banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

বদলে গেছে বাঙালি, বদলে গেছে বাঙালির খাবার

ড. পাঞ্চজন্য ঘটক

জুলাই ২৪, ২০২৩

Globalization Food habits and Bangali
Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

৭০ এর দশকের মাঝামাঝিও কলকাতা বা শহরতলির মধ্যবিত্ত ঘরে ছেলেমেয়েদের জন্মদিন পালনে পায়েস রাঁধারই চল ছিল মোটামুটিকেককাটার প্রচলন তখনও তেমনভাবে শুরু হয়নিহাঁটি-হাঁটি পাপা করে টেলিভিশন সবে ঢুকছে উচ্চমধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমেসন্ধ্যা :৩২ থেকে ঘর অন্ধকার করে দূরদর্শন দেখাপাড়ার লোকের ভিড়ে বাড়ির লোকেরাই অনেকে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতেনলোডশেডিং হলে জোড়হাত করে ঠাকুর প্রণাম করতেন—  যাক, গরম হলেও এবার বাড়ি ঢোকা যাবে!

শঙ্খরা থাকত পূর্ব বিহারের সাহেবগঞ্জ শহরেঅধুনা ঝাড়খণ্ডেরেলের বড় শহরকয়েকজন ব্রিটিশ রয়ে গেছিলেন তখনওঅ্যাংলোইন্ডিয়ানও অনেক। তাছাড়া রেলের অফিসারদের জীবনযাত্রায় তখনও কলোনিয়াল হ্যাংওভার ঝুলতশঙ্খর জন্মদিন পালন হত খুব ধুমধাম করেপ্রথমদিকে শঙ্খর মা নিজের হাতে কেক বেক করতেন ওভেনেকেকের ওপরে চেরি বসিয়ে ওর নাম লিখে দিতেনশঙ্খর সপ্তম জন্মদিনে, ওর এক বান্ধবী আবদার করে শঙ্খর বাবার কাছে— ‘আঙ্কেল, এবার কেকটা কলকাতার ফ্লুরিজ থেকে আনা হোক প্লিজ।’ শঙ্খর বাবা সেই ব্যবস্থাই করেন। এক রাতের জার্নি কলকাতা থেকে সাহেবগঞ্জএসে যায় কলকাতার Flurys থেকে টাটকা বার্থডে কেকওপরে সুন্দর করেহ্যাপি বার্থডে’ লেখাতাই শুনে শঙ্খর এক কাকা বলেছিলেন— ‘অরা বেশি সাহেব হইয়া গেসে।’ শঙ্খদের পরিবার দেশভাগের সময় এপার বাংলায় আসতে বাধ্য হয়তাঁরা তখনও নিজেদের ভেতর ঢাকাই ভাষায় কথা বলতেন

Birthday Bakery Bake Cake
এসে যায় কলকাতার Flurys থেকে টাটকা বার্থডে কেক

শঙ্খর এক জেঠু সাহেবগঞ্জে বেড়াতে আসেন একবার শীতের সময়। ওই সময় রাতে ওর মা নানারকম পশ্চিমি খাবার করতেন ডিনারে। খুব ঠান্ডা পড়ত ওখানে। ভাতটা ঠিক জমতো না রাতে। সেদিন রোস্ট চিকেন ডিনার করেন শঙ্খর মা। গোটা মুরগির রোস্ট, রোস্টেড আলু আর সটেড টাটকা শীতের সবজি। শেষ পাতে ওয়ার্ম স্পঞ্জ কেকের সঙ্গে কাস্টার্ড। জেঠু চিকেন আর সবজি নিয়ে জিজ্ঞেস করেন— ‘ভাত দাও এইবার।’ মা বলেন, ‘আজ তো ভাত করি নাই। রোস্ট তো ভাত দিয়া খায় না।’ শুনে জেঠুর মুখ একটু ঝুলে যায়।কোনোরকমে খাবারগুলো একটু নাড়াচাড়া করে উঠে পড়েন, বিব্রত মা-বাবাকে বলেন— ‘পরের দিন এইরকম কিছু রাঁধলে, আমার জন্য একটু ঝোল ভাত কইরো।’

ওপরের ঘটনার পর প্রায় ৪০ বছর পেরিয়ে গেছেশঙ্খর সেই কাকুর জন্মদিন পালন হয়, ফেসবুকে ছবি দেখে শঙ্খনাতনি নিয়ে আসে চকোলেট কেকউনি এখন আশি ছুঁই ছুঁই, মহানন্দে কেক কাটেনকাকিকে খাইয়ে দেনগালে লাগিয়ে দেন চকোলেটের ফোঁটা

শঙ্খর এক জেঠু সাহেবগঞ্জে বেড়াতে আসেন একবার শীতের সময়। ওই সময় রাতে ওর মা নানারকম পশ্চিমি খাবার করতেন ডিনারে। খুব ঠান্ডা পড়ত ওখানে। ভাতটা ঠিক জমতো না রাতে। সেদিন রোস্ট চিকেন ডিনার করেন শঙ্খর মা। গোটা মুরগির রোস্ট, রোস্টেড আলু আর সটেড টাটকা শীতের সবজি।

সেই জেঠুর নাতিনাতনিদের বিয়ের দিন ভোরে দধিমঙ্গল আর হয় নাআসে layered celebration marriage কেকনাতিনাতনিরা কেক কাটে হইহই করেতাদের দাদুকে খাইয়ে দেয় কেক, দইয়ের অভাব উনি বোধ করেন কিনা, বোঝা যায় না

একান্নবর্তী পরিবারের শাসন ব্যবস্থায় নিজের ভাইভাইপোভাইয়ের বৌকে যে কথাগুলো বলা যেত, নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে নাতিনাতনিদের সেগুলো বলা যায় নাতার চেয়ে গ্লোবালাইজড বাঙালির নাগরদোলায় চুপচাপ চেপে বসাটাই সবার পক্ষে মঙ্গলজনক বলে মেনে নেন আগের প্রজন্ম

roast chicken

ডাঃ ইশাক মুর্শিদাবাদের এক বনেদি বাড়ির ছেলে১৯৪৫ নাগাদ কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে বিলেতে আসেন ডাক্তারি করতেবিলেতেই পাকাপাকিভাবে থেকে যানএক মেমসাহেবকে বিয়ে করেনবছর আটদশ অন্তর কলকাতা যেতেনসেই সময়ের বাঙালিরা, যাঁরা বিলেতে আসতেন, তাঁরা খুব চট করে সাহেব হয়ে যেতেনছুটিছাটায় দেশে গেলেও সেই সাহেবিয়ানা বজায় রাখতেনকলকাতার দীর্ঘ উড়ানে কষ্ট হলেও টাই আর সুট পরতেনসদ্য স্বাধীন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার খুব একটা আগ্রহ দেখাতেন না

কিন্তু বাঙালি খাবারের প্রতি আসক্তি তো রক্ত থেকে চট করে যাওয়ার নয়পঞ্চাশের দশকে বিলেতে দেশি খাবার বা দেশি খাবারের উপকরণ খুব একটা পাওয়া যেত নামেমসাহেব বৌ হলে তো বাঙালি খাবারের কোনও উপায়ই নেই তখনকখনও সখনও লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটের ভীরাস্বামীর মতো কিছু পুরনো দেশি রেস্তোরাঁয় হয়তো খানিকটা দেশি খাবারের আশ মিটত।

ডাঃ ইশাক ৫০ এর দশকের শেষ দিকে কলকাতায় আসেনদেশ ছাড়ার প্রায় ১২১৩ বছর পরেমুর্শিদাবাদে দেশের বাড়িতে ওঁর আর তেমন কেউ ছিলেন নাকলকাতার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও যোগাযোগ সীমিতসেই সময় চিঠি ছাড়া যোগাযোগের উপায়ও তো ছিল না! উনি মনে হয় গ্র্যান্ড  হোটেলের মতো কোনও সম্ভ্রান্ত হোটেলে ওঠেনকয়েকদিন কলকাতায় থেকে, একবার মুর্শিদাবাদের দেশের বাড়ি দেখে বিলেত ফিরে যাবেনদীর্ঘ উড়ানের পর গ্র্যান্ডের ডাইনিং ডিনার খেতে যানকেতাদুরস্ত ওয়েটার বাহারি মেনু নিয়ে আসেনডাঃ ইশাক বিলেতি মাখা ইংরেজিতে বলেন— ‘I don’t need any menu, Thank you. I know what I want. I want rice, preferably Basmati, Dal, alu bhaja, a big bowl of fish curry – rohu will do and some sweet yogurt.’

বাঙালি খাবারের প্রতি আসক্তি তো রক্ত থেকে চট করে যাওয়ার নয়পঞ্চাশের দশকে বিলেতে দেশি খাবার বা দেশি খাবারের উপকরণ খুব একটা পাওয়া যেত নামেমসাহেব বৌ হলে তো বাঙালি খাবারের কোনও উপায়ই নেই তখনকখনও সখনও লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটের ভীরাস্বামীর মতো কিছু পুরনো দেশি রেস্তোরাঁয় হয়তো খানিকটা দেশি খাবারের আশ মিটত।

ওয়েটার পড়েন বিপাকেবোঝান যে তাঁরা বাঙালি খাবার সার্ভ করেন নাডাঃ ইশাক বেজায় চটে যানবলেন যে কলকাতার বড় হোটেলে বাঙালি খাবার না পাওয়াটা খুবই দুঃখজনকওয়েটার মাথা চুলকে ম্যানেজারকে খবর দেনম্যানেজার এসে বলেন— ‘আজ রাত হয়ে গেছেএকটু কষ্ট করে কন্টিনেন্টাল খেয়ে নিন আজ রাতেকাল কিছু ব্যবস্থা করব।
পরের দিন থেকে দুবেলা গ্র্যান্ড হোটেলে ওঁকে বাঙালি খাবার এনে দেওয়া হত। মনে হয় কোনও পাইস হোটেল থেকেদাম ধরা হত পাঁচ তারারডাঃ ইশাকের তাতে কোনও অসুবিধে ছিল নাবছর ১৫ পর খাঁটি বাঙালি খাবার খেয়ে নিজের বাঙালিয়ানা কয়েকদিনের জন্য ফিরে পান তিনি।

Bengali Food thali
পরের দিন থেকে দুবেলা গ্র্যান্ড হোটেলে ওঁকে বাঙালি খাবার এনে দেওয়া হত

বাঙালি তখনও গ্লোবালাইজড খাওয়াদাওয়ার জন্য আর বাঙালি খাবার গ্লোবালাইজড রসিকজনের জন্য তৈরি হয়নিএই বদল হতে আরও বছর তিরিশেক লেগে যায়

মনে হয় আশির দশক থেকে এই পরিবর্তন চালু হয়এর আগে বিয়েবাড়ির মতো বড় নেমন্তন্নে ঠাকুর দিয়ে রান্না করানোর চল ছিলমেনু থাকত চিরাচরিতআশির দশক থেকে মনে হয় একান্নবর্তী পরিবারের ভাঙনের নানা চিহ্ন বাঙালি জীবনে ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে। বড় বাড়ি থেকে ফ্ল্যাট বাড়ি, পুরনো পাড়া ছেড়ে নতুন পাড়া, পরিবেশনের লোকের অসুবিধেসেই ফাঁক ভরাতে পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠে ক্যাটারার, বিয়ের ভাড়া বাড়িটাকা দিয়ে দাও ধরে, অনেকটা ঝামেলা কমনতুন ব্যবস্থায় নিত্য নতুন মেনুলম্বা ডাঁটিওয়ালা বেগুনভাজালুচির বদলে কাশ্মীরি আলুর দম, স্টাফড পটেটো, কুলচা, নান, ভাটুরাফিস্ ফ্রাইয়ের জায়গায় ফরাসি ফিশ ওর্লিএকটু মশলার ছোঁয়া দিয়ে, ঘন লাল দইয়ের বদলে আইসক্রিমউচ্চবিত্ত পরিবারে ৭০ এর দশকেও চালু ছিল অভিজাত ক্যাটারারকিন্তু আশির দশকে মধ্যবিত্ত বাঙালি-বাড়ির নেমন্তন্নের ছবিটা দ্রুত বদলে যেতে থাকে

শুধু নেমন্তন্ন বাড়ি নয়, তখন পাড়ায় পাড়ায় রোল চাউমিনের দোকান১৯৮০ সালে সত্যজিৎ রায় শারদীয়া দেশেযত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে মোমোর কথা লিখেছিলেনলি রোডের ছোট্ট তিব্বতি রেস্তোরাঁ থেকে সেই মোমো বাংলার পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়তে একটু সময় নেয়বাঙালি চপ তেলেভাজার জায়গায় এখন মোমোর ঢল, নানা রূপে জাঁকিয়ে বসেছে বাঙালির রসনায়খাসির মাংসের ক্রমবর্ধমান দামের চোটে ঘরোয়া নেমন্তন্নে পোলাওমাংসের বদলে চিলিচিকেনফ্রায়েড রাইসকেও ধীরে ধীরে মেনে নিয়েছে বাঙালি। 

Traveler's Food festival

নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগে খোলা বাজারের হাওয়াদ্রুত লয়ে এগোতে থাকে বাঙালির জীবনপ্রথমে জাতীয় টেলিভিশন, পরে কেবল টিভির বিজ্ঞাপনে নানা রকম খাবারের চমক, সারা পৃথিবীতে Y2K – কল্যাণে IT সেক্টরের ফুলে ফেঁপে ওঠা, বাঙালির ঝাঁকে ঝাঁকে বিদেশ বা ব্যাঙ্গালোরযাত্রা চাকরির জন্য, ইমেলইন্টারনেটের জনপ্রিয়তায়

আগে একটা হলিউড ছবির কলকাতায় রিলিজ হতে তিনচার বছর লেগে যেত। সেসব দিন দ্রুত বদলে গেছে। সিঙ্গল স্ক্রিন হলের জায়গায় এসেছে মাল্টিপ্লেক্স। চিনাবাদামপটেটো চিপসের জায়গায় বিরাট চৌকো বাহারি বাক্সে সুইট অ্যান্ড সল্টেড পপকর্নডায়েট কোক, হলিউডের ছবির ইউনিভার্সাল রিলিজ— এসব নিয়ে মলযুগে প্রবেশ করেছে বাঙালি। আর এর ভেতরেই যাত্রা শুরু ম্যাকডোনাল্ডসকেএফসিরচট করে হালকা লাঞ্চ, বা কফিস্ন্যাকস নিয়ে জমিয়ে প্রেম করতে গিয়ে বাঙালি আর পর্দাঢাকা কেবিনের খোঁজ করে না

কলকাতায় বাঙালি খাবারের হালহাকিকতও বদলে গেছে। তারকাখচিত হোটেলে বাঙালি ঘরানার খাবার জনপ্রিয় হয়েছে, বিদেশি বা অনাবাসী বাঙালির হাতের নাগালে বাংলায় খাবার নিয়ে এসেছে পিয়ারলেস ইনে আহেলি বা তাজ বেঙ্গলের সোনার গাওঁমধ্যবিত্তের নাগালেও কলকাতা জুড়ে ভজহরি মান্না, ওহ ক্যালকাটা মতো রেস্তোরাঁ
আমাদের আগের প্রজন্মের হেঁশেল সামলাতেন আমাদের ঠাকুমাদিদিমাজেঠিমাকাকিমামাসিমামায়েরাএখন বাঙালি ছেলেমেয়েরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চাকরিব্যবসা করেন, তরিবৎ করে রান্নার সময়ও নেইসময় থাকলেও তেমনভাবে জানা নেই শুক্তো, পটোলের দোরমা, তেলকই, মুইঠ্যা রান্নার মুন্সিয়ানাদরকারও হয় না। Flurys- ফুল ইংলিশ ব্রেকফাস্ট, ট্যাংরায় চিনে, মোগলাই, জমাটি বাঙালি খাবারবেরোতে ইচ্ছে করছে না? কুছ পরোয়া নেইমোবাইলের মুঠোয় ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট থেকে App। সুইগি, জোম্যাটো কলকাতাশহরতলিতে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে সুক্তো থেকে সুপ্, পটলভাজা থেকে পাস্তা, ধোকা থেকে ধোসা, চাঁপ থেকে চাটনি।

Traveler's Food festival
ন্যাশানাল জিওগ্রাফিকের ট্রাভেলার্স ফুড ফেস্টিভ্যাল

২০২৩ এর জুলাই মাসে লন্ডনের বিসনেস ডিসাইন সেন্টারে আসর বসে ন্যাশানাল জিওগ্রাফিকের ট্রাভেলার্স ফুড ফেস্টিভ্যালেরনানা দেশের খাদ্যসম্ভার দিয়ে সাজানো এই খাদ্যমেলাএকমাত্র বাঙালি খাবারের স্টল Greenoranges এরকলকাতার তপজয় আর ইন্দ্রাণী নটিংহ্যামে খুলেছে বিরাট খাবারের দোকানঅনলাইন শপওব্রিটেনে প্রায় সব বাঙালি খাবার দোকানই চালান বাংলাদেশী অভিবাসীরা। মনে হয় একমাত্র ব্যতিক্রম Greenoranges, এই খাদ্যমেলায় ওঁরা লাইভ কিচেনে করে দিচ্ছেন গরম গরম এগ রোল, গালাউটি কাবাব, ফুচকা আর চাটলাইন পড়ে যায় শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদেরএই খাবারগুলো ব্রিটেনের দেশি রেস্তোরাঁয় খুব একটা দেখা যায় নানতুন খাবার পেয়ে খুব আনন্দ সাহেবমেমদের

মেলা শেষের দিকে, বিরাট হল ফাঁকা হয়ে এসেছে। Greenoranges-এর কর্মীরা দোকান গোটানোর দিকেসামনে এসে দাঁড়ালেন ক্রপ টপ আর মিনি স্কার্ট পরা এক চোখ ধাঁধানো স্বর্ণকেশী সুন্দরীএক প্লেট গালাউটি কাবাব আর এগ রোল নিলেন, নিয়ে ফাঁকা একটা টেবিলে বসলেনসেখানে আগে থেকেই এক প্লেট চিপ্স (পটেটো ফ্রাই) রেখে গিয়েছিলেনপরম তৃপ্তিতে খেতে লাগলেন এগ রোল, কাবাব আর চিপ্সকলকাতাউত্তর ভারতব্রিটেনের তিনটি জনপ্রিয় খাবার একটা টেবিলে এক হয়ে গেল— ভদ্রমহিলার সারাদিনের ক্লান্তি আর খিদের কাছেমনে হল, এভাবেই কলকাতার খাবার গ্লোবালাইজড হয়ে উঠছে | সামর্থ বদলায়, সমাজ বদলায়তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বদলায় স্বাদ

 

 

*ছবি সৌজন্য: লেখক, Maxpixel, Adobe stock, Wikimedia Commons

দু দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটেনে প্রবাসী পাঞ্চজন্য পেশায় সাইকিয়াট্রিস্ট। অবসর সময়ে লেখালেখি করতে ভালোবাসেন।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com