমোর খুব মিল পেয়েছিলাম। তার বেশ কিছুদিন বাদে এই ২০১৩ নাগাদ সমুদ্রের তলায় মুখোমুখি দেখা, বাড়ির কাছেই আন্দামানে৷ ছোটাছুটি লাফালাফির ফাঁকে ছবিটবিও তোলা হল। সেই থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক ওশানের বিভিন্ন জায়গায়, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স বা ইন্দোনেশিয়ার জলের তলায় তার সঙ্গে দেখা হয়- সময় কাটাই, খেলা করি, আর ফিরে আসার আগে কিছু ছবি।
নেমোর খ্যাতি কিন্তু বেশ জগৎজোড়া। “সিমবায়োটিক রিলেশনশিপ” বলে একটা প্রাকৃতিক ঘটনার পোস্টার বয় বলা যেতে পারে নেমোকে। অ্যানিমনি বলে ঝোপের মতন দেখতে এক অচল বিষাক্ত সামুদ্রিক প্রাণীর সঙ্গে বোঝাপড়া করে সে সেই ঝোপেঝাড়েই বসবাস করে, পরিষ্কার রাখে আর আক্রমণকারী মাছ আর সামুদ্রিক প্রাণীদের তাড়া করে। বদলে অ্যানিমনি খুব ভাল বাড়িওয়ালার মতন তাকে পরিবারসহ থাকতে দেয়, হূল টুল বিশেষ ফোটায় না। নেমো তার জীবদ্দশায় বাসাবাড়ি বদলের দিকে যায় না, বরং তীব্র স্রোতে ভেসে আসা খাবার সংগ্রহ করে আর ‘ওয়র্ক ফ্রম হোম’-এর ফাঁকে ছোটাছুটি করে তার সিক্স প্যাকটি সামলে রাখেন।
নেমোর পোশাকি নাম একটা আছে– অ্যানিমনি ক্লাউন ফিশ। এছাড়া ওদের মোটামুটি ২৮টা গোষ্ঠী আছে, বিভিন্ন নামে। আর নানান অদ্ভুত কাজেকর্মে ওরা সদাব্যস্ত থাকে। এই যেমন সবাই পুরুষ হয়ে জন্মায়, তারপর ইচ্ছেমতো নারী হয়ে যায়.. এইরকম আর কী! সেসব গল্প না হয় আর একদিন করা যাবে ?
সাম্য সেনগুপ্তর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল
সাম্য সেনগুপ্ত পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, নেশা ফটোগ্রাফি। বহুজাতিক সংস্থার চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করেছেন অনেকদিন হল। উত্তর কলকাতায় বেড়ে ওঠা সাম্য বরাবরই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় এবং খাদ্যরসিক। পৃথিবীর নানান দেশের খাবার চেখে দেখতে ভালোবাসেন। অতল সমুদ্রের গভীরে ডুব দিয়ে ক্যামেরাবন্দি করেন ছবি। দেশের অন্যতম সফল আন্ডারওয়াটার ফোটোগ্রাফার তিনি।
3 Responses
Excellent samya..keep it up
অনবদ্য।
দুর্দান্ত ছবি ও লেখা সাম্যদা