banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

ঝলসে মরতে চাই না, জঙ্গল চাই

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২

Sambalpur Forest
Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

উড়িষ্যার সম্বলপুর জেলায় ঘন অরণ্যের কোলঘেঁষা ছোট্ট গ্রাম তালাবিরা ২০১৯ সালের এক কনকনে ঠান্ডার সকালে উঠে দেখল, তাদের গ্রাম ভরে গেছে পুলিশ, সিআইএসএফ, আরো হরেক রকম উর্দিপরা লোকে। তারা সমস্ত গ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, পাহারা দিচ্ছে গ্রামের লোকেদের রোজকার প্রয়োজনে মা-জঙ্গলে ঢোকার পথগুলো। বেলা বাড়তে ক্রমশ এসে হাজির হল বড়ো বড়ো যন্ত্র বসানো গাড়ি। গ্রামের স্তম্ভিত চোখের সামনে পূর্বভারতের এই হাজার হাজার বৃক্ষসমৃদ্ধ ঘনবনের আকাশছোঁয়া বনস্পতিকুল একের পর এক লুটিয়ে পড়তে লাগল ধুলোয়। পঞ্চাশ ফুট দূরত্ব থেকে প্রহরীদের সরিয়ে বাধা দেবার চেষ্টা পর্যন্ত করতে পারল না কেউ।

জানা গিয়েছিল, যে ওই ঘন জঙ্গলের মাটির নীচে আছে কয়লার ভাণ্ডার। কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব প্রকল্পে তামিলনাডুর নেইভেলি লিগনাইট কর্পোরেশান লিমিটেড (NLC) তালাবিরা কোলব্লকে খোলামুখ খনি করার দায়িত্ব পেয়েছে। ১৭,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করে এখান থেকে বছরে ২০ মিলিয়ন টন কয়লা তোলা হবে। তাতে ৪২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চলবে। যে মানুষেরা এই জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল ছিলেন নিজেদের মায়ের উপর নির্ভর করার মতনই, যাঁরা দশকের পর দশক নিজেদের উদ্যোগে জঙ্গলকে রক্ষা করেছেন কাঠচোর বা চোরাশিকারীদের হাত থেকে, সেই অধিবাসীরা বা সরকারি সংগঠন তালাবিরা গ্রাম্য জংগল কমিটিও সমস্ত বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন। 

অথচ গল্পটার শুরু অনেক আগে। তালাবিরা ২ ও ৩ নম্বর কোলব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয় NLC-কে, সেটা ২০১৬ সালের কথা। ২০১৮-তে NLC ‘আম্বানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তি করে সমগ্র প্রজেক্টটি ‘ডেভেলপ করা’র দায়িত্ব তাদের হাতে সঁপে দেয়। এই কোলব্লকগুলোর অবস্থান পশ্চিম উড়িষ্যার সম্বলপুর ও ঝাড়সুগুড়া জেলার সংযোগকারী হাইওয়ের ওপর। স্থির হয়, যে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের ১,০৩৮  হেক্টরের বেশি জমি কয়লা খাদানের জন্য হস্তান্তরিত ও জঙ্গলশূন্য করা হবে। 

সম্বলপুর সংলগ্ন এলাকায় গাছকাটা প্রথমে সম্পন্ন হয়। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয় মাত্র ১৭,০০০ গাছ কাটা হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশ কর্মী ও অধিবাসীরা বলেন নিহত গাছের সংখ্যা ৪০,০০০-এরও বেশি। সুতরাং সরকারের স্বীকৃত একলক্ষ ত্রিশ হাজার সাতশ একুশটি গাছ কাটার প্রকৃত সংখ্যা কত হতে পারে সেটা সহজ অঙ্কের বিষয়। সংলগ্ন তিনটি জঙ্গলকিনারী গ্রামাঞ্চলের লোকেরা জানান, গাছ কাটা হচ্ছে সম্পূর্ণ বে-আইনি ভাবে। নিয়মমতো মাটির ওপর জেগে থাকা কাটা গুঁড়ির চিহ্ন দেখে সহজেই কাটাগাছের সংখ্যা গোনা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে গাছকেটে নেওয়া হচ্ছে মূলসমেত। এমনকী কাছাকাছির বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত জমির গাছও বাদ পড়ছে না। শেষ হলে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি সমান করে দেওয়া হচ্ছে। যা ছিল গভীর জংগলের কাছে থাকা ছোট গ্রাম, ছোটবড়ো নদী ঝরনা, মাটি ঢাকা পচা পাতার স্তূপের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ছোট ছোট পায়েচলা পথ, অজস্র পশুপাখি ছোট প্রাণী পোকাপতঙ্গের সহজ বিচরণভূমি, দু’বছরের মধ্যে সেখানে দেখা দিয়েছে রুক্ষ মাটির অবিশ্বাস্য রিক্ততা আর মাটির বুক খুঁড়ে গভীরে নামতে থাকা কয়লার লোভ।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিশ্চয়ই খুবই দরকারি। কিন্তু তা কি নদী পুকুর জঙ্গল পাহাড়ের চেয়েও বেশি জরুরি? ‘হিরে ফেলে আঁচলে কাচ বাঁধা’ বলে একটি বাংলা প্রবাদ আছে- মনে পড়ল। এইসব ঘন জঙ্গল সংহারের অজস্র ভয়াবহ ফলাফল এখন প্রায় সকলেরই জানা। একটি ভূভাগের ওপর দিয়ে যে ছোটবড় নদীগুলি প্রবাহিত হয়, তাদের মা-ঘর হল অরণ্যানী। পত্রমোচী বনের নিচে মাটিতে যে ঝরাপাতার স্তূপ জমা হয়, বৃষ্টির জল সেই লেপসমান হিউমাস আস্তরণের মধ্যে জমে থাকে ও সারাবছর ধরে অল্প অল্প করে নদীতে নেমে আসে। বর্ষাকালের প্রবল বারিপাতেও মাটির উপরিতল ভাঙে না ওই পাতার আস্তরণের সুরক্ষায়। আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রতিবিধান হিসাবে সব জায়গায় ‘বনসৃজন’-এর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া গাছ লাগানো নিয়ে, তখন মনে রাখতে হবে যে, প্রাচীন অরণ্যগুলিকে কেউ লাগায়নি। তাদের কোনও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় না, কেবল মানুষের লোভের হাত থেকে ছাড়া। বরং তারা নিজেদের আশপাশে অনেক প্রজাতির পাখিপশু ছত্রাক এমনকী মানুষেরও জীবনকে একটি স্বাভাবিক সুছাঁদ সুরক্ষা দেয়। 

Sambalpur Forest
প্রাচীন অরণ্যগুলিকে কেউ লাগায়নি। তাদের কোনও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় না

উঁচুতে ঘনপল্লবের চাঁদোয়া রোদ্দুরের তীক্ষ্ণ তাপকে আড়াল করে আর্দ্রতা ধরে রাখে। বজায় রাখে একটা স্বাভাবিক সুস্থ প্রাকৃতিক অবস্থা। সেখানে কী হয় এইসব ‘উন্নয়নের জন্য জঙ্গলছেদন’-এর ফল? 

সবচেয়ে আগে শুকোয় ‘হিউমাস’ আশ্রিত জলস্রোতগুলো। গাছের ছায়া সরে তপ্ত হয়ে পুড়ে যায় মাটি। তার ভূমিক্ষয় হয় দ্রুতহারে, ফলে ওপরের পালিকা মৃত্তিকার নিচ থেকে বেরিয়ে আসে ঘাসপাতাহীন রুক্ষ মাটি। যে সব পশুপাখি বা অন্যান্য প্রাণীরা অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্যটি হাজার বছর ধরে বজায় রাখত, তারা আশ্রয়হারা হয়ে প্রায়ই মরে যায়। যারা বিপন্ন অবস্থায় বাঁচে, তারা বাধ্য হয় অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে– যেমন: বাঁদর, হনুমান, হাতি, সাপ, ভাম, বেজি আর মানুষের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হয়ে ওঠে ক্রমশ শত্রুতামূলক। কোনও সরকারি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ দফতর তাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে না। 

এছাড়া ধ্বংস হওয়া জঙ্গলের গাছ বা বিভিন্ন প্রাণীর শরীর অবলম্বন করে বেঁচে থাকা নানা অণুজীব নেমে আসে মানুষের বাসভূমিতে, শরীরে। এক একটি ধ্বংস হওয়া জঙ্গল প্রকৃতির বহুযুগ লালিত শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলে। তাতে আমূল নষ্ট হয় প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, যাকে আমরা বলি পরিবেশ। ক্রমশ সমস্ত জায়গাটা হয়ে ওঠে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর। যেমন, এই তালাবিরা কোলব্লকের ওপরের অংশের অনেকখানি ছিল উড়িষ্যার অন্যতম প্রধান নদী ইব-এর জন্ম ও সঞ্চারভূমি। ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট’-এর ধাক্কায় ‘ইব এলাকা’ এখন ‘One of the most polluted industrial area of Odisha’. (Hindustan Times)

সমস্ত উন্নয়নের শেষ বিন্দু বলা হয়– মানুষ। মানুষেরই জন্য নাকি সব প্রাকৃতিক শৃঙ্খলার পরিবর্তন, ধ্বংস। কী অবস্থা হয় জংগলের কাছাকাছির বাসিন্দা সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের? ভারতবর্ষে আজ এই বাসভূমি হারানো ‘উন্নয়ন উদ্বাস্তু’র সংখ্যা প্রায় সাতকোটি। এই জনসংখ্যা কিন্তু শুধুমাত্র এ দেশের সমাজ সংস্কৃতি অর্থনীতির অংশ নন, আজও তাঁরা এই সবকিছুর স্বাভাবিক ও সাংবিধানিক অধিকারী। এঁদের ক্ষয় মানে আমাদের মতো এই-মুহূর্তে-দূরে-থাকা সম্মিলিত জনগণেরও অনস্বীকার্য ক্ষয়। সেই মানুষদের সমাজ-সংস্কৃতি-জীবন জীবিকা রক্ষার জন্য কী বিধান দেশের পরিচালকবর্গের? 

Birbhum coal mines
বীরভূমেও বির বা জঙ্গল কেটে গড়ে উঠছে কয়লাখনি

প্রশাসনের মাথারা আশ্বাস দিয়েছেন, খনির জন্য বাস্তু বা জমিহারানো সকলকেই যথেষ্ট ক্ষতিপূরণ-সহ পাকাবাড়ি করে দেওয়া হবে। যে দেড়লক্ষ গাছ কাটা হচ্ছে, তার বদলে খনি এলাকার ভেতরে ও বাইরে ২৫,৮৬,৭০০ দেশি গাছ লাগিয়ে দেওয়া হবে– যেমন শিরীষ, আম, জাম, কদম, আমড়া, চালতা, বাঁশ। এজন্য এখন থেকেই প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা ধার্য করা আছে। এটাকে বাজে হাসির গল্প বলে ধরতে গিয়ে অবধারিতভাবেই মনে পড়ছে, আমাদের এই রাজ্যেই অকল্পনীয় উন্নতিসাধনের কিছু কোলব্লকের কথা, যেগুলো রয়েছে বীরভূমের আদিবাসী অঞ্চলের মাটির আড়াইশো মিটার নীচে, বহু কোটি বছর ধরে। তার ওপরে আছে ব্যাসল্ট পাথরের পুরু স্তর। এইসব পাথরকে বলা হয় পৃথিবীর বেডরক, আদি শিলাস্তর। এত জঙ্গল ছিল এই সমগ্র এলাকাটি জুড়ে যে এর নামই ‘বীরভূম’- সাঁওতালি ভাষায় যে ‘বির’ শব্দের অর্থ জঙ্গল। গত ত্রিশ বছরে উচ্ছন্নে গিয়েছে সে বনরাজি। আজ আর তার সামান্য যতটুকু বাকি আছে, তার চিতা জ্বেলে অকল্পনীয় খরচ করে সেই ঘুমন্ত কয়লার স্তূপকে মাটি খুঁড়ে তোলাই আমাদের রক্ষকদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে। তাতে যদি পরিবেশ ও মানুষ– উভয়েরই স্থায়ী ক্ষতি হয়, তাও স্বীকার। ‘উদ্বাস্তুদের সকলকে ক্ষতিপূরণের অনেক টাকা ও পাকাবাড়ি’ বানিয়ে দেওয়া হবে! 

Ib River Jharsuguda
ইব নদীর এই সবুজ অববাহিকা আজ আর অবশিষ্ট নেই

এর মধ্যে আছে আদিবাসীদের সংরক্ষিত ‘জাহের’– পবিত্র বন। যেমন ছিল উড়িষ্যার নিয়মগিরিতে, ছত্তিসগড়ের ‘হাসদেও আরান্ডা’ নামে ভারতবর্ষের অন্যতম গভীর সুবিস্তৃত জঙ্গলে। অরণ্য নিজেই এক মহাদেবতা। ধর্মধ্বজীদের নেতৃত্বে তার নিধন ঘটছে গোয়ার মল্লেম-এ। মধ্যপ্রদেশের বক্সোয়াহা-য়। পশ্চিমঘাটে। আরাবল্লিতে। ভারতদেশের প্রকৃত রক্ষক হিমালয়ের স্তরে স্তরে, যে হিমালয় আজ শাসকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেবল যথেচ্ছ জঙ্গলছেদন করে শিলাস্তর খুঁড়ে ফেলে যা কিছু আছে, লুট করে নেওয়ার ভাণ্ডার আর সামরিক সুরক্ষার অজুহাতে রাস্তার পর রাস্তা তৈরির উপলক্ষমাত্র। ঠিক যেমনভাবে মৃত পিতার শরীর থেকে, গৃহ থেকে প্রতিটি মূল্যবান বস্তু আঁচড়ে ছিঁড়ে নেয় অপদার্থ লোভী সন্তানরা।

হাজার হাজার বছর ধরে অরণ্য আচ্ছাদিত এই ভূমির ওপরে সজল সুজল জীবন কাটিয়েছেন, অতি উন্নত সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন এ দেশের সামান্য মানুষেরা। প্রকৃতির নিয়মগুলির মধ্যে থেকেও অমেয় বাস্তব ও সাংস্কৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার সৃজন করে ভারতকে বিশ্বে সম্মানিত পরিচিতি দিয়েছেন তাঁরা। সেই মানুষদের জীবন ছিল সহজ। কেবল যতটুকু প্রয়োজন তাতেই মন্ডিত। যদি দরিদ্র বলি, সে দারিদ্র্যের সংগে আজকের সমাজবিকৃতির, চূড়ান্ত, বিধ্বংসী দারিদ্রের কোনও তুলনা হয় না। মনে রাখতে হবে, মানুষ প্রকৃতির অনেকগুলি প্রজাতির মধ্যে একটি। যে নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে তার জন্ম, ততটাই তার জীবনপরিধি। সেখানে যখন ক্ষয় শুরু হয়, তখন কেবল কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠিতে সে ক্ষয় সীমাবদ্ধ থাকে না। সমগ্র প্রজাতিই সেই ক্ষয়ের মধ্যে পড়ে। সদ্য অতীত, কিংবা ততটা অতীতও নয়, কালে অচিন্ত্যপূর্ব অতিমারীর একের পর এক ঢেউ বিপদের এই সার্বিকতাকে স্পষ্ট করে দিয়েছে অতি নির্মমভাবে। প্রাকৃতিক নিয়ম লঙ্ঘনের ফলাফলে কোনও বাত্যয় ঘটে না।

প্রকৃতির সেই শৃঙ্খলাটির অন্তর্গত থাকাই বিবেচনার কাজ। যদি ক্ষমতাদম্ভী মনোহীন কিছু লোকের সেই সুবুদ্ধির অভাব ঘটে, তার জন্য আমাদের মতো কোটি কোটি মানুষ কি বীভৎস ধ্বংস বরণ করব, না আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পথের কথা ভাবব? এ প্রশ্ন এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি জীবনশর্তসমূহের মধ্যে প্রধান।

 

ছবি সৌজন্য: Rural India Online, Odisha Post, Telegraph, Youtube

One Response

  1. ঘটনার কাল ২০১৬ যদি , আঙুল তুলবো বর্তমান সরকারের দিকে। হয়তো এর আগের সরকারের আমলে ও এসব ঘটনা ঘটেছে। এই সরকার “”সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা প্রয়াস”” বলে যে ধেষটামো করছে তাও জানতে অসুবিধা নেই। প্রশ্ন ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌হল‌‌ , এনিয়ে প্রতিবাদ কি খুব একটা হয়েছে? অসহায় লোকগুলো কিছু রাজনৈতিক দলের বা শুভাকাঙ্ক্ষী এন জি ও দের দ্বারা চালিত হয়েছে। তার পর ? পুলিশ , মিলিটারি , ভয় দেখানো, কিছু অর্থ দান ,,,, এবং একদিন অপমৃত্যু হয় প্রতিবাদের। সন্মুখ সমর কোথায়? আদানী রা তো চিরকাল এই করে এসেছে। ঐ কর্পোরেট দসু্্য রা ‌‌‌‌‌তো দেউচা পাচামী‌ নিয়ে ব্যস্ত । কোথায় আমাদের মা মাটি মানুষের নেত্রী । আর কোথায় বা বামপন্থীদের পদচারণা? তাই , এই জঙ্গলে জলে ছড়িয়ে থাকা মানুষের কেউই নেই । একটা বীরষা মুনডা , একটা সিধো কানো চাই। এই সরকারের হাতে লড়তে হলে তীব্র ঘৃনা চাই। অস্ত্রে শান দেওয়া চাই। তবেই তো হবে!! ওরা পুলিশ মিলিটারি সি আর পি‌ বন্দুক দেখাবে ‌‌ আর আমরা শান্তির জয়গান গাইবো ? হয়না। হয়নি। ইতিহাস তো তাই বলে!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com