banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

ছোটদের গল্প: অভিযান

দিলীপ কুমার ঘোষ

আগস্ট ২, ২০২৩

Teenager story of advanture Abhijaan
Teenager story of advanture Abhijaan
Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

সরস্বতী খালটা নৌকা চলাচলের মতো চওড়া করে কাটা হয়েছে দেখে আমার মাথায় চাপল নতুন খেয়াল। আচ্ছা, এই খালপথে অভিযানে বেরোলে কেমন হয়!

খেয়াল পেশ করলাম ‘সবুজ বাহিনী’র কাছে। তার আগে জানতে চাইলাম, ওদের কেউ এ ক’দিনের মধ্যে মাঠের দিকে গিয়ে বড় বড় হাইড্রলিক মেশিনের সাহায্যে সরস্বতী খালের সংস্কার হওয়া খেয়াল করেছে কি না। ওরা সবাই ঘাড় নেড়ে ‘না’ জানাতে বললাম, “খালটার কী দশাই না হয়েছিল! কচুরিপানায় পুরো ঢেকে যাওয়ায় সেটা যে আছে, বোঝাই যেত না।”
তারপর আসল কথায় এলাম, “জানিসই তো আমাদের এখান থেকে পিচরাস্তা ধরে ডোমজুড় তিন কিলোমিটার। কিন্তু আগেকার দিনে জলপথে সেটা কত কিলোমিটার ছিল বা যেতে কতটা সময় লাগত, তা কিন্তু আমাদের জানা নেই। এখন খালে জল নেই। আর খালটাও চওড়া করে কাটা হয়েছে। তাই চাইলে ডোমজুড় বা নৌ-চলাচলের সময় যাকে বন্দর বলা হত, খালপথে আমরা সেখানে পৌঁছে যেতে পারি। ভেবে দ্যাখ, যে-খালে একসময় নৌকা চলেছে, সেই খালে নেমেই আমরা পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়েছি অভিযানে! ভাবলেই রোমাঞ্চ হচ্ছে না? কী, এমন অভিযানে বেরোতে তোরা রাজি?”

সবাই ঘাড় নাড়ল। শুভম বলল,আমাদের এই অভিযানের নাম কী হবে?

সব অভিযানের কি আলাদা নাম হয়! উঁহু… ঠিক আছে, তোর অনারে এই অভিযানের নাম হোএক্সপিডিশন অভিযান

বাবা, তুমি সবাইকার সামনে খালি আমার লেগ পুল করো!”

Water Hyacinth
কচুরিপানায় পুরো ঢেকে যাওয়ায় সেটা যে আছে, বোঝাই যেত না।

শুভমের দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে বাকি সকলের দিকে ফিরে বললাম,তোরা কে কে এই অভিযানে বেরোতে চাস?

দেখলাম হাত উঠল ছ’টা। একটা হাত শুভমের।

ঠিক আছে। কিন্তু শোন, শুধু তোরা বললে তো হবে না, বাড়ি অনুমতি দরকার। বুধবার সকালে তোরা জানিয়ে দিস কে কে বাড়ির অনুমতি পেলি। আমরা কিন্তু রওনা দেব শুক্রবার সকাল আটটায়।

বুধবার সকালে দীপ এবং অয়ন জানাল, তাদের বাড়ি অনুমতি দেয়নি।

অতঃপর স্থির হল অভিযানে বেরোব পাঁচজনসুজন, অনির্বাণ, প্রমথেশ এবং আমরা পিতা-পুত্র।

গুড ফ্রাইডের সকাল আটটায় অভিযানের শুভারম্ভ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকেই শুভম কাউন্ট ডাউন শুরু করে দি চোখে-মুখে উত্তেজনার ছাপ স্পষ্ট। এই প্রথম চেনা পথ ছেড়ে অচেনা পথে পা বাড়াবে। আগ্রহ-প্রত্যাশা-রোমাঞ্চ—সব মিলেমিশে শুভমের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই যেন বদলে গেছে। মনে মনে বললাম, কাম অন চ্যাম্প, এই না হলে অভিযান!

আটটায় অনির্বাণ সাড়ে আটটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও যখন বাকি দু’জন এল না, আমি বললাম,চল, আমরা তিনজনেই বেরিয়ে পড়ি।

dried riverbed

মার্চ মাসের সকাল। মোটামুটি গরম। রোদের তাপ এখনও চামড়া সেঁকে দেওয়ার মতো নয়। তাই ছাতা নিলাম না। শুধু দেড় লিটারের দু’টো বোতলে জল ভরে নিয়ে— ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দারের মতো আমরা অভিযানে বেরিয়ে পড়লাম।

পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ কখনও এমন অভিযানে বেরিয়েছে কি না জানি না! আদৌ এটা অভিযান পদবাচ্য কিনা, সে সম্পর্কেও সম্যক ধারণা নেই। তা সত্ত্বেও এটা আমাদের কাছে প্রথম অভিযান। ছত্রিশ, পনেরো আর নয় বছরের তিন অসমবয়সী বাঙালির এক অতি সামান্য অভিযান। কিন্তু তা যত নগণ্যই হোক, অভিযান তো বটেই!

 মাঠের রাস্তা ধরে খাল পর্যন্ত গিয়ে, সোজা খালে নেমে পড়লাম। খালের গর্ভ দিয়ে নাগেলে সোজা বন্দরে যাওয়া সম্ভব নয়। খালের পাড় বরাবর দু’-ধারের রাস্তায় যেসব পথ এসে মিশেছে, তার সব ক’টাতে যাওয়া না-থাকলেও অধিকাংশই চেনা। কিন্তু এই যে খালের নী দিয়ে হেঁটে যাওয়া— এর অনুভূতিই আলাদা। খাল দিয়ে সোজা নাক বরাবর যেতে পারার কারণে একটা অদ্ভুত ভাললাগাও তৈরি হচ্ছিল।

মিনিট পাঁচেক হেঁটে আমরা পৌঁছলাম ঈশান পাড়ুইয়ের পোলে, এখন যেখানে কংক্রিটের ব্রিজ হয়েছে। এতদিন আমার কাছে সরস্বতী খাল শুধু এটুকুই ছিল। আজই প্রথম তা অনেক, অনেক প্রসারিত হয়ে নিজেকে মেলে ধর

ছেলেবেলায় নাবোতলার মাঠে খালের ধারে আসা… দোলের দিন রং মেখে ভূত হয়ে খালের জলে স্নান… সাঁতার শিখতে গিয়ে ডুবতে ডুবতে ভেসে ওঠার চেষ্টায় খালের বুকেই সাঁতার শেখা… সাঁতার শিখে গ্রীষ্মদুপুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলে দাপাদাপি… চুরিপানা জড়ো করে মান্দা বানিয়ে জলের ওপর ভেসে থাকা… বাঁশের লগি খালের পাড়ে অথবা জলের গভীরে মাটিতে ঠেকিয়ে চাপ দিয়ে মান্দা করে জলের ওপর ঘুরে বেড়ানো… অলস দুপুর-বিকালে ছিপ ফেলে মাছ ধরতে আসা লোকের কাছে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা… খালের এক-একটা ডোবাতে জল শুকোলে ঘোলাজলে-পাঁকে সকলে মিলে মাছ ধরা…

আজ এই মিনিট পাঁচেক হাঁটতে হাঁটতে সেই সমস্ত দিনের কথা মনে এমন ঘাই মারছিল, মনে হচ্ছিল ছেলেবেলায় এই জলভাগ আমার কাছে খাল ছিল না, ছিল নদী, সাগর, অথৈ দরিয়া!

Boys swimming on pond
সাঁতার শিখে গ্রীষ্মদুপুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলে দাপাদাপি

মিনিট পনেরো হাঁটার পর শুভমের দিকে তাকিয়ে দেখি কোথা থেকে একটা লাঠি কুড়িয়ে নিয়ে নিজের মনে হেঁটে চলেছে।

কিছুক্ষণ পর আমি বললাম,ব্রেক। আয়, একটু জল খেয়ে নিই।

তিনজনেই জল খেলাম। বিশ্রাম নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই… আবার শুরু করলাম হাঁটতে। 

আমার মনে পড়ল— ঈশান পাড়ুইয়ের পোলের পশ্চিমদিকে এই মাঠে ছেলেরা ঘুড়ি ওড়াতে খুব পছন্দ করত। আমার ঘুড়ি ছিল না, ঘুড়ি ওড়াতে পারতাম না। ঘুড়ি কেটে গেলে দেখতাম ছেলের দল হাতে বাঁশের লগা অথবা কঞ্চি নিয়ে কাটা ঘুড়ির পিছনে— কত জমি তারা পেরিয়ে যেত, কেউ মাথায় মোটা করে সুতো জড়িয়ে ফিরত, আবার কেউ ফিরত কাটা ঘুড়ি লুটে নিয়ে।

এসে পড়লাম দক্ষিণরায়তলা। তাই তো, জায়গাটার নামের মধ্যেই যে তাৎপর্য লুকিয়ে রয়েছে এ কথা তো আগে কোনওদিন ভাবিনি! দক্ষিণ রায় তো বাঘের দেবতা! এটা দক্ষিণবঙ্গ হলেও সুন্দরবন থেকে জায়গা দূরত্ব একশো কিলোমিটারের বেশি। তবে কি রয়াল বেঙ্গল টাইগার না হলেও ছোটখাটো বাঘের দেখা আগে এসব অঞ্চলেও পাওয়া যেত!

নিজের চোখে দেখেছি— খাল থেকে প্রায় দু’শো মিটার দূরত্বে বাঁদিক বরাবর চওড়া বাঁধের মতো উঁচু মাটির ঢিপি। দক্ষিণরায়তলায় যেখানে এসে মাটির এই চওড়া বাঁধ শেষ হয়েছে, তার বাঁ দিকে বাঁশবাগানের মধ্যে অনেক উঁচুতে আছে মনসার থান। তার মানে সর্প এবং ব্যাঘ্র— এককালে উভয় দেবতারই এখানে পুজো হত।

fierce-tiger
ছোটখাটো বাঘের দেখা আগে এসব অঞ্চলেও পাওয়া যেত!

দক্ষিণরায়তলার ব্রিজটা দেখিয়ে অনির্বাণকে জিজ্ঞেস করলাম,বল তো ওটা কী?

ঠিক বুঝতে পারছি না। এখানে এত উঁচু ব্রিজ এল কোথা থেকে!

অথচ প্রত্যেক দিন এখান দিয়ে সাইকেল চালিয়ে মাকড়দহ স্কুলে যাস!

আ্যাঁ, এটা সেই দক্ষিণরায়তলার পোলটা!

হ্যাঁ, আসলে এত নীচ থেকে কোনওদিন তো এভাবে দেখিসনি। এমনিতেই দেখবি একই রাস্তা—অথচ যাওয়ার সময় একরকম লাগে, আবার আসার সময় অন্যরকম লাগে। আর… এক্ষেত্রে তো উপর-নীচের তফাত।

একদম ঠিক বলেছেন, স্যার। পোলটা দিয়ে যাতায়াতের সময় দু’দিকে তাকিয়ে যেমন লাগে এখন পোলের নীচ থেকে সবকিছু কিন্তু তেমন লাগছে না। নীচে থেকে পোলটাকেও অন্যরকম লাগছে… একদম অচেনা!

শুভম বলল,বাবা দেখো, পাড়ের গাছগুলো যেন ঝুঁকে রয়েছে। তাকিয়ে থাকতে কেমন লাগছে।”

আমারও শুভমের মতো লাগছিল। কেমন একটা অদ্ভুত ঝিমধরা অনুভূতি।

 “বাবা, কত পাখি আর কত ফড়িং, প্রজাপতি— সব কেমন উড়ছে-ঘুরছে, খেলছে, ডাকছে…

অনির্বাণ বলল,শুভম, ওই দেখ, ডাল থেকে কত বাঁদর ঝুলছে। কতগুলো দেখ আবার গাছের মাথায়।

Trees near Waterbody
পাড়ের গাছগুলো যেন ঝুঁকে রয়েছে

খালের গর্ভে কোনও কোনও জায়গায় জল থাকার কারণে আমাদের কয়েকবার ডাঙার দিকে উঠে জায়গাগুলো পেরিয়ে যেতে হচ্ছিল

প্রায় আধঘণ্টা হাঁটছি। খালপথে বন্দর-ডোমজুড় পৌঁছতে কতক্ষণ লাগবে কে জানে!এখন খালের দু’ধারে দু’রকম দৃশ্য। ডানদিকে জগদীশপুর রোডের দিকে বাড়ি এবং অ্যালুমিনিয়াম কারখানা চোখে পড়ছে। কিছু চাষের খেতও রয়েছে। বাঁদিকে শুধু চাষের খেত আর বাঁশবাগান।

কিছুটা এগিয়ে ডানদিকে একটা বেশ বড় খেলার মাঠ পড়ল। যখন বুঝতে পারলাম এটা সাতবুড়ির মাঠ, মনে অদ্ভুত আনন্দ হল। এই মাঠে কতবার খেলতে এসেছি, খেলা দেখতে এসেছি! কিন্তু কখনও জানতে পারিনি মাঠের বাঁদিক দিয়ে বয়ে গেছে সরস্বতী খাল!

একটা গাছের দিকে তাকিয়ে শুভম দেখি হাঁ-করে দাঁড়িয়ে আছে। বললাম,কী হল?

বাবা, ওটা কী গাছ?

সত্যিই তো! আমিও দেখে অবাক। অনির্বাণ একটু এগিয়ে গিয়েছিল। ডাক দিলাম,অনির্বাণ, একটা জিনিস দেখে যা।

পাঁচটা গাছ একসাথে জড়িয়ে উঠেছে। মাটি থেকে গোড়াটার বেশ কিছুটা একটাই গুঁড়ি। বট, অশ্বত্থ আর খেজুর চিনতে পারলাম, বাকি গাছ দু’টোকে না। প্রকৃতির কী অপূর্ব লীলা!

monkeys
ওই দেখ, ডাল থেকে কত বাঁদর ঝুলছে

খালপথে কিছু কিছু জায়গা পেরিয়ে যেতে কিন্তু বেশ অসুবিধায় পড়লাম কিছুটা এগোনোর পর সামনে পড়ল একটা শ্মশানমন্দির দেখলাম লেখাঅনুকূল দাসের শ্মশান। আরও এগোলাম। কোনও কোনও জায়গায় খালের জল লাল অ্যালুমিনিয়াম কারখানার রংঘর থেকে অ্যাসিড-জল খালের অল্প জলে মেশার পরিণাম বুঝতে পারছি ডোমজুড় এগিয়ে আসছে— আর সেখানকার নগরায়ণের ছোঁয়া প্রকৃতিতে কী প্রভাব ফেলেছে!

এক জায়গায় দেখি খাল পারাপারের জন্য দু’টো বাঁশ খালের এপার-ওপার ফেলা রয়েছে। আর দু’পাড়ে পোঁতা ফুট পাঁচেক লম্বা দু’টো বাঁশের মাথায় আবার একটা লম্বা বাঁশ লাগানো আছে। শুভম জানতে চাইল,বাবা, ওটা কী?

এটাকে বাঁশের সাঁকো বলতে পারিস। নীচের বাঁশদুটো দেখতে পাচ্ছিস… গুলো পায়ে হেঁটে যাতায়াতের জন্য। আর ওপরের বাঁশটা দেখছিস… ওটা ব্যালেন্স করে সহজে পারাপারের জন্য

শুভম বায়না ধরল,আমি ওই বাঁশের সাঁকোতে উঠে পারাপার করব।

অনির্বাণ এই সময় একটা মোক্ষম কথা বলল,আমাদের অভিযান তো শুধু সামনে এগিয়ে চলার। এপার-ওপার করার তো কথা ছিল না।

অনির্বাণের স্পিরিট দেখে ভাল লাগল। বুঝতে পারছি শুভমের এবার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কোলে ওঠার প্রস্তাবে কিছুতেই সম্মত হচ্ছে না। হাঁটুক। অসুস্থ হয়ে না-পড়লেই হল।

Bamboo bridge
এটাকে বাঁশের সাঁকো বলতে পারিস

শেষ পর্যন্ত পড়ল কাঁটা ও অন্যান্য গাছের ঝোপঝাড়, উঁচু-নীচু জায়গা এবং দু’-চারটে বড়সড় গর্ত। আর বুঝি এগোনো সম্ভব হল না! কিন্তু… মন শুনতে চাইল না। নাথেমে এগোতে লাগলাম। হঠাৎ একইসঙ্গে অনির্বাণ আর আমার চোখে পড়ল, মোটা মতো কী একটা পড়ে রয়েছে! আমরা তার দু’হাত তফাতে দাঁড়িয়ে। জিনিসটা অনেকটা মোটরবাইকের টিউবের মতো। অনির্বাণকে সবে বলতে যাচ্ছি, চল, ওটার ওপর পা দিয়ে লাফিয়ে কিছুটা দূরত্ব পেরিয়ে যাইদেখি কিনা ওটা… আস্তে আস্তে নড়তে শুরু করল! আমার তো চক্ষু চড়কগাছ! বুঝতে আর কিছুই বাকি রইল না। কী মারাত্মক একটা বিপদের মুখ পড়তে যাচ্ছিলাম বুঝতে পেরে গা-হাত-পা ঠান্ডা হয়ে ল। যাত্রায় অদ্ভুতভাবে রক্ষা পেলাম; বিপদটা ধীরে ধীরে জলে নেমে গেল। আমরা পড়িমরি করে খালের পাড় দিয়ে ডাঙা জমিতে উঠে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। চোখে পড়ল একটা মনসার থান।

ঘড়ি দেখে বুঝলাম প্রায় ঘণ্টা দেড়ে কেটে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে আর খালে নামার কথা ভাবলাম না। 

শুভম বলল,বাবা, সাপটার মনে হল অনেকগুলো মাথা। চার-পাঁচটা তো হবেই।

 “ওটা সাপ কি না বুঝতে পারছি না। আর… যদি সাপ হয়, তাহলে চার-পাঁচটা মাথা— সেটাই বা কী করে সম্ভব?… যাক গে যাক, আর খালের মধ্যে দিয়ে হাঁটার দরকার নেই। চল, দেখি পাড় ধরে একটু এগিয়ে যাই।

নিজের মন খারাপটা চাপা দেওয়ার জন্য অনির্বাণকে বললাম,মন খারাপ করিস না, অনির্বাণ। অভিযান হয়তো শেষ করতে পারা গেল না, কিন্তু অভিযান তো হল!”

 

 

ছবি সৌজন্য: Facebook, Free stock, Pinterest 

পেশায় শিক্ষক দিলীপকুমার ঘোষের জন্ম হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের দফরপুর গ্রামে। নরসিংহ দত্ত কলেজের স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। নেশা ক্রিকেট, সিনেমা, ক্যুইজ, রাজনীতি। নিমগ্ন পাঠক, সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত সৈনিক। কয়েকটি ছোটবড় পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে অণুগল্প, ছোটগল্প এবং রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে 'সুখপাঠ' এবং 'উদ্ভাস' পত্রিকায় রম্যরচনা এবং দ্বিভাষীয় আন্তর্জালিক 'থার্ড লেন'-এ ছোটগল্প প্রকাশ পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com