আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৬৭ সালে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ছে নারীবাদী আন্দোলনের দ্বিতীয় ঢেউ, ছোটখাটো চেহারার এক বাঙালি মেয়ে মহিলা পর্বতারোহীদের নিয়ে রন্টি ট্রেক অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন। পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলা পর্বতারোহণ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই মেয়ে। তিনি দীপালি সিনহা। ভারতের প্রথম অ্যামেচার মহিলা পর্বতারোহী। অথচ তার পাঁচ বছর আগেও তিনি পর্বতারোহণ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। কলকাতার শ্রী শিক্ষায়তন কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার সময়ে এনসিসি-এর ক্যাডেট ছিলেন। সেই সূত্রে দার্জিলিং-এর হিমালয়ান মাউণ্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে একটা ৩২ দিনের প্রশিক্ষণ নেবার সুযোগ আসে। অবশেষে ১৯৬৪ সালের ব্যাচে ট্রেনি হিসেবে যোগ দিলেন। সেই তাঁর প্রথম পাহাড়-দর্শন। কিন্তু তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাননি। মাউণ্টেনিয়ারিং ইন্সটিটউটে থাকাকালীন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলেন।
১৯৬৭ সালে প্রথম নেতৃত্ব দিলেন গাড়োয়ালের রন্টি ট্রেক অভিযানে। তার পর এক এক করে মোট ১২টা অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের মধ্যে তাঁকে আগাগোড়া উৎসাহ দিয়েছেন বাবা দেবেন্দ্র চন্দ্র সিনহা। বাবারই উৎসাহে বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স পান। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলালাইভের হয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন শ্রেয়সী লাহিড়ী
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।