banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

পেঞ্চ অরণ্যের সফরনামা

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

Pench National Park

নাগপুর শহর ছেড়েছি, তা বেশ কিছুক্ষণ হল। স্লেটরঙা পিচপালিশ রাজপথ সোজা চলে গেছে দূরের আবছা পাহাড়টার দিকে। লোকালয় একটু একটু করে সরছে, আর জঙ্গল তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। একটু আগে একটা ইন্ডিয়ান রোলারকে ডানা ঝাপটাতে দেখেছি। বনের শুকনো পাতায় কারা আগুন ধরিয়েছিল। এখনও সেই ছাইচাপা আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে। গাড়ি সাঁই সাঁই করে ছুটছে। জানালার কাচ নামানোর কোনও উপায় নেই। ঘাম নেই, শুকনো গরম হাওয়ার গা জ্বালানো অত্যাচার। এ দেশে ফাগুন বাতাস বয়ে এনেছে উষ্ণতা আর শুষ্কতা, যার পোশাকি নাম লু।

এক দশক আগের কথা। মধ্যপ্রদেশের সীমানা ছাড়িয়ে পেঞ্চ ন্যাশনাল পার্কের যে অংশটুকু মহারাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে, আমাদের বিচরণ শুধু সেই গণ্ডিটুকুর মধ্যেই। সাতপুরা পাহাড়ের দক্ষিণপ্রান্তে ২৫৭ বর্গকিলোমিটার অরণ্য মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলার উত্তর সীমানা জুড়ে অবস্থান করছে। নাগপুর শহর থেকে কমবেশি ৭০ কিলোমিটার পথ। অর্ধেকের বেশি এসে গেছি। অনেকক্ষণ বাধাবিপত্তিহীনভাবে ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিমি বেগে ছোটার পর গাড়ি হঠাৎ থমকে গেছে। আবার এক গঞ্জ, রামটেক। রাস্তার ধারে ছোট বাজার। দিনে-দুপুরে বেচাকেনা চলছে। স্থানীয়দের নজরকাড়া সাজপোশাক। মহিলারা কাছা দিয়ে শাড়ি পড়েছে, নাকে বড়সড় গোল নোলক। লু থেকে বাঁচতে পথচলতি দুচাকার পথিকদের পোশাকআশাক তো ডাকাত দলের মেকআপ। মাথা, মুখ কাপড়ে ঢাকা। কেবল চোখ দুটো বেরিয়ে আছে।

সাত নম্বর জাতীয় সড়ক। মানসর ছাড়িয়ে পৌনীতে পৌঁছলাম। গাড়ি এবার হাইওয়ে ছেড়ে অরণ্যে ঢোকার প্রথম গেটটার সামনে থামল। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ফরেস্ট বাংলোর বুকিং পাওয়া গেছে। সবেধন নীলমণি সেইসব কাগজপত্র দেখানোর পর অরণ্যের দোর খুলে গেল। সাত কিলোমিটার চলার পর সিলারী পৌঁছলাম। ফরেস্ট বাংলো চত্বর। বেশ কাব্যিক নাম, অমলতাস। লম্বা শাল গাছের আড়ালে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে গুটিকয়েক ছিমছাম কটেজ। পায়ের তলায় শুকনো ঝরাপাতার খসখস আওয়াজ শুনতে শুনতে সে দিকে হাঁটা দিলাম। 

Amaltas in Pench
অমলতাস ফরেস্ট বাংলো চত্বর

তখন বেলা সাড়ে বারোটা হবে। বাতাসে উষ্ণতার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, বসন্তকে আলাদা করে অনুভব করা যাচ্ছে না। একটা আরামদায়ক শীতল স্নানে পথক্লান্তিকে ধুয়ে জঙ্গল সাফারির জন্যে প্রস্তুত হলাম। গাছের পাতার দোল খাওয়া দেখতে দেখতে, অচেনা পাখির ডাক শুনে মন উদাসী পথে পা বাড়ায়। বাগানের এক কোণে একটা পলাশ গাছ। ফাগুনের রং লেগেছে তার গায়ে। লাল ফুলের আড়ালে সবুজ পাতা মুখ ঢেকেছে।

‘উপহার গৃহ’ থেকে ডাক এল। মারাঠি ভাষায় ‘ডাইনিং হল’। আমিষাশী বাঙালির পাতে নিরামিষ উপহার, বিশুদ্ধ মারাঠী থালি। বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতেই এমন শাকাহারি ব্যাবস্থা… অন্তত, ক্যান্টিন ইন-চার্জ সে কথাই জানালেন। রান্নার মূল বিশেষত্ব হল, তরকারিতে জল আর তেলের অনুপাত ‘ওয়ান ইজ টু থ্রি’।আর শেষপাতে কাঁচা তেল ঢালা টকদই। প্রবল শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচতেই হয়তো খাদ্যাভ্যাসে এমন তেলের আধিক্য।

বিকেল ৩টের সময় গেট খুলবে। জঙ্গল সাফারি চলবে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত। মূল ফটকের কাছে পৌঁছে অনুমতিপত্র নেওয়া হল। একজন গাইডও উঠে এল গাড়িতে। নাম রাজু। ধীরগতিতে গাড়ি চলা শুরু হল, সঙ্গে রাজুর ধারাবিবরণী।   “মহারাষ্ট্র সরকার ১৯৭৫ সালে এ অরণ্যকে ‘ন্যাশনাল পার্ক’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং ১৯৯৯ সালে এর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের শীলমোহর জোটে। পেঞ্চ নদীর নামেই অরণ্য। এখানে চারটে ভিন্ন ভিন্ন বনাঞ্চল আছে। ৩৩ রকমের স্তন্যপায়ী প্রানী, ১৬৪ রকমের পাখি, নদীতে ৫০ প্রজাতির মাছ, ১০ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৩০ রকমের সরীসৃপ ও কীটপতঙ্গদের রাজত্ব আছে।” 

এত কথার মাঝেও তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি কিন্তু অরণ্যের গভীরে। আমরাও গাছের ফাঁক ফোকরের দিকে মনোনিবেশ করে আছি। গাছের ডালে, পথের ধারে এক দল হনুমানের লাফালাফি, দাপাদাপি চলছে। এছাড়া দর্শন আর বিশেষ কিছুই হয়নি। হঠাৎ দেখি, প্রায় পনেরো হাত দূরে তিনটে হরিণ ঘাস খেতে ব্যস্ত। হনুমান থেকে হরিণে উত্তরণ, উত্তেজনা বাড়ছে। রাজু বলল, “সামনে আরও অনেক দেখা যাবে।” এই আশ্বাসবাণীটুকু ছাড়াও এখানে বসবাসকারী বন্যপ্রাণীর লম্বা লিস্ট পেলাম – বাঘ, চিতা, স্লথ বিয়ার, বন্য কুকুর, শেয়াল, সম্বর, চিতল, নীলগাই, গউর, হায়না, ফ্লাইং স্কুইরেল, বার্কিং ডিয়ার।

Monkeys in Pench
পথের ধারে এক দল হনুমানের লাফালাফি, দাপাদাপি চলছে

পিচের রাস্তা শেষ। শুকনো পাতা উড়িয়ে গাড়ি কাঁচা পথ ধরে এগিয়ে চলেছে।  শীতের শেষে  উঁচু উঁচু ন্যাড়া গাছগুলো শ্রী হারিয়েছে। এরই মাঝে একটু একটু করে বসন্ত ঢুকছে। কচি পাতা গজিয়েছে। বাঁশ, শাল, সেগুন, পলাশ, অর্জুন, কারু, তেন্ডু, বহেড়া, মহুয়া গাছে ছেয়ে আছে এই অভয়ারণ্য। খানিক এগিয়ে গাড়ি স্টার্ট বন্ধ করে দিল। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করল এক জোড়া ময়ূরের নিঃশব্দ পদচারণা। মানুষের ক্ষেত্রে যেমন নারী সুন্দর, পশুপাখিদের ক্ষেত্রে তার ঠিক উল্টো। তাই ময়ূর আর ময়ূরীকে আলাদা করে চিনতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। ময়ূরের বিশাল লম্বা ঝালরের মতো ঝলমলে পেখম। তুলনায় ময়ূরী বেশ মলিন। তার লম্বা লেজও নেই, লাবণ্যও অনেকটাই খাটো। সামান্য একটু শব্দ শুনেই লাফাতে লাফাতে হারিয়ে গেল গহীন বনে। আরো মিনিট পাঁচেকের অপেক্ষা। নাঃ! আর দেখা দিল না। 

“এখানে আর কী কী পাখি আছে?” রাজুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এবারেও পক্ষীকূলের লম্বা তালিকা আউড়ে গেল– ইন্ডিয়ান রোলার, কিংফিশার, ইন্ডিয়ান পিটাস্‌, গ্রে-হেডেড ফিশিং ঈগল, ব্ল্যাক হেডেড ওরিয়েল প্রভৃতি। আবার ধীর গতিতে এগিয়ে চলা। স্পিডোমিটারের কাঁটা একবারও ২০ ছোঁয়নি। সুখী সম্বর পরিবারের দেখা পেলাম। বাচ্চাদুটো ঘাস চিবোচ্ছে আর দম্পতি নিশ্চিন্তে বসে ওদের পাহারা দিচ্ছে। দূর থেকে লক্ষ করছিলাম ওদের। চোখাচোখি হতেই ঘাড় ঘুরিয়ে বিরক্ত মুখ নিয়ে ধীরে ধীরে গভীর অরণ্যের পথে হাঁটা লাগাল। বাচ্চারাও বাবা-মার পদাঙ্ক অনুসরণ করল।

pench-national-park
হরিণ ধীরেসুস্থে রাস্তা পারাপার করছে

বেশ খানিকটা ভিতরে ঢুকেছি। একটা নজরমিনার, পাশেই বনকর্মীর ঘর। গাড়ি থেকে নামার কোনও অনুমতি নেই। নজরমিনার পাশ কাটিয়ে অল্প এগোতেই গাড়ি আবার থমকে গেল। দূরে একপাল হরিণ ধীরেসুস্থে রাস্তা পারাপার করছে। স্পটেড ডিয়ার। বাঁদিকের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ডানদিকের উন্মুক্ত চারণক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেখানে কচি ঘাসের সম্ভার। হঠাৎ, কোনও অজানা কারণে তারা প্রাণপণে সাঁই সাঁই করে ছুটতে শুরু করল। প্রায় জনা ত্রিশেক হরিণের এই দৌড় দেখে মনে হচ্ছিল বিপদসংকেত। শিরদাঁড়া টানটান। কে তাদের এই স্বচ্ছন্দ বিচরণে বিঘ্ন ঘটালো! গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে মিনিট কুড়ি রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা। ধুর! কোথায় কী! সব আবার আগের মতোই চুপচাপ, শান্ত। শুধু অজানা পাখির ডাক জঙ্গলের নিস্তব্ধতাকে চূর্ণ করছে। হরিণের দল তখন দৃষ্টির নাগালের বাইরে চলে গেছে। 

গাড়ি এবার অল্প চড়াই বেয়ে সামান্য উপরে উঠল। জঙ্গলের এ দিকটা শুকনো পাতায় পথ ঢেকেছে। অনেক নীচে একটা বড় জলাশয়। তার ধার ঘেঁসে সবুজ ঘাসের গালিচা। দলে দলে হরিণ আর ময়ূর জল খেতে এসেছে। পথের শেষে পৌঁছলাম এক উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে। খোলা আকাশের নীচে পেঞ্চ নদী বয়ে চলেছে। শুকনো গাছের ডালে মাছরাঙা ওঁৎ পেতে বসে আছে। বেশ কয়েকবার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে একটা মাছ পেয়েছে। এখন তার সদ্ব্যবহার করতে ব্যস্ত। তিন চারটে সারস জলের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। নদীর বুকে জেগে আছে বড় বড় চড়া। অপর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ঢেউ খেলানো টিলা। এই নদীই পেঞ্চ অরণ্যকে দুই রাজ্যের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিয়েছে। এপাশের অংশ এসেছে মহারাষ্ট্রের ভাগে আর অপরপারের অরণ্য স্থান পেয়েছে মধ্যপ্রদেশে।

Peacock-at-Pench-National-Park-1-of-1
পেঞ্চে ময়ূরের দেখা পেতে বেগ পেতে হয় না

রাজু খুব অল্প সময়ের জন্য গাড়ি থেকে নামার অনুমতি দিয়েছিল। তাতেই উপভোগ্য হয়ে উঠল এই মনোরম পরিবেশ। তখন প্রায় দিনের শেষ। ছটা বাজতে আরও কিছু বাকি। অস্তগামী সূর্যের আলো ফিকে হয়ে এলেও আঁধার নামতে দেরি আছে। অন্য এক বনপথ ধরে ফিরে চললাম। এবার আর কিছু চোখে পড়ছে না। পাখিরাও হয়তো বাসায় ফিরে গেছে। গাইডের ইশারায় গাড়ি থামানো হল। সামান্য দূরে মোটা কান্ডের আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে নীলগাই। আলো কমে এসেছে। খুব স্পষ্ট দেখা যায় না। মিনিট পাঁচেক একভাবে একজায়গায় স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইল সে। ধীরে ধীরে গোটা চেহারাটা সামনে এল। জাস্ট দেড় মিনিট, তারপরই লুকিয়ে পড়ল ঘন সবুজের আড়ালে। 

জঙ্গল থেকে বেরোতে ছটার কাঁটা পার করে ফেলেছিলাম। অগত্যা, বনকর্মীদের বিরক্তি আর ধাতানি হজম করে অমলতাসে ফিরে এলাম। গতকাল ছিল দোলপূর্ণিমা, আজ বনজ্যোৎস্না। সন্ধ্যার পর থেকে আবহাওয়ার হাবভাবে অদ্ভুত বদল। দারুণ অগ্নিবাণে রোস্টেড শরীরটায় মিঠেল হাওয়া বারনল লাগাচ্ছে। মাঝেমাঝে হালকা শিরশিরানি। তাপমাত্রা নেমে গেছে অনেকটা নীচে। রাতের ঘুমে কম্বলের আদর। সকালে বেরতে গিয়ে আরও ভালভাবে টের পেলাম। ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরছে। অনভিজ্ঞ ধ্যানধারণায়, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে গরম পোশাকের বোঝা বইতে ইচ্ছে করেনি। রাত-দুপুরের এমন ফারাক, কে আর জানত!

indian-bison
গৌর-এর পা দুটো দেখে মনে হয়, হাঁটু পর্যন্ত সাদা মোজায় মোড়া

ভারতের এপ্রান্তে সূর্যোদয় বেশ দেরিতে হয়। বিছানার বেডশিট গায়ে জড়িয়ে সকাল সাতটা নাগাদ হুডখোলা গাড়িতে বসলাম। সকালের শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশে সাফারি শুরু হল। তখনও অরণ্যের ঘুম ভাঙেনি। একটা-দুটো পাখি খাবারের সন্ধানে বেরিয়েছে। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। পাল পাল হরিণ আর দু-একটা ময়ূর ছাড়া অন্য কিছুর দেখা পেলাম না। আজ ওরা যেন পুরনো হয়ে গেছে, বিশেষ আকর্ষণ করছে না। মন চাইছে অন্য কিছু দেখতে।

নজরমিনার পাশ কাটিয়ে অল্প এগোতেই গাড়ি আবার থমকে গেল। দূরে একপাল হরিণ ধীরেসুস্থে রাস্তা পারাপার করছে। স্পটেড ডিয়ার। বাঁদিকের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ডানদিকের উন্মুক্ত চারণক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেখানে কচি ঘাসের সম্ভার। হঠাৎ, কোনও অজানা কারণে তারা প্রাণপণে সাঁই সাঁই করে ছুটতে শুরু করল। 

জঙ্গলের আর একদিকে এসেছি। এদিকটায় লাল ফুলে ঢাকা বেশ কিছু পলাশ গাছ। ঢালু পথ বেয়ে গাড়ি অনেকটা উপরে উঠে বিশাল এক বাঁধের কাছে এসে থামল। পেঞ্চ নদীর উপরে নির্মিত এই বাঁধ থেকেই নাগপুরে জল সরবরাহ করা হয়। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। ফিরতি পথে, হঠাৎ সজোরে ব্রেক! দুটো গৌর রাস্তা আটকে শিং দিয়ে গুঁতোগুঁতি করছে। সে ভারী মজার দৃশ্য। পা দুটো দেখে মনে হয়, হাঁটু পর্যন্ত সাদা মোজায় মোড়া। মিনিট দশেকের অপেক্ষা। ঝগড়াঝাঁটি শেষ করে লেজ নাড়তে নাড়তে জঙ্গলে ঢুকে গেল। আমাদেরও পেঞ্চ থেকে এবার পাততাড়ি গোটানোর পালা। উপহার গৃহের পাশে সংগ্রহশালাটা তালাবন্ধ। অমলতাসের অফিসঘরে বিশেষভাবে অনুরোধ করায় দরজা খুলে দেওয়া হল। দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন সময়ে তোলা বাঘ ও বন্যপ্রাণীর ছবি। এছাড়া, মডেল ও কঙ্কালও সাজানো আছে, যার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাঘের মডেলগুলো।

বেলা বারোটা। ঘর ছাড়তে হবে। এ যাত্রায় বাঘ দেখা অধরাই রইল। তাতে কী! পশুপাথি আর সবুজের মেলবন্ধন– দুয়ে মিলেই ভালোলাগার রেশটুকু নিয়ে ফিরে চললাম। গাড়ি ছুটে চলল নাগপুরের দিকে।   

 

*ছবি সৌজন্য: Bestplacesofstay, TourmyIndia, Pugdundee Safaris   

দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত। ভ্রমণ, আনন্দবাজার ই-পেপার, ভ্রমী পত্রিকার নিয়মিত লেখক। এছাড়া যারা-যাযাবর, তথ্যকেন্দ্র, লেটস্‌-গো, আজকাল, প্রতিদিন, গণশক্তি প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় ভ্রমণকাহিনি প্রকাশিত। ট্র্যাভেল রাইটার্স ফোরাম ইন্ডিয়ার সদস্য। প্রধান শখ ও নেশা বেড়ানো আর ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফি।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com