banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

চলিবলি রং তুলি: পচাপানি গ্রাম আর ভুঁইফোড় কবিরাজ

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

Bhalopahar

ভালোপাহাড় দ্বিতীয় পর্ব।।

কমলদার আস্তানার সামনে দিয়েই চলে গিয়েছে বড় রাস্তা বা হাই রোড। পরদিন খুব সকালে ঘুম ভাঙতেই বেরিয়ে পড়লাম। ঢাউস লোহার ফটক বন্ধ থাকলেও মাঝে একটা ছোট দরজা খোলা ছিল। মাথা নামিয়ে সুড়ুৎ করে গলে যেতে হয়।

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল, সব কিছু ঝাপসা হয়ে আছে। তারই মধ্যে গুটি গুটি এগোলাম বান্দোয়ানের দিকটায়। দু’পাশেই শাল আর মহুয়ার জঙ্গলে ছেয়ে আছে, ঘর বাড়ি বিশেষ নজরে আসে না। ভেতরের দিকে গ্রাম-ট্রাম আছে নিশ্চয়ই। খানিক যেতেই রাস্তার ধারে দেখলাম এক জোড়া খড়ের চাল, পিছনে ঘর আর সামনেটা ছাউনি মতো। ছাউনির নিচে কাঠের টেবিল আর বেঞ্চি পাতা, এক দিকে কয়েকটা সাইকেল দাঁড় করানো। বুঝলাম এটা একটা গুলতানির জায়গা। তাহলে নিশ্চয়ই চায়ের ব্যবস্থাও আছে। সকাল থেকে নির্জলা রয়েছি। সামান্য গলা খাঁকারি দিতে ভিতর থেকে সাদাচুলো একটা লোক বেরিয়ে এল, নীল লুঙ্গি, গায়ে চাদর।

চায়ের দোকানই বটে। তাছাড়া আশপাশের লোকজন এখানে সাইকেল রেখে এদিক সেদিক কাজে যায়। আমি প্রথম খদ্দের, তাই একটু বসতে হোল। লোকটার নাম বিরজু। একাই দোকান চালায়। আর পিছনে এক ফালি জমিতে শাক-সবজি ফলায়। একটু পরেই গালুডির বাস আসবে। নাইলনের বস্তায় কপি, বেগুন ভরে পাঠিয়ে দেবে দুয়ারসিনির হাটে। আজ ওখানে হাটবার কিনা! বিরজু জানে ভালোপাহাড়ে লেখক বাবুরা সব বেড়াতে আসেন। তবে আমি ছবি আঁকি সেটা বললাম। সঙ্গে খাতা আনিনি। বিকেলের দিকে আবার গিয়ে বিরজুকে আঁকার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু হয়ে ওঠেনি।

Bhalopahar
ভালোপাহাড় স্কুলের ছাত্র কালীপদ। স্কেচ – লেখক।

ফিরে এসে দেখলাম ততক্ষণে লাল আর চকোলেট রঙের ইউনিফর্ম পরা স্কুলের বাচ্চারা এসে ভালোপাহাড় চত্বরটাকে বেশ সরগরম করে তুলেছে। কমলদা এদের জন্য পিছনদিকে দোতলা স্কুল বাড়ি বানিয়েছেন। আশপাশের অন্তত সাত-আটটা আদিবাসী গ্রাম থেকে গাড়ি করে আনার ব্যবস্থা করেছেন। বড়োদের দেখলেই পাখি পড়ানোর মতো এরা গুডমর্নিং স্যার, গুডমর্নিং আন্টি বলে। একসঙ্গে জড়ো হয়ে কোরাসে মিষ্টি করে ‘আলো আমার আলো’ গান গেয়ে শোনায়। আজ এদের খোলা জায়গায় নাচ গানের ক্লাস নেবে মন্দার আর অনিরুদ্ধ, আমিও চেয়ার টেনে বসে গেলাম স্কেচ করতে। হাঁটুর ব্যাথা নিয়েও মন্দার কি সুন্দর ঘুরে ঘুরে নানা ভঙ্গিতে এদের নাচ তোলাচ্ছে, অনিরুদ্ধ খুব সহজভাবে গানের কথা, সুর নিয়ে আলোচনা করছে। ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দেখলাম ভালোই। বেশ লাগছিল গোটা ব্যাপারটা।

কিন্তু ওদিকে আমার সাইকেল তৈরি, বেরিয়ে পড়তে হবে এইবেলা।­­ এবার চললাম গালুডির দিকে, এপাশটা একেবারে ধূ ধূ প্রান্তর। শীতের দিনে মিঠে রোদ গায়ে লাগিয়ে সাইকেল চালানোর মজাই আলাদা। সামনে একটা বাঁক দেখে সেই পথ ধরলাম। জনমানবহীন রাস্তা ঘুরে ঘুরে চলে গিয়েছে, আমিও এগোচ্ছি। দূরে পাহাড়ের কোলে খয়েরি-সবুজে মেশানো মেঠো প্রান্তরে ছোট ছোট সাদা ছোপের মত গোরুর পাল চরে বেড়াচ্ছে, এক আধটা বক উড়ে যাচ্ছে এদিক ওদিক। এতক্ষণে দেখলাম চাষাভুষো গোছের একটা লোক কাঁধের বাঁশে দুটো ঝুড়ি ঝুলিয়ে তাতে টুকিটাকি জিনিস নিয়ে চলেছে। ভাবলাম দাঁড় করিয়ে একটা ছবি আঁকি, কিন্তু লোকটাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। বোধহয় বহুদূর থেকে হেঁটে আসছে। ফলে একটুক্ষণ থামতে বলে সাইকেল থেকে নেমে লোকটার পরপর কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম ক্যামেরায়। পিঠে ব্যাগ ফেলে সাইকেলে উঠতে গিয়ে চোখে পড়ল কাছেই আর একটা লোক সাইকেল থামিয়ে ব্যাপারটা লক্ষ্য করছে। স্থানীয় কিন্তু পরিষ্কার কাপড় জামা পরা, বেশ শক্তপোক্ত চেহারার। প্রমাদ গুণলাম। এসব জায়গায় আমার মতো বহিরাগতদের কিছুদিন আগেও এরা তেমন জামাই আদর করত না বলে শুনেছি। তবে সময় পাল্টেছে, আসার সময় কমলদাও কোনও সতর্কবার্তা দেননি। তাই সহজেই এগিয়ে গিয়ে আলাপ করলাম।

Bhalopahar
বাবুই ঘাস দিয়ে দড়ি বানানো চলছে। স্কেচ – লেখক।

লোকটির নাম অবিনাশ হাঁসদা, এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য এবং ছোটখাট নেতা গোছের। বলল, সামনে পচাপানি গ্রামে আমার বাড়ি, চলুন ছবি আঁকবেন। গিয়ে দেখলাম নামে কিছু আসে যায় না। পচাপানির বাড়িঘর, রাস্তাঘাট যথেষ্ট পরিপাটি করে রেখেছে এখানকার বাসিন্দারা। হাঁসদা সাহেবকে দেখে ঘিরে ধরল এক দল লোক। মনে হল এবার ছোটখাট মিটিং শুরু হবে। আমি ঘুরতে ঘুরতে আমার জায়গামতো বসে গেলাম ছবি আঁকতে। এ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা হল ‘বাবুই’ নামের এক ধরনের ঘাস পাকিয়ে পাকিয়ে দড়ি বানানো। যে কোনও বাড়ির উঠোনে উঁকি মারলেই দেখা যাবে নানা বয়েসের মেয়ে-পুরুষ মাটিতে ছড়িয়ে বসে বিড়ি বাঁধার মতো একমনে এই কাজ করে চলেছে। এর মধ্যে আবার একটা ভীষণ বুড়ো লোক অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় এসে সামনে হাজির। তারপর একেবারে নট নড়ন চড়ন, শুধু অদ্ভুত ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে। এমন তৈরি মডেল চট করে পাওয়া মুশকিল। ঝপাঝপ এঁকে ফেললাম। তবে আঁকা হয়ে যাবার পরও লোকটা কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের গল্পের সেই বাতিকবাবুর মতো একই ভাবে দাঁড়িয়ে রইল। দেখলাম, আশপাশের কেউই ওকে পাত্তা দিচ্ছে না। একজনের কাছ থেকে অবশ্য ওর নাম জেনে নিয়েছিলাম, অর্পন মুর্মু।

Bhalopahar
কবিরাজ গোবর্ধন হেমব্রম। স্কেচ – লেখক।

ঠিক ছিল দুপুরের খাওয়া সেরে নিয়ে হাট দেখতে যাব। বাকিরাও দেখলাম তারই তোড়জোড় করছে। তবে ওরা যাবে গাড়িতে, আমি সাইকেলে। ভালোপাহাড় থেকে দুয়ারসিনি মোড় হল প্রায় তিন কিলোমিটার, রাস্তাটা যেখানে ঘুরে গিয়ে ওপরে জঙ্গলের দিকে উঠেছে তার আগেই একটা খোলা জায়গায় সাপ্তাহিক হাট বসে। দেখলাম শাক সবজি, খাজা গজা থেকে শুরু করে জামাকাপড়, চটি-জুতো, মাছ মুর্গি নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেচা কেনা চলছে। কোথাও কোনও তাড়াহুড়ো নেই। শীতের পড়ন্ত বিকেলে সবার মধ্যে একটা হালকা গা-ছাড়া ভাব। এক জায়গায় দোক্তা পাতা বিক্রি হচ্ছে তো আর এক জায়গায় গরম গরম জিলিপি। পাশে একটা ভাঙা পাঁচিল ঘেঁষে রকমারি আয়ুর্বেদিক  ওষুধ, শেকড় বাকড় আর বই সাজিয়ে বসেছে ভুঁইফোড় কবিরাজ গিরিগোবর্ধন হেমব্রম। মনে হল, এই তো খাসা সাবজেক্ট! সামনে একটা তক্তার ওপর বসে আঁকা শুরু করতেই তিনি বেশ গদগদ হয়ে আমায় চা খাওয়াতে চাইলেন, দোকান ছেড়ে তাঁর মন পড়ে রইল আমার দিকে। ছবি শেষ করে দেখাতেই গিরিবাবু পকেট থেকে সড়াৎ করে পঁচিশ টাকা বের করে মেলে ধরলেন আমার সামনে। বললাম, ছবির জন্য দিচ্ছেন? কিন্তু এটা তো পাবেন না! তাছাড়া টাকা নেবারও প্রশ্ন নেই।

Bhalopahar
দুয়ারসিনি হাটে হাঁড়িয়ার দোকান। স্কেচ – লেখক

আদিবাসী এলাকার হাটে দিশি মদের ঠেক অবশ্যই একটা বড় আকর্ষণ, ঢাউস সমস্ত মাটির কলসি আর জেরিক্যান ভর্তি হাড়িয়া নিয়ে সার দিয়ে বসেছে মেয়েরা, কেউ কেউ আবার গেলাস, বোতল আর হাঁড়িতে ছোলা আলুর চাট আর প্লাস্টিকের মোড়কে বাদাম, চানাচুর সাজিয়ে আলাদা আসর জমিয়েছে। কেনাকাটা তেমন কিছু হোক না হোক, মেয়ে পুরুষ সবাই যে যার মতো এসে বসে যাচ্ছে নেশা করতে, চালচলনে কেমন একটা শান্ত নির্বিকার ভাব। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ সিনেমায় রবি ঘোষ যেমন বলেছিলেন ‘এও এক ওয়েস্টার্ন সোসাইটি’, ঠিক তাই মনে হল।

হাট ছেড়ে বেরিয়ে সাইকেলে মিনিট পাঁচেক এগোলেই দু’দিকে বিশাল জঙ্গল আর তার মাঝেই খড়ের চাল আর মাটি দিয়ে বানানো ছোট ছোট গোটা পাঁচেক কটেজ, দেওয়ালে নীলের ওপর সাদা দিয়ে সুন্দর রিলিফের কাজ, গয়না পরা সাওঁতাল মেয়ে নাচছে, ছেলে মাথায় ফেট্টি বেঁধে মাদল বাজাচ্ছে। একদা কলকাতার টুরিস্টরা এখানে প্রায়ই ছুটি কাটাতে আসতেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য ঘরগুলো বহুকাল ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এখন রীতিমতো ঝুরঝুরে অবস্থা। বাঁশের রেলিং দেওয়া চমৎকার খোলামেলা খাবার জায়গাটাও দেখলাম নড়বড় করছে। ‘যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না’ লেখা একটা নোটিস বোর্ড রংচটা অবস্থায় দুমড়ে যাওয়া একটা  কঞ্চিকে যেন কোনওক্রমে আঁকড়ে ঝুলে রয়েছে। কেয়ারটেকার গোছের আধবুড়ো একজনকে আবিষ্কার করা গেল পাশের ঝুপড়ি থেকে। কাঁদো কাঁদো মুখে সে জানাল লোক পাঠালেই সব ব্যবস্থা করা যাবে, তবু কেউ তো আর আসে না। এখন তার নিজের চাকরি টিঁকে থাকলে হয়।

Bhalopahar
ভালোপাহাড় থেকে দুয়ারসিনি মোড় হল প্রায় তিন কিলোমিটার। স্কেচ – লেখক

কিছুক্ষণ আশপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। ঘন গাছপালার মাঝখান দিয়ে উঁচুনিচু পাহাড়ি জমি ছড়িয়ে আছে, ফাঁক দিয়ে রাস্তা নেমে গিয়েছে দুয়ারসিনি নদী পর্যন্ত। ঝিরঝির করে জল বয়ে চলেছে, হাঁটুর বেশি ডুববে না। জলের ধারে একটা পাথরের ওপর পা ছড়িয়ে বসে থাকতে থাকতে কিছুক্ষণের জন্য কেমন আনমনা হয়ে পড়লাম। জায়গাটার একটা অদ্ভুত মাদকতা যেন আমাকে পেয়ে বসল। ভেবে রেখেছিলাম সব কিছু আবার ঠিকঠাক হয়ে গেলে অবশ্যই একবার এখানে এসে ক’দিন থাকব। কিন্তু আমার পোড়া কপাল। গত দশ বছরেও জায়গাটা শুনেছি যথা পূর্বং হয়ে পড়ে আছে।­­­ বড়োকর্তাদের দয়ায় অবস্থা এতটুকু পাল্টায়নি।

পরদিন মন্দারের টিম ফিরে গেল। আমি থাকলাম আরও একটা দিন। সাইকেল নিয়ে সকাল থেকে চক্কর মেরে কাটালাম। এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ডাঙ্গরজুড়ি গ্রাম। লোকজন বিশেষ চোখেই পড়ে না। বাড়িগুলোতে এক ঘুলঘুলি ছাড়া জানলার বালাই নেই কোথাও। ঢোকার দরজাও নিচু নিচু। সরাসরি অন্দরমহলে ঢুকে না পড়লে কারও দেখা মেলা ভার। দু’একজন হয়তো আড়াল আবডাল থেকে উঁকি ঝুঁকি মারল। ব্যাস ওই অবধি। এদের মধ্যেই এই রকম একটি বছর দশেকের মেয়ে দেখি হঠাৎ সামনে এসে ‘গুডমর্নিং স্যার’ বলে দাঁড়াল। এতক্ষণ সাইকেল ঠেলে ঠেলে হাঁটছিলাম, এবার থেমে গেলাম। ‘স্যার আমি ভালোপাহাড় স্কুলের সঞ্চিতা, কাল আপনি ছিলেন।’ তাই তো বটে… মেয়েটি বেশ সপ্রতিভ। স্কুলের তালিম ভালোই হচ্ছে মনে হল। বললাম, সামনেই তো তোমাদের বাড়ি, তাহলে এখানে বসেই একটা ছবি আঁকি। সঞ্চিতা মনে হয় এতটা আশা করেনি। বড় দলটা চলে যাওয়াতে ভালোপাহাড় বেশ নিঝুম।

Bhalopahar
সুবর্ণরেখার জল ঝিরঝির করে বয়ে চলেছে, হাঁটুর বেশি ডুববে না। স্কেচ – লেখক। 

বাগানের এক প্রান্তে আমার ঘর। অন্য প্রান্তে কমলদার। লেখালিখি নিয়ে এখন খুব ব্যস্ত উনি। তাছাড়া কলকাতায় যাবেন বইমেলায়, তাই কাজ এগিয়ে রাখছেন। এক ফাঁকে জানতে এলেন আমার একা লাগছে কিনা। বললাম একেবারেই না, আমি এভাবেই বেশি অভ্যস্ত। পরদিন বিকেলে ফেরার ট্রেন গালুডি থেকে। সুধীর মান্ডি এল ওর অটো নিয়ে। সঙ্গে ওর বন্ধু হাপন। বারোটা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম। চারটেয় ট্রেন। তার আগে সুবর্ণরেখার ধারটা একবার ঘুরে নেব। গালুডিতে থাকার প্ল্যানটা আগেই ফোনে বাতিল করে দিয়েছিলাম। দেখলাম সুধীররা খেয়ে আসেনি। পথে কুচিয়া বাজারে নেমে ওরা একটা হোটেলে খেতে বসল। অবাক হলাম ওরা আমাকেও খাবার জন্য সাধাসাধি করছে দেখে। কিছুতেই শুনবে না, অন্তত একটা আলুর চপ খান, সদ্য ভেজেছে। ভদ্রতা কাকে বলে! গালুডি স্টেশন থেকে বড় জোর মাইলখানেক গেলে টিকরিঘাট। সুবর্ণরেখা এখানে বেশ চওড়া। হাতে প্রচুর সময়, সামনেই একটা ভাঙাচোরা মন্দির রয়েছে, ঘরে তালা মারা। কিন্তু রোয়াকটা বেশ চওড়া। বসে গেলাম আঁকতে। শীতকালে জল তেমন নেই, লোকে দিব্যি হেঁটে এপার- ওপার করছে। দূরে পাহাড়, সারি সারি তালগাছ। ফুরফুর করে উত্তুরে হাওয়া দিচ্ছে। ইচ্ছে না থাকলেও উঠতেই হল, কারণ ওদিকে আমার ট্রেনের সময় হয়ে এল বলে।

স্বনামধন্য এই অঙ্কনশিল্পী নিজেই এক সম্পূর্ন প্রতিষ্ঠান | তাঁর হাত ধরে নতুন করে প্রাণ পেয়েছে বাংলার কার্টুন শিল্প | সিগনেচার বেড়াল আর স্ব-নেচারটি কোমল, আত্মবিশ্বাসী, রসিক | বেড়ানো তাঁর নেশা | তাই ঝুলিতে রয়েছে বহু গল্প, সঙ্গে অসাধারণ সব স্কেচ | সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিরলস সাধনার অমর ফসল ‘রঙ তুলির সত্যজিৎ’ |

6 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com