[ ছবিগুলো ফুল স্ক্রীনে (Full screen mode) দেখুন ]
দোল (Holi) মানেই রঙ। তবু আমার এই দোলের ছবি (Holi) রঙ রোহিত। এই দোলের মাধুর্য্য অনুরাগের প্রকাশ। ভক্তির রঙ তো অন্তরের অনুভূতি! সে রঙে যে রেঙেছে, এ ছবি তার কাছে সেই রঙের প্রকাশ।
শ্রীকৃষ্ণ প্রেরিত স্বপ্নাদেশ পেয়ে ১৭৬৭ সালে মণিপুরের (Manipur) রাজা, রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র সিং (চিং থাং খোমবা) মণিপুরে শ্রী গোবিন্দ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। স্বপ্ন নির্দেশিত কাঁঠাল কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয় শ্রী গোবিন্দের মূর্তি। ১৭৭৯ সালে মণিপুরে তিনি প্রথম মণিপুরী রাস (Manipuri Raas) প্রচলন করেন। কথিত আছে, রাসের গোটা চিত্রনাট্য রাজর্ষি সেই স্বপ্নাদেশেই পেয়েছিলেন, যে স্বপ্নাদেশে তিনি শ্রী গোবিন্দের দারুমূর্তি নির্মাণের আদেশ পান। রাজকন্যা বিম্বাবতী (শিজা লায়োংবি) প্রথম রাস অনুষ্ঠানে রাধার ভূমিকা পালন করেন। রাজকন্যা তার আরাধ্যের কাছ থেকে শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মূর্তি নির্মাণ ও প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্নাদেশ পান। শ্রী গোবিন্দের অনুমতি অনুসারে নির্মিত গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর দারুমূর্তি নবদ্বীপে পূজিত হয় অনু মহাপ্রভু নামে।
বর্তমান মণিপুর রাজবাড়ি ও তৎসংলগ্ন অনু মহাপ্রভু মন্দিরটি ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন রাজর্ষি ভগ্যচন্দ্র সিং। সেই থেকে প্রতি বছর, এই মন্দিরে, হোলির সময় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জন্মদিন পালন করা হয় সংকীর্তন আর মণিপুরী রাস উৎসবের মধ্যে দিয়ে। আজও এই উৎসব পরিচালিত হয় রাজবংশের উত্তরসূরিদের উৎসাহে। সাত দিন ধরে চলা এই উৎসবে সুদূর মণিপুর থেকে বহু ভক্ত নবদ্বীপে (Nabadwip) মণিপুর রাজবাড়িতে উপস্থিত হন। নানা প্রকার কীর্তন, নৃত্য ও সংগীতের মাধ্যমে এক অপূর্ব ধর্মীয় আবেশ রচনা করে থাকেন। অভিনব মণিপুরী নৃত্য (Manipuri dance) ও কীর্তনের মাধ্যমে নিত্য রাস এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ।
পেশায় চিকিৎসক। নেশা, মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করে রাখা ভবিষ্যতের জন্য। ২০০৮ সালে Sony World photography awards এ অপেশাদার বিভাগে সেরা পুরস্কার ও ২০১৪ সালে অপেশাদার পোট্রেট বিভাগে প্রথম পুরস্কার প্রাপ্তি । Fountain Ink, Jet Airways Magazine, যারা পরিযায়ী, লিপি নাগরিক, হরপ্পা প্রভৃতি পত্রিকাতে কিছু ছবি ও ছবিতে গল্প প্রকাশ পেয়েছে।